Tag: ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড

  • করোনার এ সংকটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা: চসিক মেয়র

    করোনার এ সংকটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা: চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস ঢাকা, নারায়নগঞ্জের পর বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় নগরের বিভিন্ন স্পটে ১২টি টেস্টিং বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। তন্মোধ্যে এখন পর্যন্ত ৫টি বুথ স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘করোনার এ সংকটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে নমুনা সংগ্রহ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে সবখানেই। এ সময় সংকট কাটাতে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    আজ কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে যে বুথ স্থাপন করেছে, এতে বুথে নমুনা দিতে হলে মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। বুথে আসার পর আমাদের প্রশিক্ষিত কর্মীরা করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছে কয়েকটি তথ্য জানতে চান। যেমন, তিনি ডায়াবেটিস কিংবা কিডনিজনিত রোগে ভুগছেন কি না। এমন কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে গেছেন কি না, যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সব তথ্য ডেটা ফর্মে লিপিবদ্ধ করার পর প্রশিক্ষিত কর্মীরা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন। এখন পর্যন্ত আমাদের বুথে কাজ করা কোনো কর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হননি।

    আজ সকালে নগরীর কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজে করোনা নমুনা সংগ্রহ বুথ উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

    উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, ব্র্যাকের আঞ্চলিক পরিচালক হানিফ উদ্দীন, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য বেলাল আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ এয়াকুব, কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম এহসান উদ্দিন,প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সহিদুল আকতার, এস এম মামুনুর রশিদ মামুন, মোহাম্মদ রাশেদ, আবু তাহের, আজগর আলী, আকতার জামাল, জুয়েল রানা উপস্থিত ছিলেন।

    মেয়র আরো বলেন, বুথে সেবাদানকারী প্রত্যেক কর্মীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর নমুনা সংগ্রহের কাজে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক কর্মীকে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহ করাসহ সব ধরনের জিনিসপত্র সরবরাহ করে আসছি। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় যেকোনো মানুষ আমাদের বুথে নমুনা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে সক্ষম হচ্ছেন।’

    বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হলে স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না বলে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাঁরা নমুনা সংগ্রহ করা হলে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, কারণ নাকের ভেতর থেকে সোয়াব সংগ্রহ করতে হলে স্বাস্থ্যকর্মীকে ওই ব্যক্তির খুব কাছাকাছি চলে যেতে হয়। আবার যখন নাকের ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, তখন রোগী অবধারিতভাবে হাঁচি দেন। এতে নমুনা সংগ্রহকারী কিন্তু সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।’

    তিনি নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিজ্ঞাণীরা ভ্যাকসিন বা ঔষধ আবিস্কার করবেন, চিকিৎসকরা চিকিৎসা প্রয়োগ করবেন কিন্তু ধৈর্য্যসহকারে সাহসের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপন করতে হবে।

    লকডাউনের কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, লকডাউন কার্যকর থাকাকালীন সময়ে ওই এলাকায় কেউ প্রবেশ ও বের হতে পারবে না। সরকারি-বেসরকারি অফিস থাকবে সাধারণ ছুটির আওতায়। খাবার ও ওষুধসহ সবধরণের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। চলবে না গণপরিবহন, থাকবে না স্টপেজও। লকডাউন এলাকায় অবস্থানকারী সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তারা যাতে কোন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন না হন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, লকডাউন মানে লকডাউন। সবাইকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা মাইকিং করেছি। প্রতিটি ঘরে ঘরে নির্দেশনা দিয়ে লিফলেট পৌঁছে দিচ্ছি। সবকিছু মনিটরিং করার জন্য কেন্দ্রের ফরম্যাট অনুযায়ী, স্থানীয় কাউন্সিলরকে আহবায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, ই-কমার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, সমাজ কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম সদস্য আছেন।

    লকডাউনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে চসিকের সমন্বয় বৈঠক
    মানতে হবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি
    চসিকের প্রদর্শিত নিয়ম-কানুন-মেয়র
    আজ রাত ১২ টা থেকে লকডাউন কার্যকর হচ্ছে নগরীর ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে। লকডাউনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আজ দুপুরে চসিক কনফারেন্স হলে এক সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ. ম নাছির উদ্দীন। এসময় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট সিও লে. কর্ণেল মাহবুব, চট্টগ্রামে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, সিএমপি’র এসপি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, ব্রাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. হানিফ উদ্দিন, চসিকের ডা.মোহাম্মদ আলী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ রেজাউল করিম, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডা. সরোয়ার আলম, সহকারি পরিচালক স্বাস্থ্য কামরুল আজাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে সিদ্ধান্তানুযায়ী লকডাউনকৃত ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ২০ টি প্রবেশ পথ রয়েছে। তন্মধ্যে ১৪টি রাস্তা বন্ধ থাকবে এবং প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ৬টি রাস্তা খোলা থাকবে। লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে সাগরিকাস্থ বিসিক শিল্প এলাকা। প্রতিদিন রিক্সাভ্যানের মাধ্যমে ন্যায্য বাজার মূল্যে কাঁচা বাজার সরবরাহ করা হবে। ধর্মীয় ইবাদত ঘরে থেকেই আদায় করতে হবে, এলাকাবাসীর সার্বিক সহায়তার জন্য থাকবে সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কন্ট্রোলরুম ও এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টীম।

