Tag: হটস্পট

  • করোনায় গ্রাস পটিয়া/নতুন ৪৯ জনসহ আক্রান্ত ২শ ছুঁই ছুঁই, মারা গেছে বীমা কর্মকর্তা

    করোনায় গ্রাস পটিয়া/নতুন ৪৯ জনসহ আক্রান্ত ২শ ছুঁই ছুঁই, মারা গেছে বীমা কর্মকর্তা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স : চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে করোনায় হটস্পট এখন পটিয়া। গত ১২ এপ্রিল ৬ বছরের এক শিশুর আক্রান্তের পর ১৩ এপ্রিল তার মৃত্যুর খবর দিয়ে উপজেলায় করোনার সংখ্যা গোনা শুরু হয়।

    চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যায় মাঝে বেশ কিছুদিন স্বস্থিতে থাকলেও ফের আতঙ্কের উপজেলায় রুপ নিয়েছে পটিয়া।

    পৌরসভা সদর-গ্রাম সবখানেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী এ করোনা সংক্রমণ। উপজেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের হার। ছোট শিশু থেকে বয়স্করাও বাদ পড়ছেন না আক্রান্ত হওয়া থেকে।

    চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানান, মঙ্গলবার (২ জুন) চারটি ল্যাবে মোট ৬২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার মোট ২০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

    এর মধ্যে ১১৯ জন মহানগরের এবং ৮৭ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এর মধ্যেই একদিনে পটিয়া উপজেলায় নতুন করে ৪৯ জন আক্রান্তের ভয়ানক তথ্য জানায় জেলা সিভিল সার্জন। এর আগে গত ১ জুন একই উপজেলায় একদিনে সর্বাধিক ৫২ জন আক্রান্তের তথ্যও জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে।

    গত ১ জুন ও ২ জুনের প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায় এ দুদিনে আক্রান্তের সেঞ্চুরি করেছে পটিয়া উজেলা। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পটিয়ার চার লাখ বাসিন্দা।

    জানা যায়, গত দুইদিনে উপজেলার মোট ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এর মধ্যে গত ১ জুন সোমবার একদিনে ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জন এবং ২ জুন মঙ্গলবার ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

    সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন সম্প্রতি ঈদের সময় দেশের বিভিন্নস্থানে কর্মরতরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ি পটিয়াতে ঈদ করতে আসে। তাদের মাধ্যমেই করোনার বিস্তার ঘটতে পারে।

    পটিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নমুনা সংগ্রহের চাপও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনোলজিষ্ট রবিউল হোসেন। তিনি বলেন তারা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের ল্যাবগুলোতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

    দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপজেলার সকল বাসিন্দাদের আরো সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা।

    তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্রগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পটিয়া। চট্টগ্রাম শহর থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব সহজতর হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন আসা যাওয়া করে। অন্যান্য উপজেলার লোকজনেরও যাতায়াত রয়েছে এ উপজেলায়। সব মিলিয়ে রোগী বাড়ছে। একটাই উপায় আমাদের আরো অনেক সতর্ক হতে হবে, সচেতন হতে হবে।

    এনিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুইশ ছুঁতে চলেছে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা এখন ১৯০ জন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের তালিকায় ১৪৪ জন শনাক্তের তথ্য মিলেছে। উপজেলায় মৃত্যুবরণ করেছে এ পর্যন্ত ৩ জন।

    উপজেলায় নতুন একজনের মৃত্যু : গতকাল ২ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলার এক বীমা কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

    করোনায় মৃত্যু হওয়া বীমা কর্মকর্তার নাম গাজী সারোয়ার আলম টুকু (৫৫)। তিনি পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের গাজীর বাড়ির বাসিন্দা মরহুম মাহমুদুল হকের পুত্র। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন মারা যাওয়া টুকু।

    তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোফরান রানা। তিনি বলেন, চট্টগ্রামমেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তার এলাকায় পাইনিয়র ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সাবেক জিএম টুকু। মৃত্যুর আগে তার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

    জানা গেছে, বিকাল ৪টায় প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক পটিয়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়। দাফন-কাপন ও জানাজায় নিয়োজিত ছিলেন আল মানাহিল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

    এর আগে একই ওয়ার্ডে করোনায় মারা গেছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই ও ওই গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম। তিনি গত ২২ মে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

    গত ১৩ মে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম চাফড়া গ্রামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। ওইদিন ফিল্ড হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে ৫৮ বছর বয়েসী ওই ব্যক্তি মারা যান। এর আগে গত ১১ মে নমুনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।

    এর একমাস আগে ১৩ এপ্রিল রাত আড়াইটার সময় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু দিয়ে পটিয়া উপজেলায় শুরু হয় মৃত্যুর খাতা। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দশ বছরের নিচে কোন শিশুর প্রথম মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামের এ পটিয়ায়।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • করোনার হটস্পট চট্টগ্রামে একদিনে রেকর্ড আক্রান্ত/চার ল্যাবের ৬০২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ২১৫

    করোনার হটস্পট চট্টগ্রামে একদিনে রেকর্ড আক্রান্ত/চার ল্যাবের ৬০২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ২১৫

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনায় দেশে নতুন হটস্পট জেলা চট্টগ্রামে একদিনে রেকর্ড করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৭ মে বুধবার।

    চট্টগ্রামের ৩ ল্যাব ও কক্সবাজার মেডিকেল ল্যাবে মোট ৬০২ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় মোট ২১৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমন ধরা পড়েছে।

    এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৮২ জন এবং চট্টগ্রামের ৮ উপজেলার মোট ৩৩ জন নতুন করে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চমেক চিকিৎসক, চট্টগ্রাম কাষ্টমসের কর্মকর্তা কর্মচারী, সাংবাদিক, পুলিশ ও চট্টগ্রাম কারাগারের কারারক্ষীও রয়েছেন।

    ২৮ মে রাত দেড়টার সময় চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

    সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে। ২৫৯ টি নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় ১৩৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মহানগরে ১২৯ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৯ জন রয়েছেন।

    অন্যদিকে বিআইটিআইডি ল্যাবে ২০৯টি নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৩৮টি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের ৩৭ জন এবং একজন উপজেলার বাসিন্দা।

    বিআইটিআইডি সূত্রে জানা যায়, ৩৮ জনের মধ্যে একজন সাংবাদিক, চারজন পুলিশ, একজন কাউন্সিলর ও পাঁচজন চট্টগ্রাম কাষ্টমসের কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম চসিক ৩৩ নং আলকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব (৪৮) ও তার পরিবারের আরো ৪ সদস্য বয়স যথাক্রমে (৬),(১০),(১৪)ও (৩৮)। তারা সবাই পুরুষ।

    একজন সাংবাদিক বয়স (৪১), পাচঁজন চট্টগ্রাম কাস্টমস ও চারজন বিআইটিআইডি। একজন হাটহাজারী উপজেলার মহিলা বয়স (৫৭)। দক্ষিণ ফিরোজশাহ পুরুষ বয়স (৫৫), উত্তর কাট্টলীপুরুষ বয়স (২৭), কাট্টলী পুরুষ বয়স (৬০), আগ্রাবাদ ২ জন পুরুষ বয়স যথাক্রমে (৩৯) ও (৫৯)।

    ডবলমুরিং মহিলা বয়স (৫৫), রিয়াজ উদ্দীন বাজার মহিলা (৪৮), নাছিরাবাদ ২ জন মহিলা বয়স যথাক্রমে (৬৫) ও (৬৭)। ওআর নিজাম রোড ২ জন, মহিলা বয়স (৬৭) ও পুরুষ বয়স (৪০)। আকবরশাহ তিনজন, মহিলা বয়স (৫২), পুরুষ ২ জন বয়স (৩০) ও (৩৫)।

    তাছাড়া খুলশী তিনজন. দুইজন পুরুষ বয়স যথাক্রমে, (৫৪),(১৭)ও মহিলা বয়স(৪৫), ডিডি অফিস পুরুষ বয়স (৩২), হালিশহর পুলিশ লাইন চারজন পুরুষ বয়স যথাক্রমে,(৩৭), (৩০),(২৫) ও (২১) করোনা আক্রান্ত হয়।

    চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ১০০ নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামের নতুন করে আরো ৩৬ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ১৬ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার আরো ২০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

    তাছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের মোট ৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রাম উপজেলার আরো ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।

    চট্টগ্রামে আজ উপজেলা ভিত্তিক আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে চন্দনাইশে। সেখানে আজ নতুন করে ১২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। এরপরেই রয়েছে হাটহাজারী। সেখানে একদিনে আক্রান্ত সংখ্যা ৮ জন। পটিয়ায় ৪ জন, লোহাগাড়ায় ৩ জন,রাঙ্গুনীয় ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং সাতকানিয়া ও রাউজানে ১ জন করে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

    এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে ২ হাজার ২শ জনে দাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় প্রাণঘাতী করোনায় ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৯১জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা/নতুন ‘হটস্পট’ ভারত, আক্রান্তের নতুন রেকর্ড

    করোনা/নতুন ‘হটস্পট’ ভারত, আক্রান্তের নতুন রেকর্ড

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, বিশ্বে সর্বোচ্চ হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ আক্রান্তের তালিকায় বিশ্বে নতুন হটস্পট হিসেবে তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ভারত।

    প্রতিনিয়ত রেকর্ড হারে আক্রান্ত হচ্ছে ভারতে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৭৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। যা দেশটিতে একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এনিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

    একদিনে নতুন করে যুক্ত হওয়া ১৪৭ জনসহ দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩ হাজার ৮শ ৬৭ জন।

    ভারতের সবচেয়ে করোনার থাবা পড়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে ১৫শ জন। রাজ্যটিতে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৭ হাজার।

    ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন দিন ধরে দেশটিতে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজারে বেশি। দেশটিতে এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লকডাউন শিথিল করার পর দেশটিতে চলতি সপ্তাহে রেকর্ড হারে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত সোমবার দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয় ৫ হাজার ২৪২ জন, বুধবার ৫ হাজার ৬১১ জন, শুক্রবার ৬ হাজার ৮৮ জন এবং গতকাল শনিবার ৬ হাজার ৬৫৪ জন। এরপর রোববার( ২৪ মে) নতুন রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্তের খবর পাওয়া গেল।

    ভারত কী তাহলে করোনার নতুন হটস্পট, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রাম জেলার নতুন হটস্পট লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, একদিনে আক্রান্ত ১২ স্বাস্থ্যকর্মী

    চট্টগ্রাম জেলার নতুন হটস্পট লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, একদিনে আক্রান্ত ১২ স্বাস্থ্যকর্মী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কর্মরত এক নার্সের স্বামীর প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে গত ১ মে।

    এরপর মাত্র ৯ দিনে পুরো লোহাগাড়া উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। 

    আজ ১০ মে রবিবার চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার ২য় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয (সিভাসু) ল্যাবে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে এ উপজেলার আরো ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।

    এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মী আছে ১২ জন। অন্য দুজনের মধ্যে এক জনের বাড়ি উপজেলার চুনতি ও অপরজনের বাড়ি আমিরাবাদ এলাকায়।

    আজ নতুন করে ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী। এর আগেও একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরো দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

    ফলে এ নিয়ে একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চট্টগ্রামের নতুন হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, নতুন আক্রান্ত ১২জন স্বাস্থ্যকর্মীকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আজ নতুন করে এ উপজেলায় আরো ২ জন আক্রান্ত হয়।

    অন্য দুজনের মধ্যে এক জনের বাড়ি উপজেলার চুনতি ও অপরজনের বাড়ি আমিরাবাদ এলাকায়। তাদেরকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশেন নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চলছে।

    এর আগে গত ১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স অনিতা দাশের স্বামী সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক উৎপল আচর্য্যের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই স্বাস্থ্যকর্মীর আগে থেকে শ্বাস কষ্ট (হাঁপানি) ছিল। তা ছাড়া তিনি মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। গত ৭ মে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্স ও এক মেডিকেল টেকনেশিয়ান করোনা আক্রান্ত হয়।

    লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ভবনগুলোতে বসবাস করেন ওই ভবনগুলো লকডাউন করা হচ্ছে।

    তাছাড়া ওই ভবনগুলোর বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এর পাশের লোকজনকে করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স