Tag: হাটহাজারীতে

  • হাটহাজারীতে অবৈধভাবে দখলে থাকা সরকারি ১০ শতক জমি উদ্ধার

    হাটহাজারীতে অবৈধভাবে দখলে থাকা সরকারি ১০ শতক জমি উদ্ধার

    হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের মদনহাট এলাকায় নিজেদের দখলে রাখা সরকারি ভুমি ছেড়ে দিতে বার বার নোটিশ দেওয়ার পরও কর্ণপাত হয়নি অবৈধ দখলদারদের। অবশেষে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে উপজেলা প্রশাসন।

    আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টার উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার করা হয় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা মূল্যের ১০ শতক সরকারি জমি। উচ্ছেদ করা হয় ১১টি পাকা ভবন ও আধা পাকা স্থাপনা।

    এসব অভিযানের নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন। অভিযানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সম্রাট খীসা, চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামিম, হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ও পরিষদের সদস্যরা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করেন।

    জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মদনহাট ইউনিয়ন পরিষদ এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছিল কতিপয় ব্যবসায়ী। যার ফলে সড়কটিতে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলের সমস্যা হচ্ছিল।

    সমস্যার নানা দিক তুলে ধরে একাধিক ভুক্তভোগী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে অবগত করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে বার বার নোটিশ দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার অভিযানের মাধ্যমে এসব সরকারি জায়গা উদ্ধার করে প্রশাসন।

    অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবৈধ দখলদারদের সরকারি জায়গাটি ছেড়ে দিতে ফতেপুর চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রশাসন বার বার নোটিশ দিয়েছে।

    কিন্তু তারা ছাড়েনি। অবশেষে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা মূ্ল্যের ১০ শতক সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। জায়গাটি উদ্ধারের ফলে সাধারণ যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন হবে এবং পরিষদের সামনে একটি বহুতল ভবন (কাঁচাবাজার) নির্মিত হবে।

    ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, দখলকার যেই হোক কাউকে ছাড় দেবেনা প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে অবৈধভাবে দখলে থাকা সকল সরকারি জায়গা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবে প্রশাসন।

  • হাটহাজারীতে রাজমিস্ত্রির ঝুলন্ত লাশ : হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়েছে দাবি পরিবারের

    হাটহাজারীতে রাজমিস্ত্রির ঝুলন্ত লাশ : হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়েছে দাবি পরিবারের

    চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় বাড়ির পাশের আম গাছের সাথে গলায় রশি দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় রাজমিস্ত্রি আনিসুর রহমান (১৯)’র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা এলাকার নওশাপাড়া মিয়া মেম্বারের বাড়ির পাশের একটি আম গাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আনিসুর রহমান ওই বাড়ির মনসুরের পুত্র।

    লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলা হলেও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করছে তাকে কেউ হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য গলায় রশি বেঁধে আম গাছের সাথে ঝুঁলিয়ে রেখেছে।

    নিহত আনিসের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন ২১ অক্টোবর আনিস রাজমিস্ত্রী কাজে ঘর থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি। তার অপেক্ষায় গভীর রাত পর্যন্ত বসে থেকে অবশেষে ঘুমিয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন।

    সকালে আনিসের পিতা গোসলের জন্য পুকুর ঘাটে যাওয়ার পথেই তার ছেলেকে আম গাছের ঢালে ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় রশি লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় আনিসের মরদেহ উদ্ধার করে।

    নিহতের মা দিলওয়ারা বেগম জানিয়েছেন, তার পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাশ্ববর্তীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। তারা মিথ্যে মামলা দিয়ে আমাদের পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের হয়রারনি করছে।

    গত এক বছর আগেও পরিবারের সাত সদস্যকে আসামি করে একটি ডাকাতি মামলা দিলে ওই মামলায় নিহত আনিস আটদিন জেলও খেটেছেন। একই মামলায় গত ১ অক্টোবর সে হাজিরাও দিয়েছেন নিহত আনিস। নিহতের পরিবারের দাবী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আনিসকে কেউ হত্যা করে লাশটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছে।

    এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আনিসের লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছি। তবে নিহতের পরিবারের বিভিন্ন অভিযোগের সূত্র ধরে এবং মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

