Tag: হজ

  • হজ করতে কুমিল্লা থেকে হেঁটে মক্কা যাচ্ছেন আলিফ মাহমুদ

    হজ করতে কুমিল্লা থেকে হেঁটে মক্কা যাচ্ছেন আলিফ মাহমুদ

    আগামী ২০২৪ সালে হজ পালনের উদ্দেশে হেঁটে আলিফ মাহমুদ (২৫) নামে কুমিল্লার এক যুবক গ্রাম ছেড়েছেন। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার নিজ গ্রাম বাতাবাড়িয়া থেকে রওনা হন। সে বাতাবাড়িয়া গ্রামের মরহুম আব্দুল মালেকের ছেলে।

    আলিফ জানান, যশোরের বেনাপোল বর্ডার দিয়ে দেশ ছাড়ার ইচ্ছে তার।

    আলিফ মাহমুদ এই সফরে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও অন্তত ছয়টি দেশের মাটিতে হাঁটবেন। সেগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরব। আলিফ বলেন, সফরের দূরত্ব ৭ হাজার ৮১০ কিলোমিটার কিংবা আরও একটু বেশি। এসব দেশের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তিনি সঙ্গে রেখেছেন। তার খরচ বহন করছে দুলাল কাজী গ্রুপ।

    আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার যুগে দীর্ঘ এ পথে কেন তিনি হেঁটে হজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আলিফ বলেন, ‘আমি আসলে একজন ভ্রমণপ্রেমী মানুষ। ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি এর আগে সাইকেলে চড়ে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছি। তখন থেকেই আমার এভাবে হজে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।’

    তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে সাইকেলে চড়ে হজ করার ইচ্ছা থাকলেও সেটি পরিবর্তন করি এবং হেঁটে মক্কায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আর এটি আমার কাছে সম্ভবই মনে হয়েছে। কারণ, হাজার বছর আগে ইসলাম ধর্ম প্রচার, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির জন্য মানুষ পায়ে হেঁটে দূর-দূরান্তে সফর করতেন।’

    স্থানীয় বটতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, ওই যুবক যখন হেঁটে হজে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে তখন বিশ্বাস হয়নি, পরে তার ইচ্ছাশক্তি দেখে ইংরেজিতে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করি। আশা করি সে মক্কা পর্যন্ত যেতে সকল দেশের সহযোগিতা পাবে।

  • মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান হজের খুতবায়

    মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান হজের খুতবায়

    শায়খ ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ হজের খুতবায় বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাদের মাঝে দ্বন্দ ও দল উপদল তৈরি করতে নিষেধ করেছেন।

    আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিয়ায় হাজিদের উদ্দেশে দেওয়া খুতবায় একথা বলেন তিনি।

    এ সময় তিনি বলেন, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি একত্রে বসবাস করার মাঝে শান্তি রেখেছেন এবং পরস্পরের মাঝে দ্বন্দ ও বিচ্ছেদের বিষয়টিকে অপছন্দ করেছেন। এবং আমরা আল্লাহকে ভয় করি, তিনি করুণাময় ও দয়ালু। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ সা. তার রসূল বান্দা, যিনি সহাবস্থান ও সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন এবং অন্যের সঙ্গে শত্রুতা করতে নিষেধ করেছেন।

    খুতবায় তিনি আরও বলেন, আল্লাহ তাঁর রাসূলের মাধ্যমে মানুষের অন্তরকে একত্রিত করেছেন এবং মানুষের অবস্থা সংশোধন করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তার ঘরে জিয়ারত ও মানুষকে জাকাত প্রাদানের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তার রাসুল (সা.)-কে পাঠিয়েছেন এবং মানবতার সংস্কার করেছেন, তিনি আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ঐক্যের মধ্যেই দ্বীন ও দুনিয়ার কল্যাণ রয়েছে, মুসলমানদের একে অপরের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিলে কোরআন-সুন্নাহ থেকে সমাধান খুঁজে নিতে হবে।

    শায়খ ইউসুফ খুতবায় আরও বলেছেন, একজন আরবের কোন বিদেশীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব নেই, একজন শ্বেতাঙ্গের কোন কালোর উপর শ্রেষ্ঠত্ব নেই, হজরত মুহাম্মদ বলেছেন, কারো উপর কারো শ্রেষ্ঠত্ব থাকলে তা কেবল তাকওয়ার ভিত্তিতে, সদাচরণের ভিত্তিতে।

    মুসলমানরা, তাকওয়া অবলম্বন কর, আল্লাহকে ভয় কর এবং সংস্কারের চেষ্টা কর, শিরক করো না এবং পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার কর, আল্লাহ পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের অধিকার সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, তোমাদের সব আমল কিয়ামতের দিন আল্লাহ সামনে উপস্থাপন করা হবে। মুসলমান তোমরা অপকে পাপ কাজে সহযোগিতা করো না, সৎকাজে সহযোগিতা করো, শয়তান মানুষের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি করে, সব মুসলমান এক দেহের মতো।

    হজের সমাবেশে থেকে পুরো বিশ্বের মুসলিমদের তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

  • আজ পবিত্র হজ: ক্ষমা চেয়ে আরাফায় হাজিদের প্রার্থনা

    আজ পবিত্র হজ: ক্ষমা চেয়ে আরাফায় হাজিদের প্রার্থনা

    ১৪৪৪ হিজরির পবিত্র হজ আজ। প্রতি হিজরি বছরের ৯ জিলহজ মুসলিম উম্মাহকে হজ পালনে ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে হয়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল-হাজ্জু আরাফাহ অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ। এ দিন মহান আল্লাহ সবচেয়ে বেশি মানুষকে ক্ষমা করেন। ক্ষমার আশায় সারাবিশ্ব থেকে আগত হজযাত্রীর আরাফায় তাকবির, তালবিয়া, ক্ষমা প্রার্থনা ও কান্না-রোনাজারিতে ব্যস্ত। বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মিলন স্থল বা মিলনমেলা এ আরাফার ময়দান।

    আজ মঙ্গলবার আরাফাত দিবসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ নামিরা থেকে হজের খুতবা ও নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আরাফাতে এ দিনের আনুষ্ঠানিকতাকে মূল হজ বলা হয়। আরাফায় অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের ভাষণ দেবেন সৌদি আরবের সিনিয়র উলামা কাউন্সিলের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ।

    এ বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে রোববার। সোমবার রাতও পবিত্র মিনায় অতিবাহিত করেন হজযাত্রীরা। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিহাসে এবারই (২০২৩ সালে) সবচেয়ে বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে কাবা প্রাঙ্গণ। কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করেছেন বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজি।

    ইতিহাসের সবচেড়ে বড় হজ হওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ বছর, আমরা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হজ প্রত্যক্ষ করছি।’

    সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ কর্তৃপক্ষ হজে অংশগ্রহণকারী আল্লাহর মেহমানদের আরাফাতের ময়দানে গ্রহণ করতে প্রস্তুত। আরাফার ময়দানে উপস্থিত হাজিরা দুপুরে সৌদি উচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদের কণ্ঠে শুনবেন হজের খুতবা ও দিকনির্দেশনা।

    তাওবাহ-ইসতেগফার, তাকবির ও তালবিয়ায় মুখরিত থাকবে ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দান। হজে অংশগ্রহণকারীরা এক সামিয়ানায় সমবেত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

    হাজিদের উপস্থিতিতে এবারের আরাফাতের ময়দান হবে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। বিশেষ ব্যবস্থায় জাবালে রহমতের পাদদেশে হজ পালন করবেন হাজিরা। মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের ইতিহাসে এবারই প্রথম শায়খ ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে খুতবা দেবেন।

    বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহও আজ হজ পালনকারীদের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে তাদের জন্য দোয়া কামনা করছে। যাতে হজে অংশগ্রহণকারীরা সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে সুন্দরভাবে হজ সম্পাদন করতে পারে।

    আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত সব হাজির কাণ্ঠে একই সঙ্গীত-

    لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ

    ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান-নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’।

    দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ, রহমত প্রাপ্তি ও নিজেদের গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে অশ্রুসিক্ত নয়নে ফরিয়াদ জানাবে সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসলমান। লাখ লাখ হাজির উপস্থিতিতে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃশ্যের অবতারণা হবে আজ আরাফাতের ময়দানে।

    আজ ৯ জিলহজ (মঙ্গলবার) সূর্যোদয়ের পর থেকে আরাফাতের ময়দান মুখী হজে অংশগ্রহণকারীরা। আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা ও ইবাদত-বন্দেগি চলবে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত।

    বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনাসহ মহামারি করোনা থেকে মুক্তি চাইবে হজে অংশগ্রহণকারীরা। দিনভর কান্নাকাটি দোয়া-ইসতেগফারের পর সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে রওনা হবে মুজদালিফার দিকে। যেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাবে মুসলিম উম্মাহ। আর এর মাধ্যমেই পালিত হবে হজ।

    উল্লেখ্য, মহামারি করোনার কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ১৪৪১ ও ১৪৪২ হিজরির হজে সৌদি আরবের বাইরে থেকে পবিত্র হজ পালনে কোনো লোক অংশগ্রহণ করতে পারেনি। ১৪৪৩ হিজরিতে অংশগ্রহণ করেছে মাত্র ১০ লাখ লোক। তবে ওই তিন বছর সৌদি বসবাসকারী বিশ্বের ১৬০ দেশের মানুষ অল্প সংখ্যায় হজে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর এবার সারাবিশ্ব থেকে অংশগ্রহণ করেছেন লাখ লাখ মানুষ।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুস্থতা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে যথাযথভাবে হজ সম্পাদনের তাওফিক দান করুন। মুসলিম উম্মাহর গুনাহ মাফ করুন। হজে অংশগ্রহণকারীদের হজে মাবরূর দান করুন।

  • হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, মিনায় যাচ্ছেন হাজিরা

    হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, মিনায় যাচ্ছেন হাজিরা

    লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনি ও পবিত্র কাবা প্রদক্ষিণের মাধ্যমে শুরু হয়েছে চলতি বছরের পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্বের নানা প্রান্তের লাখ লাখ মুসলমান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন মক্কায়।

    করোনাভাইরাস মহামারির আগের মতো এবারই প্রথম সারা বিশ্বের লাখো মুসল্লি হজ পালনে জড়ো হয়েছেন। সোমবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে সোমবার। হাজিরা এদিন সকালে ফজরের নামাজের পর মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের মূল কার্যক্রম শুরু করেন। আর শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে আগামী ১২ জিলহজ এই আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

    আল আরাবিয়া বলছে, হাজিরা রোববার মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে পৌঁছেন এবং সেখানে তারা তাওয়াফ আল-কুদুম সম্পন্ন করেন। এটি আগমনের তাওয়াফ নামে পরিচিত। এছাড়া এটি ইহরাম অবস্থায় প্রবেশের পর হজ যাত্রার প্রথম ধাপ বলেও পরিচিত। তারপরে তারা সাফা এবং মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাঈ পালন করেন।

    পরে সোমবার সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে হজযাত্রীরা মিনায় যাত্রার আগে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য গ্র্যান্ড মসজিদে জড়ো হন। নামাজ শেষে তারা মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। আর সোমবার পুরো দিন ও রাত হাজিরা সেখানে অবস্থান করে প্রার্থনা করবেন এবং হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।

    সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভালোভাবে বিশ্রামে থাকা নিশ্চিত করতে মিনা এলাকায় হাজার হাজার তাঁবু স্থাপন করেছে। এখানে অবস্থানকালে হজযাত্রীরা সারারাত কোরআন তেলাওয়াত ও নামাজ আদায় করবেন।

    মূলত তাঁবুর শহর নামে পরিচিত মিনা প্রান্তরে পৌঁছানোর মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। হজের পাঁচ দিনের প্রথম দিন মিনায় অবস্থান করতে হয়। এখানে অংশ গ্রহণ করা এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা সুন্নত।

    মিনায় অবস্থানের পর পর্যায়ক্রমে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাতযাপন এবং জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানিসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন হাজিরা। জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

    আল আরাবিয়া বলছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত কয়েক বছরে হাজিদের সংখ্যা সীমিত করতে বাধ্য হওয়ার পর চলতি বছরের হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সংখ্যার ওপর বিধিনিষেধ প্রথমবারের মতো তুলে নেওয়া হয়েছে।

    সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়া গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে হজযাত্রীদের সর্বোত্তম পরিষেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে কর্তৃপক্ষ।

    এবার বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশের ২০ লাখের অধিক মুসল্লি পবিত্র হজ পালন করবেন বলেও জানান হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল রাবিয়া।

  • হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

    হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

    মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ। রোববার ফজরের পর ১৪৪৪ হিজরি বর্ষের হজের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।

    ২৭ জুন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর দুয়ারে নিজেদের উপস্থিতির জানান দেবেন মুসল্লিরা। সেদিন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে ময়দান।

    আর শয়তানকে উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে হজ।

    এ বছর বিশ্বের ১৬০ দেশের ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করবেন।

    ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার বিষয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়। শনিবার (২৪ জুন) শেষ ফ্লাইটে সৌদিতে বাকি হজযাত্রীরা পৌঁছেছেন।

    সৌদিতে এ বছর ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ২৮ জুন সৌদি আরবে ঈদুল আজহা। আর বাংলাদেশে ঈদুল আজহা ২৯ জুন। এবার বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশের ২০ লাখের অধিক মানুষ পবিত্র হজ পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া।

  • হজ পালনে সৌদি আরব পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

    হজ পালনে সৌদি আরব পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন আজ বিকেলে সৌদি সরকারের রাজকীয় অতিথি হিসেবে পবিত্র হজ পালনের জন্য ১০ দিনের সফরে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছেছেন।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (ফ্লাইট নং: বিজি ৩৩১), রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা এবং সফরসঙ্গীদের নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় (কেএসএ সময়) জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেআইএ) অবতরণ করে।

    জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছলে মো: সাহাবুদ্দিনকে মক্কা অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান বিন আবদুল আজিজ, কেএসএ-তে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।

    সেখান থেকে ভিভিআইপি প্রতিনিধিদলকে রাজকীয় অতিথি হিসাবে পবিত্র মক্কার সাফা রয়্যাল প্যালেসে আবাসস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। এখান থেকে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী এবং সফরসঙ্গী দলের অন্য সদস্যদের হজ পালন করার কথা রয়েছে।

    রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বঙ্গভবনের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রয়েছেন।
    রাষ্ট্রপতি বিমানে হজ কাফেলার হজযাত্রী ও তার সফরসঙ্গী দলের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।

    এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান দুপুর আড়াইটার দিকে হযরত শাহজালাল (র.) অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর (হিসা) থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কূটনৈতিক কোরের ডিন, বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সেনাপ্রধানের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে তাকে বিদায় জানান।

    হজের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১লা জুলাই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করতে মদিনায় যাবেন। সৌদি আরবে তার ১০ দিনের সফর শেষ করে রাষ্ট্রপতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (ফ্লাইট নম্বর: বিজি ৩৩৮) ২ জুলাই মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

  • সৌদি বাদশার অতিথি হয়ে হজ করবেন ১৩০০ জন

    সৌদি বাদশার অতিথি হয়ে হজ করবেন ১৩০০ জন

    সৌদি আরবের বাদশার অতিথি হয়ে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের মানুষ হজ করে থাকেন। আর এ বছর দেশটির ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন ৯০টি দেশের ১ হাজার ৩০০ অতিথি।

    শনিবার (১৭ জুন) বাদশাহ সালমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন।

    ‘দুই পবিত্র মসজিদের অভিভাবক’ অতিথি পোগ্রামের আওতায় এসব মুসলিমের হজের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবে সৌদি সরকার।

    সৌদির ইসলামিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী শেখ আব্দুললতিফ আল-আসেখ বলেছেন, মুসলিম এবং ইসলামিক বিশ্বের সঙ্গে সম্পোর্কন্নয়নের যে প্রচেষ্টা রাজতন্ত্র করে থাকে এটি তারই প্রতিফলন।

    সৌদি বাদশার অতিথিদের হজ করার বিষয়টি দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছেন আব্দুললতিফ আল-আসেখ।

    তিনি বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিকে আরও বলেছেন, ‘এই অসাধারণ আয়োজন, প্রতি বছর সৌদি সরকারের অর্থায়নে করা হয়। এর মাধ্যমে বিশ্বের হাজার খানেক মুসলিম হজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এই সুসংগঠিত ব্যবস্থায় তাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা হয়।’

    যেসব দেশের মুসলিমরা বাদশার অতিথি হয়ে হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস এবং ধর্মীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে সৌদি সরকার। তাদের ভিসা প্রদান, হজ করতে আসা এবং হজ করে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পুরো বিষয়টির সঙ্গে সমন্বয় করছে দেশটি।

    এর আগে এ মাসের শুরুতে ফিলিস্তিনের ১ হাজার মুসলিমের হজের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা জারি করেন বাদশাহ সালমান।

  • হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ উদ্বোধন এবং হজ যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শুক্রবার (১৯ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। এখান থেকে ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে স্থানীয় সময় আগামী ২১মে রাত পৌনে ৪টায়। এ বছর প্রি-হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। নির্ধারিত সময় ২১মে রাত পৌনে ৪টায় প্রথম ফ্লাইট বিজি ৩০০১ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

    ফ্লাইটটি এদিনই জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে। আগামী ২২ জুন বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে।

    চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে। আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে চলতি হজ মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট।

    চলতি বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর বিমান এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহৃত হবে।

     

  • হজ কার্যক্রম উদ্বোধন শুক্রবার, প্রথম ফ্লাইট ২১ মে

    হজ কার্যক্রম উদ্বোধন শুক্রবার, প্রথম ফ্লাইট ২১ মে

    চলতি বছরের হজ কার্যক্রম আগামীকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে সশরীরে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। গত বছর ভার্চুয়ালি হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার সশরীরেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন। আগামীকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কয়েকজন হজযাত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়ও করবেন তিনি।

    তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেনি মন্ত্রণালয়।

    মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, আগামী ২০ মে রাত পৌনে ৩টায় (ক্যালেন্ডারে ২১ মে) প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরব যাবে। এরই মধ্যে হজ ক্যাম্পে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

     

  • হজের সব তথ্য মিলবে এক অ্যাপে

    হজের সব তথ্য মিলবে এক অ্যাপে

    হজের সব তথ্য মিলবে এক অ্যাপে। এখন থেকে একজন হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা, টিকা, চিকিৎসা সেবা দেওয়া, আবাসন ব্যবস্থার তথ্য, লাগেজ ব্যবস্থাপনা, হারানো হজযাত্রী খুঁজে পাওয়াসহ যাবতীয় সেবা কার্যক্রম ‘ই-হজ মোবাইল অ্যাপ’-এ মিলবে।

    বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন।

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। হজ এজেন্সিগুলো প্রযুক্তিগত সেবা দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করেছে। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়েছে। গত ১৪ বছরে হজ ব্যবস্থাপনায় যে উন্নতি হয়েছে তা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে।

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন রিফান্ড, নিবন্ধন ও নিবন্ধন রিফান্ড আবেদন সিস্টেমের মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন তথ্য এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ফলে হজযাত্রীরা এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই ভাউচার তৈরি করতে পারবেন।

    আগামীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা নিয়ে অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের আর্থিক লেনদেন সংযোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ই-হজ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সেবাও পর্যায়ক্রমে মোবাইল অ্যাপটিতে সংযুক্ত করা হবে।

    হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির ইউজারদের জন্য ই-হজ ব্যবস্থাপনার কাজগুলো পর্যায়ক্রমে অ্যাপটিতে সংযুক্ত করা হবে।

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ পালনে হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। সে লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রী এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অংশীজনের জন্য হজ পালনসহ ধর্মীয় ও অন্যান্য বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ‘ই-হজ মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘হজ ও উমরাহ সহায়ক প্রকাশনার উদ্যোগ স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি চমৎকার উদ্যোগ।

    ২০১৬ সালে প্রাক-নিবন্ধন চালুর মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এতে হজযাত্রীরা অনলাইনে অনেক সেবা ও তথ্য পাচ্ছেন। সারাদেশে সরকারি অফিস ও বেসরকারি হজ এজেন্সি অনলাইনে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদন করায় গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে ও সামগ্রিকভাবে হজের ব্যবস্থাপনা সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের বছরের হজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী বছরের হজের প্রস্তুতি শুরু হয়। অর্থাৎ মন্ত্রণালয় সারা বছর ধরেই প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকে। রাজকীয় সৌদি সরকারের দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে পরিবর্তিত নিয়মনীতির আলোকে প্রস্তুতি চলতে থাকে। এ ধারাবাহিকতায় দেশের মধ্যে অনেকগুলো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে একটি সফল, নিরাপদ ও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তার করণীয় পর্যায়ক্রমে সুন্দরভাবে সম্পাদন করে চলছে।

    ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (হজ) মো. মতিউল ইসলাম, হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

     

  • হজের খরচ কমছে, নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২৭ মার্চ পর্যন্ত

    হজের খরচ কমছে, নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২৭ মার্চ পর্যন্ত

    হজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমে নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২৭ মার্চ পর্যন্ত। পরিবর্তিত প্যাকেজে আজ (বুধবার) থেকে নিবন্ধন চলবে। বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপ-সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের জন্য সউদি আরব মিনার ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরির তাবুর খরচ বাবদ ৪১৩ সউদি রিয়াল কমিয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১১ হাজার ৭২৫ টাকা।

    যারা ইতোমধ্যে আগের ফি অনুযায়ী নিবন্ধন করেছেন, তাদের খাবারের টাকার সঙ্গে এই পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্যাকেজ মূল্য হ্রাস পাওয়া ও হজযাত্রীদের বয়সসীমা না থাকায় অনেকে নতুন করে হজে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফলে পরিবর্তিত প্যাকেজে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হলো।উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্ধারিত কোটা পূরণ না হওয়ায় চতুর্থ দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) হজ নিবন্ধনের চতুর্থ দফার শেষ দিন থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া পায়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়।

    হজ নিবন্ধন পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, এখনো নিবন্ধনের বাকি ১১ হাজার ৬০৪ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৫ হাজার ১৭৩ আর বেসরকারিভাবে হজে যেতে নিবন্ধনের বাকি রয়েছে ৬ হাজার ৪৩১ জন।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক ২ লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন ৮ হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

    আগামী ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সউদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হবে। আগামী ২১ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি ৩০০১ নামে একটি ফ্লাইট ঢাকা ত্যাগ করবে হজযাত্রীদের নিয়ে। ফ্লাইটটি জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে। এছাড়া এ বছর প্রি-হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। আগামী ২২ জুন বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে।

  • হজে যেতে বয়সের বাধা প্রত্যাহার

    হজে যেতে বয়সের বাধা প্রত্যাহার

    সৌদি আরব সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও বয়সসীমা নেই। ১২ বছরের নিচের বয়সের ব্যক্তিরাও পবিত্র হজ পালন করতে পারবে। এ তথ্য জানিয়ে সোমবার (২০ মার্চ) বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    ধর্ম মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এবার হজ পালনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১২ বছর হতে হবে বলে যে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তা তুলে নিয়েছে সৌদি আরব।

    চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
    সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মোট এক লাখ ১২ হাজার ৬৬৪ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন। এরমধ্যে সরকারিভাবে ৯ হাজার ৭৪৯ জন ও বেসরকারিভাবে এক লাখ দুই হাজার ৯১৫ জন।

    সরকার তিন বার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২১ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।