২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের রাউজানে সাবেক পুলিশ পরিদর্শক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নুরুল আজম চৌধুরীকে গলা কেটে হত্যার ৩১ ঘন্টা পর হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার সময় উপজেলার পথেরহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী শেখ সোহরাব হোসেন সাদিচ (২৬) কে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরী একটি ধারালো ছুরি। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডের সময় সোহরাবের পরিহিত রক্তমাখা জামা কাপড়ও উদ্ধার করা হয়েছে জানালেন র্যাব।
র্যাবের সহকারী পুলিম সুপার মো. মাহমুদুল হাসান মামুন হত্যাকারী গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চোড়া উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার সময় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আজমকে গলা কেটে হত্যা করে অজ্ঞাত আসামী। চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষে র্যাব-৭ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। আরো খবর : রাউজানে মুক্তিযোদ্ধার গলা কাটা লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডটি তদন্ত করতে গিয়ে প্রথমে হত্যাকারীর অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাবের টিম। গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যমতে কাপ্তাই চট্টগ্রাম মহাসড়কের উরকিরচর বইজাখালী গেইটের দক্ষিন পার্শ্বে জনৈক কর্মকার এর দোকান ঘরের ভিতরে চুলার পাশে রাখা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরী ধারালো ছুরি (যা কাঠের বাটসহ লম্বায় ৩৩.২ ইঞ্চি) উদ্ধার করে।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহরাব র্যাবকে জানায়, নিহত মুক্তিযোদ্ধা তাকে নিয়ে ঠাট্টা ও বিদ্রুপ করায় ৫ মাস ধরে পরিকল্পনা করে শনিবার সুযোগ বুঝে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
সে জানায় উদ্ধারকৃত ছুরিটি এক হাজার টাকার বিনিময়ে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জনৈক কর্মকার এর দোকান থেকে কেনা হয়। দুপুর ১২টার সময় সে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আজম চৌধুরী (৭২)‘কে আটকে শরীর থেকে মাথা বিছিন্ন করে তাকে হত্যার পর পালিয়ে যায় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি পানি দিয়ে ধুয়ে একই দিন ওই কামারের দোকানে ফিরিয়ে দেন।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, রাউজান উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামের শেখ মোহাম্মাদ বাড়িতে থাকতেন গ্রেফতার সোহরাব। ওই বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় পরিহিত সোহরাবের রক্তমাখা পোষাকগুলো উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ হত্যাকান্ডে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার জন্য নিয়মিত তদন্তের পাশাপাশি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখবে।