Tag: হাজী সেলিম

  • ‘খালেদা জিয়া ও হাজি সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না’

    ‘খালেদা জিয়া ও হাজি সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না’

    আদালতের রায় অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমসহ সাজাপ্রাপ্ত কেউই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

    আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার দুর্নীতির পৃথক মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে ২০১৮ সালে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ৪৪ পৃষ্ঠার সেই রায় গতকাল রোববার (২২ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

    রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, জামিন বা সাজা স্থগিত থাকলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যদি না তার সাজা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক বাতিল হয়।

    আদালতের রায়ের ব্যাখ্যা করে দুদক আইনজীবী বলেন, আপিল বিচারাধীন থাকা মানে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ নন। একমাত্র উপযুক্ত আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ হবেন। দণ্ড বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।

  • হাইকোর্টে হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল

    হাইকোর্টে হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল

    অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে।

    রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

    মঙ্গলবার বিচারপতি মো: মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা শুরু করেছেন।

    আদালত বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ হাইকোর্টে প্রমাণ করতে পারেনি।

    এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

    আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো: খুরশীদ আলম খান, হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।

    গত ৩১ জানুয়ারি এ শুনানি শুরু হয়েছিল।

    এর আগে গত ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা সক ধরনের নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন উচ্চ আদালত।
    সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।

    ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করে।
    এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

    ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।

    পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

    পরে গত বছরের ৯ নভেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, ৮ নভেম্বর তিনি দুদক থেকে এ মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। পর দিন ৯ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত করতে তিনি আদালতে আবেদন (মেনশন) করেন। আপিলটি কার্যতালিকাভুক্ত হওয়ার পর ১১ নভেম্বর নথি তলব করেন হাইকোর্ট।

  • হাজী সেলিমের স্ত্রী আর নেই

    হাজী সেলিমের স্ত্রী আর নেই

    ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।

    রোববার (২৯ নভেম্বর) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ব্যক্তিগত সচিব মহিউদ্দিন মাহমুদ বেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    গুলশান আরে বেগম দীর্ঘদিন ডায়াবেটিকস, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ ও লিভার সমস্যায় ভুগছিলেন।

    ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল গুলশান আরাকে। প্রায় ২০ মাস সেখান চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ২০ অগাস্ট এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় এনে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত সাতদিন আইসিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

    বর্তমানে হাজী সেলিমও ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে বলে জানান তার ব্যক্তিগত সচিব বেলাল।

    হাজী সেলিমদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন গুলশান আরা বেগম। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার (বর্তমানে কাউন্সিলর) ছিলেন তিনি।

    সোমবার (৩০ নভেম্বর) বাদ আছর চকবাজার জামে মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

  • হাজী সেলিমের মামলার নথি তলব হাইকোর্টের

    হাজী সেলিমের মামলার নথি তলব হাইকোর্টের

    ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছর দণ্ডাদেশ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    বুধবার (১১ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এই আদেশ দেন।

    হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতকে এসব নথি হাইকোর্টে পাঠাতে বলা হয়েছে।

    এসময় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনির।

    এর আগে, সোমবার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্টে এ মামলার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

    ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।

    পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হাজী সেলিমের ‘অবৈধ সম্পদের’ সন্ধানে নেমেছে দুদক

    হাজী সেলিমের ‘অবৈধ সম্পদের’ সন্ধানে নেমেছে দুদক

    নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ছেলে ইরফান সেলিম গ্রেফতার হওয়ার পর ঢাকা-৭ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন।

    দুদক কমিশনার জানান, এমপি হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা তথ্যগুলো খতিয়ে দেখছে দুদক। তাদের অর্জিত ও দখলি সম্পদগুলো যদি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধে গণ্য হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করবে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের এই কমিশনার বলেন, হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ দেখেছি। আমরা লক্ষ্য‌ করছি, বিষয়গুলো আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত। এতে অবৈধ সম্পদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা- তা পরিষ্কার নয়।

    তিন আরও বলেন, অবৈধ সম্পদের বিষয়গুলো যদি দুদকের তফসিলের সঙ্গে সম্পর্কিত হয় এবং তফসিলভুক্ত অপরাধের শামিল হয়, তাহলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। সরকারের জায়গা বা সম্পত্তি হোক; যদি দখল হয় এবং দুদক আইনের আওতাভুক্ত হয়, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা -৭ আস‌নের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সে‌লি‌মের গাড়ির স‌ঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ল্যফটেন্যান্ট ওয়া‌সিফ আহ‌মেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল। এরপরই গাড়ি থেকে ইরফান সে‌লিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে বেদম পেটান।

    রাত সোয়া ১০টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমণ্ডি থানায় জব্দ করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যা‌চেষ্টার অভি‌যো‌গে ধানম‌ণ্ডি থানায় মামলা দা‌য়ের করা হয়।

    মামলার পরই চকবাজা‌রের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লে‌নে হাজী সেলিমের বাসায় র‍্যাব অভিযান চালায়। ওই ভবন থেকে লাইসেন্সহীন একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৪০টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়। এ সময় ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর মঙ্গলবার এমপি হাজী সেলিমের দখল থেকে ২০ শতক জমি উদ্ধার করে অগ্রণী ব্যাংক।

    এদিকে মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে হাজী সেলিমপুত্র ইরফানকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হাজী সেলিমের দখল থেকে অগ্রণী ব্যাংকের জমি উদ্ধার

    হাজী সেলিমের দখল থেকে অগ্রণী ব্যাংকের জমি উদ্ধার

    এমপি পুত্র ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে গ্রেফতারের পর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের দখলে থাকা জমি উদ্ধার করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক।

    সোমবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা ছাড়াই হাজী সেলিমের দেয়া সীমানা প্রাচীর ভেঙে দখলকৃত জমি বুঝে নিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। মে মাসে দখল হয়ে গেলেও এতদিন নিশ্চুপ ছিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

    মঙ্গলবার জমি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অগ্রণী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আব্দুস সালাম মোল্যা।

    ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর মৌলভীবাজার এলাকায় ১৪ শতাংশ জমির ওপর একটি দুইতলা ভবন ছিল। স্বাধীনতার পর নির্মিত ভবনটি অনেক পুরাতন হওয়ায় কিছু দিন আগে নতুন ভবনে শাখা স্থানান্তর করা হয়েছে।

    ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর ব্যাংকের শাখাটিও বন্ধ ছিল। এখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী ভল্ট পাহারা দিতে ভেতরে অবস্থান করে। সেই সুযোগে চলতি বছরের মে মাসে আমাদের পুরনো ভবনটি গুড়িয়ে দিয়ে দখলে নেয় হাজী সেলিম। সোমবার সীমানা প্রাচীরের গেটের তালা ভেঙে তা দখলে নিয়েছি আমরা। পুরাতন ভবনে ব্যাংকের অনেক সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল বলে জানান ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা দিপু গ্রেফতার

    হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা দিপু গ্রেফতার

    নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা ও ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের সহযোগী এ বি সিদ্দিক দিপু গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

    সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডিএমপির রমনা গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক বলেন, রোববার রাতে হাজী সেলিম ছেলে এরফান ও তার বডিগার্ড নৌবাহিনী কর্মকর্তা ওয়াসিফকে মারধর করেন। রাতে ঘটনার বিষয়ে একটি জিডি হলেও সোমবার ভোরে ঘটনাটিকে মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়।

    মামলার এজাহারে এরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজী সেলিমের মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিকী দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দুই-তিনজনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে তৎপর হয় ডিবি পুলিশ। তবে পলাতক ছিলেন এবি সিদ্দিকী।

    গোয়েন্দা তথ্যে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গতরাতে টাঙ্গাইল থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবি সিদ্দিকী দিপুকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ধানমন্ডি থানায় তাকে সোপর্দ করা হবে।

    উল্লেখ্য, রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসাথে বলতে থাকে, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারে এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

    এরপর তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    এদিকে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এছাড়া তার শয়নকক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    বাসায় অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস ও বিদেশি মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ডকে। রাতে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হাজী সেলিমের ছেলের ১ বছরের কারাদণ্ড

    হাজী সেলিমের ছেলের ১ বছরের কারাদণ্ড

    ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

    আশিক বিল্লাহ বলেন, মদ্যপান ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করায় তাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া এই দণ্ডের পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হবে।

    এর আগে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে র‌্যাবের একটি দল হাজী সেলিমের ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে তার বাসা চাঁন সরদার দাদার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে।

    র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার, ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    সেসময় র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ইরফান সেলিম থাকেন। সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৭টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার পাওয়া গেছে।

    তিনি আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের কোনও লাইসেন্স নেই। আর ওয়াকিটকিগুলোও অবৈধ, ওয়াকিটকিগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করতে পারেন।

    প্রসঙ্গত, নৌ বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের সংশ্লিষ্ট ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। এরপরেই অভিযানে নামে র‌্যাব ও পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীগুলো।

    থানায় দাখিল করা অভিযোগে ওয়াসিফ আহমেদ উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় গাড়ি থেকে জাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ২-৩ জন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, হামলা চালিয়ে দাঁত ফেলে দেয় এবং জখম করে। পরে তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ তুলে নেয়ার হুমকি দেয় তারা। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে রাখে পুলিশ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ইরফানের বাসা থেকে অস্ত্র, মদ-বিয়ার ও ৪০টি ওয়া‌কিট‌কি উদ্ধার

    ইরফানের বাসা থেকে অস্ত্র, মদ-বিয়ার ও ৪০টি ওয়া‌কিট‌কি উদ্ধার

    ঢাকা-৭ আস‌নের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বা‌ড়ি‌তে অভিযান চা‌লি‌য়ে আগ্নেয়াস্ত্র,মদ, বিয়ার ও ওয়া‌কিট‌কিসহ বিপুল প‌রিমান নিরাপত্তা সরঞ্জাম উদ্ধার ক‌রেছে র‌্যাব।

    সোমবার দুপুর ১টা থে‌কে সা‌ড়ে ৩টা পর্যন্ত চকবাজা‌রের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের বা‌ড়ি‌তে অভিযান চা‌লি‌য়ে সাংসদপুত্র মোহাম্মদ এরফান সে‌লিম‌কে আটক করা কা‌লে বা‌ড়ি তল্লা‌শি চা‌লি‌য়ে ওইসব দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যা‌জি‌স্ট্রেট স‌রোয়ার আলম।

    স‌রেজ‌মি‌নে দেখা গে‌ছে, চকবাজা‌রের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লে‌নের ওই বা‌ড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি ডু‌প্লেক্স সি‌স্টে‌মে নির্মাণ করা হ‌য়ে‌ছে। ৪র্থ তলার উত্তর কর্ণা‌রের রুম‌টি‌তে বসবাস কর‌তেন এম‌পি পুত্র এরফান সে‌লিম।

    তার রু‌মের তোশকের নিচে ম্যাগ‌জিন ভ‌র্তি এক‌টি বি‌দেশী পিস্তল পাওয়া গে‌ছে। এছাড়া ৫ম তলায় পূর্ব পা‌শের কর্ন‌ারে ৫‌টি ওয়ারল্যাস এ‌বিএস সি‌স্টেম ও ৪০টি ওয়াকিট‌কি ‌সেট, এক‌টি হ্যান্ডকাপ, এক‌টি বন্দুক, বি‌দেশী ম‌দের বোতল ও বিয়ার মদ পাওয়া গে‌ছে।

    এসব সরঞ্জাম ও আগ্নেয়াস্ত্র ফ‌রেন‌সিক রি‌পো‌র্টের জন্য এখ‌নো যে অবস্থায় ছিল, তেমন‌টি রে‌খে দেয়া হয়‌নি ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যা‌জি‌স্ট্রেট স‌রোয়ার আলম।

    র‌্যাব জানায়, আটক এরফান মোহাম্মদ সে‌লিম ঢাকা দ‌ক্ষিণ সি‌টি কর‌পো‌রেশন (ডিএস‌সি‌সি) ৩০ নম্বর ওয়া‌র্ডের কাউ‌ন্সিলর ও নোয়‌াখালী -৪ আস‌নের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীরর মে‌য়ের জামাতা। এ রি‌পোর্ট লেখা পর্যন্ত ( সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) অভিযান শেষ হ‌য়ে সংবাদ স‌ম্মেল‌নের প্রস্তু‌তি নেয়া হ‌চ্ছে ব‌লে জানা গে‌ছে।

    প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা -৭ আস‌নের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সে‌লি‌মের গাড়ির স‌ঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ল্যফটেন্যান্ট ওয়া‌সিফ আহ‌মেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল। এরপরই গাড়ি থেকে এরফান সে‌লিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে বেদম পিটিয়েছেন।

    রাত সোয়া ১০ টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল দুইই ধানমণ্ডি থানায় জব্দ করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যা‌চেষ্টার অভি‌যো‌গে ধানম‌ণ্ডি থানায় মামলা দা‌য়ের করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর: হাজী সেলিমের গাড়িচালক রিমান্ডে

    নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর: হাজী সেলিমের গাড়িচালক রিমান্ডে

    নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    সোমবার (২৬ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার তাকে ৫ দিন রিমান্ডে চেয়েছিলেন।

    ২৫ অক্টোবর রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন এলাকায় নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটর সাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে।

    তিনি পরিচয় দিলেও আসামিরা গাড়ি থেকে নেমে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

    এ ঘটনায় ওয়াসিফ আহমদ খান বাদি হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান গ্রেপ্তার

    হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান গ্রেপ্তার

    ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

    নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা মামলায় আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সাংসদ হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গতকাল রবিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে এসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে থানায় মামলা দায়ের করেন ঘটনার শিকার লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।

    ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার এজাহারে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফান সেলিম, তাঁর বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো দুই-তিনজনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এজাহারে বলা হয়, এরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি (লে. ওয়াসিফ) সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

    এজাহারে লে. ওয়াসিফ বলেন, ‘তারা আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।’

    মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া।

    আজ সোমবার সকালে মামলা দায়েরের পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান এবং ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহ হিল কাফি।

    গতকাল রবিবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যান মারধরকারীরা। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

    পুলিশ জানায়, নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এসময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে দুইজন ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।

    পুলিশ সূত্র মতে, ঘটনার সময় সাংসদ হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।

    মারধরের কারণে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম বেশ আহত হন। সঙ্গে থাকা তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ওয়াসিম তাঁর স্ত্রীর বই কিনে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। গাড়িতে হাজী সেলিমের ছেলে ও তাঁর নিরাপত্তাকর্মীসহ কয়েকজন ছিলেন বলে জানা যায়।

    ওই ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। সেখানে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ভিডিওটিতে দেখা ও ধানমন্ডি থানার সামনে থাকা জব্দ হাজী সেলিমের গাড়ির নম্বর ছিল ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬। গাড়িটির চালককেও থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সাংসদ হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর(ভিডিও)

    সাংসদ হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর(ভিডিও)

    ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম আহমেদকে মারধর করা হয়েছে।

    রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর গাড়িটি ফেলে এর নম্বরপ্লেট ভেঙে চলে যান হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ডরা। গাড়ির নম্বর– ঢাকা মেট্টো- ঘ ১১-৫৭৩৬।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, মারধর করা ব্যক্তি হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ড। তবে হাজী সেলিমের ৩ ছেলের মধ্যে কোন ছেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

    এ ঘটনায় রাতে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান নামে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা।

    এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওয়াসিম আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে দাবি করলেও, জিডিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়নি।

    জিডিতে ওয়াসিফ আহমেদ উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়ান ওয়াসিম। তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে জাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ২-৩ জন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ তুলে নেয়ার হুমকি দেয় তারা।

    ধানমন্ডি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল্লাহ জাহিদ জানান, সাংসদ হাজী সেলিমের জিপ গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল সামান্য ঘষা লাগায় প্রথমে কথা কাটাকাটি, এরপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

    ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তিনি রাস্তায় জটলা থেকে মুঠোফোনে ভিডিও করেন। তাঁর সামনেই সাংসদের গাড়ি থেকে নেমে এসে একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।

    এই প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার সময়ে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিজেকে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, বই কিনে স্ত্রীসহ মোটরবাইকে ফিরছিলেন। ওই গাড়িটি তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। তিনি তখনই মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। গাড়ি থেকে নেমে দুই ব্যক্তি তাঁকে মারধর শুরু করেন। মারধরের কারণে তাঁর (ওয়াসিম) দাঁত ভেঙে গেছে। তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সাংসদের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়। ভিডিওতে গাড়ির নম্বর দেখা যায় ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬। ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাজী সেলিমের মুঠোফোনে কল এবং খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

    রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সূত্র জানায়, দুই পক্ষই থানা থেকে চলে গেছে। রাত পৌনে ১২টায় ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়াঙ বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। যেহেতু বিষয়টিতে বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে তাই পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। গাড়ি ও মোটরসাইকেল থানায় আছে।

    ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইকরাম আলী মিয়া রাত ১২ টার দিকে বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি। যেহেতু বিষয়টিতে বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে তাই তাঁরা অপেক্ষা করছেন। গাড়ি ও মোটরসাইকেল থানায় আছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম