Tag: হেফাজতে ইসলাম

  • হেফাজতের ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন, নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ৭ দাবি ঘোষণা

    হেফাজতের ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন, নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ৭ দাবি ঘোষণা

    দীর্ঘ প্রায় সাড়ে আট বছর পর রাজধানীতে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের আয়োজন করেছে অরাজনৈতিক সংগঠনের দাবিদার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হওয়া সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য শীর্ষ আলেম ওলামা ও নেতাকর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

    ওই সময় নতুন ৭ দফা দাবি এবং তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে হেফাজতের নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তি দাবি করা হয়।

    মূলত হেফাজতের সাবেক আমির মকবুল শাহ আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও আলেম ওলামাদের মুক্তি, শিক্ষা কারিকুলামে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকার গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন, হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজী, মাওলানা মুহিবুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা ফুরকানউল্লাহ খলিল, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, হেফাজত নেতা মুজিবুর রহমান হামিদী, আবদুল মাজেদ খান, খালেদ সাইফুল্লাহ, হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, হাবিবুর রহমান কাসেমীসহ অনেকে।

    সম্মেলন থেকে ৭টি নতুন দাবি ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো—

    ১. অবিলম্বে হেফাজত নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে।

    ২. নেতাকর্মীদের নামে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

    ৩. ইসলাম ও মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে।

    ৪. কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

    ৫. শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মীয় শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

    ৬. জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হাইয়াতুল উলিয়ার প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

    ৭. বিশ্ব ইজতেমায় বিতর্কিত মাওলানা সা‘দকে আসার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

    এ ছাড়া নতুনভাবে ৩টি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সবের মধ্যে রয়েছে—দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা উপজেলা কমিটি গঠন করা হবে। দেশের বিভাগীয় শহরে শানে রেসালত সম্মেলন করা হবে। রাজধানীতে জাতীয় শানে রেসালাত সম্মেলন হবে।

    আবদুল মাজেদ খান বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই লক্ষ্যে অটল থাকলে হেফাজত অনেক দূর যাবে।

    খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, অবিলম্বে আলেম ওলামাদের মুক্তি দিন। তা না হলে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হলে তারা ১৩ দফা মেনে নিবে।

    হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, অবিলম্বে ১৩ দফা বাস্তবায়ন করুন। আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

    মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা ক্ষমতার জন্য সংগঠন করি না। কেউ যদি ইসলামের নামে কটাক্ষ করে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত। কুরআন, আল্লাহ ও তার রাসুলের অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়ন করতে হবে। ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।’

    মাহফুজুল হক বলেন, ‘নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি না হওয়া এবং জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সরকারের কানে পানি না গেলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবো ইনশাআল্লাহ। নব্বইভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম অবমাননা হবে, ইসলামী শিক্ষা সংকোচন হবে এটা মেনে নেওয়া হবে না।’

  • হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুনির আটক

    হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুনির আটক

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    সোমবার (২১ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনিরকে বিকেলে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/পায়েল

  • হেফাজতের নতুন কমিটিতে জায়গা পেলেন যারা

    হেফাজতের নতুন কমিটিতে জায়গা পেলেন যারা

    কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    সোমবার (৭ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর খিলগাঁও চৌরাস্তায় মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় আগের কমিটির আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির এবং সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব ঘোষণা করা হয়ে। এ ছাড়া হেফাজতের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মো. ইউসুফকেও রাখা হয়েছে।

    কমিটিতে নায়েবে আমির হিসেবে রাখা হয়েছে নয়জনকে। তারা হলেন- মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা মুহিব্বুল হক (সিলেট) ও মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুবসহ (বরিশাল), মাওলানা আবদুল হক (ময়মনসিংহ), মাওলানা ইয়াহইয়া (হাটহাজারী মাদরাসা), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (ফরিদাবাদ মাদরাসা), মাওলানা তাজুল ইসলাম ও মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দীন (হাটহাজারী মাদরাসা)।

    যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে নাম রয়েছে পাঁচজনের। তারা হলেন- মাওলানা সাজেদুর রহমান (বি-বাড়িয়া), মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়ণগঞ্জ), মাওলানা লোকমান হাকীম (চট্টগ্রাম), মাওলানা আনোয়ারুল করীম (যশোর) ও মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী।

    সহকারী মহাসচিব হিসেবে আছেন মাওলানা জহুরুল ইসলাম ও মাওলানা ইউসুফ মাদানী।

    সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মাওলানা মীর ইদ্রিস (চট্টগ্রাম), অর্থ সম্পাদক হিসেবে মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আলী (মেখল) ও সহঅর্থ সম্পাদক হিসেবে আছেন মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী (নাজিরহাট)।

