Tag: হালদা নদী

  • হালদা নদী থেকে ৯ কেজি ওজনের মৃত কাতলা উদ্ধার

    হালদা নদী থেকে ৯ কেজি ওজনের মৃত কাতলা উদ্ধার

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর কেরামতলির বাঁক এলাকা থেকে একটি কাতলা মাছ মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। ৩৪ সেমি দৈর্ঘ্যর কাতলা মাছটির ওজন প্রায় ৯ কেজি। ২১ অক্টোবর সকালে মৃত অবস্থায় মাছটি উদ্ধার হওয়ার পর হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃত মাছটি পাশ্ববর্তী স্থানে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন।

    মাছটির দেহের নীচের দিকে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান হালদা বিশেষজ্ঞ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া।

    সর্বশেষ গত ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকা থেকে মৃত ও অনেকটা অর্ধগলিত একটি ডলফিন উদ্ধার করা হয়। যার দৈর্ঘ্য ৪৬ ইঞ্চি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/নেজাম

  • হালদা নদীতে রাউজান উপজেলা প্রশাসনের অভিযান, ৬টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও একটি ড্রেজার ধ্বংস

    হালদা নদীতে রাউজান উপজেলা প্রশাসনের অভিযান, ৬টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও একটি ড্রেজার ধ্বংস

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম):প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর মা মাছ, ডলফিন ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে হালদা নদী ও সর্তাখালের মোহনায় অভিযান চালিয়েছে রাউজান উপজেলা প্রশাসন।

    মঙ্গলবার (৯ জুন) দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পুলিশ ও অনসার সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ।

    এ সময় রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোরশেদ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভাকর, আনসার ভিডিপি অফিসার ইনচার্জ তারেক মুহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযানের সময় অবৈধ বালুবাহী ৬টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও একটি বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়।

    রাউজান উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হালদা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে গহিরা ব্রীক ফিল্ড নামকস্থানে সর্তাখালের পাড়ে রাখার সময় ৬টি অবৈধ ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করার পর সেগুলো পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়।

    এই সময়ে সর্তাখালের পাড়ে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজারও ধ্বংস করা করা হয়।

    অভিযান প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, হালদা নদী ও সর্তা খালের মুখে অভিযান চালিয়ে ৬টি অবৈধ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও একটি ড্রেজার পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়।অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • হালদা নদীতে আবারও ডলফিন হত্যা

    হালদা নদীতে আবারও ডলফিন হত্যা

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:এশিয়ার প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে আবারো ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে।

    রবিবার (২৪ মে) সকালে রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে মৃত ডলফিন ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন।

    পরে খবর পেয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়্যদ আব্দুল জব্বার সোহেল ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ডলফিনটি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাটিচাপা দেন।

    হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, বাহ্যিক লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে মাছ ধরার জালে আটকে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে। ডলফিনটি ৭ ফুট ১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এবং ওজন আনুমানিক ৭০-৮০ কেজি। এটি এযাবত কালের মারা যাওয়া সবচেয়ে বড় সাইজের ডলফিন।

    আজকেরটিসহ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গত আড়াই বছরে ২৫টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ ২৩ তম ডলফিনের মৃতদেহ পাওয়া যায় রাউজান পশ্চিম গুজরার আজিমের ঘাট এলাকায়। প্রতিটি মৃত ডলফিনই হালদা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে ডলফিন আছে মাত্র ১ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে হালদাতে প্রায় ১৬৬ টি ডলফিন আছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) হালদা নদীর ডলফিনের এই প্রজাতিকে অতি বিপন্ন (লাল তালিকাভুক্ত) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলো বিশ্বের অতি বিপন্ন প্রাণী। ডলফিন যে নদীতে ডলফিন থাকে বোঝা যায় যে সে নদীটা জীবন্ত। তাই ডলফিন চলে গেলে মাছেরও ক্ষতি হবে বলে মনে করেন গবেষক ও সংশ্লষ্টরা। বিশ্বের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী বাংলাদেশ হারাবে যদি সত্যিই ডলফিন চলে যায় বা আর না থাকে।

    মা মাছ ও লাল তালিকাভুক্ত অতি বিপন্ন ডলফিন রক্ষায় সরকার ২০১০ সালে চট্টগ্রামের নাজিরহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত হালদা নদীর প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাকে জলজ প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করে।

    তবে রাউজান উপজেলার ছত্তার খালের মুখ থেকে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট পর্যন্ত নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ডলফিনের মূল বিচরণক্ষেত্র।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম

  • হালদা নদীতে রাউজান উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

    হালদা নদীতে রাউজান উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ; রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি::::এশিয়ার প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুমে থেমে নেই ইঞ্জিনচালিত বালুভর্তি নৌযানের অবাধ চলাচল।

    এছাড়া একের পর এক অভিযান চালিয়েও পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছেনা মৎস্যজীবিদের অপতৎপরতা। হাজার হাজার মিটার ঘেরজাল জব্দ করে পুড়িয়েও বন্ধ নেই জালপাতা।

    হালদা নদীতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১২ মে) নদীতে অভিযান চালিয়ে হালদা নদীর আমতুয়া এলাকায় বালুভর্তি যান্ত্রিক নৌযানের ইঞ্জিন ধ্বংস করে নৌযানটি নদীতে ডুবিয়ে দেয় রাউজান উপজেলা প্রশাসন।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ।

    এ সময় রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, রাউজান উপজেলা সি. মৎস্য কর্মকর্তা পিযুষ প্রভাকর, উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাউজানের সংবাদকর্মী ও আনসার সদস্যরা ছিলেন।

    দুপুরে উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের হালদা নদীর আজিমের ঘাট এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়ে মগদাই, নাপিতের ঘাট, রামদাশ হাট, উরকিরচর হয়ে মদুনাঘাট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

    এ সময় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, হালদা নদী ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা নিয়মিতভাবে মনিটরিং করছি। বর্তমানে নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে মা মাছ রক্ষায় আমরা অভিযান জোরদার করেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর/রানা

  • হালদায় ডলফিন রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশ

    হালদায় ডলফিন রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশ

    চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডলফিন রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    সেই সঙ্গে ডলফিন রক্ষায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে ইমেইলের মাধ্যমে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

    এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

    করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম সচল করতে অধ্যাদেশ জারি করে দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর পর উচ্চ আদালত থেকে আসা এটাই প্রথম আদেশ।

    আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

    ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বলেন, আর একটি ডলফিনও যেন কেউ হত্যা না করতে পারে সেজন্য সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    তিনি বলেন, এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমেইলে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৯ মে বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আসবে। অবকাশ শেষে উন্মুক্ত আদালতে এ রিটের শুনানি হবে।

    অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা শুনানির শেষ দিকে ভার্চুয়াল কোর্টে যুক্ত হয়েছিলেন বলে জানান অমিত তালুকদার।

    চট্টগ্রামের হালদা নদী থেকে একের এক ডলফিন হত্যা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট করা হয়।

    সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম লিটন এ রিট করেন।

    রিটে হালদায় নির্বিচারে ডলফিন হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের জিয়া বাজার এলাকার ছায়ারচর নামক স্থানে কাটা ডলফিনটি পাওয়া যায়। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন ৫২ কেজি। ২১ মার্চ কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল ২৩তম ডলফিন। ১ মাস ১৮ দিনের ব্যবধানে হত্যা করা হল ২৪তম ডলফিন। এ নিয়ে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হত্যার শিকার হল ২৪টি ডলফিন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যে কোনো মুহুর্তে হালদা নদীতে ডিম ছাড়তে পারে মা মাছ, প্রস্তুত ডিম আহরনকারীরা

    যে কোনো মুহুর্তে হালদা নদীতে ডিম ছাড়তে পারে মা মাছ, প্রস্তুত ডিম আহরনকারীরা

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম):::প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে যে কোনো সময় মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। গত রবিবার রাতে ডিম আহরণকারীদের জালে পাওয়া গেছে নমুনা ডিম। এখন হালদা পাড়ে নৌকা ও ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে শত শত ডিম আহরণকারী অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। ডিম ছাড়লেই যেন শুরু হবে উৎসব। এই ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন মৎস্যজীবিরা।

    গতকাল দুপুরে হালদা নদীর আজিমের ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড়ে নৌকা নিয়ে অপেক্ষমান পোনা আহরণকারীরা।

    এ সময় রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের পোনা আহরণকারী মোঃ নাছির বলেন, ১২ টি নৌকা নিয়ে তিনি কয়েকদিন ধরে ডিম ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হালদাপাড়ে অপেক্ষায় আছেন।

    স্থানীয় পোনা আহরণকারী ও মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, সাধারণত আমবস্যা-পূর্ণিমায় লাগাতার বজ্রসহ বৃষ্টি, শীতল আবহাওয়া ও পাহাড়ি ঢলে কার্প জাতীয় মা মাছ হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে। নদীর দূষণ কমে আসায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশী পরিমান ডিম সংগ্রহের বিষয়ে আশাবাদী সকলে। তবে ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুমে নদীতে যান্ত্রিক নৌযানের অবাধ চলাচল থাকায় মা মাছের জন্য হুমকি মনে করছেন স্থানীয় সচেতন লোকজন।

    হালদাপাড়ে মোবারেকখীল হ্যাচারিও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবিরা প্রাচীণ সনাতন পদ্ধতির মাটির কুয়াও প্রস্তুত করেছেন।

    আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। হালদা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা আইডিএফের স্বেচ্ছাসেবক রোসাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিবছর ডিম ছাড়ার মৌসুম আসছে নদীপাড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।আমরা সনাতন পদ্ধতির মাটির কুয়ার সাথে পাকা কুয়াও প্রস্তুত করে রেখেছি।

    রাউজান উপজেলা সি, মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন হালদার বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলেন, হালদায় অনুকুল পরিবেশ না থাকায় মা মাছ ডিম ছাড়ছেনা।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে যে কোনো সময় মা মাছ ডিম ছাড়বে।

    তিনি বলেন, হালদা নদীতে আমরা নিয়মিত টহল জোরদার করেছি। আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। মোবারেকখীল হ্যাচারিও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে জেনারেটরের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। ডিম আহরণকারীরাও নৌকা, জালসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত আছে।

    রাউজান উপজেলা সি. মৎস্য কর্মকর্তা পিযুষ প্রভাকর বলেন, হালদায় ডিম ছাড়ার বিষয়টি প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে। আশা করছি ডিম ছাড়ার অনুকুল পরিবেশ বিরাজ থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • হালদা ও কর্ণফুলির মোহনায় অভিযান:দশ হাজার মিটার জাল জব্দ

    হালদা ও কর্ণফুলির মোহনায় অভিযান:দশ হাজার মিটার জাল জব্দ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::হালদা নদী ও কর্ণফুলির মোহনায় অভিযান চালিয়ে দশ হাজার মিটার জাল জব্দ করেছে রাউজান উপজেলা প্রশাসন।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাউজান উপজেলা সি. সহকারি কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া।

    এ সময় রাউজান উপজেলা সি.মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভাকর ও হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, আইডিএফের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    বুধবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে বারোটায় চালানো অভিযানে জব্দকৃত দশ হাজার মিটার সুতার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/রানা

  • এসি ল্যান্ডের অভিযানে হালদা নদী হতে ১০০০ মিটার জাল জব্দ

    এসি ল্যান্ডের অভিযানে হালদা নদী হতে ১০০০ মিটার জাল জব্দ

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::আর কয়েক দিন পরে হালদা নদীতে ডিম ছাড়বে মা মাছ। ঠিক এ সময়ে এসেও থেমে নেই এক শ্রেণির অসাধু জেলে সম্প্রদায়ের মা মাছ শিকারের চেষ্টা। কখনো বিষ প্রয়োগ করে আবার কখনো ভাসামান জাল বসিয়ে মাছ শিকার করছে এ স্বার্থন্বেষী চক্র।

    যদিও বা হালদা নিয়ে বেশ সজাগ হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। প্রতিদিনই হালদা পাড়ে চলছে প্রশাসনের অভিযান। অভিযানের পাশাপাশি হালদা নদীতে মাছ না ধরার শর্তে জেলেদের ত্রাণ সামগ্রীও প্রদান করছেন উপজেলা প্রশাসন।

    আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় হাটহাজারী উপজেলার গুমান মর্দন ইউনিয়নের হালদা পাড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ।

    এ সময় হালদা নদী হতে ১০০০ মিটার ঘেরাও জাল উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং গুমান মর্দন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য গতকালও ছিপাতলী ইউনিয়নের আলেমের কুম এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন ১৫০০ মিটার জাল জব্দ করেন।

    এ ব্যাপারে হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ সাংবাদিকদের জানান, হালদায় মা মাছের অবাধ বিচরণ ধরে রাখতে হালদা পাড়ে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/পারভেজ (more…)

  • হালদা নদী থেকে অবৈধ জাল জব্দ

    হালদা নদী থেকে অবৈধ জাল জব্দ

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। নদীতে মা মাছের মজুদ বৃদ্ধি ও অবাদ বিচরণের জন্য সারা বছর এ নদীতে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।

    ফাইল ছবি

    কিন্তু এক শ্রেণীর মাছ চোর নদীতে গোপনে জাল বসিয়ে মাছ শিকার করছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলা প্রশাসন হালদা নদীর মেখল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করেন।

    ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমীন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, হালদা নদীর মেখল এলাকায় অবৈধ ভাবে জাল বসিয়ে মাছ শিকারের গোপন সংবাদ অবহিত হয়ে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিয়াজ মোরশেদ ও সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে রাত দেড়টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ২ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করেছেন।

    বুধবার বিকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাইয়ুম এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তা পরিচালিত অভিযানে জব্দকৃত জাল গুলো আগুনে ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে হালদা নদী রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি গনমাধ্যমকে জানান।