Tag: হোয়াইটওয়াশ

  • আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

    আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

    সিলেটে বাংলাদেশি পেসাররা আগুন ঝরানোর পরই বৃষ্টির আগমন! তাতে মিনিট শতেক নষ্ট হয়েছে, ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমেছে ৩ ওভার। বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় আফগান মিডল অর্ডার! নাসুম-সাকিবের ঘূর্ণিতে সফরকারী ব্যাটারদের রীতিমতো ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা! শেষ পর্যন্ত ওমরজাই-জানাতের ব্যাটে লড়াই করার পুঁজি পায় তারা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু মাঝে এক বলের ব্যবধানে দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরলে রান রেটে তার প্রভাব পরে। তবে সাকিবের সাবলীল ব্যাটিংয়ে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের।

    আজ (১৬ জুলাই) টস হেরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। যেখানে ২১ বলে ২৫ রান করেছেন ওমরজাই। আর বাংলাদেশের হয়ে ৩৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার ছিলেন তাসকিন। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ১ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছেন লিটন। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে আফগানিস্তানকে সিরিজ হারাল বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।

    ডিএলএস মেথডে ১১৯ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় বলেই চার মেরে শুরু করেন লিটন দাস। ফজল হক ফারুকির পরের বলে মারেন আরও একটি। অভিষিক্ত ওয়াফাদার মোমান্দকে তো স্বাগত জানান চারের হ্যাটট্রিক দিয়ে। দুই ওভারে লিটনের ৫ চারে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। তাতে ৫ ওভারেই দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ।

    পাওয়ার প্লের পর কিছুটা হলেও রানের লাগাম টেনে ধরে সফরকারীরা। তাতে চাপ বাড়ে স্বাগতিক ব্যাটারদের ওপর। সেই চাপেই যেন উইকেট দেন লিটন। নবম ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের অনেকটাই বাইরে ফুল লেন্থে করেছিলেন মুজিব। সেখানে জায়গা করে একট্রা কভারে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে ধরা পড়েন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ বলে ৩৫ রান।

    লিটন আউট হওয়ার এক বল পর ফিরেছেন আফিফও। মুজিবকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এর আগে আগে ২০ বলে ২৪ রান করেছেন তিনি।

    এরপর শান্তও দ্রুত ফেরেন। দুই ওভারের মধ্যে ফিরে যান টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটার। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ইয়র্কার ধরনের ডেলিভারি ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে পায়ে লেগে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ বলে ৪ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

    ইনিংসের ১৫তম ওভারের ঘটনা। প্রথম বলে ডাবলস। এরপর ফ্লিক করে ছক্কা। হৃদয় অবশ্য থামলেন ওমরজাইয়ের তৃতীয় বলে। ডাউন দ্য গ্রাউণ্ডে এসে মিড অফের ওপর দিয়ে মারতে চাইলেও তাকে পার করাতে পারেননি হৃদয়। ১৭ বলে ১৯ রান করে হৃদয় ফিরলে উইকেটে আসেন শামিম পাটুয়ারী। সাকিব-শামিম যখন উইকেটে তখন শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪ রান।

    প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে করিম জানাতের হ্যাটট্রিক ছড়িয়েছিল রোমাঞ্চ। এবার আর তেমন কিছু হলো না। ওয়াফাদেরের প্রথম বলেই মিডউইকেট দিয়ে চার মেরেছেন শামীম, ৫ বলে বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়েছে তাতেই। এ জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। তৃতীয় বার এসে আফগানিস্তানকে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারাল বাংলাদেশ।

    এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ইনিংসের চতুর্থ বলে ডাউন দ্য উইকেট এগিয়ে এসে তাসকিনকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন এই ওপেনার। পরের বলে শর্ট লেংথ থেকে আবার তুলে মেরেছিলেন গুরবাজ, এবার বল ওঠে খাড়া ওপরে। অফ সাইড থেকে আরও তিন জন ফিল্ডার ছুটে আসতে চাইলেও তাসকিন না করে দেন, নিজের বলে নিজেই ধরেছেন ক্যাচ।

    গুরবাজকে ফিরিয়ে একটা মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তাসকিন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের ফিফটি পূর্ণ করেছেন এই পেসার। তার আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশের আরও দুই বোলার। এই তালিকায় আছেন সাকিব ও মুস্তাফিজ।

    প্রথম ওভারে তাসকিনকে তেড়ে-ফুরে খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে এসেছিলেন গুরবাজ। পরের ওভারে আবারও এই পেসারের ওপর চড়াও হন আফগান ব্যাটাররা। এবার চার হাঁকিয়ে তাসকিনের ওভার শুরু করেন জাজাই। কিন্তু এই ওপেনারও তাড়া-হুড়া করে নিজের বিপদই ডেকে এনেছেন বৈকি। ওভারের চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুডলেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠে, হজরতউল্লাহ জাজাই খেলবেন না ছাড়বেন করতে গিয়ে খোঁচা দিলেন। উইকেটের পেছনে বাকি কাজটি করেছেন লিটন দাস। তাতে নিজের টানা দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরান তাসকিন।

    পাওয়ার প্লে শেষ হলেও এই চাপের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি সফরকারী ব্যাটাররা। তাদের এমন চাপে রেখে যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ, ঠিক তখনই বৃষ্টির হানা। মিনিট ত্রিশেক পর থামে বৃষ্টি। এরপর দুই দফায় আম্পায়াররা মাঠ পর্যবেক্ষণ করার পর ওভার কাটার সিদ্ধান্ত নেন। ১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচ পুনরায় শুরু হয় ৮-১৫ মিনিটে।

    বৃষ্টির পর নবম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন নাসুম। তার এই ওভারে দুইবার জীবন পান নবি। চতুর্থ বলে কভারে ক্যাচ ফেলেছেন সাকিব। পরের বলেই আবারও এই ব্যাটারকে পরাস্ত করেন নাসুম। নবির ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল উইকেটের পেছনে গেলেও তা গ্লাভসে জমাতে ব্যর্থ হন লিটন। টানা দুই বলে দুই জীবন পেয়েও বেশিদূর এগোতে পারলেন না এই অলরাউন্ডার। পরের ওভারে মুস্তাফিজের লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে ব্যাট চালিয়ে টাইমিং করতে পারেননি, এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

    ১১তম ওভার সাকিব শুরু করেছিলেন উইকেট দিয়ে, শেষও করলেন উইকেট দিয়ে। প্রথম বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে আফিফের হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম জাদরান। আর শেষ বলে নজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করেছেন সাকিব। অফ স্টাম্পের বাইরের গুড ল্যান্থের বলে কাট করতে গিয়ে স্টাম্প উপড়ে গেছে তার। এভাবে বল স্টাম্পে আঘাত হানবে তা কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না এই ব্যাটার। পরে আম্পায়ারের রিভিওতে দেখা যায়, বলের আঘাতেই স্টাম্প ভেঙেছে।

    বৃষ্টির পর দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাতের জুটি একটা লাফ দেওয়ার চেষ্টা করছিল, সর্বশেষ ম্যাচে যেটি করেছিল নবি ও ওমরজাইয়ের জুটি। তবে শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৭ ওভারে আফগানিস্তান তুলে ১১৬ রান।

  • দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

    দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

    করাচি টেস্টে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এর ফলে দেশের মাটিতে এই প্রথম পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেল। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে দীর্ঘ ১৭ বছর পর টেস্ট সিরিজে খেলতে নেমে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড।

    আজ মঙ্গলবার টেস্টের চতুর্থ দিনে খেলতে নামার আগে ইংল্যান্ড জয় থেকে মাত্র ৫৫ রান দূরে ছিল, হাতে ছিল ৮ উইকেট। বেন ডাকেট ৮২ রান ও অধিনায়ক বেন স্টোকস ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

    সোমবার তৃতীয় দিন শেষে বেন স্টোকসের দল ১১২ রান করে ২ উইকেট হারিয়ে।

    ঘরের মাঠে এই প্রথম টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তানের এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ী ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়া লেগ-স্পিনার রেহান আহমেদ। ১৮ বছর ১২৮ দিন বয়সে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি।

    বাবর আজম ও সাউদ শাকিলের চতুর্থ উইকেট জুটি ভেঙে করাচি টেস্ট ইংল্যান্ডের পক্ষে নিয়ে আসেন রেহান। এর পর মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ধস নামিয়ে নিজের মাত্র চতুর্থ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৫ উইকেট নেন ৪৮ রান দিয়ে।
    ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৬৭ রান। তৃতীয় দিনের খেলা বাকি তখন ২২ ওভার। কিন্তু আলো কমে যাওয়ায় আগেই দিনের খেলা থামিয়ে দেওয়া হয়।
    ওপেনার বেন ডাকেট ৩৮ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত। ১০ রান নিয়ে ব্যাট করেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। অপর ওপেনার জ্যাক ক্রলি আউট হন ৪১ রানে। এর আগে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২১৬ রানে। অধিনায়ক বাবর আজম (৫৪) ও সাউদ শাকিল (৫৩) শুধু হাফ সেঞ্চুরি করেন। রেহানের ৫ উইকেট ছাড়াও জ্যাক লিচ নেন ৩ উইকেট।

  • প্রথমবারের মত শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ দক্ষিণ আফ্রিকার

    প্রথমবারের মত শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ দক্ষিণ আফ্রিকার

    প্রথমবারের মত টি-টুয়েন্টিতে শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। গতরাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ উইকেটে বড় ব্যবধানে হারায় শ্রীলংকাকে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলো প্রোটিয়ারা।

    প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নামে তারা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে শ্রীলংকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২০ রান সংগ্রহ করে লংকানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বির্জন ফরচুইন ও কাগিসো রাবাদা ২টি করে উইকেট নেন।

    ১২১ রানের সহজ টার্গেট হেসে খেলে স্পর্শ করে ফেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার রেজা হেনড্রিকস ও কুইন্টন ডি কক। ৩২ বল হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন তারা। ৪২ বল খেলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় হেনড্রিকস ৫৬ এবং ডি কক ৪৬ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ডি ককের ইনিংসে ৭টি চার ছিলো। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন ডি কক।

    টি-টুয়েন্টির আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিলো শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ২-১ ব্যবধানে সিরিজটি জিতেছিলো লংকানরা।

    এন-কে

  • টাইগারদের কাছে ‘হোয়াইটওয়াশ’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    টাইগারদের কাছে ‘হোয়াইটওয়াশ’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২০ রানে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। একদিনের ক্রিকেটে এ নিয়ে ১৪তম বার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা, যা বাংলাদেশের ২৬তম সিরিজ জয়।

    জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- তিনজনই ৬৪ রান করে করেন। তামিম ৮০ বলে ৬৪ রান করে বিদায় নেওয়ার পর দলের হাল ধরেন সাকিব ও মুশফিক। ৮১ বলে ৫১ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। শেষদিকে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন মুশফিক ও রিয়াদ।

    মুশফিক ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৫ বলে ৬৪ এবং রিয়াদ ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ বলে ৬৪ রান করেন। রিয়াদ অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেও লিটন দাস, সৌম্য সরকারদের ব্যর্থতার দিনে দলীয় সংগ্রহ ৩০০ স্পর্শ করতে পারেনি।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন আলজারি জোসেফ ও রেয়মন রেইফার।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপে এদিনও প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এনক্রুমাহ বোনার ও রভম্যান পাওয়েল প্রতিরোধ গড়ে তুললেও দলের বাকিরা ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়ায়। পাওয়েলের ৪৯ বলে ৪৭ ও বোনারের ৬৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংকে একটু দীর্ঘায়িতই করেছে শুধু। ৪৪.২ ওভারে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। শেষদিকে ২৭ রান আসে রেয়মন রেইফারের ব্যাট থেকে।

    বাংলাদেশের পক্ষে একাদশে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শিকার করেন তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ একটি করে উইকেট লাভ করেন। চোটের কারণে ৪.৫ ওভার বল করেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় সাকিব আল হাসানকে, যিনি বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    বাংলাদেশ : ২৯৭/৬ (৫০ ওভার)
    রিয়াদ ৬৪*, মুশফিক ৬৪, তামিম ৬৪, সাকিব ৫১
    আলজারি ৪৮/২, রেইফার ৬১/২

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৭৭/১০ (৪৪.২ ওভার)
    পাওয়েল ৪৭, বোনার ৩১
    সাইফউদ্দিন ৪৯/৩, মুস্তাফিজ ২৪/২, মিরাজ ১৮/২

    ফল : বাংলাদেশ ১২০ রানে জয়ী
    সিরিজ : বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : মুশফিকুর রহিম।
    সিরিজ সেরা: সাকিব আল হাসান।

     

     

  • জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের ইতিহাস

    জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের ইতিহাস

    মিরপুরে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে এবারই প্রথম প্রতিপক্ষকে সব ম্যাচে হারাল টাইগাররা। এর আগে একমাত্র টেস্ট জয়ের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।

    ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতেই হিমশিম খায় জিম্বাবুয়ে। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৯ রান।

    দলের পক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকান অভিজ্ঞ ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর। ৪৮ বলের মোকাবেলায় ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, হাঁকিয়েছেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া ৩৩ বলে ২৯ রান করে ক্রেইগ আরভিন।

    বাংলাদেশের পক্ষে দুই পেসার আল-আমিন হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দারুণ শুরু পায় দুই ওপেনারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। নাইম শেখকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাস যোগ করেন ৭৭ রান। ১১তম ওভারে নাইম বিদায় নেন ৩৪ বলে ৩৩ রান করে।

    তবে তাতে লিটনের দারুণ ব্যাটিং বাধাগ্রস্ত হয়নি। সৌম্য সরকারকে সঙ্গী করে দেখেশুনে খেলা লিটন পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। শেষপর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন, ৯ উইকেট ও ২৫ বল হাতে রেখেই।

    ৮টি চার হাঁকানো লিটন ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন, মোকাবেলা করেছেন ৪৫ বল। তার সঙ্গী সৌম্য ১৬ বলে ২০ রান করে জয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: বাংলাদেশ

    জিম্বাবুয়ে ১১৯/৭ (২০ ওভার)
    টেলর ৫৯*, আরভিন ২৯, রাজা ১২
    আল-আমিন ২২/২, মুস্তাফিজ ২৫/২

    বাংলাদেশ ১২০/১ (১৫.৫ ওভার)
    লিটন ৬০*, নাইম ৩৩, সৌম্য ২০*
    এমপফু ২৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী
    সিরিজ: বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী।

  • হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ডানওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়েকে ১২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সিলেটে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ ম্যাচ। লিটন-তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ স্মরণীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে অনায়াসেই।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। তবে তার আগেই দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৩ ওভারে নেমে আসলে ফের মাঠে নেমে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার।

    একপর্যায়ে দেশের হয়ে যেকোনো উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়ে ফেলেন দুজনে। দলীয় ২৯২ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। আগের ম্যাচে তামিম ইকবালের গড়া ১৫৮ রানের রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭৬ রান করা লিটন। ১৪৩ বলের মোকাবেলায় হাঁকিয়েছেন ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কা।

    লিটন সাজঘরে ফিরলেও তামিম থাকেন অপরাজিত। ১০৯ বলে ১২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে, যে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ও অভিষিক্ত আফিফ হোসেন ধ্রুব ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আরেক অভিষিক্ত নাইম শেখ ব্যাট হাতে নামারই সুযোগ পাননি।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিনটি উইকেটই শিকার করেন কার্ল মুম্বা। নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২২ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রান।

    বড় জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার চেষ্টা করে জিম্বাবুয়ে। এতে দলটি নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে। শন উইলিয়ামস, রেগিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলে মাধেভেরেরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। সতীর্থদের ব্যর্থতায় দল চাপে পড়ে গেলে তাদের প্রচেষ্টা দলের জয়ের কারণ হতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৩৭.৩ ওভার ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১৮ রানে।

    দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন রাজা- ৫০ বলের মোকাবেলায় ৬১ রান। এছাড়া মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪ ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক উইলিয়ামস ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন চারটি, তাইজুল ইসলাম দুটি এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: জিম্বাবুয়ে

    বাংলাদেশ ৩২২/৩ (৪৩ ওভার)
    লিটন ১৭৬, তামিম ১২৮*, আফিফ ৭
    মুম্বা ৮-০-৬৯-৩

    জিম্বাবুয়ে ২১৮/১০ (৩৭.৩ ওভার)
    রাজা,৬১ মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪, উইলিয়ামস ৩০
    সাইফউদ্দিন ৪১/৪, তাইজুল ৩৮/২, আফিফ ১২/১, মুস্তাফিজ ৩২/১, মাশরাফি ৪৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী (ডি/এল পদ্ধতিতে)
    সিরিজ: বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী

  • টেস্টেও ভারতকে ধবলধোলাই করলো নিউজিল্যান্ড

    টেস্টেও ভারতকে ধবলধোলাই করলো নিউজিল্যান্ড

    দওয়ানডে সিরিজের পর টেস্ট সিরিজেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ বা ধবলধোলাইয়ের শিকার হয়েছে বিরাট কোহলির দল।

    তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পরাজয়ের পর দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। যদিও এর আগে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াটওয়াশ করেই শুরু করেছিল সফরকারীরা।

    ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে কিউইরা পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়। এই টেস্টে উইকেট পড়ছিল মুড়িমুড়কির মত। দুই দিনেই পতন ঘটে ২৬টি উইকেটের। ৯৭ রানের লিড নিয়ে ৪ উইকেট হাতে রেখে তৃতীয় দিন শুরু করা ভারত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।

    প্রতিরোধহীন ব্যাটিংয়ে রবীন্দ্র জাদেজারা (১৬) গুটিয়ে যান ১২৪ রানে। এতে জয়ের জন্য মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের সামনে। স্বাগতিক দলের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট চারটি ও টিম সাউদি তিনটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই উড়ন্ত সূচনা এনে দেন টম লাথাম ও টম ব্লানডেল। অবশ্য লাথাম ৫২ ও ব্লানডেল ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে (৫) হারাতে হলেও উইলিয়ামসনের সমান রান করে অপরাজিত থেকে রস টেলর ও হেনরি নিকোলস দলের জয় নিশ্চিত করেন।

    এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। জবাবে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২৩৫ রানে। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন কাইল জেমিসন। সিরিজ সেরার খেতাব পেয়েছেন টিম সাউদি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত ১ম ইনিংস- ২৪২ (৬৩ ওভার)
    বিহারী ৫৫, পৃথ্বী ৫৪, পূজারা ৫৪
    জেমিসন ৪৫/৫, সাউদি ৩৮/২, বোল্ট ৮৯/২

    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস- ২৩৫ (৭৩.১ ওভার)
    লাথাম ৫২, জেমিসন ৪৯, ব্লানডেল ৩০
    শামি ৮১/৪, বুমরাহ ৬২/৩

    ভারত ২য় ইনিংস- ১২৪ (৪৬ ওভার)
    পূজারা ২৪, কোহলি ১৪, জাদেজা ১৬*
    বোল্ট ২৮/৪, সাউদি ৩৬/৩

    নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস- ১৩২/৩ (৩৬ ওভার) (লক্ষ্য ১৩২রান)
    ব্লানডেল ৫৫, লাথাম ৫২
    বুমরাহ ৩৯/২, উমেশ ৪৫/১

    ফল: নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জিতে ২ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে বিজয়ী।

  • ভারতকে ধবলধোলাই করল নিউজিল্যান্ড

    ভারতকে ধবলধোলাই করল নিউজিল্যান্ড

    তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটিতেও হেরে তিন দশকেরও অধিক সময় পর তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের (ধবলধোলাই) স্বাদ পেলো ভারত।

    শেষ ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিং করে লোকেশ রাহুলের শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ভারত সংগ্রহ করে ২৯৬ রান। জবাবে ৫ উইকেট ও ১৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

    সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে মাউন্ট ম্যানগুনায়তে টস হেরে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ৩২ রানের মধ্যে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও বিরাট কোহলি। ৪০ রান করা পৃথ্বী শ বিদায় নেন দলীয় ৬২ রানে।

    চতুর্থ উইকেটে রাহুলের সাথে ঠিক ১০০ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন শ্রেয়াশ আইয়ার। জেমস নিশামের শিকার হওয়ার আগে শ্রেয়াশ করে ৬৩ বলে ৬২ রান। পঞ্চম উইকেটে আরও একটি শতরানের জুটি দেখে ভারত। এবারে রাহুলের সাথে ১০৭ রানের জুটি গড়েন মনিশ পাণ্ডে। রাহুল আউট হলে ভেঙে যায় তাদের জুটি।

    হামিশ বেনেটের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন রাহুল। ২ ছয় ও ৯ চারে ১১৩ বলে ১১২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে শুরু করা এই ব্যাটসম্যান। পরের বলেই মনিশকেও তুলে নেন বেনেট। মনিশের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৪২ রান।

    নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৬ রান। বেনেট শিকার করেন ৪টি উইকেট।

    জবাবে ঝড়ো শুরু করেন হেনরি নিকোলস ও মার্টিন গাপটিল। নিকোলস কিছুটা ধীরে সুস্থে খেললেও গাপটিল ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন। তাদের উদ্বোধনীতে আসে ১০৬ রানে। ১৭তম ওভারে গাপটিল ৪৬ বলে ৬৬ রান করে আউট হলে ভেঙে যায় জুটি। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছয়।

    কেন উইলিয়ামস (২২), রস টেলর (১২) ও নিশাম (১৯) দ্রুতই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তবে এক প্রান্ত আগলে ছিলেন নিকোলস। ১০৩ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে শার্দুল ঠাকুরের শিকারে পরিণত হন তিনি।

    টম লাথামকে সাথে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়েন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। এই অলরাউন্ডার ২৮ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত টর্নেডো ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন। লাথাম অপরাজিত ছিলে ৩২ রানে।

    ১৭ বল হাতে থাকতেই নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়। সিরিজের প্রথম দুইটি ম্যাচেও নিউজিল্যান্ড জিতেছিল। ফলে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হলো ভারত।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত ২৯৬/৭ (৫০ ওভার)
    রাহুল ১১২, শ্রেয়াশ ৬২, মনিশ ৪২, পৃথ্বী ৪০;
    বেনেট ৪/৬৪।

    নিউজিল্যান্ড ৩০০/৫ (৪৭.১ ওভার)
    নিকোলস ৮০, গাপটিল ৬৬, গ্রান্ডহোম ৫৮*, লাথাম ৩২;
    চাহাল ৩/৪৭।

    নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।