    প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানীকে (সাভার) এবং সহপ্রচার সম্পাদক করা হয়েছে মাওলানা জামাল উদ্দীনকে (কুড়িগ্রাম)।

    দাওয়াবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আছেন মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী (উত্তরা) এবং সহকারী দাওয়া হিসেবে আছেন মাওলানা ওরম ফারুক (নোয়াখালী)।

    এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে নয়জনকে। তারা হলেন- মাওলানা মোবারাকুল্লাহ (বি.বাড়িয়া), মাওলানা ফয়জুল্লাহ (মাদানীনগর), মাওলানা ফোরকানুল্লাহ খলিল (চট্টগ্রাম), মাওলানা মোশতাক আহমদ (খুলনা), মাওলানা রশিদ আহমদ (কিশোরগঞ্জ), মাওলানা আনাস (ভোলা), মাওলানা মাহমুদুল হাসান (ফতেহপুরী) এবং মাওলানা মাহমুদুল আলম (পঞ্চগড়)।

    কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন- সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, নাছির উদ্দিন মুনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, হাসান জামিল, মুফতি হারুন ইজহারসহ নানা ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া হেফাজতের নেতারা।

    একইভাবে আল্লামা আহমদ শফীর হত্যা মামলার অভিযুক্ত নেতাদেরও বাদ দেওয়া হয়েছে কমিটি থেকে। এ ছাড়া সদ্য বিলুপ্ত কমিটিতে একক আধিপত্য বিস্তারকারী ‘রাবেতা’ ও ‘জমিয়ত’ সিন্ডিকেটও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

    ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি গড়ে তোলেন কওমি মাদরাসাকেন্দ্রিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব শাহ আহমদ শফী।

    গত ১৮ সেপ্টেম্বর আহমদ শফী মারা যান। এরপর ১৫ নভেম্বর প্রতিনিধি সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলামের ১৫১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমির নির্বাচিত হন আগের কমিটির মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী। আর নতুন মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন নূর হোসাইন কাসেমী, যিনি গত ১৩ ডিসেম্বর মারা যান।

  • ফটিকছড়িতে হরতালের সমর্থনে হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিল

    ফটিকছড়িতে হরতালের সমর্থনে হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিল

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভের সময় গুলিতে ৫ মাদরাসা ছাত্র নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সারাদেশের মত ফটিকছড়িতেও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে।

    ২৭ মার্চ (শনিবার) বিকেলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ফটিকছড়ি শাখার ব্যানারে উপজেলার বিবিরহাট, নাজিরহাট, কাজিরহাট ও আজাদী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়।

    ফটিকছড়িতে পৃথক পৃথকভাবে বিক্ষোভ হলেও প্রধান মিছিলটি নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে বাবুনগর মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম হযরত মাও আইয়ুব বাবুনগরী সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।

    মুফতি আবু মাকনূন মুহাম্মদ আজিজীর সঞ্চালনায় মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নাজিরহাট মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী হাবিবুররহমান কাসেমী, মাওলানা ইহইয়াহ, মুফতী রহিমুল্লাহ শাহী, মাও মাহমুদ শাহ ধর্মপুরী, মাও হারুন আজিজী নদভী, মাও মুফতী রবীউল আলম, মাও আতিকুল্লাহ ইসলামী আন্দোলন, মাও ফরিদুল আলম, মুফতী নেজাম, মুফতী আব্দুল হাকিম সাহেব, মাও আছেম বাবুনগর, মাও আব্দুল আজিজ, মাও জুনায়েদ ইমামী, মাও আকবর প্রমুখ৷

    এতে বক্তারা বলেন, সারা দেশে যে সব ভাই শহীদ হয়েছেন যারা এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত, নির্দেশদাতা তাদের চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দিতে হবে৷ এসময় তারা আরো বলেন, আগামীকালের হরতাল কোন রাজনেতিক হরতাল নয়। এ হরতাল ইসলাম রক্ষার হরতাল। যার অন্তরে আল্লাহর প্রেম আছে তারা এ হরতালকে সমর্থন দিবে।

    ২৪ ঘণ্টা/জুনায়েদ

  • কাল হেফাজতের বিক্ষোভ, রোববার হরতাল

    কাল হেফাজতের বিক্ষোভ, রোববার হরতাল

    ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ এবং পরদিন রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

    শুক্রবার রাত ৮টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এই ঘোষণা দিয়েছেন।

    আবদুর রব ইউসুফী বলেন, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে আমি এই কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

    তিনি বলেন, ঢাকার বায়তুল মোকাররমে, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর পুলিশ ও সরকারি দলীয় ক্যাডার বাহিনী হামলা করে পাঁচনজনকে শহীদ করেছে। অসংখ্য মুসল্লিকে আহত করেছে এবং গ্রেপ্তার করেছে। এর প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন কাসেমী ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমীনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    মামনুল হক বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই দিনে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনী যেভাবে প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর হামলা করেছে, তাতে স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

  • হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদী

    হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদী

    হেফাজতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনীত হয়েছেন ঢাকা খিলগাঁও জামিয়া ইসলামিয়া মাখজুনুল উলূম মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীস আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী। একই সাথে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি সম্প্রসারণ করে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে।

    ২৩ ডিসেম্বর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও শনিবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। একই সাথে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর হেফাজতে ইসলামের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলামের জরুরি সভায় নতুন মহাসচিব নির্বাচিত করা হয় আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদীকে। একই সভায় হেফাজতে ইসলামের ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে সম্প্রসারণ করে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়। পাশপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। ’

    জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলামের আমিরের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

    এতে সদ্য প্রয়াত মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর স্থলে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনীত করা হয় নূরুল ইসলাম জিহাদীকে। একই সাথে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি সম্প্রসারণ করা হয়। এতে কয়েকজনকে পদায়ন করা হয়। যার মধ্যে নায়েবে আমীর ঢাকা জামিয়া নূরিয়া কামরাঙ্গিচরের মহাপরিচালক আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জিকে সিনিয়র নায়েবে আমীর, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা শফিক উদ্দীন, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়।

    এছাড়া বাকিদের উপদেষ্টা, নায়েবে আমির, যুগ্ম-মহাসচিব, সদস্যসহ অন্যান্য পদে সংযুক্ত করা হয়।
    একই সাথে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি অনুমোদন দেয় হয়। যার মধ্যে ঢাকা মহানগর কমিটিতে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে সভাপতি ও মাওলানা মামুনুল হককে সেক্রেটারি এবং মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলামকে (পীর সাহেব ফিরোজশাহ) সভাপতি ও মাওলানা লোকমান হাকীমকে সেক্রেটারি করে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়।

  • হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় সরকারের সম্পৃক্ততা নেই: খাগড়াছড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় সরকারের সম্পৃক্ততা নেই: খাগড়াছড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনের করা মামলায় সরকারের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি।

    তিনি বলেন, যেকেউ যদি সংক্ষুব্ধ বা মনে করেন অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে তাহলে মামলা করতে পারেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে সরকার বিশ্বাস করে। বিচার বিভাগ নিজেদের মতো করে কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পার্সপোট কার্যালয়ে তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ৬ জেলার ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে সারাদেশে এ কার্যক্রমের আওতা চলে এসেছে। মুজিব জন্মশতবার্ষিকীকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি বাস্তবায়ন করেছে সরকার। দক্ষিণ এশিয়া সর্বপ্রথম ও বিশ্বের ১১৯ তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট সেবার মধ্যদিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অনন্য এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ১ লক্ষ গ্রাহক ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করেছেন এবং আরও ২ লক্ষ গ্রাহককে এ সেবা দেয়ার প্রস্তুতি চলছেও বলেও জানান মন্ত্রী।

    ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ই-পাসপোট কার্যক্রম চালু করেছেন। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং সারা বিশ্বের মধ্যে ১১৯ তম দেশ। ই-পাসপোট যেন বিশ্বমানের হয় সে লক্ষে সরকার কাজ করেছে। ই-পাসপোট সারা বিশ্বে বিশ্বাসযোগ্য, নিরাপদ। ই-পাসপোট ইস্যু করা হবে ১০ বছরের জন্য। ই-পাসপোট পেতে যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকে নজর রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
    তিনি বলেন, ই-পাসপোটের জন্য ঘরে বসে আবেদন করা যাবে। পরবর্তীতে ফিংগার প্রিন্ট, আই প্রিন্ট অফিসে গিয়ে আসতে হবে। ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্টও ব্যবহৃত হবে।

    পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, চুক্তির কিছু কিছু বিষয় অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে। আমরা আর এই এলাকায় রক্তপাত চাই না। দেশ অনেক এগিয়েছে, নতুন নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের এই বাংলাদেশে কোন অংশ অন্ধকারে থাকবে প্রধানমন্ত্রী তা কখনো চিন্তা করেন না।
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাগড়াছড়ি ছাড়াও ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

    শেষ বিকেলে মন্ত্রী খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় যোগ দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • হেফাজত মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী আর নেই

    হেফাজত মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী আর নেই

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।

    নূর হোসাইন কাসেমীর প্রেস সেক্রেটারি মুনির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    নানা রোগে আক্রান্ত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী কয়েকদিন ধরে ইউনাটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট আলেমরা।

    নূর হোসাইন কাসেমি বারিধারার জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল ছিলেন। এছাড়া কওমি ভিত্তিক আরো বহু মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিলি আরাবিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।

    সম্প্রতি তিনি হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নির্বাচিত হন।

  • ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য : মামুনুল-বাবুনগরী-করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

    ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য : মামুনুল-বাবুনগরী-করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

    ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যের অভিযোগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।

    সোমবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাদি হয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের মিলনায়তনে বক্তৃতায় বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে তারা বঙ্গবন্ধুর সুসন্তান হতে পারে না। এই মূর্তি স্থাপন বন্ধ করুন। যদি আমাদের আবেদন মানা না হয়, আবারও তৌহিদী জনতা নিয়ে শাপলা চত্বর কায়েম হবে।’

    একইদিন আসামি সৈয়দ ফয়জুল করীম ধোলাইখালের নিকটে গেন্ডারিয়া নামক স্থানে তার নসিহত শুনতে আসা সাধারণ মুসলমানদের হাত উঁচু করে শপথ পড়িয়ে বলেন, ‘আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, জেহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না, দেয়া শুরু করলে বন্ধ করব না। রাশিয়ার লেলিনের বাহাত্তর ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে, তাহলে আমি মনে করি শেখ সাহেবের এই মূর্তি আজ হোক, কাল হোক খুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করবে।’

    মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারীতে বলেন, ‘মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না।’

    তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ভাস্কর্য নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলা হবে।’

    মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে মামলার বাদি দাবি করেছেন, আসামিরা এরূপ ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা ও সুযোগ-সুবিধা লাভের হীন উদ্দেশ্যে বিদেশি শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে ধর্মের লেবাসে সাধারণ মুসলমানদের উসকানি দিয়ে, ক্ষেপিয়া তুলে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুভাব সৃষ্টি করেছে। যার ফলশ্রুতিতে আসামিদের নির্দেশে মধুদার ভাস্কর্য ও কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মিত ভাস্কর্যসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে। এইরূপ প্রচারণা ও উসকানি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

    অপর দিকে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ও নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট আবদুল মালেক একই আদালতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনর (পিবিআই) ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

    এ মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।

    এ সময় তিনি বলেন, “লাশের পর লাশ পড়বে, তবুও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেয়া হবে না।” আর এই বক্তব্যের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবমূর্তি ও সম্মান ক্ষুণ্য হয়েছে।

  • সড়ক পথেই হাটহাজারীতে মামুনুল হক, সন্ধ্যায় মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন

    সড়ক পথেই হাটহাজারীতে মামুনুল হক, সন্ধ্যায় মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের হাটহাজারী আগমনকে প্রতিরোধের ঘোষণায় কদিন ধরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো চট্টগ্রামজুড়েই। তবে শেষ পর্যন্ত ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ হুঙ্কার ছড়ালেও বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ও শুক্রবার সকালে পরপর দু’দফা ঢাকার নির্দেশনা পেয়ে তা নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে।

    যাকে নিয়ে এতো আলোচনা-উত্তেজনা সেই আল্লামা মামুনুল হক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সড়কপথে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসে পৌঁছেছে বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

    সড়কপথে সকাল সকাল হাটহাজারী নিয়ে আসেন তাঁকে এবং তিনি বর্তমানে হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিশ্রামে রয়েছেন।

    মামুনুল হকের আগমনকে ঘিরে হাটহাজারী ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাহফিল কর্তৃপক্ষ আলামিন সংস্থার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাফেজ রিজোয়ান আরমান বলেন, মাওলানা মামুনুল হক মাহফিলে উপস্থিত হয়ে সন্ধ্যার পর বক্তব্য রাখবেন। এসময় তারা আরো বলেন, কে কি ঘোষণা দিল সেটা নিয়ে আমরা মোটেও বিচলিত নই, মামুনুল হক মাহফিলে আসবেন এবং বক্তব্য দিবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম জে

