Tag: হেডফোন

  • কান নয়, হাড় দিয়ে শোনা যাবে এই হেডফোন!

    কান নয়, হাড় দিয়ে শোনা যাবে এই হেডফোন!

    সনির প্রথম বহনযোগ্য ক্যাসেট প্লেয়ার ওয়াকম্যান বের হওয়ার পর থেকেই ইয়ারফোন অথবা হেডফোন লাগিয়ে মানুষের পথ চলা শুরু।

    দিনে দিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে। মানুষও গান শোনার মাধ্যম হিসেবে যন্ত্র পরিবর্তন করেছে। ক্যাসেটের গান সিডি থেকে মেমরি কার্ডে আর বড় ক্যাসেট প্লেয়ার থেকে আইপড, স্মার্টফোনে গান শুনছেন। তবে গান শুনতে হেডফোন ছাড়েনি।

    সমীক্ষায় দেখা গেছে, জোরে গান শোনার ফলে মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়। এবার হেডফোনের ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন।

    এ বার আপনি গান শুনবেন কানের মধ্যে দিয়ে নয়, বরং কানের পাশের হাড়ের মাধ্যমে।

    আফটারশকজ সেই ২০১৬ থেকেই এ রকম হেডফোন তৈরি করে চলেছে। এগুলি দেখতে ব্লুটুথ হেডফোনের মতোই। কিন্তু, কানে পরলেই বুঝতে পারবেন বাকি সমস্ত হেডফোনের মতো কানের মধ্যে এই হেডফোন ঢুকে যায় না। বরং, কানের ঠিক সামনেই এঁটে লেগে থাকে এই হেডফোন।

    হ্যাঁ, সাধারণ হেডফোনের থেকে আওয়াজ কিছুটা আলাদা, ২০ কিলোহার্টজ থেকে ২০ হাজার কিলোহার্টজ পর্যন্ত এর রেঞ্জ, যা কিনা আমাদের সর্বাধিক শ্রবণ ক্ষমতার সমান। এমনিতে ভাল হেডফোনের ক্ষেত্রে এই রেঞ্জ শুরু হয় ৪ কিলোহার্টজ থেকে। কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে এটি ব্যবহার করলে সাধারণ হেডফোনের থেকে এর ক্ষতি অনেকটাই কম।

    অনেক ক্ষেত্রে শান্ত, চুপচাপ কোনও জায়গায় হেডফোনে গান শুনলে তার আওয়াজ পাশের লোকজন শুনতে পায়। কিন্তু এখানে সে রকম হওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমানে ৪টি মডেল বাজারে আছে, দাম ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই দামে বাজারে এমনিতে যে হেডফোন পাওয়া যাবে, তার আওয়াজ এই হেডফোনের থেকে ভাল হবেই। কিন্তু নতুন ভাবে শোনার অনুভূতি পেতে হলে, আফটারশক্জ এই মুহূর্তে বাজারের অন্যতম সেরা।

    এই হেডফোনে রয়েছে ওয়েদার শিল্ড, ফলে ধুলো-বৃষ্টি কোনও কিছুতেই এই হেডফোন ব্যবহারে সমস্যা নেই। তাই, ঘামতে ঘামতে জিম হোক কিংবা রাস্তায় চলতে চলতেও যথেচ্ছ ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি, গাড়ি চালাতে চালাতে ব্যবহার করলেও আইন এবং সুরক্ষার দিক থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ, কারণ এতে আপনার কান থাকে একদম খোলা। বাইরের সমস্ত আওয়াজ শুনতে কোনও বাধা থাকবে না।