Tag: হাইকোর্টের নির্দেশ

  • অবসরের তিন বছর পার না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয় : হাইকোর্ট

    অবসরের তিন বছর পার না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয় : হাইকোর্ট

    অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না— এ মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা অবসরের তিন বছর পার না হওয়ার আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।

    সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

    আদালত রায়ে বলেন, রিটকারীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ায় সম অধিকার ও মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্নের যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।

    আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী শুনানি করেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত শুনানি করেন।

    গত ২৯ নভেম্বর অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেয় হয়। শুনানি শেষে বিষয়টি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষামান রাখা হয়।

    গত ৭ নভেম্বর অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না— তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।

    চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

    বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। অবসরে যাওয়া সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম কামালের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

    অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রিট দায়ের করা হয়।

    নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গমন করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।

    এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শামীম কামাল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এছাড়া ইস্যুতে অবসরে যাওয়া আরো অনেক সরকারি কর্মকর্তা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আদালত রুল জারি করেন। একত্রে সবগুলো রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।

  • অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা চলবে ট্রাইব্যুনালে : হাইকোর্ট

    অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা চলবে ট্রাইব্যুনালে : হাইকোর্ট

    অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইনের ধারা ৯, ১৩ ও ১৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, অর্পিত সম্পত্তি আইনের ধারা ৯, ১৩ ও ১৪ সংবিধান ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি নয়।

    বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য দুজন হলেন বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান।

    আজকের রায়ের ফলে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা এখন থেকে অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। অন্য কোনো আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা চলবে না। অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে অন্য সব আদালতে চলমান মামলাগুলো বাতিল হয়ে যাবে। অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে কারও কোন আপত্তি থাকলে তাকে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে।

    রায়ে আদালত আরও বলেছেন, অর্পিত সম্পত্তির দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন জেলা প্রশাসকরা। তারা আগের মতোই আইনানুযায়ী অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে পারবেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী,ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

    পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, ২০০১ এর তিনটি ধারা ৯ , ১৩ ও ১৪ চ্যালেঞ্জ করে দুটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ রুলটি ডিসচার্জ (খারিজ) করে দিয়েছেন। এর ফলে যে রিটের মাধ্যমে তারা তিনটি ধারাকে সংবিধান পরিপন্থি দাবি করেছিল সেটি কিন্তু এখন সংবিধান পরিপন্থি না। বরং আইনটি যথাযথভাবে করা হয়েছে। কারণ জেলা প্রশাসকের যদি এই প্রত্যার্পণ সম্পত্তি লিজ দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাবে। কাজেই এটা সরকারের স্বার্থে জনগণের স্বার্থেই করা হয়েছে।

    এই কারণে আদালত দুটি রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন, একই সঙ্গে স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে দিয়েছেন। এরফলে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে যদি কারো আপত্তি থাকে তাহলে তাকে ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে। জেলা প্রশাসকের লিজ দেওয়া এবং বাতিল করার ক্ষমতা বহাল থাকলো।

  • ডিসিরা নিজেরা রাজত্ব কায়েম করেছেন, তারা আদেশ মানেন না : হাইকোর্ট

    ডিসিরা নিজেরা রাজত্ব কায়েম করেছেন, তারা আদেশ মানেন না : হাইকোর্ট

    বারবার সময় দেওয়ার পরও বরিশালের সন্ধ্যা নদী দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন না দেওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসকের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ডিসিরা নিজেরা রাজত্ব কায়েম করেছেন। তারা আদালতের আদেশ মানেন না। তাহলে এই আদেশ দিয়ে কী লাভ হবে?

    রোববার (২৮ মে) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিসির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।

    আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিয়া আক্তার। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

    জুলফিয়া আক্তার আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিসির পক্ষে আবারও সময় চান। তিনি বলেন, আমাদের সময় দিন, আমরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করব।

    রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদেশ নিয়ে ডিসিরা এক ধরনের খেলা করেন। তখন আদালত বলেন, যা দেখবে তাই তো শিখবে। সচিবরাও তো তাই করে। আদালত অবমাননার হাজার হাজার মামলা পড়ে আছে।

    মনজিল মোরসেদ বলেন, আমরা তাহলে কোথায় যাব? আদালত বলেন, আপনারা কনটেম্পট (আদালত অবমাননা) কোর্টে যান। মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের আদেশ মানাতে হলে সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা (আদালত অবমাননা সংক্রান্ত) সেটা চর্চা করতে হবে। সেটা না করলে আইনের শাসন থাকবে না। জনগণও কোনো বিচার পাবে না। রাষ্ট্র কলাপস করলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    এসময় রাষ্ট্রপক্ষের কাছে প্রতিবেদন না দেওয়ার কারণ জানতে চান হাইকোর্ট। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের সর্বশেষ আরও একটু সময় দিন। এসময় মনজিল মোরসেদ পাশ থেকে বলেন, ৫ বছর চলছে। তখন আদালত বলেন, সাইড টক করছেন কেন? আপনি সিনিয়র আইনজীবী। আপিনও বোঝেন-জানেন দেশের পরিস্থিতি, আদালতের অবস্থা। তারা (রাষ্ট্রপক্ষ) চেষ্টা করে।

    সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেষবারের মতো সময় চাইলে আদালত বলেন, আপনি যদি একশ বছরও সময় নেন লাভ হবে না। দেশ এটাই, এখানেই থাকতে হবে। লুট করে আমেরিকা নিয়ে যাবেন, সব রেখে দেব। তাই পরিবেশটা ঠিক রাখতে বলেন। জেলা প্রশাসককে ভালো করে বুঝিয়ে বলেন। সম্মানের জায়গাটা ঠিক রাখতে বলবেন। না হলে জবাব দিতে হবে। এরপর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করেন।

    পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভেতরে গুচ্ছগ্রাম দখল করা হচ্ছিল মাটি ভরাট করে। বিষয়টি আমরা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলাম। হাইকোর্ট অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। তারা প্রতিবেদন না দেওয়ায় ৫ বছর পর আদালতে আবেদন করেছিলাম। রোববার প্রতিবেদন দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আজও প্রতিবেদন না দেওয়ায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

    আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, গুচ্ছগ্রামের স্থাপনা অপসারণ করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। যাদেরকে সেখানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে সরকারি জমিতে অন্যকোথাও বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা ছিল। বরিশালের যত নদ-নদী আছে, সেগুলো যাতে দখল না হয়, সেজন্য মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়েছিল। এছাড়া অবৈধ মাটি ভরাট উচ্ছেদ করতে নির্দেশ ছিল। সেই আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

  • পাবলিক প্লেসে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    পাবলিক প্লেসে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    সরকারি-বেসরকারি অফিস, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলের মতো জনসমাগমস্থল এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    এ বিষয়ে জারি করা রুল ঘোষণা করে আজ রোববার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

    এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দেশের সব কর্মক্ষেত্র, এয়ারপোর্ট, বাস স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া পাবলিক প্লেস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে নীতিমালা তৈরি করতে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চান আদালত। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন।

    চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

    ২০১৯ সালের গত ২২ অক্টোবর নিরাপদ পরিবেশে ও স্বাচ্ছন্দ্যে মায়ের বুকের দুধ পান করতে ৯ মাসের শিশু উমাইর বিন সাদিকের পক্ষে তার মা ইশরাত হাসান এ রিট করেন।

    রিটে কর্মক্ষেত্র, শপিংমল, এয়ারপোর্ট, বাস স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে বলা হয়, এমন পরিবেশে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করতে হবে যেখানে কোনো মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে অস্বস্তি বোধ করবেন না বা যৌন হয়রানির শিকার হবেন না।

    রিটকারী বলেন, অনেক কর্মস্থলে বা বাস, ট্রেন স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকায় মায়েদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নিরাপদ পরিবেশের অভাবে ও যৌন হয়রানির ভয়ে মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ পান করাতে পারেন না। অথচ একজন শিশুর মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মায়ের বুকের দুধ। আমার মতো হাজার হাজার মা এই সমস্যার সম্মুখীন হন।

    রিটে এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দর, সুস্থ ও সবলভাবে শিশুকে বেড়ে তুলতে এবং নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ডে কেয়ার সেন্টার ও মাতৃদুগ্ধ দান কক্ষ স্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এরপর ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে কর্মজীবী মায়েদের জন্য নেই ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার।

  • হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী

    হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী

    নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হল ছেড়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী তাবাসসুম।

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তারা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ছেড়ে চলে যান। হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম তাদের হল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    গতকাল ওই শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতনকারী দুজনকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়। আর নির্যাতনের কোনো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়ে থাকলে বিটিআরসি যেন তা দ্রুত অপসারণ করে, সে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

    আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে এ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা, জেলা জজ মনোনীত একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপককে রাখতে বলা হয়েছে। কমিটি গঠনের সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

    রুলে ইবির ছাত্রী হলে শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধে ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, ইবির উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্টসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ইবির এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় গত বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী মো. মহসীন। পরে আদালত এ ব্যাপারে লিখিত আবেদন জমা দিতে বললে ওই দিনই তিনি রিট আবেদন করেন। গতকাল আদালতে গাজী মো. মহসীন নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

    আইনজীবী গাজী মো. মহসীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা ছাড়াও ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতনকারী দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়েছে। আর নির্যাতনের কোনো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়ে থাকলে বিটিআরসি যেন তা দ্রুত অপসারণ করে সে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পাশাপাশি আদালত এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও দাখিল করতে বলা হয়েছে।

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত খবরে বলা হয়েছে, ইবিতে ভর্তির কয়েক দিনের মাথায় ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন এক ছাত্রী। ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।

    লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম রাত ৮টায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রজাপতি-২ রুমে যেতে বলেন। অসুস্থ থাকায় সেদিন তিনি যেতে পারেননি। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাবাসসুম। ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম দফায় তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। তবে হলের প্রভোস্টের সহযোগিতায় তখন সেটি সম্ভব হয়নি। পর দিন ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৭ থেকে ৮ জন মিলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গণরুমে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেয়ে আমি তাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেই। প্রক্টরের সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা সন্ধ্যার পরই হল ছেড়ে চলে যান।

    প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি অভিযুক্ত দুজনকে হল থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে হল প্রভোস্টকে নির্দেশ দেই। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ইবি থানার ওসিকে বলেছি। বিচার বিভাগীয় তদন্তের বিষয়টি দেখাশোনা করার জন্য আইন প্রশাসককে বলা হয়েছে।

    এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাকে সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বিষয়টি জানিয়েছেন।

  • দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ, অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

    দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ, অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

    দেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ কেনার অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকসহ চারটি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    আবেদনের শুনানি করে রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

    হাইকোর্ট যে চার সংস্থাকে অনুসন্ধান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলো হলো— দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

    এই চার সংস্থাকে অনুসন্ধান করে এক মাসের মধ্যে অগ্রগতি জানাতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে দুবাইয়ে ৪৫৯ জনের সম্পত্তি কেনার অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলও জারি করা হয়েছে।

    ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে গত মঙ্গলবার একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস আবেদনটি করেন। তিনি নিজেই আবেদনটি আদালতে জমা দেন।

    ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলেফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি।

    ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি সম্পত্তি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। কাগজে-কলমে এর মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির মেয়াদ বাড়ল : স্থগিত হলো বয়সের শর্ত

    ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির মেয়াদ বাড়ল : স্থগিত হলো বয়সের শর্ত

    ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া ১১ বছর বয়সের শর্তটি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ১০ বছরের উর্ধ্বে যে কেউ ভর্তি হতে পারবে।

    মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এক অভিভাবকের করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বিএম হাসান ও মো. খায়েরুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসাথে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর কথাও জানান হাইকোর্ট।

    এর আগে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণ করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কারণে ১১ বছরের কম বয়সী শিশুরা এবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারছিলেন না। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই আদেশ আজ হাইকোর্টে স্থগিত হলো।

  • পোস্টমর্টেম রিপোর্ট স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

    পোস্টমর্টেম রিপোর্ট স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

    মরদেহের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    একটি হত্যা মামলায় আসামির জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট ডিভশন বেঞ্চ আজ এ নির্দেশ দেন।

    একইসঙ্গে ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের একটি টাইপ কপি ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

    স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সব সিভিল সার্জনকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

    আদালতে আসামীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট দাস তপন কুমার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জমো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

    কক্সবাজারের খুরুশখুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সোলতান আহমদ সিরাজীর দেওয়া ময়না তদন্ত প্রতিবেদন অস্পষ্ট (পড়ার অযোগ্য) হওয়ায় আদালত এ নির্দেশ দেন বলে জানান আইনজীবীরা।

    একইসঙ্গে মামলার আসামি একই স্কুলের একই শ্রেণির এক ছাত্রকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।