Tag: হলি আর্টিজান

  • হোলি আর্টিসান মামলা: ৭ জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড

    হোলি আর্টিসান মামলা: ৭ জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড

    রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলায় ৭ জঙ্গি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    সোমবার (৩০ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

    আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত জঙ্গি হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ। তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।

    ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করেন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির (আত্মঘাতী) সদস্যরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি।

    এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান একজনকে খালাস দিয়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

    রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা মামলায় সাতজনের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) এবং আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মামলাটির শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর গত ৩ মে থেকে শুনানি শুরু হয়। পরে গত ১১ অক্টোবর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন রাখা হয়েছিল।

    দেশের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস এ হামলায় ৯ ইতালীয়, ৭ জাপানি, এক ভারতীয়, এক বাংলাদেশি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশিসহ মোট ২০ জনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ হারান বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম।

    হামলার পর জিম্মি অবস্থার অবসানে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি। তারা হলেন- মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

  • হলি আর্টিজানে হামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড

    হলি আর্টিজানে হামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড

    রাজধানীর গুলাশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

    বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

    এছাড়া মামলার আরেক আসামি মিজানুর রহামান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

    এর আগে, সকাল সোয়া ১০টায় প্রিজনভ্যানে কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আনা হয়।

    এদিকে হলি আর্টিজান মামলার রায়কে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণসহ সারাদেশে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের পাশে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালান। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। এরপর হলি আর্টিজান বেকারি থেকে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হামলার ৩ দিন পর ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।

    এর দুই বছর পর তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই জীবিত আট হামলাকারীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

    একই বছরের ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকাজ শুরু করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ৩ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

    উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থান শেষে গত ১৭ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেন বিচারক মজিবুর রহমান।

  • কাল হলি আর্টিজান মামলার রায়,সতর্ক অবস্থানে র‌্যাব

    কাল হলি আর্টিজান মামলার রায়,সতর্ক অবস্থানে র‌্যাব

    হলি আর্টিজান মামলার রায়কে কেন্দ্র করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ।

    মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) র‍্যাব সদর দফতরের হলি আর্টিজান মামলার রায়কে সামনে রেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

    বেনজীর আহমেদ বলেন, রায়ের কথা মাথায় রেখে আমরা আজকে থেকেই সর্তকতা অবস্থানে রয়েছি। আগামীকাল রায়ের দিন আমাদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমরা যতদিন প্রয়োজন মনে করব, ততদিন এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জঙ্গিরা যেন কোনও ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ না করতে পারে সে জন্য আমরা সব সময় সতর্ক থাকি। আমরা অনেক কাজ করি কিন্তু কখনো জঙ্গিবাদ থেকে আমাদের দৃষ্টি সরাই না।

    তিনি আরও বলেন, আগামীকালের রায় আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। হলি আর্টিজানের ঘটনায় দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। এ দেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে মানুষ কখনো কল্পনা করেনি। আগামীকালের রায়ে আমরা আশা করব যারা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। নিহতদের স্বজনরাও ন্যায়বিচার পাবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।

    র‌্যাবের ডিজি বলেন, হলি আর্টিজানের পর বাংলাদেশে যতবার জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে আমরা তা নস্যাৎ করে দিয়েছি। তাদের বারবার প্রতিহত করেছি। হলি আর্টিজানের পর আমরা সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতিতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০৯ জন জঙ্গিকে আমরা আটক করেছি। এখন পর্যন্ত ২৫ জন জঙ্গি আমাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। শুধুমাত্র অভিযান নয় আমরা প্রতিনিয়ত জঙ্গি নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত আটজন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে। আমরা কিন্তু পৃথিবীতে পথ দেখিয়েছি যে জঙ্গিরাও আত্মসমর্পণ করতে পারে।

    র‍্যাব ডিজি বলেন, পবিত্র কোরআন এবং কোরআনের আয়াতকে অপব্যাখ্যা করে জঙ্গিরা মানুষকে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে চেষ্টা করছিল। এটা রোধ করার জন্য কিন্তু পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

    বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ খুনাখুনি রক্তপাত পছন্দ করে না। জঙ্গিবাদ কখনই আমাদের দেশের পরিপূর্ণভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। কারণ আমাদের দেশের মানুষ এগুলোকে পছন্দ করে না। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যেতে হবে।

  • ২৭ নভেম্বর হলি আর্টিজান মামলার রায়

    ২৭ নভেম্বর হলি আর্টিজান মামলার রায়

    রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা মামলার রায়ের জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

    যুক্তিতর্ক গ্রহণের সময় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের দিন ঘোষণা শেষে তাদের ফের কারাগারে নেওয়া হয়েছে। যুক্তিতর্ক গ্রহণের আগে এ মামলায় ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

    ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

    খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।

    পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়।

    ২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

    ঘটনায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

    আসামিরা হলেন—জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আব্দুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, মামুনুর রশীদ ও শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ।