Tag: ১৪ দল

  • প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠক সন্ধ্যায়

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠক সন্ধ্যায়

    প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে এই বৈঠক হবে। ১৬ মাস পর অনুষ্ঠেয় বৈঠকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনের কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা হবে।

    এ ছাড়া বৈঠকে বিএনপি ও তার মিত্রদের সরকার পতনের একদফা আন্দোলন মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করা হবে। সেই সঙ্গে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও জনজীবনের সংকট মোকাবিলায় জোট কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার বিষয়েও শরিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন জোটের শীর্ষ নেতা শেখ হাসিনা।

    এর আগে তিনি ২০২২ সালের ১৫ মার্চ ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার প্রায় তিন বছর পর আওয়ামী লীগ প্রধানের সঙ্গে ওই বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে আগের তিনটি জাতীয় নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও জোটগতভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানান শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকেরও দীর্ঘ ১৬ মাস পর ১৪ দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠক হতে যাচ্ছে।

    বৈঠকে ১৪ দলের প্রতিটি শরিক দলের দু’জন করে শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দলগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়ক পদের নেতারা বৈঠকে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

    তবে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক কয়েকজন নেতাও এই বৈঠকে থাকবেন।

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি এক বিবৃতিতে আমন্ত্রিত নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • জাতিসংঘের সহায়তায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে, ইঙ্গিত দিলেন আমু

    জাতিসংঘের সহায়তায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে, ইঙ্গিত দিলেন আমু

    সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা কোথায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে তার সুরাহা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

    মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ১৪ দলের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

    আমু বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক, বিগত সময়ে যেমন জাতিসংঘ আমাদের দুই দলকে (বিএনপি-আওয়ামী লীগ) সঙ্গে নিয়ে বসে বুঝিয়েছিল, আজকেও প্রয়োজনে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক, আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই সুষ্ঠু নির্বাচন করার বাধা কোথায়? কিভাবে সেটা নিরসন করা যায়।

    তিনি বলেন, একটা আলোচনার মধ্য দিয়ে সুরাহা হতে পারে। অন্য কোনো পথে নয়। অন্য কোন পথে চেষ্টা করে, নির্বাচন বানচাল করে, যারা অসাংবিধানিক অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়, অসাংবিধানিক কোনো জিনিস আনতে চায়, তাদের প্রতিহত করা হবে।

    একই কর্মসূচিতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যায়। মার্কিন ভিসা নীতির কারণে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলব-সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন।

    সভায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  • আমির হোসেন আমু ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মনোনীত

    আমির হোসেন আমু ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মনোনীত

    প্রবীণ রাজনীতিক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মনোনীত হয়েছেন।

    আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও জোট প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমির হোসেন আমুকে এ পদে মনোনীত করেছেন।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

    আজ বুধবার সকালে সংসদ ভবনে তার সরকারি বাসভবনে অনলাইন ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দের সম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রবীণ নেতা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে ১৪ দলের সমন্বয়ক মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়েছেন।

    কাদের আরও বলেন, আমির হোসেন আমু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে ১৪ দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনে যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন বলে নেত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মোহাম্মদ নাসিম মারা গেছেন

    এর আগে ১৪ দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। গত ১৩ জুন মারা যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। তার মৃত্যুর পর আওয়ামী জোটের এ গুরুত্বপূর্ণ পদটি ফাঁকা হয়। আর জোটের সমন্বয়ক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় অনেকটা নিষ্ক্রিয় আছেন তিনি।

    বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আমির হোসেন আমু। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল পথচলা এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনার প্রথম শাসন আমলে (১৯৯৬) খাদ্যমন্ত্রী ও বিগত শাসন আমলে (২০১৪) শিল্পমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

    উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে এই জোটের সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল জলিল। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দায়িত্ব পান প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। মুখপাত্রের দায়িত্ব দেয়া মোহাম্মদ নাসিমকে। বর্তমানে এই জোটে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যদলগুলো হলো- ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ জাসদ, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাসদ (একাংশ), জাতীয় পার্টি (জেপি) ও তরিকত ফেডারেশন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মেননের দু:খ প্রকাশে ১৪ দল সন্তুষ্ট

    মেননের দু:খ প্রকাশে ১৪ দল সন্তুষ্ট

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ১৪ দলের কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আর মেননের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ১৪ দল সন্তুষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

    সোমবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক সভা শেষে একথা জানান ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র নাসিম।

    সম্প্রতি বরিশালে ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলনে রাশেদ খান মেনন একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দেন। সেদিন মেনন বলেছিলেন, ‘আমি সাক্ষী, এই নির্বাচনে আমিও নির্বাচিত হয়েছি। আমি বলছি, আমি জনগণ, সেই জনগণ, তারা ভোট দিতে পারেনি।’

    মেননের ওই বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনা হয়। সরব ছিল ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও।

    সমালোচনার মধ্যে পরদিন মেনন দাবি করেন বরিশালের অনুষ্ঠানে তার দেওয়া বক্তব্য খণ্ডিতভাবে গণমাধ্যমে আসায় সবার কাছে ভুল বার্তা গেছে।

    এর মধ্যেই মেননের কাছে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় ১৪ দল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডিতে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেননের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়।

    রবিবার দিবাগত রাতে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে মেননের দেওয়া বক্তব্যের জবাবের চিঠিটি পৌঁছে দেন। সেখানে মেনন দুঃখ প্রকাশ করেন।

    আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ১৪ দলের শরিক দলের নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে চিঠি দিয়েছিলাম। তিনি নির্বাচন নিয়ে ১৪ দলের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তারপর তিনি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

    মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা তার জবাবে সন্তুষ্ট হয়েছি। যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তার অবসান ঘটেছে।’

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ।