Tag: হত্যা

  • সলিমপুরে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে সহপাঠীর হাতে কিশোর খুন

    সলিমপুরে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে সহপাঠীর হাতে কিশোর খুন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ড উপজেলার ১০ সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুরের ৩ নম্বর সমাজ এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে সহপাঠীদের হাতে খুন হয়েছে ইমন(১৫) নামে এক কিশোর। নিহত কিশোর ইমন ওই এলাকার সবুজ মিয়ার ছেলে।

    রোববার রাত ১১টার সময় এ ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, খেলার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তিন বন্ধু মিলে ব্যাট দিয়ে ইমনকে মাথায় আঘাত করে। এসময় তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ঘটনার পর পরই পুলিশ অভিযুক্ত ফারুক, সুজন ও মুন্না নামে তিনজনকে আটক করে। গ্রেফতারকৃত সুজন একই এলাকার কালা বাচ্চুর ছেলে, ফারুক বাবুল মিয়ার ছেলে ও মুন্না মৃত বোরহান উদ্দিনের ছেলে।

    সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা

    মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা

    খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ ছাত্রকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন একই বিদ্যালয়ের।

    ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া  বলেন, গুটুদিয়া গ্রামের শেখর মন্ডলের ছেলে নিরব মন্ডল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন খোঁজাখুঁজি করে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিরবের বাবার কাছে একটি নম্বর থেকে কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

    ওই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ একজন পরে আরও চারজনকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত ১টার দিকে বিদ্যালয়ের অব্যবহৃত একটি কক্ষ থেকে নিরবের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বলে জানান ওসি।

    ওসি আরও বলেন, আটকেরা জানিয়েছে ভারতীয় সিরিয়াল দেখে তারা মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা বিদ্যালয় ছুটির পর নিরবকে ধরে ওই কক্ষে আটকে রাখে। পর তাকে ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে। একটা পর্যায়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো মামলা হয়নি।

  • নগরীতে ফটিকছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নানকে হত্যা

    নগরীতে ফটিকছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নানকে হত্যা

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম নগরীতে ফটিকছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান (৫৮) কে হত্যা করা হয়েছে। নগরীর পাঁচলাইশ থানার নাজিরপাড়া নিজাম কলোনিতে গতকাল রাতে এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। এঘটনায় তার প্রথম স্ত্রী, সন্তানকে আটক করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আব্দুল মান্নান ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফটিকছড়ি শাখা মডেল কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার গ্রামের বাড়ী ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার বাঘমারা পুকুরের পূর্ব পাশ্বে গইজ্জার বলে জানা গেছে। তার দুই স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রী খাদিজা বেগম ও সন্তানরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

    পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে গতকাল গভীর রাতে স্ত্রী এবং সন্তানরা মিলে আব্দুল মান্নানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমরা তার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তিনি বলেছেন তিনি নিজেই তার স্বামীকে হত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

  • চাঁন্দগাওয়ে মা-ছেলে হত্যার ৩৭ দিন পর প্রধান আসামি গ্রেফতার

    চাঁন্দগাওয়ে মা-ছেলে হত্যার ৩৭ দিন পর প্রধান আসামি গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন চাঁন্দগাও এলাকায় চাঞ্চল্যকর মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের ৩৭ দিন পর অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে প্রধান খুনী মো. ফারুক (৩৩)।

    আজ বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টায় নিহতের কথিত ধর্মের ভাই ফারুকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আকবরশাহ থানার পাক্কারমাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ফারুক চাঁন্দগাও থানার খাজারোড কসাইপাড়ার মো. সিরাজের ছেলে।

    র‌্যাব জানায় হত্যাকান্ডের পর গ্রেফতার এড়াতে ফারুক প্রথমে খাগড়াছড়ি চলে যায়। সেখানে একটি গ্যারেজে কিছুদিন কম বেতনে চাকরি করে। এরপর সেখান থেকে ঢাকায় ছিলেন কিছুদিন। সেখানেও আয় রোজগার ভাল না দেখে আবারো চট্টগ্রামে চলে আসে।

    সবশেষে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় একটি মাজারে অবস্থান নিয়েছে তথ্য পেয়ে র‌্যাব পুলিশের যৌথ টিম চট্টগ্রাম শহরের আশেপাশে মাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। বিষয়টি টের পেয়ে কৌশলে সে আবারো ঢাকায় চলে যায়।

    তবে ৩৭ দিনের নানা পন্থা অবলম্বন করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের হাতে ধরা পড়তে হলো কুখ্যাত এই খুনী। বৃৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় র‌্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাব-৭ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল।

    তিনি বলেন, ফারুক ক্রাইম পেট্রোল সিরিয়াল দেখে হত্যার কৌশল রপ্ত করেছে এবং হত্যার পর আত্মগোপনে থেকে গ্রেফতার এড়াতেও সিরিয়ালের বিভিন্ন কৌশলগুলো কাজে লাগিয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ৩৭ দিনের মধ্যে বারবার সিম মোবাইল ও লোকেশান পরিবর্তণ করেছে খুনী।

    মশিউর রহমান জুয়েল আরো বলেন, খুনি ফারুক প্রায় সময় ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের সিনেমার কাহিনীর স্টাইলে খুন করার হুমকি দিত। বাস্তবেও সে তাই করেছে। ফিল্মি স্টাইলে প্রথমে ধর্মের বোন গুলনাহার বেগমকে খুন করে। এ ঘটনা দেখে ফেলায় পরে ৯ বছরের ছেলে রিফাতকেও রান্না ঘরে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে ফারুক।

    র‌্যাব-৭ এর চাঁন্দগাও ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী তারেক আজিজ বলেন, ফারুক ভুক্তভোগী গুলনাহার বেগমের সাথে যৌথভাবে সিঙ্গারা, সমুচা, পিঠা বিরিয়ানীসহ নাস্তার ব্যবসা করতেন।

    হত্যার কিছুদিন আগে থেকে দুজনের মধ্যে প্রায় সময় কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর জেরে রাগের মাথায় হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় ফারুক। মা ও ভাইয়ের খুনীকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুনে সংবাদ সম্মেলনে ছুটে আসেন নিহত গুলনাহার বেগমের মেয়ে ও নিহত রিফাতের বড় বোন ময়ূরী আকতার।

    উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার মা অসুস্থ ছিলেন। টুকটাক পিঠা বানিয়ে বিক্রি করতেন। অনেকটা টানাপোড়নে আমাদের সংসার চলতো। একমাত্র ছোট ভাইটা ছিলো আমাদের পরিবারে সকলের মধ্যমণি। মা ও ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে পরিবারে একটু স্বচ্ছলতার আশায় নিজে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে গার্মেন্টসে যোগ দিয়েছিলাম। সে ভাই আর মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি ফারুকের ফাঁসি চাই।

    উল্লেখ্য গত ২৪ আগস্ট চাঁন্দগাও থানার পাঠানিয় গোদা এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংভাবে হত্যা করা হয় গুলনাহার বেগম ও তার ৯ বছরে শিশু পুত্র রিফাতকে। যার নেপথ্যে ছিলেন পাতানো ভাই মো. ফারুক।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • সাতকানিয়ায় হত্যা ও নাশকতা মামলার আসামি রিফাত গ্রেফতার

    সাতকানিয়ায় হত্যা ও নাশকতা মামলার আসামি রিফাত গ্রেফতার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে হত্যা ও নাশকতা মামলার আসামি রিফাত কবিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    গতকাল ২৭ মে বুধবার রাত সোয়া ১১টার সময় উপজেলার কাঞ্চনা ৪ নম্বর ওয়ার্ড দফাদার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    পুলিশ জানায়, গ্রেফতার রিফাত কবির ওই এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে। সে শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও নাশকতামূলক মামলাসহ ডজনখানেক মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।

    গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করে সাতকানিয়া থানার কর্তব্যরত অফিসার এস আই মো. সাইফুল বলেন, হত্যা ও নাশকতায় প্রায় ডজন খানেক মামলার এ আসামির ওয়ারেন্ট থাকা স্বর্ত্তেও দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পলাতক ছিলেন।

    বুধবার রাতে সে সাতকানিয়ায় অবস্থান করছে স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি অভিযানে চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। থানার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে জানালেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • লকডাউনেও হালদা নদীতে ২৪তম ডলফিনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু/হত্যার অভিযোগ

    লকডাউনেও হালদা নদীতে ২৪তম ডলফিনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু/হত্যার অভিযোগ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনার মহামারির মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্যপ্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে অপ্রত্যাশিত (আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে) মৃত্যু হয়েছে ২৪ তম ডলফিনের।

    হালদা বিশেষজ্ঞরা ডলফিনটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন, গত ২১ মার্চ ২৩ তম ডলফিনের মৃত্যুর ১ মাস ১৮ দিন পর ২৪ তম ডলফিনের মৃত্যু হলো।

    আজ ৮ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের টাইমলাইনে মৃত ডলফিনের কয়েকটি ছবিসহ একটি পোস্ট করে হত্যার অভিযোগ করেন হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া।

    তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন হালদা নদীতে আরেকটি ডলফিনকে নৃশংসভাবে হত্যা হয়েছে। রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের জিয়া বাজার এলাকার ছায়ারচর নামক স্থানে আজ ৮ মে সকালের দিকে ডলফিনটিকে হত্যা করা হয়।

    ৫ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং ৫২ কেজি ওজনের মৃত ডলফিনটিকে মাথা বরাবর আড়াআড়িভাবে এবং ঘাড় থেকে লেজ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য বরাবর কাটা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের এই চিহ্ন বিগত সময়ের মৃত ডলফিনগুলোর চেয়ে একটি নতুন ইংগিত বহন করে।

    কোন জেলের অবৈধ জালে আটকা পরলে ডলফিনটিকে ডাঙ্গায় তোলা হয় এবং কেটে চর্বি নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনাটি হালদা নদীর ডলফিন সংরক্ষণের জন্য একটি অশনি সংকেত বলে মনে করছেন হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডলফিনের চর্বি বা তৈল বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক এমন কিছু কুসংস্কার গ্রামের মধ্যে আছে। যার ফলে অবৈধ জালে আটকা পড়া ডলফিনটিকে নদী থেকে ডাঙ্গায় তুলে তার থেকে চর্বিগুলো ব্যবহারের জন্য ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে দুস্কৃতিকারীরা।

    সকালের দিকে সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আইডিএফ-এর কর্মী মিমু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক রওশনগীর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করে গড়দুয়ারা এলাকায় আইডিএফ অফিসে নিয়ে যায়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেয়া হয়।

    চট্টগ্রাম রিপোটার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নদী গবেষক সাংবাদিক আলীউর রহমান বিপন্ন প্রাণী ডলফিন হত্যা প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনের চোখের সামনেই যেহেতু এসব চলছে, সেহেতু দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।

    এই গুরুতর অপরাধ বন্ধে হালদায় নিষিদ্ধ জাল ও নৌযান চলাচলের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর অভিযান নিয়মিত চালানো দরকার।

    প্রাণিবৈচিত্র্যের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ডলফিনের এই মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ এবং সামগ্রিক পরিবেশ নস্যাতে ভূমিকা রাখা ফৌজদারি অপরাধের শামিল বললে অত্যুক্তি হবে না।

    জানা যায়, গত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ মে পর্যন্ত গত আড়াই বছরে হালদা নদীতে ২৪টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি মৃত ডলফিনই হালদা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কোনোটিকে এভাবে কেটে হত্যা করা হয়নি। ডলফিন নদী থেকে ধরে কেটে হত্যা করা এই প্রথম।

    উল্লেখ্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে ডলফিন আছে মাত্র ১ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে হালদাতে প্রায় ১৬৬ টি ডলফিন আছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) হালদা নদীর ডলফিনের এই প্রজাতিকে অতি বিপন্ন (লাল তালিকাভুক্ত) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলো বিশ্বের অতি বিপন্ন প্রাণী।

    ডলফিন যে নদীতে ডলফিন থাকে বোঝা যায় যে সে নদীটা জীবন্ত। তাই ডলফিন চলে গেলে মাছেরও ক্ষতি হবে বলে মনে করেন গবেষক ও সংশ্লষ্টরা। বিশ্বের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী বাংলাদেশ হারাবে যদি সত্যিই ডলফিন চলে যায় বা আর না থাকে।

    মা মাছ ও লাল তালিকাভুক্ত অতি বিপন্ন ডলফিন রক্ষায় সরকার ২০১০ সালে চট্টগ্রামের নাজিরহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত হালদা নদীর প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাকে জলজ প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করে।

    তবে রাউজান উপজেলার ছত্তার খালের মুখ থেকে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট পর্যন্ত নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ডলফিনের মূল বিচরণক্ষেত্র।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ফটিকছড়িতে হোসেন হত্যার ৬ আসামী গ্রেফতার : জায়গা-জমির বিরোধে হত্যা

    ফটিকছড়িতে হোসেন হত্যার ৬ আসামী গ্রেফতার : জায়গা-জমির বিরোধে হত্যা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হোসেন (৩৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন উত্তর পাইন্দং আনকির বাড়ী মৃত মীর আহমদের ছেলে মোঃ ফারুখ (৩৭), মোঃ ইউসুফ (৫৪), মালেকশাহ মসজিদ সংলগ্ন ইলিয়াছের স্ত্রী মিনু আকতার (২৮), মৃত মোফাজ্জল আহমদের ছেলে মোর্শেদ আলম (২৮), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ রাশেল (২৮) ও উত্তর হাইদছকিয়া মোঃ সেকান্দরের ছেলে এমরান হোসেন (২৮)।

    ৬ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ফটিকছড়ি থানায় সংবাদ সম্মেলন করে তথ্যটি জানান চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার হাটহাজারী সার্কেল আব্দুল্লাহ আল মাসুম। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের সাথে জায়গা-জমির বিরোধের জেরে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৭ জানুয়ারী রাত পৌন ১০ টায় ভিকটিম মোঃ হোসেনকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার বাবা ছালে আহমদ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং-৫, তারিখ ৫/০২/২০২০ ইংরেজি।

    পুলিশ জানায়, ২৭ জানুয়ারী (সোমবার) রাত ১০ টার দিকে নিহত হোসেন তার কর্মস্থল বিবিরহাট বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে পাইন্দং খাল এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসামীরা তার পথরোধ করে। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

    মৃত্যু নিশ্চিত হলে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে তার মুখে মদ ঢেলে দিয়ে লাশের পাশে দু’টি মদের বোতল রেখে দেয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

    এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছালে আহমদ বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ঘোষ ৫ ফেব্রুয়ারী মো. ফারুখ ও মো. ইউছুপকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

    পুলিশ আরো জানায়, মূলত নিহত হোসেনকে পারিবারিক জায়গা-জমির বিরোধের জের ধরে তার চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা মিলে হত্যা করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আকতার।

    উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারী ফটিকছড়ির পাইন্দং ইউনিয়নের পাইন্দং খালের পাশ থেকে দোকান কর্মচারী হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

  • বাবা-মাকে গলাকেটে হত্যা করেছে ছেলে

    বাবা-মাকে গলাকেটে হত্যা করেছে ছেলে

    যশোরের চৌগাছায় বাবা মহির উদ্দীন (৬৫) ও মা আয়না বেগমকে (৬০) গলাকেটে হত্যা করেছে ছেলে মিলন (৪২)।

    বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, ওই বাবা-মাকে হত্যা করে পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা ঘাতক ছেলেকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। চৌগাছা থানার এস আই বিকাশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।

    চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ছেলে মিলন নিজ বাবা-মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক মিলনকে আটক করা হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, মিলন মাদকাসক্ত নয় পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন জানান,হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি দুজনের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। তাদের ছেলে মিলনই হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার পথে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়। মিলন আগে থেকেই মাদকাসক্ত। প্রায়ই নেশার টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধর করত। তবে তাদের ছোটভাই লেখাপড়ার জন্য অন্যত্র থাকে।

    হত্যাকারী মিলন বছর পাঁচেক আগে নিজ গ্রামের খাইরুল নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। ওই ঘটনার মামলার আসামি হিসেবে মিলন জেলও খেটেছে।

     

  • চট্টগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

    চট্টগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ব্যাংক কলোনি এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রোকসানা আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ। রোববার রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

    পুলিশ নিহতের স্বজনদের বরাতে জানায়, বিগত ১২ বছর আগে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের সাথে রোকসানা সংসার জীবনে আবদ্ধ হলেও সম্প্রতি বছরখানেক আগে দেলোয়ার আরেকটি বিয়ে করে। এরপর থেকে রোকসানা আর দেলোয়ারের মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।

    এ বিষয়ে স্বামী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে রোকসানা। তবে সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের পর তারা দুজনে আবার সংসার শুরু করে।

    জানা যায়, রোকসানা ও দেলোয়ার নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার ব্যাংক কলোনীতে একটি ভাড়া বাসায় থেকে সিইপিজেডে পৃথক দুটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত দুই মাস আগে তারা দুজনই চাকরি ছেড়ে বরিশালের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। কয়েকদিন আগে কারখানা থেকে বকেয়া টাকা নেওয়ার উদ্দ্যেশে দুজনই চট্টগ্রামে আসেন এবং ওই এলাকার দেলোয়ারের ভাইয়ার বাসায় উঠেন।

    ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহম্মদ নুরুল হুদা জানান, রবিবার দেলোয়ারের ভাই তার গ্রামের বাড়ি এবং পোশাক শ্রমিক ভাবি কর্মস্থলে গেলে দিনের কোন এক সময়ে রোকসানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায় তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন।

    সন্ধ্যার পর রোকসানার ভাবি কর্মস্থল থেকে ফিরে তার ননদকে খাটের ওপর শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও রোকসানার ঘুম না ভাঙ্গলে প্রতিবেশিদের সহযোগীতা নিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ইডিজেড থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে রোকসানার লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন।

    ওসি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রথমিকভাবে ধারণা করছি। তার গলায় কালো দাগ দেখে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে রোকসানাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার স্বামী দেলোয়ার পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের তীর তার দিকেই বর্তায়।

    তাছাড়া এ ঘটনায় নিহত রোকসানার বোন লাকি আক্তার বাদি হয়ে স্বামী দেলোয়ারকে আসামি করে ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। দেলোয়ারকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি নুরুল হুদা।

  • চট্টগ্রামে স্ক্রু ড্রাইভার পেটে ঢুকিয়ে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১

    চট্টগ্রামে স্ক্রু ড্রাইভার পেটে ঢুকিয়ে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১

    চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর আমবাগান এলাকায় পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে খুলশী থানা পুলিশ।

    আজ ৪ নভেম্বর সোমবার সকালে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাজধানী ঢাকার মালিবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আরো খবর : পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে হত্যা

    গ্রেফতার যুবকের নাম মো. সোহেল (২২)। পেশায় অটোরিকশার মিস্ত্রি সোহেলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। বর্তমানে সে নগরীর আমবাগান এলাকায় বসবাস করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, গতকাল রবিবার পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন সোহেল। স্থানীয় কাউন্সিলরও সিসি টিভি ফুটেজ দেখে প্রধান সন্দেভাজন খুনী হিসেবে সোহেলকে শনাক্ত করে।

    ফলে নির্দ্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সোহেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রবিবার রাতেই খুলশী থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকায় চলে যায়। সকালে ঢাকার মালিবাগের রাস্তা থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। তাকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে বললেন ওসি প্রনব চৌধুরী।

    এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের খুলশী থানার আমবাগান ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নাহিদ (১৯) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। নিহত নাহিদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রিল ওয়েলডিংয়ের কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেট। থাকতেন আমবাগান এলাকায়। তার বাবা আবদুল্লাহ কাউন্সিলর অফিসের পাশে জাবেদ গ্যারেজে কাজ করেন।

    হত্যার ঘটনার পর স্থানীয় কাউন্সিলর হিরণ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজে দেখেছি, নাহিদসহ কয়েকজন তরুণ-যুবক সোহেলকে মারতে গিয়েছিল। এসময় সোহেলের হাতে স্ক্রু ড্রাইভার ছিল। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নাহিদের পেটে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয় সোহেল। রক্তাক্ত অবস্থায় নাহিদকে কয়েকজন ধরাধরি করে নিয়ে যেতে দেখেছি ফুটেজে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছে গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদকে স্থানীয় মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এলাকার বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে মো. সোহেল (২২) পূর্ব বিরোধের জেরে নাহিদকে খুন করে পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর থেকে সোহেলকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নামে।

  • পটিয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

    পটিয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

    চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কেলিশহর গুচ্চগ্রাম এলাকায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।

    বুধবার ভোরে স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় খুনী স্বামী সামশুল আলমকে (৪০) এলাকাবাসীরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

    নিহত স্ত্রীর নাম হাজেরা বেগম (৪৫)। তিনি বাঁশখালী নাপুরা ৫ নং ওয়ার্ডের শেখের খীল এলাকার মৃত ফজল আহম্মদরে মেয়ে। স্বামী সামশুল আলম একই এলাকার জাফর আহম্মদের পুত্র।

    স্থানীয়রা জানান, গত ১২ বৎসর আগে হাজেরা বেগম ১ম সংসারের দুই সন্তান রেখে সামশুল আলমের সাথে পালিয়ে ২য় বিয়ে করে বাশঁখালী থেকে পটিয়া গুচ্চগ্রাম চলে আসে। এরপর থেকে দুজনে সুন্দর করে সংসার করে আসছে।

    তবে তাদের ১২ বৎসরে সংসারে কোন সন্তান না থাকায় দুজনের মধ্যে কিছুটা মনমালিন্য ছিলো। কিছুদিন ধরে সামশুল আলম ২য় বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করলে স্ত্রী হাজেরা তাতে বাধা দেন। ফলে হাজেরাকে নির্যাতন করে আসছে সামশু।

    তাতেও স্ত্রী হাজেরা রাজী না হওয়ায়  বুধবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাজেরাকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী সামশুকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

    পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে নিহত হাজেরার লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছেন।

  • রাজস্থলীতে অপহরণের পর বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

    রাজস্থলীতে অপহরণের পর বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

    রাঙামাটির রাজস্থলীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি দ্বীপময় তালুকদারকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

    বুধবার ভোর রাতে উপজেলার ২নং গাইন্দা ইউনিয়নের তাইতং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

    এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জিরো মাইল এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

    তিনি রাজস্থলী উপজেলার ১নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়নের হেডম্যান (গ্রাম প্রধান)।

    রাজস্থলী থানার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করছেন।