Tag: হাইকোর্টে রিট

  • মহাসড়কে হাট-বাজার, স্থাপনা অপসারণে হাইকোর্টের রুল

    মহাসড়কে হাট-বাজার, স্থাপনা অপসারণে হাইকোর্টের রুল

    নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারাদেশের মহাসড়কে থাকা স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

    চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), হাইওয়ে পুলিশের প্রধানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

    এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনারি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

    এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের মহাসড়ক-সড়কে থাকা অবৈধ স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম এ রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে এবার রুল জারি করলেন হাইকোর্ট।

    আইনে মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার কথা বলা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, “সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ, হাটবাজার বসানো বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মহাসড়কের কোনো অংশ ব্যবহার করা যাবে না।” আইনের ভাষ্য অনুযায়ী, মহাসড়কের উভয় পাশের ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটার অথবা সরকার কর্তৃক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্ধারিত রেখাকে “সংরক্ষণ রেখা” হিসাবে ধরা হয়। আইনে “সংরক্ষণ রেখা” বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ এই আইনের তোয়াক্কা না করেই মহাসড়কে চলছে হাটবাজার।

    ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রের বরাতে মহাসড়কের হাটবাজার নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম যুগান্তর। সেখানে বলা হয়, সারাদেশের ৮,৮৮৭টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোট-বড় ১০,০০০ এর বেশি দোকান নিয়ে অন্তত ২৭৫টি স্থায়ী, অস্থায়ী এবং অবৈধ হাটবাজার গড়ে উঠেছে। এসব হাটবাজার ঘিরে পণ্য পরিবহন, থ্রি-হুইলারের চলাচল, বাস-ট্রাকস্ট্যান্ড ও মানুষের চলাফেরা কমাচ্ছে সড়কের গতি। যত্রতত্র মানুষের রাস্তা পারাপারে ঘটছে দুর্ঘটনা, মরছে মানুষ।

    বিভিন্ন সময় মহাসড়কসংলগ্ন দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও কিছুদিন পরই বিভিন্ন পক্ষের সমঝোতায় তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এবার এসব হাটবাজার অপসারণে হাইকোর্ট রুল জারি করলেন।

  • কোরবানির গরু-মাংস আমদানির নির্দেশনা চেয়ে রিট

    কোরবানির গরু-মাংস আমদানির নির্দেশনা চেয়ে রিট

    কোরবানির গরু ও মাংস সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে জীবন্ত গরু ও মাংস আমদানির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রিটটি করেছেন।

    রিটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও টিসিবির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

    রিটকারী আইনজীবী বলেন, গরুর মাংস বাংলাদেশর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। কিন্তু বাজারে গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুর মাংস এরই মধ্যে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

    রিটে বলা হয়েছে, আমদানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী গরুর মাংস একটি আমদানিযোগ্য পণ্য। অপরদিকে ‘দি ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ অর্ডার’ ১৯৭২ এর ধারা ১২ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজারমূল্য সহনীয় রাখা টিসিবির আইনি কর্তব্য।

    ‘কিন্তু টিসিবি বিদেশ থেকে জীবন্ত গরু এবং গরুর মাংস আমদানি না করে তার আইনি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ব্যর্থতার জন্য বাজারে গরুর মাংস নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।’

  • প্রতিবন্ধী শিশুকে পার্কে ঢুকতে না দেওয়ায় সেই ডিসির বিরুদ্ধে রিট

    প্রতিবন্ধী শিশুকে পার্কে ঢুকতে না দেওয়ায় সেই ডিসির বিরুদ্ধে রিট

    প্রতিবন্ধী শিশু ইয়ানাতকে পার্কে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনায় রংপুরের ডিসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের দুইজন আইনজীবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেছেন।

    রিটে পাবলিক প্লেস, শপিং সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য হুইল চেয়ার ও অবাধ চলাচলের বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সব পার্কে প্রতিবন্ধী শিশুদের ৫০ শতাংশ খরচে পার্কের রাইডে ওঠারও অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, রংপুরের মেয়র, জেলা প্রশাসক রংপুরসহ ৭ জনকে রিটের বিবাদী করা হয়েছে।

    গত ২৬ এপ্রিল রংপুরের চিকলি ওয়াটার পার্কের কিডস জোনে হুইলচেয়ারসহ মেয়েকে নিয়ে ঢুকতে গেলে রিজা রহমানকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে ৩ মে রিজা মেয়েকে নিয়ে রংপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

    গত ২৭ এপ্রিল রিজা রহমান রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। তাতে তিনি পার্কসহ বিনোদনের বিভিন্ন জায়গায় হুইলচেয়ার নিয়ে যাতে যাওয়া যায়, এ ধরনের নির্দেশিকা টানানোর আবেদন জানান।

    শিশুটির মা জানান, গত ২৬ এপ্রিল মেয়েকে একটু আনন্দ দেওয়ার জন্য চিকলি ওয়াটার পার্কে নিয়ে যান রিজা রহমান। টিকিট কেটে মা ও মেয়ে পার্কের ভেতরে ঢোকেন। কিডস জোনের জন্যও আলাদা ১০০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটেন। তবে সেখানে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তাকর্মী জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভেতরে হুইলচেয়ার নিয়ে ঢোকা যাবে না। প্রায় পাঁচ মিনিট পর ওই কর্মী জানান, হুইলচেয়ার নিয়ে ভেতরে ঢোকার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া যায়নি। রিজা রহমান বলেন, ‘কর্মীর সেই কথা শুনে আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা চালু করি। ভিডিওতে বলতে বলি কেন হুইলচেয়ার নিয়ে আমি ভেতরে ঢুকতে পারব না। আমি টিকিট কেটেছি। কোনো বিধিনিষেধ থাকলে টিকিট নিলেন কেন? তখন ওই কর্মী টিকিট ফেরত দিতে বলেন।’

    ১১ বছরে পা রাখা আল আয়মান ইয়ানাত সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। ইয়ানাত মা-বাবার একমাত্র সন্তান, পরিবারের সঙ্গে থাকে রংপুরে।

  • সীতাকুণ্ডের দেওয়ানদীঘি ভরাট বন্ধে হাইকোর্টে রিট

    সীতাকুণ্ডের দেওয়ানদীঘি ভরাট বন্ধে হাইকোর্টে রিট

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা সদরের ঐতিহাসিক দেওয়ানদীঘি ভরাট বন্ধ করে দীঘিটি পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম রিট মামলাটি করেন।

    আজ বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি তারিকুল হাকিমের ভার্চুয়াল আদালত এই আদেশ প্রদান করেন।

    মামলায় (নং ১১০৯/২০২০) প্রদত্ত আদেশে দীঘিটি ভরাট বন্ধ করে পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে এনে আগামী ধার্য তারিখে আদালতকে বিষয়টি অবহিত করতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ড থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আলী আজম।

    তিনি বলেন, মাননীয় বিচারক আমাদের দায়েরকৃত আর্জি আমলে নিয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিবাদিগন আদালতের নির্দেশ যথাযত পালন করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

    বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইদ্রিছ আলী বলেন, আমরা মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছি। কিন্তু দেওয়ানদীঘি দখল ভরাট বন্ধ হয়নি। যে কারনে বাধ্য হয়ে আমাদের আদালতে যেতে হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/এ আর

  • আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট

    আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে।

    রোবরার (১৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহিন বাবুর পক্ষে অপর আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ এ রিট আবেদন দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেন।

    ক্ষতিপূরণের সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্ত (জুডিশিয়াল ইনকয়ারি) এবং আবরারের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

    বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।