Tag: হালদা নদী

  • হালদা নদীতে ৪০তম বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার, চলতি বছরে তৃতীয়

    হালদা নদীতে ৪০তম বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার, চলতি বছরে তৃতীয়

    এশিয়ায় অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ভাসমান অবস্থায় আরো একটি বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।

    বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মৃত ডলফিনটা উদ্ধার করা হয়। এটি এ পর্যন্ত হালদা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া ৪০তম মৃত ডলফিন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩টি মৃত ডলফিন হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৪৫ ইঞ্চি এবং ওজন ১৩.৩৯০ কেজি।

    সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নদীতে জোয়ারের সময় এটি কর্ণফুলীর মোহনা অথবা কাছাকাছি কোনো স্থান থেকে ভেসে আসতে পারে। দুপুরে নদীর আজিমের ঘাট এলাকায় পানিতে মৃত একটা ডলফিন ভাসতে দেখে স্থানীয় রোসাঙ্গীর আলম নামের এক স্বেচ্ছাসেবী আমাদের বিষয়টি অবহিত করেন। সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ডলফিনটাকে স্থানীয়দের সহায়তায় তীরে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এ সময় ডলফিনের শরীরে আঘাতজনিত কোনো চিহ্ন দেখিনি। ধারণা করছি, নদীতে দুষণজনিত কারণে ডলফিনের মৃত্যু হতে পারে।

    পরে সেটি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

    চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, হালদা গবেষক ড.মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, হালদা নদীতে একের পর এক ডলফিন ও মাছের মৃত্যু নদীর জীববৈচিত্র্যের জন্য অশনিসংকেত। নদী দুষণের হাত থেকে এই নদীকে রক্ষা করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। না হলে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ার শংকার পাশাপাশি নদীর মা মাছের প্রজননক্ষেত্রও ক্ষতির মুখে পড়বে।

  • গভীর রাতে হালদায় অভিযান, ৪ হাজার মিটার জাল জব্দ

    গভীর রাতে হালদায় অভিযান, ৪ হাজার মিটার জাল জব্দ

    দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে চার হাজার মিটার অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ করেছে প্রশাসন।

    মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

    উপজেলার গড়দুয়ারা ও মাদার্শা ইউনিয়ন এবং রাউজান সীমান্ত অংশের হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে চলে এ সাঁড়াশি অভিযান। এতে চার হাজার মিটারের ৮টি অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ করা হয়।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, মধ্যরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চার হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। হালদা নদীর মা মাছ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • হালদা নদী থেকে ৫০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ

    হালদা নদী থেকে ৫০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ

    চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার হালদা নদী থেকে মাছ ধরার ৫০০ মিটার অবৈধ ঘেরাও জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের নয়াহাট থেকে গুমানমর্দ্দন পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    হাটহাজারী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক ময়েদুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    অভিযানে একটি ৫০০ মিটার লম্বা ঘেরা জাল এবং জাল বসানোর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।

    হালদা নদীতে অবৈধ মৎস্য শিকার বন্ধে আইডিএফ ও পিকেএসএফ’র স্পিড বোটের সহযোগিতায় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- আইডিএফ’র এভিসিএফ ফয়েজ রাব্বানী এবং জাল উঠানোর কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন আইডিএফ’র সার্বক্ষণিক নদী পাহারাদার মো. আমিনুল ইসলাম ও রুবেল বড়ুয়া।

    অবৈধ মৎস্য শিকারী ও অবৈধ জাল উদ্ধার করতে এই ধরনের অভিযান অব‍্যাহত থাকবে বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।

     

  • হালদায় ডিম ছাড়লো মা মাছ

    হালদায় ডিম ছাড়লো মা মাছ

    দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে বহু প্রতীক্ষিত ডিম ছেড়েছে মা মাছ। রোববার (১৮ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া।

    তিনি বলেন, এখন মৌসুমের সর্বশেষ অমাবস্যার জো চলছে। শেষমুহূর্তে এসে মা মাছ ডিম ছাড়লো। এর আগে কয়েকবার নমুনা ডিম ছেড়েছিল। এবার পুরোপুরি ডিম ছেড়েছে। রোববার রাতে নদীর নাপিতের ঘাট, আমতুয়া এবং আজিমের ঘাট এলাকা থেকে ডিম সংগ্রহ করছেন জেলেরা।

    ডিম সংগ্রহকারী জেলে মো. কামাল বলেন, রোববার দিনেও মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছিল। রাতে এসে পুরোপুরি ডিম ছাড়লো। আমরা ৫টি নৌকা দিয়ে গড়দুয়ারা নয়াহাট কুমে থেকে ডিম সংগ্রহ করছি।

    জানা গেছে, বছরের এপ্রিল থেকে জুনের যেকোনো সময়ে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, পূর্ণিমা বা অমাবস্যার তিথি বা জো থাকতে হবে। একই সময়ে নদীর স্থানীয় এবং খাগড়াছড়ি, মানিকছড়িসহ নদীর উজানে পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে হবে। ফলে পাহাড়ি ঢল নামবে এবং নদীতে ফেনাসহ পানি প্রবাহিত হবে। ঠিক এই সময়ে পূর্ণ জোয়ার শেষে অথবা পূর্ণ ভাটা শেষে পানি যখন স্থির হয়, তখনই কেবল মা মাছ ডিম ছাড়ে।

    হালদা গবেষকরা বলছেন, এ বছরের এপ্রিল মাস শুরু হওয়ার পরে ইতোমধ্যে পাঁচটি জো চলে গেছে। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় নদীতে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। তাই মা মাছ ডিম ছাড়েনি। সর্বশেষ রোববার দিবাগত রাতে মা মাছ পুরোপুরি ডিম ছাড়ে।

    গত এপ্রিল থেকে হালদা পাড়ের প্রায় ৫ শতাধিক জেলে ডিম সংগ্রহের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। বিশেষ করে জো চলাকালে তারা রাত-দিন নির্ঘুম থেকে ডিম ছাড়ার প্রহর গুনেছেন।

    খাগড়াছড়ির জেলার বাটনাতলী পাহাড় হতে নেমে সর্পিল ১০৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হালদা নদী মিলেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে। দেশের একমাত্র জোয়ার-ভাটার রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র এই নদীর সুরক্ষায় সরকার ইতোমধ্যে এটিকে বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষণা করেছে।

  • হালদায় ৩’শ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন ফজলে করিম চৌধুরী

    হালদায় ৩’শ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন ফজলে করিম চৌধুরী

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে ৩ শত কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

    শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে নদীর সর্তারঘাট এলাকায় কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থেকে পোনা অবমুক্ত করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

    এ সময় তিনি বলেন, হালদা নদী আমাদের জাতীয় সম্পদ।হালদা নদীর ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদারের সভাপতিত্বে ও সি.উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পীযূষ প্রভাকরের সঞ্চালনায় পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন,পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খান, পৌর কাউন্সিলর আলমগীর আলী, সিনিয়র মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল্ মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা সাধন কুমার পালিত, কামাল উদ্দিন, ক্রীড়া সংগঠক সুমন দে, কৃষক লীগ নেতা জিয়াউল হক চৌধুরী সুমন, তছলিম উদ্দিন প্রমুখ।

    অবমুক্ত করা ৩শ কেজি কার্পজাতীয় মাছগুলো মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে হালদা পাড়ের রাউজান মোবারেকখীল হ্যাচারি কমপ্লেক্সে হালদা নদীর ডিম থেকে উৎপাদিত।

  • হালদা নদীতে অভিযান: এক হাজার মিটার ঘেরজাল জব্দ

    হালদা নদীতে অভিযান: এক হাজার মিটার ঘেরজাল জব্দ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে এক হাজার মিটার ঘেরজাল জব্দ করেছে রাউজান উপজেলা প্রশাসন।

    ৪ নভেম্বর(বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদারের নেতৃত্বে নদীর নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ইন্দিরা ঘাট, নদীমপুর, পশ্চিম ফতেহ নগর এলাকায় এই অভিযান চলে। অভিযানে সহযোগিতা করেন রাউজান থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

    এ সময় হালদা নদীতে জাল বসিয়ে মাছ শিকার করার অপরাধে দুইজনকে আটক করে তাদের কাছ থেকে দশহাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, হালদা নদীর মা মাছ, ডলফিন রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ, তিন শতাধিক নৌকাযোগে ডিম সংগ্রহে উৎসবের আমেজ

    হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ, তিন শতাধিক নৌকাযোগে ডিম সংগ্রহে উৎসবের আমেজ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে তৃতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে কার্পজাতীয় মা মাছ। তিন শতাধিক নৌকাযোগে ডিম সংগ্রহের সময় নদীতে বিরাজ করছিল উৎসবের আমেজ।

    বৃহস্পতিবার (১৬জুন) রাতে থেকে ১৭ জুন বিকাল পর্যন্ত তিন শত নৌকাযোগে ছয় শতাধিক ডিম সংগ্রহকারী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে নদীতে নোঙ্গর করে জাল পেতে ডিম সংগ্রহ করছে। শুক্রবার সারাদিন নদীর মাদার্শা রামদাশ হাট, আমতুয়া, নাপিতেরঘাট, আজিমেরঘাট, কাগতিয়া, গড়দুয়ারার বাঁকে ডিম সংগ্রহকারীদের উৎসবমুখর পরিবেশে ডিম সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।

    হালদা নদী ও মা মাছের গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত হালদার বিভিন্ন পয়ন্টে অবস্থান করে ডিম সংগ্রহকারীদের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। উপজেলা প্রশাসন, নৌপুলিশ ও নদীতে কাজ করে আসা এনজিও সংস্থা আইডিএফ এর কঠোর নজরধারীর কারণে অনুকুল পরিবেশের ফলে নদীতে প্রচুর মা মাছের বিচরণ আছে।

    তিনি আরো বলেন, চলতি বছর নদী থেকে প্রচুর পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করতে পারবে। নদীর পাড়ে অবস্থানকারী আইডিএফর এর কর্মকর্তা শাহ আলম বলেছেন বর্ষণের নদীর স্রোত বাড়ার সাথে মা মাছের ডিম দেয়ার পরিমানও বাড়ছে। পর্যাপ্ত ডিম সংগ্রহের কথা জানিয়েছে নদীতে জাল পেতে ডিম সংগ্রহকারী গড়দুয়ারার কামাল সওদাগর।

  • হালদা থেকে ১২ কেজি ওজনের মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার

    হালদা থেকে ১২ কেজি ওজনের মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার

    দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে ১২ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১ জুন) সকাল ১০টার দিকে নৌ পুলিশের একটি দল এই মৃত মাছটি উদ্ধার করে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে হালদা অস্থায়ী নৌ ক্যাম্পের এএসআই ওমর ফারুক বলেন, সকাল আনুমানিক ১০টার আগে আজিমের ঘাট এলাকা হতে ভেসে আসা মৃত কাতলা মাছটি ভেসে আসতে স্থানীয়রা দেখতে পায়।

    খবর পেয়ে আমরা ফোর্স নিয়ে মৃত কাতলা মাছটি উদ্ধার করি। মাছটির ওজন ১২ কেজি, দৈর্ঘ্য ৩.৫ ফুট, (প্রস্থ ২.৫ পেট বরাবর)। মাছটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মাছটি হালদা গবেষকদের মাধ্যমে ল্যাবে পাঠানোর কথা জানান তিনি।

  • হালদা নদীতে অভিযান: তিনটি ইঞ্জিন চালিত বালুবাহী নৌকা ধ্বংস

    হালদা নদীতে অভিযান: তিনটি ইঞ্জিন চালিত বালুবাহী নৌকা ধ্বংস

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে তিনটি ইঞ্জিন চালিত বালুবাহী নৌকা ধ্বংস ও জরিমানা করা হয়।

    রবিবার (১৪ মার্চ) রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ দর্শী চাকমার নেতৃত্বে অভিযানে ছিলেন উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন। এ সময় আইডিএফ এর এভিসিএফ, রাউজান থানা পুলিশের টিম অভিযানে সহযোগিতা করেন।

    উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণকর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বিকেল ৪টার দিকে নদীর আজিমের ঘাট এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়ে কালুর ঘাট এলাকা পর্যন্ত অভিযান চলে। এ সময় ৩টি অবৈধ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ধ্বংস করা হয় এবং ৮‘শ টাকা জরিমানা করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে অভিযান সমাপ্ত হয়।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, ‘হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রাউজান উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানে অংশ হিসেবে ৩টি অবৈধ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ধ্বংস করা হয় ও ৮‘শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • হালদা নদীতে মাটি ও বালি পাচারের মহোৎসব; হুমকীর মুখে রাবার ড্যাম

    হালদা নদীতে মাটি ও বালি পাচারের মহোৎসব; হুমকীর মুখে রাবার ড্যাম

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে মাটি ও বালি উত্তোলন নিশিদ্ধ হলেও দিন-রাত পাচারের মহোৎসব চলছে। এখান থেকে মাটি ও বালি পাচারের আ’লীগ-বিএনপি-জামায়াত শিবিরের লোকজন মিলে গড়ে উঠেছে বিশাল সিন্ডিকেট। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে হালদা নদীর মৎস ক্ষেত্র, ভূজপুর রাবার ড্যাম এবং হালদা নদী ভাঙ্গণ রোদে চলমান সিসি ব্লক স্থাপন ও ভেড়ী বাঁধ স্থাপনের ১৫৭ কোটি টাকার প্রকল্প। এদিকে উপজেলা প্রশাসন বার বার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেও এই সিন্ডিকেটটির তৎপরতা বন্ধ করতে পারছে না।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশে বিশ্বের এক মাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর সকল বালির মহাল ইজারা প্রদান, বালি ও মাটি তোলা, চরকাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু এই বিধি নিষেধ অমান্য করে ফটিকছড়ি ও ভূজপুর এলাকার বিশাল একটি সিন্ডিকেট নির্বিচারে রাত দিন বালি উত্তোলন করছে, নদীর পাড় ও চর কেটে সড়ক নির্মান, বাড়ি ঘর নির্মাণসহ নানান কাজে ব্যবহারের জন্য পাচার করছে। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে নানান ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা, বিএনপি নেতা ও জামায়াত শিবির নেতারা।

    সরেজমিনে পরিদর্শনে স্থানীয়রা জানায়, হালদা নদীর ভূজপুর রাবার ড্যামের নীচে (দক্ষিণে) আওয়ামীলীগ ও জামায়াত শিবিরের একটি সিন্ডিকেট বিগত এক মাস যাবৎ নদীর ধার, চর ও পাড় কেটে মাটি পাচার করছে। প্রতি ৫মিনিটে এক একটি ড্রাম ট্রাক ভর্তি হচ্ছে মাটি ও বালি। সেখানে মাটি কাটার শ্রমিকরা স্থানীয় নেতাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে জানান, মাটি ও বালি গুলো সড়ক নির্মাণ কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    এদিকে প্রতিদিন পাইন্দং ইউনিয়নের যুগিনী ঘাটা, ফকিরা চাঁন, সুন্দরপুরের ছোট ছিলোনিয়া, এক্কুলিয়া, পাঁচ পুকুরিয়া, সুয়াবিলের সিদ্ধাশ্রমের আশে পাশে, বারমাসিয়া ঘাট, নাইচ্চের ঘাট, আজিমপুর ঘাট, নাজিরহাট পৌরসভার কুম্ভার পাড়, নারায়ণহাট ইউনিয়নের কুয়ারপাড়া, হাপানিয়া, পিলখানা, বারমাসিয়া খালের মাথা, মির্জারহাট এলাকা থেকে জীপ, ট্রাক, ট্রলী ভরে প্রতিটি স্পর্ট থেকে হাজার হাজার গাড়ি বালি ও মাটি পাচার করছে। প্রতি গাড়ি মাটি ও বালি ৩-৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে হালদা নদীর মৎস ক্ষেত্র, ভূজপুর রাবার ড্যাম এবং হালদা নদী ভাঙ্গণ রোদে চলমান সিসি ব্লক স্থাপন ও ভেড়ী বাঁধ স্থাপনের ১৫৭ কোটি টাকার প্রকল্প।

    সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, হালদা নদী থেকে যে হারে মাটি ও বালি উত্তোলন করে পাচার চলছে তাতে ১৫৭ কোটি টাকার ভেড়ী বাঁধ ওনসিসি ব্লকের উন্নয়ন প্রকল্পে গুড়ে বালি হচ্ছে।

    সুন্দরপুর এক্কুলিয়া এলাকার বাসিন্ধা সফিউল আজম জানান, হালদা নদীর বালি মাটি পাচারকারীদের গাড়ির শব্দে রাতের ঘুম হারাম হয়েছে। ইউএনও অভিযান করে চলে যাবার পর আবার সক্রীয় হয় পাচারকারী সিন্ডিকেট।

    পাইন্দং এলাকার এক ইট ভাটার মালিক জানান, ইট তৈরীর জন্য আমরা মাটি কাটি সত্য। কিন্তু নদী থেকে মাটি ও নদীর পাড় কাটি না। এখন সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যবহারের কথা বলে একটি সিন্ডিকেট রাত দিন নদী থেকে বালি ও মাটি পাচার করছে।

    নারায়ণহাট ইউনিয়নের এক বাসিন্ধা রহিম সিকদার জানান, মাটি ও বালি পাচারকারীরা অধরা। তারা ক্ষমতাসীন দল ও কতিপয় জনপ্রতিনিধির নাম ব্যবহার করে রাত দিন এমন কাজ করেই চলছে।

    ভূজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা বাবু রনজিৎ কুমার জানান, অভিযোগ পেয়ে একবার হালদা নদীতে লোকজন পাঠিয়েছিলাম।তখন কাউকে পাওয়া যায়নি।

    সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ বলেন, প্রতিদিন বালি চোর, মাটি চোর ও পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এরা বৃহৎ সিন্ডিকেট এবং দূর্ত। আমরা উপজেলা থেকে বের হবার পর পরই তারা পালিয়ে যায়। তাই ছদ্মবেশ ধারণ করেও অভিযান চালানো হচ্ছে।

    এব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, কয়েকদিন আগে হালদা নদীর চর কেটে মাটি পাচার করার অপরাধে কয়েক ব্যক্তিকে অর্থ দন্ড করা হয়েছে। ৮/১০টি জীপ ট্রাক ট্রলী সহ খনন যন্ত্র আটক করা হয়েছে। এসব কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এলাকার বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ পাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে নদীর চরের দখলদার ব্যক্তিরা সোচ্ছার হলে এসব মাটি পাচার সিন্ডিকেট দ্রুতই নির্মুল হবে। কিন্তু তারা মুখ খুলে না এবং প্রশাসনকে সহযোগীতা করে না।

  • হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা

    হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা

    প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত মান উনয়নের মাধ্যমে রুই জাতীয় মাছের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও গাঙ্গেয় ডলফিনের আবাসস্থল সংরক্ষণের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় ও মানিকছড়ি উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারী উপজেলা এবং পাঁচলাইশ থানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী এবং নদী তীরবর্তী ৯৩ হাজার ৬১২টি দাগের ২৩ হাজার ৪২২ একর জমিকে বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

    পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করে।

    সরকারের গেজেট অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ এলাকায় ১২টি শর্ত কার্যকর হবে। শর্তগুলো হলো:

    এ নদী থেকে কোনো প্রকার মাছ ও জলজ প্রাণী ধরা বা শিকার করা যাবে না।

    তবে মৎস্য অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে প্রতিবছর প্রজনন মৌসুমে নির্দিষ্ট সময়ে মাছের নিষিক্ত ডিম আহরণ করা যাবে।

    প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংসকারী কোনো প্রকার কার্যকলাপ করা যাবে না।

    ভূমি ও পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট বা পরিবর্তন করতে পারে, এমন সব কাজ করা যাবে না।

    মৎস্য ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রকার কার্যাবলী করা যাবে না।

    নদীর চারপাশের বসতবাড়ি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পয়ঃপ্রণালী সৃষ্ট বর্জ্য ও তরল বর্জ্য নির্গমণ করা যাবে না।

    কোনো অবস্থাতেই নদীর বাঁক কেটে সোজা করা যাবে না।

    হালদা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ১৭টি খালে প্রজনন মৌসুমে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই) মৎস্য আহরণ করা যাবে না।

    হালদা নদী এবং এর সংযোগ খালের ওপর নতুন করে কোনো রাবার ড্যাম এবং কংক্রিট ড্যাম নির্মাণ করা যাবে না।

    বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ তদারকি কমিটির অনুমতি ব্যতিরেকে হালদা নদীতে নতুন পানি শোধনাগার, সেচ প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা যাবে না।

    পানি ও মৎস্যসহ জলজ প্রাণীর গবেষণার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ তদারকি কমিটির অনুমতিক্রমে হালদা নদী ব্যবহার করা যাবে।

    মাছের প্রাক প্রজনন পরিভ্রমণ সচল রাখার স্বার্থে হালদা নদী এবং সংযোগ খালের পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

    রুই জাতীয় মাছের প্রাক প্রজনন এবং প্রজনন মৌসুমে (মার্চ-জুলাই) ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করতে পারবে না।

  • হালদায় মা মাছ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

    হালদায় মা মাছ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, প্রজনন মৌসুমে চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মা মাছ রক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

    শুক্রবার দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদী পরিদর্শনে এসে স্থানীয় সাত্তারঘাটে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা জানান।

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ, চট্টগ্রামের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, রাউজান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর সোহাগ, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি ও মৎস্যজীবীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য উৎপাদনের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখার জন্য সকলে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। কারণ এই খাত আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল করার সবচেয়ে বড় খাত হবে।’

    দেশের মাছ উৎপাদনে হালদার ভূমিকা বিশাল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘স্মরণাতীতকালের সর্বোচ্চ মাছের পোনা এবছর হালদায় উৎপন্ন হয়েছে। এটা সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সম্ভব হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘মাছের পোনা উৎপাদনে হালদায় অনেক প্রতিকূলতা আমরা অতিক্রম করেছি। এখানে শিল্প কলকারখানার বর্জ্য যাতে নির্গত না হয়, মৎস্য আহরণ বন্ধকালে অসাধু উপায়ে যাতে কেউ মা মাছ ধরতে না পারে এবং কোনভাবেই হালদায় মাছের প্রজনন ক্ষেত্রে যাতে বিঘ্ন না হয়, নির্বিঘ্নে যাতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম ঠিকভাবে চলছে কিনা সেটা সরেজমিনে দেখতে প্রশাসন মাঠে কাজ করছে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে সারাদেশের মৎস্যজীবীদের যাতে খাবারের কোন সমস্যা না হয় সেজন্য তাদেরকে প্রণোদনা হিসেবে সরকার ভিজিএফ দিচ্ছে। হালদা এলাকায় কেউ বাদ পড়ে থাকলে অবশ্যই তাদের তালিকা হালনাগাদ করে সে সুযোগ দেয়া হবে।

    তিনি বলেন, ‘এবছর হালদায় যে পরিমাণ মাছের পোনা পাওয়া গেছে এটা একটা বিশাল সাফল্য। এ সাফল্যের অনেকাংশে অংশীদার এ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষ।’

    মন্ত্রী বলেন, “কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা থেকে গোটা দেশকে কিভাবে বাঁচানো যায়, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সেজন্য অবিরাম পরিশ্রম করছেন। এসময় একজন মানুষও না খেয়ে মারা যাননি’।

    তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে যেভাবে অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে, এই স্থবিরতা কাটিয়ে উঠার জন্য মৎস্য সম্পদই হবে আমাদের মূল সম্পদ। এ জন্য মাছের প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

    রেজাউল করিম বলেন, ‘মৎস্য আহরণে বিরত থাকা সকল মৎস্যজীবীদের ক্রমান্বয়ে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। যাতে একজন মৎস্যজীবীর খাদ্যের অভাবে কষ্ট না পায়। এটা চলমান প্রক্রিয়া।’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম