Tag: হস্তান্তর

  • বাংলাদেশকে ১০ টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ হস্তান্তর করল ভারত

    বাংলাদেশকে ১০ টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ হস্তান্তর করল ভারত

    ২৪ ঘণ্টা জাতীয় ডেস্ক : বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ সহায়তা দিয়েছে ভারত সরকার। 

    আজ এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকর এবং রেল, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

    বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল কালাম আব্দুল মোমেন লোকোমোটিভগুলো গ্রহণ করেন। লোকোমোটিভ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অঙ্গদি সুরেশ।

    ভারত সরকারের অনুদান সহায়তায় এই লোকোমোটিভগুলির হস্তান্তর করে গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করে। তাছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে লোকোমোটিভগুলিকে যথাযথভাবে পরিবর্তন করেছে ভারত সরকার। এই লোকোমোটিভগুলি বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকর পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ সম্পর্কের গভীরতার কথা তুলে ধরেন।

    কোভিড-১৯ মহামারীতেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গতি হ্রাস না পাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, চলমান ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে তিনি এ জাতীয় আরও মাইলফলক অতিক্রম করার প্রত্যাশা করছেন।

    রেলপথ,শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এবং দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে রেল সহযোগিতার তাত্পর্যকে গুরুত্ব দেন।

    সাম্প্রতিক সময়ে স্থল সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বাধাগ্রস্থ হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব হ্রাস করতে রেল সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করেছে। ব্যয় সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব বাহন হিসাবে রেল আন্তঃসীমান্ত পণ্য পরিবহণে সহায়তা করেছে।

    জুন মাসে দু’দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মালবাহী ট্রেন চলাচল হয়েছিল। প্রয়োজনীয় পণ্য এবং কাঁচামাল বহনের জন্য মোট ১০৩টি মালবাহী ট্রেন ব্যবহৃত হয়।

    সম্প্রতি, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্সেল এবং কনটেইনার ট্রেন পরিষেবাও শুরু হয়েছে। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগে অক্সিজেন কনসেনট্রেট ডিভাইস হস্তান্তর পার্বত্য জেলা পরিষদের

    খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগে অক্সিজেন কনসেনট্রেট ডিভাইস হস্তান্তর পার্বত্য জেলা পরিষদের

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মহামারীর এ সময়ে সবচেয়ে বেশী জরুরী অক্সিজেন সরবরাহ। দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না অক্সিজেনের অভাবে। তবে এখনও পর্যন্ত ভাল অবস্থানে রয়েছে পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির চিকিৎসা ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের যোগান। আর এর পেছনে সবচেয়ে বেশী কাজ করে যাচ্ছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।

    খাগড়াছড়ি জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার অনেক আগ থেকেই চিকিৎসা ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষে নজর রেখে যাচ্ছেন নিয়মিত।

    চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দফতর ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক বুথ স্থাপন ও হাসপাতাল গুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

    এরই ধারাবাহিকতায় এ বার খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করলেন অক্সিজেন কনসেনট্রেট মেশিন।

    বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশের কাছে এ মেশিনটি হস্তান্তর করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।

    এতে করে খাগড়াছড়ি জেলা অক্সিজেন সরবরাহে একধাপ এগিয়ে গেল।

    এ ছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর দেয়া ২০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার দেয়া অক্সিজেন সিলিন্ডার আশার আলো দেখাচ্ছে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থায়।

    খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানান, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অক্সিজেন কনসেনট্রেটের যে মেশিনটি দিয়েছেন সেটি সময়পোযুগী একটি সরঞ্জাম। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কঠিন রোগীদের অধিকাংশের বেলায় অক্সিজেন জরুরী একটি উপকরণ। খাগড়াছড়ি জেলায় আপাতত কঠিন কোন রোগী না থাকলেও পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ড যেভাবে এগিয়ে এসেছে সেটি ইতিবাচক দিক।

    অক্সিজেন কনসেনট্রেট মেশিন রিফিল সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, এ মেশিন পরিবেশ থেকে অক্সিজেন তৈরী করতে সক্ষম। এতে করে রিফিল করার ঝুঁকি যেমন নেই তেমনি ভাবে প্রকৃতি থেকে এটি প্রতি মিনিটে ৮ লিটার করে অক্সিজেন যোগান দিবে।

    খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় পার্বত্য জেলা পরিষদ সাধ্যমত সরঞ্জাম ও লোকবল দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সীমিত সম্পদ দিয়ে খাগড়াছড়ির স্বাস্থ্য বিভাগ করোনার মতো মহামারীতে কাজ করে যাচ্ছে। সামনের দিনেও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • চমেক-এ ডিস ইনফেকশন অটো চেম্বার হস্তান্তর করলেন সিটি মেয়র

    চমেক-এ ডিস ইনফেকশন অটো চেম্বার হস্তান্তর করলেন সিটি মেয়র

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা.আফতাবুল ইসলামের নিকট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন একটি ডিস ইনফেকশন স্প্রে অটো চেম্বার হস্তান্তর করেছেন।

    আজ রবিবার (১০ মে) অপরাহ্নে চমেক হাসপাতালের করোনা রোগীদের সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পিপিই পড়ে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় জীবাণুমুক্ত করণের লক্ষ্যে এই চেম্বার হস্তান্তর করা হয়।

    এই চেম্বারটি বিদ্যুৎ চালিত। একটি সেন্সরের মাধ্যমে এটি কাজ করবে। চেম্বারে প্রবেশের ৪ সেকেন্ডের মধ্যই ক্লোরিন মিশ্রিত দ্রবণের স্প্রে কাজ সম্পন্ন হবে। স্প্রে কাজ সম্পন্ন করে পিপিই পরিহিত ব্যক্তি জীবানুমুক্ত হয়ে প্রবেশ ও বাহির হবেন।

    এটি হস্তান্তর কালে মেয়র বলেন, এই মহামারী চলাকালীন সময়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে, বিশেষ করে সংক্রমিত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষায় এই সেনিটাইজিং পদ্ধত্বি অত্যন্ত কার্য্যকর।

    চেম্বার হস্তান্তরকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারি পরিচালক ফ্লু কর্ণার অবজারভেশন ইউনিট প্রধান ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, চুয়েটের প্রধান কারিকারক আবু আদনান চৌধুরী, মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    এই সময় মেয়র আরো বলেন, করোনা যুদ্ধে এযাবতকালে ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত আন্তরিকতা, দক্ষতা ও সাহসের সাথে নগরবাসীকে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।

    রোগীদের সেবা প্রদানে প্রথম ও প্রধান আস্থাস্থল হচ্ছে ডাক্তার। তাই তাঁদের সুরক্ষাই সব্রাগ্রে। চিকিৎসাকেন্দ্রে কিভাবে আরো বেশি নিরাপত্তা দেয়া যায় সেব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। যখনই নতুন কিছুর সন্ধান পাচ্ছি আমরা সাথে সাথে তা গ্রহণ করে চিকিৎসা সেবায় যুক্ত করছি।

    তিনি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা যুদ্ধে নির্ভয়ে সেবা প্রদান করে যাওয়ার আহবান জানান।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জেএসসি’র ফলাফল মেয়রের কাছে হস্তান্তর

    চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জেএসসি’র ফলাফল মেয়রের কাছে হস্তান্তর

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)-২০১৯ পরীক্ষার ফলাফল চসিক মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার সকালে টাইগাপাসস্থ মেয়র দপ্তরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়রের হাতে ফলাফল হস্তান্তর করেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পক্ষে উপ সচিব বেলাল হোসেন।

    এসময় চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় উপ পরিদর্শক মো. আবুল বাশার, সহকারি সচিব সম্পাতা তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

    এ ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মো. আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • বিজয়ের মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে চায় মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী

    বিজয়ের মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে চায় মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই : বিজয়ের মাস ডিসেম্বর মাস আর এ মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে যাচ্ছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী কতৃর্তপক্ষ। এমনটাই জানালেন বিসিক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আহমেদ জামাল নাছের চৌধুরী।

    তিনি জানান আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী, ইতি মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে প্লট বরাদ্ধের কাজ। খুবশিগ্রই আরম্ভ হবে প্লটের দখল হস্তান্তর। প্লটের দখল হস্তান্তরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্লট গ্রহীতা শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ প্লটে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় তাদের প্লট বরাদ্ধ ও দখল সত্ত বাতিল করা হবে।

    তিনি জানান, গত ১ বছর আগেও এই শিল্প নগরী উদ্বোধনের যাবতিয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিলো কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারনে এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে সকল জটিলতার অবসান হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই এটি বাস্তবায়নে আর তেমন কোন বাধা নেই।

    এই কর্মকর্তা জানান,দ্বিতীয় বারের মতো গত ২২ মে প্লট বরাদ্ধের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ১১৪ টি আবেদন পত্র জমা পড়ে। আবেদন পত্রের গ্রহণ যোগ্যতা যাচাই বাচাই করে সেখান থেকে ৮২টি উদ্যোক্তাকে প্লট বরাদ্ধের জন্য সনাক্ত করা হয়, বাদ পড়ে ৩২টি উদ্যোক্তার আবেদন পত্র। তবে বাচাইকৃত এই ৮২টি আবেদন পত্র থেকেও অনেকেই বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন।

    এই ৮২জনকেই এলটমেন্ট লেটার প্রেরণ করেছে বিসিক কর্তৃপক্ষ। এলটমেন্ট লেটার প্রাপ্ত ৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৮ ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে হালকা প্রকৌশল-১৯টি, খাদ্য ও খাদ্যজাত -১৯টি, রেডিমেড গার্মেন্টস-১৬টি, সিরামিকস ও নন মেটালিক-০৩টি, কেমিক্যাল এন্ড এলাইড-১০টি, রাবার, লেদার এন্ড এলাইড-৪টি, প্যাকেজিং-০৮টি, বন ও বনজাত-৩টি।

    তবে ৮২টি বরাদ্দকৃত আবেদনের বিপরীতে ডাউনপেমেন্ট পরিশোধ করেছেন মাত্র ৯জন উদ্যোক্তা। চলতি মাসে আরো দুই একজন উদ্যোক্তা থেকে ডাউনপেমেন্ট পাওয়া যেতে পারে বলে আশা ব্যাক্ত করেন তিনি। ডাউনপেমেন্ট পাওয়া গেলে চলতি মাসে নুন্যতম ১০জন উদ্যোক্তাকে তাদের প্লটের দখল সত্ত হস্তান্তর করা যেতে পারে। তবে যে সব উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে ডাউন্টপেমেন্ট পরিশোধ করেছেন তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

    এলটমেন্ট লেটার পাওয়ার পরও যে সকল আবেদনকারী একমাসের মধ্যে তাদের ডাউনপেমেন্ট পরিশোধ করে প্লট বুঝে নিবে না হয়তো আমরা তাদের আরো কিছু সময় দিবো এটা হয়তো দুই মাস বা তিন মাস ও হতে পারে। এর মধ্যেও যদি তারা ডাউনপেমেন্ট পরিশোধে ব্যার্থ হয় তাহলে তাদের প্লটের বরাদ্দ বাতিল করা হবে। এসব বাতিলকৃত প্লটের জন্য নতুন বরাদ্দ চেয়ে আগামি দুই এক মাসের মধ্যে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

    জানা যায়, ২০০৯ সালের দিকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে মিরসরাইয়ে বিসিক শিল্পনগরী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মিরসরাই পৌরসভার পূর্ব মঘাদিয়ায় তালবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করে ২০১০-২০১১ অর্থবছর প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

    প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৫ দশমিক ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করে মাটি ভরাটের কাজও শুরু হয়। প্রথম অবস্থায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা করা হয়। ২০১৩ সালের শেষ দিকে প্রকল্প কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    সর্বশেষ ২০১৭ সালের শেষ দিকে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীর সামগ্রিক প্রস্তুতি শেষ হলেও নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নীতিনির্ধারকদের অবহেলার কারনে মুখ থুবড়ে পড়ে আশা জাগানো এই প্রকল্পটি। স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের আশার জোয়ারেও ভাটা পড়ে যায় নিস্তেজ হয়ে পড়া প্রকল্পটির কারনে।

    স্থানীয় শিল্পউদ্যোক্তারা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিভিন্ন আলোচনার টেবিলে। দোষারোপ করেছেন বিশেষ প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে। কৃষিজমিতে শিল্প স্থাপনা করা যাবে না এমন অযুহাত তুলে স্থগিত করা হয় এর বাস্তবায়ন।

    কিন্তু অনেকেই মনে করেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়য়ার কৃতীত্বে ইর্ষান্বীত হয়ে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল একটি স্বার্থন্বেষী মহল। তবে আশার কথা হলো সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী। এটি বাস্তবায়ন হলে মিরসরাইয়ে কম পক্ষে ৫হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন কর্র্তৃপক্ষ।

    মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে অবস্থিত। বিসিক শিল্পনগরী থেকে রেলপথের দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম। চট্টগ্রাম বন্দরে যাতায়াতও ভালো। যোগাযোগ সুবিধার কারনে এই প্রকল্পের প্রতি শিল্প উদ্যোক্তাদের আগ্রহ একটু বেশি।

    মিরসরাই পৌর সভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন সকল আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বিসিকের প্লট বরাদ্দের কাজ সম্পন হয়েছে। যারা এখানে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন তারা অতিশিগ্রই তাদের কার্যক্রম আরম্ভ করবেন বলে আশা করছি। আমাদের পৌরসভা থেকে যতটুকু সহযোগীতা করার প্রয়োজন আমরা প্রস্তুত আছি। এটি যতো শিগ্রই বাস্তবায়িত হবে আমাদের পৌরসভায় কর্মসংস্থার সূত্রপাত ঘটবে ততো তারাতারি।

    তিনি জানান, সরকার এখানে ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু কয়েকজন কর্মকর্তার অবহেলার কারণে মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর অগ্রযাত্রায় ভাটা পড়ে গিয়েছিলো। নতুন করে প্লট ভরাদ্ধ দেয়ার মধ্যদিয়ে সেই ভাটা কেটে উঠেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুবিধা থাকায় এখানে প্লট নিতে আগ্রহীর সংখ্যা বেশি।

    তিনি আরও বলেন, পূর্বেও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০ জনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়। তবে কেন বাতিল করা হয় সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি কর্তৃপক্ষ। পুনরায় প্লট বরাদ্দের কথা শুনে ভালো লাগছে। আমরা চাই অতিশিগ্রই এই শিল্প নগরী বাস্তবায়ন হোক। বিসিক শিল্প নগরী

    মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীর প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে, এই প্রকল্পে এ ক্যাটাগরিতে ২৭, বি ক্যাটাগরিতে ৩৩, এস টাইপ ক্যাটাগরিতে ২৮টিসহ মোট ৮৮ প্লট রয়েছে। এছাড়া এটি আরো সম্প্রসারণের লক্ষে পুনরায় আরো দশ একর জমি নতুন করে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিরসরাইকে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

    তবে যতক্ষণ না এই প্রকল্প মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে ততোক্ষণ কাগজে কলমের বাস্থবায়নে বিশ্বাস করতে নারাজ প্রকল্প এলাকার লোকজন।

    স্থানীয় মাহবুবুল আলম নামে এক ব্যাক্তি জানান, সেই চার বছর ধরে শুনে আসতেছি এখানে মেইল ফেক্টরি হবে, অবকাঠামোর সকল কাজ সম্পন্ন। একবার শুনলাম কৃষি জমিতে কারখানা করেতে দিবে নাই তাই কাজ বন্ধ ছিলো অনেক দিন। এবকার শুনলাম প্লট বরাদ্ধ দিবে আবার শুনলাম বাতিল করছে এভাবেই চলতেছে গত চারবছর। তাই যেদিন এখান কারখানার কাজ শুরু হবে সেই দিন ছাড়া নিশ্চিম হওয়া মুশকিল আসলে এখানে কারখানা হবে কি না।

    তবে সরজমিনে দেখা যায় মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর কাজ শতভাগ শেষ। তবে এখনো উৎপাদনের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দখল স্বত্ত বুঝে পায়নি। তাই কোন কারখার দেখাযায়নি কোন নমুনা ফলক। দাড়ায় নি কোন কারখানার দালান। তাই চার দিকে খোলা সবুজের মাঠ। কচি ঘাসে উর্বর যেন এক গো চারণ ভূমি। গোটা দশেক গো মহিষের দখলে পুরো এই শিল্প নগরী এলাকা।বিসিক শিল্প নগরী

    ফলে উৎপাদনের পরিবর্তে দেশের ৭৫তম এ প্রকল্পটি এখন গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাঠের দক্ষিন পাশে যেতেই দেখা মিললো পরিতেক্ত নেশার বোতল। বুঝতে বাকি রইলোনা সারাদিন গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহার হলেও সন্ধ্যায় মাদক সেবিদের আস্তানায় পরিণত হয় শুন শান নিস্তব্ধ এই স্থানটি। সঠিক সময়ে উৎপাদনে না যাওয়ায় আগাছায় ভরে গেছে বিভিন্ন প্লট।

    নিন্মমানের কাজের জন্য দেবে গেছে রাস্তার বেশ কিছু অংশ। তবে এই শিল্পনগরীর বর্তমান অবস্থা যাই হোক না কেন পুনরায় প্লট বরাদ্ধ দেওয়ার খবরে আবারো আশার আলো দেখছে মিরসরাইয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তরা।

  • নিহতদের মধ্যে পরিচয় মিলেছে ৬ জনের,পরিবারের কাছে হস্তান্তর

    নিহতদের মধ্যে পরিচয় মিলেছে ৬ জনের,পরিবারের কাছে হস্তান্তর

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম স্পেশাল : চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া বিল্ডিংয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক সকল কার্য সম্পাদন শেষে পরিচয় পাওয়া নিহত ছয় জনের লাশ তাদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছয়জনের লাশ বুঝে নিয়েছে তাদের স্বজনরা। অজ্ঞাত হিসেবে একজনের লাশের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।

    পরিচয় পাওয়া নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজারের রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক ও ফঁতেখারকুল ইউনিয়নের হাইটুপী গ্রামের নিহার বড়ুয়া প্রকাশ নিহার মাস্টারের মেয়ে অ্যানি বড়ুয়া। তিনি পটিয়ার ঊনাইনপুরা শাহগদী মার্কেট এলাকায় বাসিন্দা পলাশ বড়ুয়ার স্ত্রী এবং পটিয়ার মেহের আটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। অ্যানির মরদেহ তার কাকা মৃদুল বড়ুয়ার কাছে রবিবার বিকেলে হস্তান্তর করা হয়।

    বিস্ফোরণের পর দেয়াল চাপায় নিহত হয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুবের খিল এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩০)। তিনি পেশায় রঙ মিস্ত্রি ছিলেন। দুবছর আগেই বিয়ে করেন নুরুল ইসলাম। বিয়ের পর এক শিশু কণ্যা জন্ম হয়। স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা ও শিশু কণ্যাকে নিয়ে নগরীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন বাস্তুুহারা কলোনিতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন নিহত নুরুল ইসলাম। নিহত নুরুল ইসলামের স্ত্রী সাদিয়া বেগমকে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়।

    একই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সাতকানিয়া মৌলভির দোকান এলাকার বাসিন্দা আইনজীবি আতাউর রহমানের স্ত্রী জুলেখা খানম ফারজানা (৩০) ও তার বড় ছেলে আতিকুর রহমান শুভ (৭)।

    নিহত স্ত্রী জুলেখা ও নিহত সন্তান আতিকুর রহমান এবং অপর সন্তান আসিফুর রহমান শ্রভ্রকে নিয়ে পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। নিহত বড় ছেলে আতিকুর রহমান সেন্ট প্লাসিডস স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণি এবং ছোট ছেলে আসিফুর ব্রাদার ফ্লাভিয়ান স্কুলের নার্সারিতে পড়তেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নিহত স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ বুঝে নেন আতিকুর রহমান।

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে গ্যাসলাইন দুর্ঘটনায় নিহতদের তালিকায় রয়েছে ভ্যানচালক মো. সেলিম। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী। চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় টাইলস মার্কেটে কাজ করতেন নিহত সেলিম। তার স্বজনরা বিকেলে হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করে বুঝে নেন।

    এছাড়াও নিহতের তালিকায় রিক্সচালক আবদুস শুক্কুরের লাশ শনাক্ত করেছে তার পরিবার। নিহতের বাড়ি পটিয়ায়। রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করে লাশ বুঝে নিয়েছেন।

    নিহত সাতজনের মধ্যে বাকি একজনের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা প্রশাসন চালিয়ে যাচ্ছে জানালেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।

    এদিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অন্তত আরো ৯ জন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এদের কয়েকজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে।

    এদের মধ্যে চট্টগ্রামের পাথরঘাটার ব্রিক ফিল্ড রোডের যে ঘরটি থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয় ওই ঘরের বাসিন্দা সন্ধ্যা নাথ (৪০) ও তার বড় বোনের মেয়ে অর্পিতা নাথ। এদের মধ্যে দগ্ধ অর্পিতা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। আর সন্ধ্যা ভর্তি আছেন ক্যাজুয়ালটি বিভাগে।

    চমেকের অন্য ইউনিটে ভর্তি আছেন পাথরঘাটা সেইন্ট জোন্স গ্রামার স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩), ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছেন রিকশা আরোহী ইউসুফ (৪০), ইসমাইল (৩০) ও আবদুল হামিদ (৪২)। বিস্ফোরণে ছিটকে আসা দেয়ালের অংশ পড়ে তারা হাতে-মাথায় ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত পেয়েছেন।

  • সীতাকুণ্ডে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩ ডাকাতের লাশ আঞ্জুমানে হস্তান্তর

    সীতাকুণ্ডে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩ ডাকাতের লাশ আঞ্জুমানে হস্তান্তর

    সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত তিন ডাকাতের পরিচয় মেলেনি।

    গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার ৭ নং ছোট কুমিরা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তিন ডাকাত নিহত হয়। পুলিশ কুমিরা এলাকা থেকে তিন ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে সুুুুরতাল রির্পোট তৈরী করে লাশ তিনটি চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। সেখানে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।

    সারাদিন লাশগুলো মর্গে ছিল, তাদের কোন আত্নীয়-স্বজন না আসায় তিনজনের লাশ আঞ্জুমানে মহিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম মোল্লা মুটোফোনে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, তিন লাশের কোন স্বজন থানায় বা চমেক হাসপাতালের মর্গে আসেনি। তাই লাশগুলো রাতে পোষ্টমোটেমের পর বেওয়ারিশ লাশ দাফনকারী সংস্থা আঞ্জুমানে মহিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এর আগে গত বুধবার চাঞ্চল্যকর ডা, শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬) ডাকাত ভোরে সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে র‍্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। নিহত কালু ডাকাত উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র।