  • হেফাজতের আমির বাবুনগরী, মহাসচিব কাসেমী

    হেফাজতের আমির বাবুনগরী, মহাসচিব কাসেমী

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন নূর হোসাইন কাসেমী।

    রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় (হাটহাজারী মাদ্রাসা) সম্মেলেন শেষ নাম ঘোষণা করেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।

    এর আগে সকাল ১০টায় হাটহাজারী মাদ্রাসায় সম্মেলন শুরু হয়।

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর ও দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি।

  • ‘জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার আহমদ শফী’

    ‘জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার আহমদ শফী’

    হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমিরের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বরং পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন তার শ্যালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন। তিনি বলেছেন, জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।

    শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ ব্যানারে আয়োজিত সংগঠনটির একাংশের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানিয়েছেন। একই সংবাদ সম্মেলন থেকে ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হেফাজতে ইসলামের কাউন্সিল বন্ধের দাবি জানানো হয়।

    লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন বলেন, ‘আমার আপন বোন ফিরোজা বেগম (৮০) আমার ভগ্নিপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী হুজুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর শোকে অসুস্থ। আমি তার কান্না সহ্য করতে পারছি না। তার অনুরোধে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে আনাস মাদানীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। হুজুরের হত্যাকারীরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতি হজরত আল্লামা শফী স্বাভাবিকভাবে মারা যাননি। শিবিরের প্রেতাত্মারা শাহ আহমদ শফী হুজুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা তার খুনের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি। আমরা তার হত্যাকাণ্ডের বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।’

    তিনি বলেন, ‘শাপলা চত্বরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ফাঁদে পা না দেওয়ার কারণে শফী হুজুরকে তখন থেকেই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় কিছু ছাত্রকে উসকে দিয়ে জামায়াত-শিবিরের লেলিয়ে দেওয়া ক্যাডারবাহিনী মাদ্রাসা অবরুদ্ধ রাখে। এ সময় জুনায়েদ বাবুনগরী মাদ্রাসায় অবস্থান করে মীর ইদ্রিছ, নাছির উদ্দিন মুনীর, মুফতি হারুন ও ইনজামুল হাসানদের দিয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর করায়। এক পর্যায়ে তারা জোরপূর্বক হুজুরের কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও হুজুরকে নির্যাতন করে। শফী হুজুরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এতে হুজুর অসুস্থ হয়ে পড়লে মুখে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের সদস্যরা অক্সিজেন খুলে দিলে তিনি মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়েন। পরে অ্যাম্বুলেন্স আসলেও তারা ঠিক সময়ে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়তে দেয়নি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন, শফী হুজুরকে হত্যার উদ্দেশ‌্যে ও হাটহাজারী মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য জামায়াত-শিবির ১৯৮৫ সালে হামলা চালায়। দেশের প্রতি মমত্ববোধ ও কওমির প্রতি ভালোবাসা থাকায় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ হামলা রুখে দেন শফী হুজুর।

    এছাড়া শফী হুজুর প্রকাশ্যে স্বাধীনতাবিরোধীদের (জামায়াত-শিবির) বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতেন ও তাদের বিরুদ্ধে নানা বইও লিখেছেন। এ কারণে শফী হুজুরের প্রতি জামায়াত-শিবিরের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড।’

    ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হেফাজতে ইসলামের কাউন্সিল বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হুজুরের হত্যার বিচার দাবি না তুলে ১৫ নভেম্বর কাউন্সিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধি কাউন্সিলের মাধ্যমে সুপরিকল্পিতভাবে হুজুরের গড়া সংগঠনকে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামীকালের (রবিবার) কাউন্সিল বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে এ সম্মেলন বন্ধ করতে হবে।’

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী কোষাধ্যক্ষ সরোয়ার আলম, প্রচার সম্পাদক শামসুল হক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ওসমান কাশেমী প্রমুখ।

    গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি সম্মেলন। সেখানে সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ হবে।

    চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুতে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের এই সংগঠনটির শীর্ষপদ শূন্য হয়। আসন্ন এই কাউন্সিলে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব নির্ধারণকে কেন্দ্র ইতোমধ্যে অস্থির হয়ে উঠেছে কওমি অঙ্গন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আলেমদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানা অস্বস্তি। একটি পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এই সম্মেলন না মানার ঘোষণা এসেছে। আরেকটি পক্ষ নীরবে নজর রাখছে পরিস্থিতির ওপর।

    এদিকে এরইমধ্যে আহমদ শফীর স্বাক্ষরিত হেফাজতের নতুন একটি কমিটির কাগজপত্র ছড়িয়ে পড়েছে আলেমদের মাঝে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম