Tag: হেলিকপ্টার

  • চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ হেলিকপ্টার সেবা চালু বৃহস্পতিবার

    চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ হেলিকপ্টার সেবা চালু বৃহস্পতিবার

    স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বেসরকারি উদ্যোগে চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ রুটে হেলিকপ্টার সেবা চালু হতে যাচ্ছে। ‘চিটাগাং হেলিকপ্টার অ্যান্ড এয়ার সার্ভিস’ নামের প্রতিষ্ঠান এ উদ্যোগ নিয়েছে। চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ ও সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম রুটে আগামী ৬, ৭ ও ৮ জুলাই শুরু হবে এই সেবা। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক থেকে বুকিং সাপেক্ষে এই সেবা দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও শাহনেওয়াজ শিপন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

    শাহনেওয়াজ শিপন বলেন, ‘চট্টগ্রামে আমাদের সেবা চালু আছে। সন্দ্বীপের অনেকে ফোন করেন যেন চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ সেবাটাও চালু করি। একটি হেলিকপ্টারে ছয়জন যাত্রী থাকবে। জনপ্রতি ভাড়া ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা। চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ ও সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম আসা-যাওয়ার মাঝখানের সময়টাতে আমরা সন্দ্বীপে চালু করব জয় রাইড। জয় রাইডে জনপ্রতি ৪ হাজার ৯৯৯ টাকায় ১০ মিনিটে সন্দ্বীপের চারপাশ ঘুরিয়ে দেখানো হবে। প্রাথমিকভাবে মাসে তিন দিন চলবে এই প্যাকেজ। এই প্যাকেজের বাইরে কেউ যদি পুরো হেলিকপ্টার রিজার্ভ করতে চান, তাহলে সন্দ্বীপ-ঢাকা ভাড়া পড়বে ২ লাখ ৪০ হাজার এবং সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

    এ ছাড়া কক্সবাজার-সন্দ্বীপ জনপ্রতি ভাড়া ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম জনপ্রতি ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের চট্টগ্রাম কার্যালয়, ফেসবুক পেজ ও মোবাইল ফোনে টিকিট বুকিং দেওয়া যাবে।

    সংবাদ সম্মলনে সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবের সভাপতি রহিম মোহাম্মদ বলেন, ষাটের দশকে সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু ছিল। পরে বন্ধ হয়ে যায়। সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এটি। ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও প্রবাসীসহ সবাই সুযোগটি নিতে পারবেন।

    সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন, সন্দ্বীপে হেলিকপ্টার সার্ভিসের বিষয়ে চিটাগাং হেলিকপ্টার অ্যান্ড এয়ার সার্ভিসের লোকেরা যোগাযোগ করেছেন। আমরা তাদের উদ্বুদ্ধ করেছি, স্বাগত জানিয়েছি।

  • জুলাই থেকেই বাড়ির ছাদে হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি

    জুলাই থেকেই বাড়ির ছাদে হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি

    চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই বাসাবাড়ির রুফটপ, কর্পোরেট হেলিপ্যাড, আবাসিক হোটেল ও হাসপাতালের ছাদে হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দিচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

    বেবিচক সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি করছে সংস্থাটি। এতে সম্মতিও দিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান। জুলাই মাসের মধ্যই সিদ্ধান্তটি সার্কুলার আকারে জারি করে কার্যকর করা হতে পারে।

    নতুন করে আবার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, রুফটপে হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই মাসেই সার্কুলার আকারে জারি করা হবে। আশা করছি জুলাই থেকেই হেলিকপ্টার ল্যান্ড করতে পারবে।

    বেবিচক সূত্র জানায়, যেসব ভবনে হেলিকপ্টার নামবে সেটি অবশ্যই অবতরণের জন্য উপযোগী হতে হবে। এজন্য বুয়েট থেকে প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট নিতে হবে। সার্টিফিকেট ছাড়া হেলিপ্যাড স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না। এছাড়া দেশের যেকোনো খোলা জায়গা হেলিপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতিও দেয়া হচ্ছে।

    কয়েক বছর ধরে ঢাকায় হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দেওয়া বন্ধ ছিল। এর কারণ হিসেবে বেবিচক জানিয়েছিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন অনুমতি দিতে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়েছিল। এর কারণ হিসেবে তারা নিরাপত্তার ঝুকি এবং মাদক পাচারের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছিল। তাই এতদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টার উড্ডয়ন ও অবতরণ করত।

