Tag: সড়ক দুর্ঘটনা

  • ভারতে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৫

    ভারতে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৫

    ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাষ্ট্র মহারাষ্ট্রে বাসে বিস্ফোরণ ও তা থেকে সৃষ্ট আগুনে ৩ জন শিশুসহ মোট ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও আটজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    শুক্রবার আনুমানিক রাত ২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলা থেকে পুনে জেলয় যাওয়ার পথে বুলধানা জেলার সিন্দখেদরাজা এলাকার হাইওয়েতে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানিয়েছেন বুলধানা পুলিশের এসপি সুনীল কাড়াসনে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে কাড়াসনে বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে আমরা জানতে পেরেছি, চলন্ত বাসটির টায়ার ফেটে যাওয়ায় সেটি প্রথমে রাস্তার পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে, পরে সড়ক ডিভাইডারে আঘাত হানে। এ সময় বাসটি উল্টে যায় এবং তাতে বিস্ফোরণ ঘটে।’

    ‘বাসটিতে মোট ৩৩ জন যাত্রীর সবাই ছিলেন ঘুমন্ত অবস্থায়। বিস্ফোরণের আগুনে ২৫ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বাকি ৮ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

    এসপি সুনীল কাড়াসনে জানান, এই দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যে একটি মামলা করেছে বুলধানা পুলিশ, তদন্তও শুরু হয়েছে।

    ‘তবে এই মুহূর্তে আমরা মৃতদের তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিচ্ছি,’ হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন তিনি।

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপুরণ দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

  • জামালপুরে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৪

    জামালপুরে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৪

    জামালপুরে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শুক্রবার (৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার রানাগাছা উত্তরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- সদর উপজেলায় ইটাইল ইউনিয়নের সোলায়মান (৫৫), আব্দুল মজিদ (৪৮), জয়নাল আবেদীন (৪২) ও সাহেদ আলী (৫৫)। আহতরা হলেন- মো. হানিফ মিয়া, মো. শফিকুল ও খলিল মিয়া।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রানাগাছা উত্তরপাড়া এলাকায় ময়মনসিংহ শহরগামী একটি ট্রাক জামালপুর শহরগামী অটোরিকশাটি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হলে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

    জামালপুর সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম বলেন, ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর একজনের মৃত্যু হয়। পরে ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়ার পথে আরও দুজন মারা যান। মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

    জামালপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করে থানায় আনা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন।

  • মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৮

    মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৮

    চলতি বছরের মে মাসে দেশে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৩১ জন। নিহতদের মধ্যে ৬৭ জন নারী ও ৭৮ জন শিশু রয়েছে।

    শুক্রবার (৯ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    সংগঠনটি জানায়, নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মে মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৯১টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৮ জন ও আহত ৬৩১ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৬৭ ও শিশু ৭৮ জন। ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। যা সড়ক দুর্ঘটনায় মোট নিহতের ৩৪.৫৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩১.৭৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৫.৪৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন, অর্থাৎ মোট নিহতের ১৭.৬৪ শতাংশ।

    এ সময়ে ছয়টি নৌ-দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও দুইজন নিখোঁজ হয়েছেন। ২৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন।

    দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র

    সংগঠনটি জানায়, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৪১ জন (৩৪.৫৫ শতাংশ), বাস যাত্রী ছয়জন (১.৪৭ শতাংশ), ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, ট্রাক্টর, ট্রলি, লরি, ট্যাঙ্কার আরোহী ৩৬ জন (৮.৮২ শতাংশ ), প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৮ জন (৪.৪১ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক, সিএনজি, অটোরিকশা, অটোভ্যান, মিশুক) ৬৮ জন (১৬.৬৬ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন, করিমন, মাহিন্দ্র, ইট ভাঙার মেশিন গাড়ি) ১৫ জন (৩.৬৭ শতাংশ) ও বাইসাইকেল, প্যাডেল রিকশা, রিকশা ভ্যান আরোহী ২০ জন (৪.৯০ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

    দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন

    রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি (৩৩.৬০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২০১টি (৪০.৯৩ শতাংশ ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি (১৪.৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৪৮টি (৯.৭৭ শতাংশ) শহরের সড়কে ও অন্যান্য স্থানে ৪টি (০.৮১ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।

    দুর্ঘটনার ধরন

    দুর্ঘটনাগুলোর ৭১টি (১৪.৪৬ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৬টি (৪৮.০৬ শতাংশ ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৭টি (২১.৭৯ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়ায়, ৫৪টি (১০.৯৯ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করায় ও ২৩টি (৪.৬৮ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

    দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনগুলো

    দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, ট্রাক্টর, ট্রলি, লরি, ড্রামট্রাক, তেলবাহী ট্যাঙ্কার ২৯.২০ শতাংশ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, পাজেরো ৫.১২ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১৩.৬৭ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৩.৭৮ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক, সিএনজি, অটোরিকশা, অটোভ্যান, বেবিট্যাক্সি-মিশুক) ১৬.৬৬ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন, করিমন, ভটভটি, চান্দের গাড়ি, টমটম, মাহিন্দ্র, ডাম্পার, লোবেট, ইট ভাঙার মেশিন গাড়ি, ধানমাড়াই গাড়ি) ৪.২৭ শতাংশ, বাইসাইকেল, প্যাডেল রিকশা, রিকশাভ্যান ৩.৮৪ শতাংশ ও অজ্ঞাত গাড়ি ৩.৪১ শতাংশ।

    দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা

    দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৭০২টি। এর মধ্যে ট্রাক ১১৪টি, বাস ৯৬টি, কাভার্ডভ্যান ২৩টি, পিকআপ ২৭টি, ট্রাক্টর ৯টি, ট্রলি ১৩টি, লরি ৬টি, ড্রাম ট্রাক ৯টি, তেলবাহী ট্যাঙ্কার ৪টি, মাইক্রোবাস ১১টি, প্রাইভেটকার ১৬টি, অ্যাম্বুলেন্স ৭টি, পাজেরো ২টি, মোটরসাইকেল ১৬৭টি, থ্রি-হুইলার ১১৭টি, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৩০টি, বাইসাইকেল, প্যাডেল রিকশা, রিকশাভ্যান ২৭টি ও অজ্ঞাত গাড়ি ২৪টি।

    দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ

    সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলো ভোরে ঘটেছে ৫.২৯ শতাংশ, সকালে ঘটেছে ২৫.২৫ শতাংশ, দুপুরে ঘটেছে ২৮.৭১ শতাংশ, বিকেলে ঘটেছে ১২.২১ শতাংশ, সন্ধ্যায় ঘটেছে ৮.৯৬ শতাংশ ও রাতে ঘটেছে ১৯.৫৫ শতাংশ।

    দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান

    দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৭.২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ২৫ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.৪৬ শতাংশ, প্রাণহানি ১২.৯৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৭.৩১ শতাংশ, প্রাণহানি ১৭.৬৪ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.০৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬.১৭ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.৪৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৪.৯০ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪.২৭ শতাংশ, প্রাণহানি ৬.৩৭ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.৯৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৭.৮৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.১৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৯.০৬ শতাংশ ঘটেছে।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। এ বিভাগে ১৩৪টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনা এবং বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনায় সবচেয়ে কম প্রাণহানি (২০ জন) ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম শরীয়তপুর ও রংপুর জেলায়। এই ২টি জেলায় সামান্য মাত্রার ৭টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

    রাজধানী ঢাকায় ২৬টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন।

    নিহতদের পেশাগত পরিচয়

    গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষক ১১ জন, পল্লি চিকিৎসক ৩ জন, পশু চিকিৎসক ১ জন সাংবাদিক ৪ জন, আইনজীবী ১ জন, বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ৩ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১৭ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ২৩ জন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ৮ জন, চিনিকল শ্রমিক ১ জন, বালু শ্রমিক ২ জন, পোশাক শ্রমিক ৪ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৩ জন, ধানকাটা শ্রমিক ৪ জন, ইট ভাঙার শ্রমিক ৩ জন, রিকশা মেকানিক ২ জন এবং মওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন ছাত্রীসহ সারা দেশের স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের ৫৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

  • সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩

    সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩

    সিলেটের নাজিরবাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। বুধবার (৭ জুন) ভোরে ৫টা ৩৯ মিনিটে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ১১ জন ঘটনাস্থলে ও দুজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    এর আগে সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দোহা পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে আসা একটি ট্রাক ও সিলেট থেকেআসা শ্রমিকবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন এবং অপর একজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

    এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ৭টি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায় এবং হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

    সিলেট ফায়ার সার্ভিস সিলেটের সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, নির্মাণ শ্রমিক বহনকারী পিকআপ ভ্যানটি ওসমানী নগরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে নাজিরবাজার এলাকায় পৌঁছামাত্র দুর্ঘটনাস্থলে বিপরীতগামী মাল বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর শ্রমিক বহনকারী পিকআপটি রাস্তার পাশে পড়ে যায় এবং ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। নিহতদের সবাই পুরুষ।

  • ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

    ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

    নওগাঁর মহাদেবপুরে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন।

    এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে মহাদেবপুরের হাট-চকগৌরী এলাকায় সোমবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।

    নিহত যাত্রীদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মোজাফফর জানান, নওগাঁ থেকে ট্রাকটি মহাদেবপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথে হাট-চকগৌরী এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালকসহ চার যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় একজনকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নওগাঁর উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে দ্রুত খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আসি। এসে দেখি সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে পড়ে আছে। পরে একে একে সিএনজির ভেতর থেকে চালকসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

    মহাদেবপুর থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে, তবে এখনও কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।’

  • শায়েস্তাগঞ্জে বাসচাপায় অটোরিকশার চালকসহ প্রাণ গেল ৩ জনের

    শায়েস্তাগঞ্জে বাসচাপায় অটোরিকশার চালকসহ প্রাণ গেল ৩ জনের

    হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ তিনজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। রোববার সকাল ৬টার দিকে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের সুদিয়াখলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন, চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে সিএনজিচালক রফিক মিয়া (৩৫), বানিয়াচং উপজেলার রঘু চৌধুরী পাড়ার মো. আজির হোসেনের ছেলে জিয়াউল হক (৩৬) ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে মো. মুছা মিয়া (৬৪)।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হক কামাল বলেন, ‘দুইজন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা শায়েস্তাগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে সুদিয়াখলা প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে হবিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মর্ডান পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় বাসটিও রাস্তার পাশে পড়ে যায়।

    খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। বাসচালক পালিয়ে গেছে বলে জানান ওসি।

  • চট্টগ্রামে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুজনের

    চট্টগ্রামে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুজনের

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় নারী ও শিশুসহ আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাত ৮টার দিকে বাঁশখালী-চট্টগ্রাম সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন আনুমানিক ২৫ বছরের নারী এবং আরেকজন আনুমানিক ১৭ বছরের ছেলে। আহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাটি মইজ্জারটেক এলাকা থেকে চাতরী চৌমুহনীর দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে একটি বাস আসলে ঘটনাস্থলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, আনোয়ারা থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদেরকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

  • মিরসরাইয়ে মহাজনহাট কলেজের বাস কেড়ে নিল শিশু শিক্ষার্থীর জীবন

    মিরসরাইয়ে মহাজনহাট কলেজের বাস কেড়ে নিল শিশু শিক্ষার্থীর জীবন

    মিরসরাই প্রতিনিধি::::মিরসরাইয়ের মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের ব্যপরোয়া বাস চাপায় এক শিশু শিক্ষর্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩১ মে) দুপুরে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুরাতন অংশের মস্তাননগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান রিমা (১০)। সে উপজেলার হাজীশ্বরাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে দক্ষিন সোনাপাহাড় এলাকার নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির জামাল উদ্দিনের মেয়ে।

    হাজ্বীশ্বরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাইনুল হাসান সোহাগ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও স্কুল ছুটির পর রিমা বাড়ির উদ্দেশ্যে স্কুল ত্যাগ করে। পথিমধ্যে রাস্তা পারাপারের সময় মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের একটি বাস আমাদের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান রিমাকে চাপা দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। তিনি আরও বলেন, গতবছরও একই জায়গায় একটি পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় আমাদের এক স্কুল শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে মারা যায়।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জয়া ধর বলেন, মেয়েটি হাসপাতালে আসার আগে মারা যায়। মেয়েটির মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।

    জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল হাসান বলেন, বাস চাপায় শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। বুধবার আছরের নামাজের পর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

    জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান রিমার লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া হস্তান্তরের জন্য বাবার লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘাতক মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের বাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • এক মোটরসাইকেলে চারজন, ট্রাক্টরের ধাক্কায় নিহত ৩

    এক মোটরসাইকেলে চারজন, ট্রাক্টরের ধাক্কায় নিহত ৩

    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে কাঠবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার দেবীডুবা ইউপির অন্তর্গত কালুরহাট কাটহারি এলাকায় বোদা-দেবীগঞ্জ মহাসড়কে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন, জেলার বোদা পৌরসভার তিতোপাড়া গ্রামের আলমাস আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার রজব আলীর ছেলে আমীন শেখ (৪৮) এবং মোজাম্মেল হকের ছেলে আলমাস আলী (৫৫)। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত আমিন শেখের ভাই সালেকুল ইসলাম (৩৫)। এদিকে ঘটনার পরপরই ট্রাক্টরটি ফেলে চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছেন।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে এক মোটরসাইকেলে চার আরোহী বোদা থেকে দেবীগঞ্জে যাচ্ছিলেন। দেবীগঞ্জের দেবীডুবা ইউনিয়নের কালুরহাট কাটহারী এলাকায় পৌঁছালে একটি কাঠবোঝাই ট্রাক্টর তাদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহীরা মহাসড়কে ছিটকে পড়লে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

    পরে গুরুতর আহত দুজনকে দেবীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। অপরজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী সড়ক দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রথমে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাই। পরে রংপুরে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

  • মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২৬

    মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২৬

    উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার (১৪ মে) সকালে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় তামাউলিপাস প্রদেশে এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

    সোমবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকালে উত্তর মেক্সিকান তামাউলিপাস প্রদেশের একটি হাইওয়েতে ট্রাক্টর ট্রেলার এবং ভ্যানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

    তামাউলিপাসের জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাদেশিক রাজধানী সিউদাদ ভিক্টোরিয়া থেকে প্রায় আধা ঘণ্টার দূরত্বে দু’টি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং তারপর আগুন ধরে যায়। আর এতেই ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

    অবশ্য কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তারা সেখানে ট্রেলার বহনকারী ট্রাকটিকে দেখতে পাননি।

    তামাউলিপাস প্রসিকিউটর অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাকের চালক পালিয়ে গেছে কিনা বা দুর্ঘটনায় সেও মারা গেছে কিনা তদন্তকারীরা এখনও নিশ্চিত নয়।

    অন্যদিকে ভ্যানের যাত্রীরা একটি ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের মধ্যে শিশুও ছিল বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করায় নিহতদের সবাই মেক্সিকান নাগারিক বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।

  • এপ্রিলে ৪৩১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৭ জন

    এপ্রিলে ৪৩১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৭ জন

    গত এপ্রিল মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৯৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৭৭৮ জন। নিহতের মধ্যে ৪৯ জন নারী এবং ৮৮ জন শিশু ছিলেন।

    এছাড়া ১৯১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০১ জন, যা মোট নিহতের ৪০.৪৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪.৩১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১.৯৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭১ জন, অর্থাৎ ১৪.২৮ শতাংশ।

    একই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৬৭ জন আহত হয়েছেন।

    শনিবার (১৩ মে) দুপুরে সংবাদমাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো ‘এপ্রিল মাসের দুর্ঘটনা প্রতিবেদন’থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

    প্রতিবেদনে দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়— মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২০১ জন, বাস যাত্রী ১৪ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি আরোহী ৩১ জন, প্রাইভেটকার আরোহী ৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯৯ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-চান্দের গাড়ি-মাহিন্দ্র-টমটম-লাটাহাম্বা) ১৮ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান আরোহী ২০ জন নিহত হয়েছেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১২২টি দুর্ঘটনায় ১৩৪ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। ২১টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ২১টি দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম রাঙ্গামাটি ও বরগুনা জেলায়। এই দুইটি জেলায় সামান্য মাত্রার চারটি দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

    রাজধানী ঢাকায় ২৩টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়েছেন।

    দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা; অদক্ষতা; শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে।

    সুপারিশে বলা হয়েছে— দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

     

  • পতেঙ্গায় রিকশার ওপর কন্টেইনার পড়ে ২ জনের মৃত্যু

    পতেঙ্গায় রিকশার ওপর কন্টেইনার পড়ে ২ জনের মৃত্যু

    চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গায় লরি থেকে রিকশার ওপর কন্টেইনার পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

    বুধবার (১০ মে) দুপুর ১২টার দিকে পতেঙ্গা থানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।

    ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, চলন্ত লরি থেকে পাশ দিয়ে যাওয়া রিকশার ওপর কনটেইনার ছিটকে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে।

    ক্রেন এনে কনটেইনারটি রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজে ছুটে আসেন নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা।

    দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

    পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নূর জানান, শিপ ইয়ার্ড থেকে লরিটি কন্টেইনার নিয়ে বের হওয়ার সময় হঠাৎ একটি বড় কন্টেইনার রিকশার ওপর পড়ে গেলে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।