  • হাটহাজারীতে ২ সন্তানের জননীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

    হাটহাজারীতে ২ সন্তানের জননীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

    হাটহাজারী পৌর সদরের পশ্চিমে সন্দীপ পাড়ার পাহাড়ি এলাকায় এক গৃহবধু (২৪) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

    গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া বারোটার দিকে ঘরে কোন পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে স্থানীয় সন্ত্রাসী ওয়াসিম (৩২) ও তার সহযোগী দুলাল (৩১) গৃহবধুর ঘরের দরজা ভেঙ্গে জোর পূর্বক প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সন্তানদের জিম্মি করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    ধর্ষনের শিকার গৃহবধুর স্বামী প্রবাসে চাকুরী করেন। ঐ গৃহবধু সন্দ্বীপ পাড়ার পাহাড়ী এলাকায় ৫ ও ৪ বছর বয়সী দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে থাকেন।

    কান্নাজড়িত কন্ঠে ঐ গৃহবধু জানান, অন্যদিনের মতো গত মঙ্গলবার রাতে আমি সন্তানদের নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। রাত সোয়া বারটার দিকে ঘরের পেছনের দরজা ভেঙ্গে এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ওয়াসিম (৩২) ও তার সহযোগী দুলাল (৩১) আমার ঘরে প্রবেশ করে।

    তারা ধারালো দা দিয়ে আমার সন্তাদের জিম্মি করে করে রাখে আমাকে পালাক্রমে নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। আমি তাদের বাপ-ভাই ডেকেও রক্ষা পাইনি। সন্ত্রাসীরা এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে দুই ছেলে ও আমাকে জবাই করে খুন করার হুমকি দেয়।

    পরে সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয়দের সহায়তায় হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তার আমাকে চমেকে যেতো বললেও ঐ সন্ত্রাসীদের ভয়ে আবার ঘরে ফিরে আসি। আতঙ্কে এখন পার্শ্ববর্তী এক মহিলার ঘরেই দুই সন্তানকে নিয়ে রাতযাপন করি। এখন আমি কী করবো, কোথায় যাবো? গভীর ক্ষোভ ও অপমানে আমার এখন আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ নেই।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ষক ওয়াসিম হাটহাজারী পৌর এলাকার রঙ্গীপাড়া গ্রামের মচুয়া বাপের বাড়ির মৃত গুরা মিয়ার পুত্র। সে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং খুন, ডাকাতি ও একাধিক মাদক মামলার জেলখাটা আসামি। সে পাহাড়ঘেঁষা সন্দ্বীপ কলোনীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

    এর আগেও বিভিন্ন সময় সে ওই এলাকার নিরীহ পরিবারের পুরুষ সদস্যদের অনুপস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। অপর ধর্ষক দুলাল বরিশালের জেলার কালামের পুত্র। সেও এলাকার ত্রাস হিসেবে কুখ্যাতি রয়েছে।

    হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইমতিয়াজ বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় ওই মহিলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে আসেন। ধর্ষণের ঘটনা হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চমেকে রেফার করে দেওয়া হয়েছে।’

    হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, ‘ ঘটনার শিকার মহিলা বিষয়টি প্রথমে আমাদের জানাননি। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

  • হাটহাজরীতে ইয়াবা ও ৫ রাউন্ড বুলেটসহ আটক ১

    হাটহাজরীতে ইয়াবা ও ৫ রাউন্ড বুলেটসহ আটক ১

    হাটহাজারীতে জাতীয় পার্টির নেতার পুত্র মামুন (৩০)কে বুলেট ও ইয়াবাসহ আটক করেছে হাটহাজরী থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার(১অক্টোবর) তার নামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ। আটক মামুন হাটহাজারী পৌর এলাকার পশ্চিম দেওয়ান নগর মৌলভী পাড়ার মোঃ মহিবুল হকের পুত্র। তার পিতা হাটহাজারী উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা।

    সূ্ত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে হাটহাজরী মডেল থানার এসআই আনিস আল মাহমুদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ঐ এলাকার আবুল বাশার পোষ্ট মাষ্টার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার মাথা থেকে মামুনকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে পাঁচ ৫ রাউন্ড চায়না বুলেট ও পঞ্চাশ ৫০ পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ।

