চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা বৈশ্বিক সংকটময় একটি মহামারি। এটাকে সামাল দিতে বিশ্বের সরকার প্রধানরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমাদেরমত উন্নয়নশীল দেশে জীবন ও জীবিকার সমন্বয়ে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রনের প্রচেষ্টা চলছে। অথচ কেউ কেউ এর সমালোচনা করেই চলেছে।
মেয়র বলেন, সমালোচনায় সংকট হতে উত্তরণ সম্ভব নয়। সমাধান খুঁজতে হবে সম্মিলিতভাবে দেশের সর্বস্তরের নাগরিককে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব যতটা সম্ভব বজায় রেখে আমরা যদি দেশের প্রতিটি প্রয়োজনীয় সেক্টরকে সচল রেখে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে পারি তবেই বাঁচবে দেশ, বাঁচবে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। সরকার সবদিক বিবেচনায় শপিংমল সহ অন্যান্য ব্যবসাকেন্দ্র সীমিত আকারে চালু রেখেছে। এতে করে কম বেশি সবাই উপকৃত হচ্ছেন। দেশের অর্থনীতি যদি দেউলিয়া হয়ে যায় বেঁচে থাকলেও আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হবে। দেশ ও দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠিক রেখে গণস্বাস্থ্য সংরক্ষণ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, সতর্কভাবে দেশের মানুষ সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করলে সংকট উত্তরণ কঠিন হবে না। দোকান কর্মচারীদের পরিচ্ছন্ন হয়ে দোকানে বসার পাশাপাশি ক্রেতারা এলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন থেকে কাজ করতে হবে। নিজেরা আক্রান্ত হলে অন্যের সেবার যে দায়িত্ব আমাদের কাঁধে, তা ভালোভাবে করতে পারবো না।
আজ সোমবার সকালে নগরীর বিপনী বিতান কার্যালয়েবিপনী বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থা ও বিপনী বিতান দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে বিপণী বিতানের কর্মচারীদের মাঝে করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিপণী বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. সাগির, বিপনী বিতান দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নির্মল কান্তি শীল, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশীদ, আনিসুল ইসলাম আনিস, অনিল ধর, জনি ইসলাম, মো. ফরহাদ, আহমেদ রুবেল, তাজুল ইসলাম রিপন, আজাদ হোসেন, মনসুর আলম, মহিউদ্দিন, অনিক, আলী, ফজলুল, অরুন চৌধুরী ও সুভাশিষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ব মাদারবাড়ি সেবক কলোনী পরিদর্শনে- মেয়র
যারা নগরীকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন তাদের জীবনধারাও একই রকম হতে হবে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন রোগ বালাই প্রতিরোধের প্রধান প্রতিষেধক। করোনাকালে এর গুরুত্ব অপরিসীম। পরিচ্ছন্ন আবাস ও দেহকে জীবাণু সহজে স্পর্শ করেনা। তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ কর্মপরিকল্পনায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাকে অধিকতর গুরত্ব দেয়া হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষাবেষ্টনী নিশ্চিত হলে রোগ-ব্যাধি সংক্রমণের জীবানু নিস্তেজ ও নিষ্প্রান হতে বাধ্য।
তিনি গতকাল পূর্বমাদারবাড়িতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আবাসিক কলোনী পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নগরীকে যারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন তাদের জীবনধারাও একই রকম হতে হবে। তাই তাদের জন্য বহুতল ভবন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঝাউতলায় সেবক কলোনী বহুতল ভবন নির্মাণকাজ চলমান। বাকী কলোনীগুলোতেও একই ধরণের সুযোগ-সুবিধায় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চসিক। এইসব প্রকল্পে আবাসনের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি হল ও উপাসনালয়ও থাকছে।
এ সময় চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টা/এম আর