Tag: হামলার শিকার

  • চবিতে ছাত্রলীগের হামলার শিকার ছাত্রদল

    চবিতে ছাত্রলীগের হামলার শিকার ছাত্রদল

    চবি প্রতিনিধিঃ বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্যে ফুল দিতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।

    বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নগরের ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    চবি ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন এ বিষয়ে বলেন, দুপুর পৌনে একটার দিকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্যে ফুল দিতে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক হাসান, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত খান, জসিম উদ্দিনসহ মোট ১০-১২ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও অর্থ সম্পাদক হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

    চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল এ বিষয়ে বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিলো, তারা (ছাত্রদল) ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করবে। এজন্য চিহৃিত শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দিতে এসেছিলো। আমাদের কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে।

    চবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আব্দুর রহিম এ বিষয়ে বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদলের ঝামেলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগও দেয়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদী

  • কর্ণফুলীতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হামলার শিকার প্রকৌশল অফিসের হিসাবরক্ষক

    কর্ণফুলীতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হামলার শিকার প্রকৌশল অফিসের হিসাবরক্ষক

    চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বানাজা বেগমের হামলার শিকার হয়েছেন উপজেলা প্রকৌশল অফিসের হিসাবরক্ষক মো. রফিক।

    মারধরের শিকার এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক মো. রফিক জানান, উপজেলা অফিসে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার স্বামী আমার রুমে এসে আমাকে মারধর করে রুমের কম্পিউটার ও জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।

    রবিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ অস্থায়ী কার্যালয় রিভারভিউ কমিউনিটি সেন্টারের অফিস রুমে (২য় তলা) উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান।

    ঘটনার বিষয়ে খবর নিয়ে জানা যায়, মেম্বারদের করা কাজের দুটি পিআইসি ফাইলে স্বাক্ষর হওয়া নিয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে তাদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।এক বছর পর পিআইসি প্রকল্পের জামানতের অর্থ ছাড় নিতে গেলে ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্ট মাঠের কাজ দেখে নোট দিলে পরে বিল হবে। এমন কথায় হিসাবরক্ষক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

    হামলার শিকার এলজিইডি অফিসের মো. রফিক বলেন, ‘দুপুরে আমি অফিসে বসে কম্পিউটারে কাজ করছিলাম। এমন সময় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম রুমে এসে গত বছরের দুটি পিআইসি ফাইলের বিল পাসে স্বাক্ষর হয়েছে কিনা জানতে চান। আমি তখন বললাম ফাইলে স্বাক্ষর হয়নি। সব ফাইল প্রকৌশলী ম্যাডামের টেবিলে। উনি আজ অফিসে আসেননি। কাল আসলে হয়ত হবে।

    এরপর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুম থেকে চলে যায়। তার ২০ মিনিট পরপরই হঠাৎ দেখি আবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উনার স্বামী রুমে ডুকে জানতে চান ফাইলে স্বাক্ষর হবে না কেন, কেন স্বাক্ষর হয়নি। এসব বলতে বলতে আমি কিছু বলার আগেই হঠাৎ দেখি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এভাবে উপর্যুপরি কয়েকবার আমাকে মারধর করে রুমের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তবে তিনি কিছু বলেননি। পরে আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

    তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন কাজ তথা সাইট ভিজিট করে বিলের বিষয়ে মন্তব্য লিখে উপজেলা প্রকৌশলী ম্যাডামের কাছে পাঠানো ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্ট এর দায়িত্ব। সে কাজটি করতে গিয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কর্তৃক আমি হামলার শিকার হলাম।’

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম সাংবাদিককে জানান, আমার নিশাম এন্টারপ্রাইজের করা কাজের ফাইল প্রসেসিং করে প্রকৌশল অফিসে পাঠালেও বিলে স্বাক্ষর হয়নি। অথচ ইউএনও অফিসের সিও’র অফিসে দেখলাম জাইমা এন্টারপ্রাইজের ৩টি ও থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজের ১টি ফাইলে স্বাক্ষর হয়েছে। এটা দেখে পরে রুমে গিয়ে আমার প্রসেসিং করা ফাইলে কেন স্বাক্ষর হয়নি জানতে চাইলে প্রকৌশলী অফিসের রফিক অনেক্ষণ চুপ থাকে তাই মারধর করেছি।’

    কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা মনে হয় এখানকার এলজিইডি অফিসে আর চাকরি করতে পারব না। এ বিষয়ে খুবই সন্ধিহান আমি। প্রায় সময় আমার অফিসে এসে আমার একাউন্টসকে মারধর, গালিগালাজ ও তুই তুকারি করছেন। রিপিটেটলি এইসমস্ত ঘটনাগুলো এরা প্রায় ঘটাচ্ছেন। জুন মাসে কাজের চাপ বেশি। তারপরেও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অফিসে ঢুকে হিসাবরক্ষককে মারধর করেছেন বলে শুনেছি। ঘটনার সময় তার সঙ্গে আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। আমি সাথে সাথে ইউএনও স্যারকে বিষয়টি জানাতে মোবাইলে কল দিলাম কিন্তু উনি ফোন রিসিভ করেননি কিংবা পরে কল ব্যাকও করেননি।

    উপজেলা প্রকৌশলী আরো বলেন, আমরা এ বিষয়ে উপরের প্রশাসনকে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছি। তারপরেও প্রায় সময় এধরনের ঘটনা বারবার ঘটতেছে। আমরা থানায় যেতে যাচ্ছিলাম না। তবে আজকে যে ঘটনা ঘটলো আমি খুব মর্মাহত। আমি আসলে আমার অফিসের কর্মচারীদের প্রটেকশন দিতে পারিনি। যা দুঃখজনক।’

    প্রসঙ্গত, এরপূর্বেও কর্ণফুলী থানার পুলিশের এক এসআইকে গালিগালাজ করার অপরাধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

    ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই আবারও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মোস্তাফিজের হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছিল। যা সে সময় বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিলো।

    ঘটনার বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন বলেন, ‘মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। তবে ঘটনার সময় আমি ডিসি অফিসে ছিলাম। এখনো কেউ আমাকে বিষয়টি লিখিত বা মৌখিক ভাবে জানায়নি।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলেকে মারধরের কারণ জানতে গিয়ে হামলার শিকার পুরো পরিবার

    ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলেকে মারধরের কারণ জানতে গিয়ে হামলার শিকার পুরো পরিবার

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে রাতের আঁধারে ছেলেকে মারধরের কারণ
    জানতে গিয়ে পুরো পরিবারের সদস্যরা প্রতিপক্ষের ন্যাক্কারজনক হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলার শিকার পরিবারের ৬ সদস্য বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    মঙ্গলবার (২৫ফেব্রুয়ারী) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী কাশিডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আসলাম জুয়েল।এছাড়াও তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর নেন।

    আহতরা হলেন- রশিদুল ইসলাম ওরফে বুধু মেম্বার (৬০), তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৫৫), ছেলে আ: সালাম (৩০), বৌমা রুবিতা (৩২), বৌমা রিনা (২৭) ও নাতনি কাজল (১৪)। এছাড়াও আহত আরও ৩জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন।

    আহত বুধু মেম্বারের মেজো ছেলে আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বছরের জুলাই মাসের ১ তারিখে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমাদের বাসায় ডাকাতি করে সংঘবদ্ধ চক্রটি। সে সময় আমার ব্যবসায়িক টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে তারা। এদের মধ্যে কয়েকজনকে আমি চিনে ফেলি এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। বর্তমানে সেই মামলাটি পিবিআইয়ে তদন্তাধীন রয়েছে।

    ইতিমধ্যে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রাতে আমার ছোট ভাই আ: সালাম আমার ব্যবসায়িক টাকা-পয়সা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে সংঘবদ্ধ চক্রটি তার উপরও হামলা চালিয়ে টাকা-পয়সা নিয়ে তাকে ফেলে চলে যায়।পরে তার আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকেরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

    এদিকে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে আমার বাবা বুধু মেম্বার সালামকে মারধরের কারণ জানতে চাচাতো ভাই সৌরভ (২২)কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে বাবুল (৪৩), রব্বানী (৪৮), এসা (৪৪), আজগর (৪০), মন্টু (২৮), আশরাফুল ইসলাম মংলু (৩২) সকলের পিতা মৃত- খেলাফত উদ্দিন এবং বাবুলের ছেলে হুমায়ুন (২৬), রব্বানীর ছেলে শাহাজাহান (২৫) ও তাদের স্ত্রীরা সকলে মিলে রামদা, রড, কাস্তে, ক্রিকেট খেলার ব্যাড দিয়ে আমাদের পরিবারের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।

    এসময় মহিলারা এলোপাতারি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।এদের মধ্যে মন্টু (২৮)ও আশরাফুল ইসলাম মংলু (৩২) সেই ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামী।

    তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় উপায় না পেয়ে ৯৯৯-এ কল দিলে বালিযাডাঙ্গী থানা থেকে এসআই রাশেদুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

    কিন্তু তারা এতোই বেপরোয়া যে পুলিশের সামনেই হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

    হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বুধু মেম্বার জানান, আমার ছেলেকে রাতের আঁধারে কেন মারধর করেছে এটা জানতে গিয়েই এ হামলার শিকার আমরা। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মন্টু মারপিটে ৬ জনকে হাসপাতালে প্রেরণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি সেসময় বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। উল্টো তারাই আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে।

    এ বিষয়ে জানতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আসলাম জুয়েলের সাথে
    যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছি।

    তিনি বলেন, বাবুল-রব্বানী গং বয়স্ক মানুষদের উপর হামলা চালানো ঠিক করেনি। আমি তাদের পূর্বে বিষয়টি নিরসনে শালিস বৈঠকের বন্দোবস্ত করেছিলাম, এরই মধ্যে এ ঘটনা। তারপরও তাদের বলেছি বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে, তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুজ্জামান হেলাল জানান, মারামারির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেওয়া হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।