Tag: হত্যা মামলা

  • হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এখনো ছাত্রলীগে বহাল!

    হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এখনো ছাত্রলীগে বহাল!

    নিজস্ব প্রতিনিধি : হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হয়েও কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদে ৭ মাস যাবত এখনো বহাল তাসকিন শাকিব। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    ছাত্রলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে আরিফ হোসেন দোভাষ (২২) হত্যায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে জেলে পাঠায় আদালত। মামলাটি চলমান রয়েছে।

    বিগত ১২ মার্চ অনুমোদিত কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত কমিটিতে হত্যা মামলার আসামি তাসকিন শাকিব কে সদস্য নির্বাচিত করা হয়।

    কর্ণফুলীর দোভাষ হত্যা মামলায় প্রথমে অভিযুক্ত পরে চার্জশিটভূক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে উপজেলা ছাত্রলীগে এখনো বহাল, এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে।

    তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনেকেই বলেন, সরকার যেখানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, সেখানে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদে একজন হত্যা মামলার আসামি থাকাটা খুবই দুঃখজনক।

    নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলা ছাত্রলীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, বর্তমানে ছাত্রলীগে শুদ্ধি অভিযান চলছে। কোন ছাত্রলীগকর্মী বা নেতা অনুপ্রবেশকারী, হত্যা মামলা ও মাদকের সঙ্গে জড়িত, এমন প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু তাসকিন শাকিবের বেলায় ৭ মাসেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি আমি জানি না।’

    কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদ সাজিদ বলেন, এবিষয়ে জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নিবেন। কর্ণফুলী উপজেলার আহ্বায়ক কমিটি যেহেতু জেলা নেতাদের স্বাক্ষরে অনুমোদিত।’

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন কোন মন্তব্য করতে রাজি না হলেও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের জানান, ঘটনাটি প্রথম থেকেই খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। তাতে মনে হয়েছে তাসকিন সাকিব ষড়যন্ত্রের শিকার। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল সকাল ১০টা কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা গ্রামের খুদ্যারটেক বানুর বাপের বাড়িতে চুরির ঘটনা নিয়ে বসা শালিসি বৈঠকে আরিফ হোসেন দোভাষ (২২) গুরুতর আহত হয় এবং ঘটনার দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। এতে ভিকটিমের বাবা আহম্মেদ হোসেন বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় ৭জনকে আসামি করে হত্যা (মামলা নং-১০) দায়ের করেন।

    মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের খুদ্যারটেক বানুর বাপের বাড়ির শেখ শেখ আহমদ (৫০) ও তার দুই ছেলে মামলার প্রধান আসামি কায়সার (২০), দিদার (২৪), মো. পারভেজ (২২) ও তাসকিন সাকিব (২০) ।

    এছাড়াও মামলায় নুরুল আলম প্রকাশ এন.এ রাজু (২৬) ও পাকিজা খাতুন (৪২) পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ‘টাকা নিয়েও ক্রসফায়ার’, প্রদীপের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা

    ‘টাকা নিয়েও ক্রসফায়ার’, প্রদীপের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা

    অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রদীপ মোট তিনটি হত্যা মামলায় আসামি হলেন।

    দাবিমতো অর্ধেক টাকা দেওয়ার পরও এক প্রবাসীকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার অভিযোগ এনে তাঁর ভাই আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালত-৩-এ মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলায় মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক চন্দ্রকে প্রধান আসামি করে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ১৮ জন পুলিশ সদস্যের বাইরে বাকি পাঁচ আসামি হচ্ছেন চৌকিদার ও স্থানীয় লোকজন।

    মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইনসাফুর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ‘নিহত প্রবাসী মাহমুদুর রহমানের ভাই নুরুল হোসাইন মামলাটি করেন। শুনানি শেষে ওই ঘটনায় অন্য কোনো হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কি না, তা আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

    মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত বছরের ২৮ মার্চ টেকনাফ উপজেলার মৌলভীপাড়া আলী আকবর পাড়ার মিয়া হোসেনের ছেলে প্রবাসী মাহমুদুর রহমানকে থানার এসআই দীপক চন্দ্রের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পরে এসআই দীপক ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ক্রসফায়ার না দেওয়ার শর্তে প্রবাসীর পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।

    পরিবার মাহমুদুর রহমানকে বাঁচাতে নিরূপায় হয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এতে আরো বলা হয়, কিন্তু আরো পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। দাবিকৃত পাঁচ লাখ টাকা না দেওয়ায় তিন দিন পর ৩১ মার্চ রাতে ক্রসফায়ারের নামে প্রবাসী মাহমুদুর রহমানকে হত্যা করা হয়।

    এর আগে গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। এটিই ছিল প্রদীপের বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা।

    এরপর গত ১৮ আগস্ট চাহিদামতো ঘুষ দেওয়ার পরও এক ব্যক্তিকে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগ এনে প্রদীপ কুমার দাসসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়। এই মামলাটি করেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার গুল চেহের। তিনি অভিযোগ করেছেন, পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার পরও তাঁর ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয়। এটি ছিল প্রদীপের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় হত্যা মামলা। এই মামলায়ও প্রদীপ কুমার দাশ দুই নম্বর আসামি। মামলার ২৮ আসামির ২৭ জনই পুলিশের সদস্য।

    এর আগে গত ১২ আগস্ট মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে ২০১৭ সালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার আসামিদের মধ্যে প্রদীপ ছাড়াও আরো পাঁচজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। ঘটনার সময় প্রদীপ কুমার দাশ মহেশখালী থানার ওসি ছিলেন।

    পরের দিন অর্থাৎ ১৩ আগস্ট মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। তবে ওই ঘটনায় তিন বছর আগে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লঞ্চডুবির ঘটনায় ‘ময়ূরের’ মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

    লঞ্চডুবির ঘটনায় ‘ময়ূরের’ মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

    রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে গতকালের লঞ্চডুবির ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক ও মাস্টারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যা মামলা হয়েছে।

    নৌপুলিশ সদরঘাট থানার এসআই মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম মামলাটি করেন।

    মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করা হয় বলে ওসি মোহাম্মদ শাহজামান নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, মামলার এজাহারে লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হামিদ ফোয়াদ, মাস্টার, সুকানিসহ সাতজনের অবহেলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

    গতকাল সোমবার সকালে দুই চালকের অসতর্কতায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবে প্রাণ হারান ৩২ জন নিরীহ যাত্রী।

    সদরঘাটের খুব কাছাকাছি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ৯টা ১২ মিনিটে ‘এমভি ময়ূর-২’ লঞ্চের ধাক্কায় মুহূর্তে ডুবে যায় যাত্রীবাহী ছোট লঞ্চ ‘এমএল মর্নিং বার্ড’।

    এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে এখনও পর্যন্ত নতুন করে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ডোমারে হত্যা মামলার ২ আসামী গ্রেফতার

    ডোমারে হত্যা মামলার ২ আসামী গ্রেফতার

    নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় যুবক জাকিরুল হত্যা মামলায় দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার(২ জুন) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    এর আগে সোমবার গভীর রাতে তাদের নিজ নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতাকৃতরা হলেন-ডোমার সদর ইউনিয়নের ছোটরাউতা আন্ধারুর মোড় এলাকার আন্ধারু কর্মকারের ছেলে কমল কর্মকার (৩০) ও ছোটরাউতা ফকির পাড়ার ওবায়দুলের ছেলে রাশেদ (২০) ।

    ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নীলফামারী পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান (পিপিএম বিপিএম) স্যারের নির্দেশে জাকিরুল হত্যা মামলায় সন্দেহমূলক ভাবে অটোচালক রাশেদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে সে হত্যার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন তথ্য দেয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে কমলের বাড়ি হতে কমলকেও গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। জাকিরুলকে হত্যা করে ডোবায় লাশ ফেলার কাজে ব্যবহৃত একটি অটো-রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য:- গত ১০ মে উপজেলার পূর্ব বোড়াগাড়ী এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত ডোবা হতে জাকিরুল ইসলাম বাচ্চাবাউ (২৫) নামের অর্ধ গলিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের এক সপ্তাহ আগে হতে জাকিরুল নিখোঁজ ছিল। এতে জাকিরুলের বাবা আব্দুল গনি লাশ উদ্ধারের দিনেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

     

  • ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত ইমাম হোসেন হিরাকে হত্যার দায়ে জাকির হোসেন ও খালেক নামে দুই ভাইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

    রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিএম তারিকুল ইসলাম জনাকীর্ন আদালতে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি এ্যাড.আব্দুল হামিদ। সেই সাথে মামলার অপর আসামী খতেজা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
    যাবজ্জীবন প্রাপ্ত দুই ভাই জাকির হোসেন ও খালেক দক্ষিন সালন্দর গ্রামের
    নজরুল ইসলামের ছেলে।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধায় শহরের শান্তিনগর মহল্লার নুরুল ইসলামের ছেলে ইমাম হোসেন হীরা তার ২ বন্ধু সহ আলাপ করছিল। ওইসময় পাশ্ববর্তী দক্ষিন সালন্দর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন ও তার ছোটভাই খালেক হিরার উপর হামলা চালায় এবং কাপড় কাটা কাচি দিয়ে হিরার পেটে ও বুকে উপর্যপরি কোপ দেয়। এসময় গুরুতর অবস্থায় হীরাকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে হীরা মারা যায়।এ ঘটনায় নিহতের ভাই শাহজাহান বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

    ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে মামলার আসামীদের
    গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
    অপরদিকে আসামীপক্ষে এ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু জানান, আদালত সাক্ষি প্রমানের ভিত্তিতে তার বিবেচনা প্রসুত ভাবে যেভাবে আইন সংঙ্গত মনে
    করেছে সেভাবে রায় প্রদান করেছে। সে বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তবে আমাদের উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে। আমরা সেখানে আপিল করবো।

  • যশোরে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহত

    যশোরে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহত

    যশোরে আনসার সদস্য হোসেন আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি জুয়েল (২৯) ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) ভোরে যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত জুয়েল যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের আমজাদ মোল্লার ছেলে।

    যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৩০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে হাশিমপুর বাজারে প্রকাশ্যে আনসার সদস্য হোসেন আলীকে গুলি করে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। ওই ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর সাতজনকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি হাশিমপুর এলাকার জুয়েল ও মুন্নাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিল ডিবি পুলিশ।

    এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে কক্সবাজার থেকে আটক করা হয় জুয়েলকে। তার দেয়া তথ্য মতে অপর আসামি মুন্নাকে ধরতে বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে আসামি জুয়েলকে নিয়ে হাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এ সময় মুন্না ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আসামি জুয়েল গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান ও ১২টি গুলি উদ্ধার করেছে

  • চাঞ্চল্যকর ফখরুল হত্যার একবছর : মুল ২ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

    চাঞ্চল্যকর ফখরুল হত্যার একবছর : মুল ২ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

    রাউজান পৌরসভার গহিরায় প্রবাসী ফখরুল ইসলামকে শ্বশুর বাড়িতে জবাই করার আলোচিত-চাঞ্চল্যকর ঘটনার একবছর পূর্ণ হয়েছে গত ১৮ অক্টোবর। কিন্তু এই এক বছরেও এ ঘটনার মূল দুই আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই হত্যা মামলার আসামি ফখরুল ইসলামের স্ত্রী ও শাশুড়ি ধরা পড়ে দীর্ঘদিন জেল খেটে সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন। তবে এ ঘটনার দুই আসামি ধরা না পড়ায় এ মামলার মূল রহস্য এখনো রয়ে গেছে অজানা। নিহতের পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, অধরা আসামিরা ধরা পড়লেই ফখরুল হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন হতো।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় গহিরা চৌমুহনীর উত্তর পাশে জনতা ব্যাংকের পেছনের ৪ তলা বিশিষ্ট আমেরিকা প্রবাসী আবু তাহেরের বাসার ৩য় তলার ভাড়াটিয়া ঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখলে স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত আগুন নেভাতে যান।

    স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে গিয়ে বাসাটির সিঁড়িসহ ফ্লোরে রক্তের দাগ দেখে বাসার ছাদে উঠে দেখেন, গলাকাটা অবস্থায় পড়ে ছিল উম্মে হাবিবা মায়ার স্বামী ফখরুল ইসলামের রক্তাক্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গহিরা জে.কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসকের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ২০ অক্টোবর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফখরুল। ফখরুল হত্যার ঘটনায় পুলিশ তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া ও শাশুড়ি রাশেদা আকতারকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ফখরুল ইসলামের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফখরুলের স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া, মা রাশেদা আকতার, খালাতো ভাই খোরশেদ (৩১), বাসার দারোয়ান মো. হালিম (৩৬)এবং আরো ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

    মামলার বাদি নুরুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘ভাইয়ের শাশুড়ি ও স্ত্রী গত সেপ্টেম্বর মাসে জেল থেকে জামিন নিলেও তাদের কাছ থেকে পুলিশ কোন ক্লু বের করতে পারেনি। বাকি দুই আসামি ধরা না পড়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। ভাইয়ের হত্যাকারীদের ব্যাপারে পুলিশ কোন তথ্য দিতে পারছে না। অধরা দুই আসামি ধরা পড়লে মূল রহস্য উদঘাটন হতো’।

    তিনি আরো বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে মায়ার ছাড়াছাড়ি হয় আগেই। কাবিননামার জন্য তারা ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলাও করে। পরে পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খানের মধ্যেস্থতায় কাবিনের টাকা নির্ধারণ করা হয় এবং আমার ভাই ফখরুলের পাসপোর্ট শাশুড়ির জিন্মায় ছিল।

    সেদিন পাসপোর্ট নিতে এবং কোর্টের কাবিননামার মামলা তুলে নেয়ার কথা বলে ভাইয়ের শাশুড়ি তাকে বাসায় ডেকে নেয় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে। এরপর ফখরুলের স্ত্রী মায়া, তার মা রাশেদা বেগম এবং বাসার দারোয়ানসহ তাদের লোকজন মিলে আমার ভাইকে জবাই করে হত্যা করে।

    নিহতের ছোট ভাই রেজাউল করিম ও নজরুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন ‘আমরা এখনো ভাই হত্যার ন্যায় বিচার পাইনি। আর কোন বাবা, মায়ের বুক যাতে খালি না হয়, সেজন্য আমাদের ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার চাই। এজন্য প্রশাসন, এমপি ও সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করছি’।

    এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই সাইমুল ইসলাম ইভান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘ফখরুলকে কারা হত্যা করেছে, সে বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তারপরও এ ঘটনার চার্জশিট দাখিল করবো শীঘ্রই’।

    উল্লেখ্য, নিহত ফখরুল ইসলাম রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোবারকখীল এলাকার তাজুল ইসলামের পুত্র। তিনি বিয়ে করে ছিলেন গহিরা দলইনগর এলাকার প্রবাসী আবু বক্কর ওরফে বাবুলের মেয়ে উম্মে হাবিবা প্রকাশ মায়াকে।