Tag: সড়ক সংস্কার

  • কালুরঘাট-গোমদণ্ডী সড়ক সংস্কারের অভাবে ভোগান্তি!

    কালুরঘাট-গোমদণ্ডী সড়ক সংস্কারের অভাবে ভোগান্তি!

    পূজন সেন, বোয়ালখালী: কালুরঘাট-গোমদণ্ডী-বেঙ্গুরা-সাকিরাপুল রেল লাইন সংলগ্ন সড়কের কালুরঘাট থেকে গোমদণ্ডী পর্যন্ত সংস্কার হলেই বোয়ালখালী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। দ্রুত সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে নগরে। এতে চাপ কমবে উপজেলার প্রধান সড়কে।

    সড়কটির বেঙ্গুরা থেকে গোমদণ্ডী তুলাতল পর্যন্ত কাপেটিং করা সড়ক থাকলেও মাত্র ৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে সড়কটি কোনো কাজে আসছে না। সড়কটি সংস্কারের লক্ষ্যে এলজিইডি’র অর্থায়নে এই সড়কে কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছিলো। তবে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় কোনো কাজেই আসছে না কোটি টাকার সেতু। ভোগান্তিতে রয়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।

    জানা গেছে, উপজেলার প্রধান সড়কের ওপর চাপ কমানোর জন্য রেলওয়ে লাইনের পাশে কালুরঘাট-গোমদণ্ডী-বেঙ্গুরা-সাকিরাপুল সড়কটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে গোমদণ্ডী-বেঙ্গুরা পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ সড়কটি সাথে কানুনগোপাড়া হাওলা ডিসি সড়ক বুড়ি পুকুর পাড়ে এবং বেঙ্গুরায় দাশের দিঘী-শাকপুরা সড়কে যুক্ত রয়েছে। সাকিরাপুল থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাথে পৌর সদরের সাথে যোগাযোগ সহজ হয়ে যায়। তবে সংস্কারের অভাবে সড়কটির চলাচল অনুপযোগী হয়ে রয়েছে গোমদণ্ডী তলাতল থেকে কালুরঘাট অংশ।

    গোমদন্ডী থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণের লক্ষ্যে এ সড়কের পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় রেলওয়ের ১৩নং রেল ব্রীজের দক্ষিণ পাশে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। বিগত ৮ বছর আগে এলজিইডি’র অর্থায়নে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করেন। এ ছাড়া সড়কটি নির্মাণে একটি কালভার্ট ও মাটি ভরাট প্রায় সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু রেলওয়ের ১২নং কালভার্টের পাশে একটি কালভার্ট নির্মাণ ও সড়কটি ঝোঁপঝাড় পরিস্কার করা হলে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে এ সড়কটি। পূর্ণতা পাবে কালুরঘাট-গোমদন্ডী-বেঙ্গুরা-সাকিরাপুল সড়ক।

    ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফ উদ্দীন জুয়েল বলেন, এ সড়কটি চালু হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-আরাকান সড়ক, কানুনপোপাড়া সড়ক, শাকপুরা-বেঙ্গুরা সড়কের যাতায়াতকারী যাত্রীসাধারণের কষ্ট লাঘব হবে। মূল সড়কের ওপর যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে যাবে। অল্প সময়ে নগর যাতায়াত করা যাবে।

    বোয়ালখালী পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ সড়কটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি প্রজেক্ট তৈরি করেছে। এই সড়ক সংস্কারের জন্য জাইকা থেকেও অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বোয়ালখালী পৌরসভা থেকেও একটি প্রজেক্ট স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

  • সিইউএফএল সড়কে অবৈধ স্থাপনা রেখেই সড়ক সংস্কার, জনমনে ক্ষোভ

    সিইউএফএল সড়কে অবৈধ স্থাপনা রেখেই সড়ক সংস্কার, জনমনে ক্ষোভ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। জাবেদুল ইসলাম, আনোয়ারা : চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলা ব্যস্ততম সিইউএফএল সড়কটি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ সংস্কার কাজের অবহেলায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাত্রী দুর্ভোগ যেন নিয়তিতে পরিণত হয়েছিল।

    অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এ সড়ক ব্যবহারকারীদের মনে দেখা দিয়েছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। কিন্তু সড়কটির উভয়পাশে অবৈধ স্থাপনা রেখেই সড়ক সংস্কার করায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

    স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সড়কটির মাঝখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার মূল কারণ হলো সড়কের উভয় পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার ফলে বর্ষাকালে পানি জমে সড়কের মাঝখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়।

    সড়কটির যেখানেই অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেখানেই পানি জমে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে ছোট ছোট পুকুরের আকার ধারণ করে। এ সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা ও এলাকাবাসী মনে করেছিল সড়কটিতে পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তাটি প্রশস্থ করে টেকসই সংস্কার কাজ করা হবে।

    কিন্তুু অবৈধ স্থাপনা রেখেই সড়কের কাজ শুরু করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সড়কটি সংস্কারের পর বর্ষা মৌসুমে কয়েক বছর যেতে না যেতে আবারও গর্ত সৃষ্টি হয়ে জনগনের ভোগান্তি পোহাতে হবে।

    জানা যায়, সড়কটি সিইউএফএলের নিজস্ব হলেও এই সড়ক দিয়ে কাফকো, ড্যাপ, কেইপিজেড ও বঙ্গবন্ধু টানেলের সকল যানবাহন চলাচল করায় সকলের যৌথ অর্থায়নে ৩ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দে সড়কটির কাজ পেয়েছেন রাজ কর্পোরেশন। চাতরী চৌমুহনী থেকে শুরু করে ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করা হবে।

    আনোয়ারা সচেতন মহলের দাবি, চাতরী চৌমুহনী থেকে শুরু করে বন্দর সেন্টার পর্যন্ত উভয় পাশে অবৈধ দোকানপাট, ইট, কংকর ও বালু ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে কাজ করলেই সড়কটি টেকসই হবে এবং চলাচল অনেকটা নিরাপদ হবে।

    অন্যাথায় অবৈধ স্থাপনা রেখে কাজ করলে বর্ষাকালে পানি জমে থাকবে এবং শুকনো মৌসুমে ধূলা বালি জন্য আবারো আগের মতো কষ্ট পোহাতে হবে। সেই সাথে প্রতিদিন কেইপিজেডের গার্মেন্টস কারখানাগুলো ছুটি হওয়ার পর তীব্র যানজট লেগেই থাকবে।

    কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এই বিষয়ে সিন্ধান্ত গ্রহণ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে টেকসইভাবে সড়কটি মেরামতের সঠিক বরাদ্দকৃত অর্থের কাজের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইউএফএলের ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম লাভলু বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য একাধিক বার আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) বরাবরে আবেদন দিয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবারো উপজেলা প্রশাসনের সাথে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।