    তবে মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই অনুমতির দাবি করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, নিরাপত্তার কথা বলে ঢাকায় কোনো হোটেল, হাসপাতাল বা কারো ছাদের হেলিপ্যাডে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয় না। ফলে যখন একজন মুমূর্ষু রোগীকে যদি রংপুর থেকে জরুরিভাবে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তির জন্য ঢাকায় আনার প্রয়োজন, ১ ঘণ্টার মধ্যে হেলিকপ্টার গিয়ে তাকে আনতে পারবে। তবে ওই রোগীকে নিয়ে হেলিকপ্টার অবতরণ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রোগীদের ১ ঘণ্টায় হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা গেলেও যানজটের কারণে বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল যেতে ২/৩ ঘণ্টা লেগে যায়।

    দেশে ১৯৯৯ সালে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার সেবা চালু করে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস। এখন যে কেউ চাইলে হেলিকপ্টার ভাড়া নিতে পারেন।

    এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) তথ্যমতে, দেশে ১০টি বেসরকারি কোম্পানির ৩২টি হেলিকপ্টার আছে। কোম্পানিগুলো হলো- বিসিএল এভিয়েশন, ইমপ্রেস এভিয়েশন, আর অ্যান্ড আর এভিয়েশন, স্কয়ার এয়ার লি., মেঘনা এভিয়েশন, বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ, বিআরবি এয়ার, এরো টেকনলজিস, সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস ও বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন।

    সাধারণত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, বিত্তবানদের বরযাত্রা ও ভিআইপি যাত্রী বহনে হেলিকপ্টারের ব্যবহার বেশি হয়। এছাড়া জরুরি মিটিং, দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানো, লিফলেট বিতরণ, রোগী বহন, শুটিং ও মরদেহ বহনসহ বিভিন্ন কাজেও এখন হেলিকপ্টার ব্যবহার হচ্ছে।

    যানজটের ঝামেলা এড়াতে ও ঢাকার বাইরে মিটিংয়ে যেতে অনেক ব্যবসায়ী এখন নিয়মিত হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাইরে গাজীপুর ও চট্টগ্রামে বিদেশি ক্রেতাদের নিয়ে কারখানা পরিদর্শনে হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর করছেন। প্রতিদিনই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল এভিয়েশন হ্যাঙ্গার থেকে যাত্রীরা হেলিকপ্টারে ওঠেন এবং এখানেই অবতরণ করেন।

  • মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় চট্টগ্রাম ঘুরে দেখতে হেলিকপ্টার এন্ড এয়ার সার্ভিস চালু

    মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় চট্টগ্রাম ঘুরে দেখতে হেলিকপ্টার এন্ড এয়ার সার্ভিস চালু

    হেলিকপ্টারে করে মাত্র ৪৯৯৯টাকায় চট্টগ্রাম ঘুরে দেখতে প্রথমবারের মত চালু করা হল চিটাগাং হেলিকপ্টার এন্ড এয়ার সার্ভিস। হেলিকপ্টারে চড়ে ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ থাকলেও সীমিত সাধ্যের কারণে সাধারণ জনগণের অনেকেই এই শখটুকু পূরণ করতে পারেন না। জনসাধারণের এই অপূর্ণ স্বাদ পূর্ণ করতেই চট্টগ্রামে এই হেলিকপ্টার এন্ড এয়ার সার্ভিস চালু করা হল।

    শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রশিক্ষণ মাঠে উদ্বোধন করা হল এই হেলিকপ্টার সেবা সার্ভিস। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই হেলিকপ্টার সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান,কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ হাশেম, মানবাধিকার ইউনিটির বিভাগীয় প্রধান লোকমান চৌধুরী, জুনিয়র চেম্বার চিটাগাং ফার্স্ট লেডি ফাতেমা জোহরা, চিটাগাং হেলিকপ্টার এন্ড এয়ার সার্ভিসের সিইও শাহনেওয়াজ শিপনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

    অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, হেলিকপ্টার সাধারণত বিত্তবান সমাজের লোকজন ব্যবহার করে থাকেন। হেলিকপ্টারের আভিজাত্য এবং ব্যয় বাহুল্য বিষয়টি সাধারণ জনগণের সাধ্যের বাইরেই রয়ে গেছে এমন কথাই সমাজে এখনো প্রতিষ্ঠিত। তবে দিন পাল্টে যাচ্ছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সামনে রেখে জাতি আজ স্বপ্ন দেখছে দিন বদলের। সেই স্বপ্ন পূরণে তরুণ উদ্যোক্তারা সাহস করে চট্টগ্রামে চালু করেছে হেলিকপ্টার সার্ভিস। মাত্র ৪৯৯৯ টাকায় হেলিকপ্টারে চড়তে পারার এই সুযোগ এবং স্বপ্ন অনেকেই পূরণ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

    চিটাগাং হেলিকপ্টার এন্ড এয়ার সার্ভিসের সিইও শাহনেওয়াজ শিপন বলেন, স্বল্প খরছে হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়ানোর এই উদ্যোগ চট্টগ্রামে প্রথম আমরাই চালু করেছি। ৪৯৯৯টাকায় চট্টগ্রাম ঘুরে দেখা। ৯৯৯৯ টাকায় হেলিকপ্টারে চড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার/ চট্টগ্রাম-ঢাকা ভ্রমণ করতে পারা এখনো স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। তাছাড়া আমাদের এই প্রজেক্টে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের এই উদ্যোগকে সফল করতে চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা ও দোয়া চাই।

  • করোনায় আক্রান্ত এমপি মনসুরকে হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

    করোনায় আক্রান্ত এমপি মনসুরকে হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রাজশাহীর সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক ডা. মো. মনসুর রহমানকে উন্নত চিকিত্সার জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে রাজশাহী থেকে ঢাকা আনা হয়েছে।

    আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    জানা গেছে, হঠাৎ সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়ায় শুক্রবার (২১ আগস্ট) করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. মনসুর রহমানের।

    শনিবার (২২ আগস্ট) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করে তার করোনা পজিটিভ আসে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় আনা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের ভিডিও করলেন প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

    পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের ভিডিও করলেন প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

    সকল প্রতিকুলতাকে জয় করে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩ হাজার ৩০০ মিটার আজ দৃশ্যমান। সেই স্বপ্ন-পূরণের অভিযাত্রাকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল থেবে ফেরার পথে হেলিকপ্টার থেকে মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া থেকে ঢাকা ফেরার পথে হেলিকপ্টার থেকে তিনি এ ভিডিও ধারণ করেন। এর আগে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    হেলিকপ্টার থেকে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল দিয়ে ভিডিও করার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।

    ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, স্বপ্নের পদ্মা ব্রিজ আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। গভীর মমতায় পদ্মা ব্রিজ নির্মাণের অগ্রগতি দেখছেন এই স্বপ্নের স্বপ্নদ্রষ্টা ও বাস্তবায়নের কারিগর আমাদের পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী নিজে হেলিকপ্টারের জানালা দিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলেছেন। এসময় তাকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়।

    পদ্মা সেতুর ২২তম স্প্যান বসেছে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি)। ৬ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে।এই সেতুতে থাকবে ৪২টি পিলার। এর মধ্যে ৩৬টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুতে ৪১টি স্প্যান বসবে। যার ২২টি বসে গেছে। আগামী জুলাইয়ে সব স্প্যান বসে যাওয়ার কথা রয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল।

  • ভারত নিজেদের হেলিকপ্টার ধসিয়ে দিলো পাকিস্তানের ভেবে

    ভারত নিজেদের হেলিকপ্টার ধসিয়ে দিলো পাকিস্তানের ভেবে

    ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীরের শ্রীনগরের বাদগামে পাকিস্তানী হেলিকপ্টার ভেবে নিজেদের এমআই সেভেনটিন ভি ফাইভ সিরিজের একটি হেলিকপ্টার ধসিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। এ ঘটনায় তাদের ৬ সদস্য এবং একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন।

    পাকিস্তানী ভেবে গুলি করে হেলিকপ্টারটিকে নামানোর সিদ্ধান্ত একটা ‘বড় ভুল’ ছিল বলে স্বীকার করেছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান রাকেশ কুমার সিং ভাদুরিয়া। তিনি বলেন, ‘এটি একটি বড় ভুল ছিল। আমরা এটিকে মেনে নিয়েছি।’

    তদন্ত শেষে এয়ার চিফ মার্শাল রাকেশ ভাদুরিয়া জানান, ‘আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রটিই আঘাত করে ওই হেলিকপ্টারটিকে। এটি প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ যাদের ভুলে ওই ঘটনা ঘটেছে সেই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে বালাকোটে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করার একদিন পরেই শ্রীনগরের কাছে বাদগামে গুলি করে নামানো হয় এমআই সেভেনটিন ভি ফাইভকে।

    বিচারবিভাগীয় তদন্তে দেখা গেছে, শ্রীনগর বিমানবন্দরে স্পাইডার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম থেকে মিসাইল ছুঁড়ে হেলিকপ্টারটিকে নামানো হয়েছিল। বিমান বাহিনী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাই ওই সাংঘাতিক ভুলটি করেছেন। টেক-অফের ১০ মিনিট পরেই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। যেখানে সেটি ভেঙে পড়ে তার পাশেই ছিল জনবসতি। এমআই-১৭ হেলিকপ্টারটি ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায় এবং তাতে আগুন ধরে যায়।

    পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতেই সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে বালাকোট অঞ্চলে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। পুলওয়ামা হামলায় ভারতের ৪০ জন সেনা নিহত হয়েছিলেন।