    এ ঘটনায় বাদি হয়ে পুলিশ তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা ও একটি মাদক মামলা দায়ের করে। অভিযানে এসআই আবেদ আলি, এএসআই ইউনুছ ও এএসআই মহসিন উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়াও মামুনের বিরুদ্ধে আগেও তিনটি মাদকের মামলা আছে জানিয়ে হাটহাজরী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, তাঁকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

  • হাটহাজারীতেও দুর্গাপুজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা

    হাটহাজারীতেও দুর্গাপুজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা

    সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব আগামী ৩ অক্টোবর সায়ংকালে শ্রী শ্রী দূর্গাদেবী বোধনের মাধ্যমে পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। জগৎ জননী দশভূজা মা দূর্গা প্রতিবছর এসময়ে শক্তি,ভক্তি, শান্তি ও মুক্তির অধিষ্ঠ্যত্রী দেবী চন্ডিকা সকল প্রকার অনাচার ও অভিচার, জরাজীর্ণতা দূর করার প্রয়াসে সর্বোপরী আশুর ও অশুভশক্তির বিনাস কল্পে ধরাধামে নেমে আসে।

    আসন্ন পুজা উৎসবকে কেন্দ্রে করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন পুজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাছেন মৃৎ শিল্পীরা। বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিযোগীতা মূলক ভাবে প্রতিমা তৈরীতে আধুনিকতার ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কিছু কিছু মন্ডপে মৃৎ শিল্পীদের তৈরি করা মজুদ প্রতিমা ক্রয় করে মন্ডপে পূজার জন্য আনার উদ্যেগ চলছে। এজন্য পূজা মন্ডপ সাজানো, তৈরির কাজ ও চলছে পুরোদমে।

    উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আওতাধীন ১৪ টি ইউনিয়ন, ১ টি পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডে মোট ১১৯ টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

    ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে ৬ টি, ধলই ইউনিয়নে ১৫ টি, মির্জাপুর ইউনিয়নে ১২ টি, গুমানমর্দ্দন ও নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নে ১টি করে ২টি করে, হাটহাজারী পৌরসভার ৯ টি, মেখল ইউনিয়নে ১১ টি, ফতেপুর ইউনিয়নে ৩টি, চিকনদন্ডী ইউনিয়নে ২৭ টি, উত্তর ও দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নে ৪টি করে ৮ টি করে, শিকারপুর ইউনিয়নে ৮টি, বুড়িশ্চর ইউনিয়নে ৬টি ও চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডে ১২ টি পূজা মন্ডপে পূজার আয়োজন চলছে।

    এ ব্যাপারে হাটহাজারী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি লিটন মহাজন জানান, পূজা মন্ডপে আনন্দঘন পরিবেশে চলছে কারিগরদের শিল্প নৈপূন্য। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মৃৎ শিল্পীরা এসে প্রতিমা তৈরি করছেন উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে। মৃৎ শিল্পী কম থাকায় একজন শিল্পী বেশ কয়টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি করছে। তাছাড়া এবার প্রতিমা তৈরীর মজুরী ও গত বারের তুলনায় অনেক বেশী। তিনি বলেন এসব পুজা মণ্ডপের বিভিন্ন বিষয় সার্বিক তদারকি করছেন হাটহাজারী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক বাবলু দাশ।

    এদিকে দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে সনাতন সম্প্রাদায়ের লোকজন পুজার উপকরণসহ বাড়িঘর সাজানোর জন্য নানা জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন হাট বাজারের দোকান ও মার্কেটে ভীড় করছে।

    তাছাড়া পুজার জন্য নতুন পোষাক ও ক্রয় করছে অনেকেই। অপেক্ষাকৃত বয়োজেষ্টরা নতুন পরিধেয় ক্রয় না করলেও ছোটদের আনন্দের জন্য তাদের খুশি রাখতে নতুন জামা কাপড় কিনে দিচ্ছে।

    ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন দোকান পাট ও মার্কেটে বিক্রির উদ্দেশ্যে নতুন নতুন পোষাক এনে সাজিয়েছে। ইতিমধ্যে শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা অনুষ্ঠানের জন্য কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা থানা মিলনায়তনে মতবিনিময় করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি এড. সুমন কান্তি আচার্য ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন চৌধুরী।

    আরো : দুর্গাপুজা আসন্ন, সীতাকুণ্ডের পাড়া-মহল্লায় সাঁজ-সাঁজ রব

    আরো : রাউজানে ২৩২ মণ্ডপে দুর্গাপুজার প্রস্তুতি, প্রতিমায় রং-তুলির প্রলেপ

  • হাটহাজারীতে আব্দুস সালাম স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    হাটহাজারীতে আব্দুস সালাম স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    দেশের যুব সমাজকে ধংস ও মাদকের হাত থেকে রক্ষার জন্য শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসিম। তাই বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে আরো উন্নত করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া করে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে অবদান রাখার কথা বলা হয়েছে।

    দেশকে বিশ্বের সাথে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নের্তৃত্ব দিতে হলে বর্তমান প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় হাটহাজারীতেও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দক্ষ শিক্ষার্থী গড়ে তোলার জন্য আব্দুস সালাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তথ্য প্রযুক্তির উপর কাজ করে যাচ্ছে। ফলে তথ্য প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীরা আগামীতে সুন্দর একটি দেশ উপহার দিবে।

    গত রবিবার হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আব্দুস সালাম স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থী ফ্রিলাঞ্চিং এর উপর স্কিল ডেভেলাপমেন্ট করে ক্যারিয়ার গড়ার উপর ভক্তরা আলোচনা করেন।

    আব্দুস সালাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং সমন্বয় কমিটির সদস্য মোঃ শাহজাহান ও সার্ভেয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন টিপুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস. এম রাশেদুল আলম।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন হাটহাজারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও আব্দুস সালাম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ফরিদ আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সভাপতি ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এম নিয়াজ মোর্শদ, সাংবাদিক কেশব কুমার বড়ুয়া, প্রভাষক আবু তালেব, ফ্রিল্যান্সিার আসমিকা তাবাচ্ছুম মিথিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম দিদারুল আলম দুলাল, রেজাউল করিম বাবু, কামাল উদ্দিন আকাতার প্রমুখ।

    প্রকৌশলী রিয়াজ মোর্শেদের স্বাগত বক্তব্য শেষে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবীর, মো: রিফাত, মাহমুদুল হাসান, সাজ্জাত, মামুন, মিজান, মেহেরাজ, ইসতিয়াক।

    ৩য় বারের মত অনুষ্ঠিত আব্দুস সালাম স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষায় হাটহাজারীর বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৭৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। তন্মধ্যে মোট ৪১ জনকে কৃতিত্বের স্মারকসহ সনদপত্র প্রদান করা হয় এবং তাদেরকে আইটি জোন কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধীনে বিনামূল্যে তিন মাসের কম্পিউটার কোর্স প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

    এদের মধ্যে থেকে সেরা ৫ জন শিক্ষার্থীকে কৃতিত্বের স্মারকসহ গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স পূণরায় বৃত্তি দেওয়া হয়।

  • ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে গৃহবধুকে গণধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

    ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে গৃহবধুকে গণধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

    চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত।

    আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মোতাহের আলী এই রায় দেন।

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি এম এ নাসের। তিনি বলেন, ধর্ষিত গৃহবধূসহ ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। তাছাড়া প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, দণ্ডিত আসামীরা হলেন, মৃত আব্দুল শুক্কুরের ছেলে মো. সোহেল (৩২), মৃত আজিজুল হকের ছেলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (২৮) ও মৃত তোফায়েল আহম্মেদের ছেলে ফয়েজ আহমদ (৩০)। তারা প্রত্যেকে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ মে রাতে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে দলবেঁধে প্রবেশ করে একদল যুবক। এসময় তাদের কাছে থাকা অস্ত্রের মুখে সন্তানদের জিম্মি করে এক গৃহবধুকে গণধর্ষণ করে যুবকরা।

    পরে এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ধর্ষিত গৃহবধূর স্বামী। মামলার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অবিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত সোহেল, ফয়েজ ও মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে গ্রেফতার সোহেল ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

    ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে গত বছরের ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে আদালত।