    জরুরী প্রয়োজনে চসিকের কন্ট্রোল রুমের নম্বর সমুহ- ঃ ০৩১-৪৩১৫১৩৬৮, ০৩১-৪৩১৫১৩৬৯, ০৩১-৪৩১৫১৩৭০, ০৩১-৪৩১৫১৩৭১, ০৩১-৪৩১৫১৩৭২, মোবাইল- ০১৮১৯-০৫৬৮৪৪, ০১৮১১-৮৮৭০৮৪-তে যোগাযোগ করা যাবে। চসিকের ব্যবস্থাপনায় কোভিড ও নন- কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে প্রেরণের জন্য সার্বক্ষণিক এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। লকডাউন এলাকায় অবস্থানকারী সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। এসময় মেয়র এলাকাবাসীকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও চসিকের প্রদর্শিত নিয়মকানুন মেনে লকডাউন কার্যকর করার জন্য অনুরোধ জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • ঘরে থাকার নিশ্চয়তা দিন,আপনাদের পাশে আছি:চসিক মেয়র

    ঘরে থাকার নিশ্চয়তা দিন,আপনাদের পাশে আছি:চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকারি সাধারণ ছুটির ৬৬ দিন অতিবাহিত করেছি আমরা। এরই মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নগরীতে আক্রান্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫শ‘র মতন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। শুধুমাত্র ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ৭৮ হাজার জনগণের মধ্যে গত ১৪ দিনের হিসাব মতে ১৪৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছে ৭ জন, যা-কোন ভাবেই কাম্য নয়।

    এমন পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারে লাগাম টানতে ঘরে অবস্থানের কোন বিকল্প নাই।

    দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১মিঃ থেকে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে নগরীর ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে , যা আগামী ২১ দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এই লকডাউন চলাকালীন সময়ে রেড জোন ঘোষিত এলাকায় প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞ থাকবে।

    প্রধান সড়কে কোন প্রকার যাত্রী উঠা-নামা চলবে না, তবে রাত ১২ টার পর পণ্যবাহী গাড়ী চলাচল উম্মুক্ত থাকবে। এলাকার মানুষের সার্বিক সহায়তার জন্য থাকবে সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কন্ট্রোলরুম ও এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টীম। বিশেষ কোন প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুমের নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করে মিলবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা। স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা প্রতিটি ঘরে জিনিসপত্র পৌছে দেয়া হবে।

    চসিকের পক্ষ থেকে চলবে দিনভর প্রচারাভিযান ও লিফলেট বিতরণ।

    আজ সকালে নগরীর ১০ নং উত্তর কাট্টলীতে রেডজোন ঘোষাণার পূর্বদিনে জনসচেতনতা মূলক পরিদর্শনে সিটি মেয়র এসব তথ্য জানান।

    এসময় তিনি মাইকিং করে এলাকাবাসীকে লকডাউন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনায় বলেন, লকডাউন এখন সময়োচিত একটি পদক্ষেপ। তাই নিজেদের সুরক্ষায় ঘরে অবস্থান করে করোনা মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেজন্য আপনারা দৈনন্দিন প্রয়োজন সীমিত করে ঘরে অবস্থান করুন। অহেতুক কোন গুজবে কান না দিয়ে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও চসিকের নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজনের বাইরে কেনাকাটা করা থেকেও বিরত থাকুন। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই সংগ্রহ করুন।

    তিনি আরো বলেন, এলাকার নিম্মবিত্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি জরুরী চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে। মুমূুর্ষ রোগী পরিবহনে থাকবে এ্যাম্বুলেন্স। মোট কথা ঘরে থাকার নিশ্চয়তা দেবেন এলাকাবাসী আর আপনাদের প্রয়োজন মেটাতে আছি আমরা।

    এই ওয়ার্ডটি ছাড়াও নগরীর আরো ৯টি ওয়ার্ড রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ধাপে ধাপে সেগুলোও লকডাউন করা হবে। তবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এইসব এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে না।

    এ সময় চসিক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈনুর রহমান, কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান আমিন, ইকবাল চৌধুরী, মো. দুলদুল, সুদীপ কুমার দাশ, মো. ছগির আলম, নুর আলম, হায়দার আলী, মুজিবুর রহমান, রোমন উদ্দিন, হারুন উর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ১৬ জুন থেকে ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড ২১ দিনের লকডাউন

    ১৬ জুন থেকে ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড ২১ দিনের লকডাউন

    করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ১৬ জুন রাত ১২ টা ০১ মিনিট থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ২১ দিন ব্যাপী লাগাতার লকডাউন শুরু হচ্ছে।

    সরকারি প্রজ্ঞাপণ অনুযাযী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ১০ টি ওয়ার্ডকে করোনা সংক্রমণপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে রেডজোনের আওতায় আনা হয়েছে।

    ১০ নং উত্তর কাট্টলী ছাড়াও রেডজোন চিহ্নিত নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ডগুলো হলো

    চট্টগ্রাম সিটির ১০ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    রেড জোন এলাকাসমূহ:-

    ★ ১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ড
    ★ ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ড
    ★ ২০ নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড
    ★ ২১ নং জামালখান ওয়ার্ড
    ★ ১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ড
    ★ ২৬ নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড
    ★ ৩৭ নং উত্তর মধ্য – হালিশহর ওয়ার্ড
    ★ ৩৮ নং দক্ষিণ মধ্য – হালিশহর ওয়ার্ড
    ★ ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড

    করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির শনিবারের অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরীর উল্লেখিত এলাকাগুলোকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

    সভার সিদ্ধান্তানুযায়ী চিহ্নিত এলাকার সংশ্লিস্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং পুলিশ সুপার মিলে সু-নির্দ্দিষ্টভাবে এসব রেড জোন চিহ্নিত করেছেন।

    চিহ্নিত এলাকায় প্রতি ১ লখা জনসংখ্যায় বিগত ১৪ দিনে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছে এমন এলাকাগুলোকেই রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

    টেকনিকেল কমিটির এই সিদ্ধান্তের আওতায় চট্টগ্রাম নগরীতে এই প্রথম আগামী ১৬ই জুন থেকে লকডাউন কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এভাবে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত ১০টি ওয়ার্ডকে পর্যায়ক্রমে লকডাউনের আওতায় আনা হবে।

    সরকারি প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী নতুনভাবে জোন ভিত্তক লকডাউন এলাকা ঘোষনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য আজ বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিস্ট সকল কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে এক সমন্বয় বৈঠকে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন এই তথ্য জানান।

    এই সময় তিনি বলেন, সরকার একইসাথে লকডাউন চলাকালীন সময়ে চিহ্নিত এলাকায় সরকারি আধাসরকারি, সায়িত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিসষ্ঠানে সরকারি প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হবে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে চিহ্নিত ওয়ার্ডে যানবাহন ও জনচলাচল ও দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রত্যেককেই অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নতুনভাবে জোনভিত্তিক লকডাউন ঘোষনা এবং তা যথাযথভাবে পালনের বিষয়ে।

    এসময় তিনি বলেন, সরকার একইসাথে সারা দেশে লকডাউন না করে অধিকতরভাবে সংক্রমণপ্রবন এলাকা চিহ্নিত কবার প্রেক্ষিতে আগামী ১৬ তারিখ থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। এবং এই পদক্ষেপ যথাযথভাবে কার্যকর হলে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় শতভাগ সফল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জীবন ও জীবিকার সমন্বয়ে করোনা মহামারি প্রতিরোধে ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চিত করতে ¯স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ যেসকল কর্তৃপক্ষের উপর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তাদেরকে সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, লকডাউনকালীন সময়ে আরোপিত বিধি নিষেধগুলো শতভাগ প্রয়োগ করা হয়।

    তিনি আরো বলেন যে, লকডাউন চলাকালীন সময়ে এলাকার অধিবাসিরা নিজের এলাকায় থাকবেন এবং বাইরের কেউ নিজেদের এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। যারা ঘরে আবদ্ধ থাকবেন তাদের প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণের জন্য চসিক এর পক্ষ থেকে মহল্লায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নির্দ্দিষ্ট টেলিফোন নম্বরে এলাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ন্যায্য বাজারমূল্যে খাদ্য, ওষুধপত্রসহ দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবন যাপনের উপকরণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। যারা হতদরিদ্র তাদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে চসিক তাদের সকল চাহিদা পূরণ করবে।

    বৈঠকে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ, বাংলাদেশ ইনফেনট্রি রেজিমেন্টের(বিআইআর) এর সিও লে.কর্ণেল মাহবুব, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, চসিক প্রধান ¯স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সম্বয়ক ডা. আইমং প্ররু ও সিইও ইয়াছিন মিয়া, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হানিফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর