Tag: হরিণের চামড়া

  • চট্টগ্রামে ১৪ কেজি হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ ১ ব্যক্তি আটক

    চট্টগ্রামে ১৪ কেজি হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ ১ ব্যক্তি আটক

    চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ১৪ কেজি হাতির দাঁতসহ আব্দুল মালেক (৬৮) নামে একব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তার কাছ থেকে একটি হরিণের চামড়াও জব্দ করা হয়। আটক আব্দুল মালেক মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।

    শনিবার (২৭ মে) র‌্যাব জানায়, আব্দুল মালেক ১৯৭৬ সালে বাবার সঙ্গে মৌলভীবাজার থেকে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি এলাকায় হাতি দেখভাল করার জন্য আসেন। তার বাবার কয়েকটি হাতি ছিল। ১৯৯৮ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর হাতির ব্যবসা দেখভাল করার জন্য ছয় বছর যাবত বাঘাইছড়ি থানার মারিশ্যা এলাকায় ছিলেন। তিনি একজন লাইসেন্সধারী হাতির পালক। ২০১০ সালের পর তিনি পুনরায় লাইসেন্স নবায়ন করেন। তবে স্থায়ীভাবে তখন বাঘাইছড়ি থাকতেন না। দু’চারদিন থেকে আবার মৌলভীবাজার চলে যেতেন। তার বৈধভাবে মোট ছোট-বড় ১২টি হাতি রয়েছে।

    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে র‌্যাব আরও জানায়, তার আরও ২৫টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন হাতি রয়েছে। এগুলো দিয়ে তিনি বিয়ে বাড়িতে ভাড়াসহ পাহাড়ি এলাকায় গাছ টানার কাজ করেন। পাহাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর চামড়া, হাতির দাঁত সংগ্রহ করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করে আসছিলেন।

    চট্টগ্রাম র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, গোপনে হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া মজুতের খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ১৪ কেজি হাতির দাঁত ও একটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। অভিযানে উদ্ধার হওয়া মালামালের বাজারমূল্য এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা। উদ্ধার মালামাল এবং আটক ব্যক্তিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঁচলাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • হরিণের চামড়ার উপর সৌম্যের আশীর্বাদ, পড়বেন শাস্তির মুখে!

    হরিণের চামড়ার উপর সৌম্যের আশীর্বাদ, পড়বেন শাস্তির মুখে!

    বিয়ের আশীর্বাদে হরিণের চামড়ার আসন বানিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। এবার পড়তে পারেন আইনি ঝামেলায়। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট জানিয়েছে, অপরাধ প্রমাণিত হলে সৌম্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আগামী বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কুমারী প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে সাতপাকের বন্ধনে জড়াবেন সৌম্য। তার আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি তার আশীর্বাদ সম্পন্ন হয়। আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের একটি হরিণের চামড়ার ওপর বসে এবং দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কয়েকটি ছবি প্রকাশ হয়।

    এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে সাতক্ষীরায় বেশ কয়েকজন সংবাদমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন, তারা সৌম্য সরকারের বাড়ির দেয়ালে হরিণের একটি মাথাও ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছেন।

    বিষয়গুলো সামনে আসার পর সৌম্য সরকারকে নিয়ে ফেসবুকে রিরূপ মন্তব্য করেন তার ভক্তরা। কেউ কেউ এটাকে বাড়াবাড়ি বলেও উল্লেখ করছেন।

    কেননা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী, লাইসেন্স ও পারমিট প্রাপ্ত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারো কাছে কোনো বন্যপ্রাণী, বন্যপ্রাণীর অংশ পাওয়া যায় অথবা তা থেকে উৎপন্ন দ্রব্য ক্রয়, বিক্রয়, আমদানি-রপ্তানি করেন আর যদি অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে সর্বোচ্চ এক বছরের সাজা অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে তিন বছরের সাজা অথবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা।

    সে হিসেবে অনেকে সৌম্য সরকারের অপরাধ যদি সত্যি হয়; তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত বলে অনেক মন্তব্য করেছেন। তারা উদাহরণ হিসেবে ভারতে সালমান খান, আর্জেন্টিনায় ম্যারাডোনাকে সামনে নিয়ে আসছেন। তারা এ ধরনের অপরাধে জেল খেটেছেন।

    এ বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ওই চামড়া পূর্বপুরুষদের হাত বদল হয়ে তাদের কাছে এসেছে। বিয়ের আশীর্বাদে এভাবে চামড়ার ব্যবহার তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। এই চামড়াটাও অনেক পুরনো। তারপরেও জাতীয় পর্যায়ের একজন খেলোয়াড় হিসেবে এটা করা তাদের উচিৎ হয়নি।

    তবে হরিণের চামড়া ইস্যুতে শক্ত অবস্থানে বন বিভাগ। তারা এ বিষয়ে কোনরকম ছাড় দিতে নারাজ।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এস এম জহির উদ্দিন আকন জানান, তথ্য পেয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বন বিভাগ। প্রাথমিক কিছু তথ্যও পাওয়া গেছে। দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।