Tag: আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী

  • আনসার বাহিনীকে স্মার্ট ও আধুনিক করতে কাজ চলছে

    আনসার বাহিনীকে স্মার্ট ও আধুনিক করতে কাজ চলছে

    জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বাহিনীকে আরও স্মার্ট ও আধুনিক করতে কাজ করছে সরকার।

    আজ (সোমবার) সকালে গাজীপুরের সফিপুরে আনসার-ভিডিপির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রতিহত করে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তারা।

    তিনি বলেন, গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছে সরকার। সহযোগিতা করছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

    সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে সমাজকে রক্ষায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনী স্মার্ট ও আধুনিক হয়ে গড়ে উঠবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

    শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে বাংলাদেশর। জননিরাপত্তা রক্ষায় যেকোনো অশুভ তৎপরতা মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে।

    এদিন সকাল ১০টার কিছু পরে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা ও আনসার ভিডিপির ৪৪তম সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি। ঘুরে দেখেন বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের জমায়েত।

    প্রধানমন্ত্রীকে প্যারেডের মাধ্যমে সালাম জানায় আনসারের বিভিন্ন ইউনিট। এ সময় বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮০ জনকে আনসার পদক পরিয়ে দেন সরকারপ্রধান।

    সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম উদ্দিন, আনসার ও ভিডিপি অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট মো. নূরুল হাসান ফরিদী, বাহিনীর উপমহাপরিচালক, অন্যান্য কর্মকর্তা ও আনসার- ভিডিপির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

  • নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৮৫০০ ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েন

    নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৮৫০০ ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েন

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮ হাজার ৫০০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে।

    শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (প্রকল্প-প্রশিক্ষণ) মো. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের গতকাল ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনীকালীন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ২৫০টি প্লাটুন ৭৫০টি সেকশনে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

    নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোতায়েন করা আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা রিটার্নিং অফিসারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল, স্ট্রাইকিং ও স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তিনি।

    এদিকে গতকাল শুক্রবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারাদেশে এক হাজার ১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারাদেশে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মোতায়েন করা হয়েছে।

    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী র‌্যাব ফোর্সেস শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সব নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে।

    এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের আগে-পরে প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে কোস্টগার্ড।

  • সারা দেশে ১০ হাজার আনসার মোতায়েনের নির্দেশ

    সারা দেশে ১০ হাজার আনসার মোতায়েনের নির্দেশ

    বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর ঘোষিত অবরোধ চলাকালে রেল, সড়ক ও নৌ পথে যোগাযোগ নির্বিঘ্ন রাখতে ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনীকে সহায়তার জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে মোতায়েন থাকবে ১০ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য।

    সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের (রাজনৈতিক শাখা-২) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপপরিচালক (প্রকল্প প্রশিক্ষণ) ও গণসংযোগ কর্মকর্তা (অতি. দায়িত্ব) মো. জাহিদুল ইসলাম।

    তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, লঞ্চঘাট, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনীকে সহায়তার জন্য সারা দেশে অনধিক ১০ হাজার সাধারণ আনসার ও ভিডিপির সদস্য মোতায়েনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিষয়টি সার্বিক সমন্বয় করবেন।

  • আনসারকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না, ভবিষ্যতেও হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    আনসারকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না, ভবিষ্যতেও হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    আনসার ব্যাটালিয়নকে অপরাধীকে আটক, দেহ তল্লাশি ও মালামাল জব্দের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, দেশের কোনো আইন অনুযায়ী আনসারকে এ ধরনের ক্ষমতা দেওয়া যাবে না।

    বুধবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। আমি শুনতে পাচ্ছি, আনসার পুলিশের ক্ষমতা নিয়ে যাচ্ছে। এগুলো ভুল তথ্য, প্রোপাগান্ডা। আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়নি, দেওয়া হবেও না।

    ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সমাবেশ অনুমোদনের অনুরোধ করেছে। ঠিক কীভাবে করেছে, পুলিশ কমিশনার সেটা জানেন। ঢাকার কোন জায়গায় করলে এত লোক তারা আনবে, তারা ঘোষণা দিয়েছে কিংবা পত্রপত্রিকায় জানান দিচ্ছে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাচ্ছে। আমাদের কাছে যেগুলো আসছে, তারা নাকি সারা বাংলাদেশ থেকে যারাই বিএনপি করেন, সবাইকে ঢাকায় নিয়ে আসবেন। কোনো সদস্যই বাদ থাকবে না- সে রকম আমরা শুনছি। সে রকম যদি হয়, তাহলে এত লোক ঢাকায় এলে একটা অন্য ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। সেজন্যই কমিশনার তাদের কোথায় সমাবেশটা করতে দেবেন, সেটা তিনিই বুঝবেন। তিনি সেভাবেই সিদ্ধান্ত দেবেন।

    তিনি বলেন, সংবিধানের ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে যদি বিএনপি কিছু করতে চেষ্টা করে, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অর্পিত দায়িত্বটি তারা পালন করবেন। যেটা সংবিধানের বাইরে, সেটা রক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেটা করার কর্তব্য, সেটা তারা করবে।

  • পুলিশের মতোই আটক-তল্লাশি-জব্দের ক্ষমতা পাচ্ছে আনসার, সংসদে বিল

    পুলিশের মতোই আটক-তল্লাশি-জব্দের ক্ষমতা পাচ্ছে আনসার, সংসদে বিল

    অপরাধীকে আটক, দেহ তল্লাশি ও মালামাল জব্দের ক্ষমতা পাচ্ছেন আনসার সদস্যরা। এমন বিধান রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল ২০২৩’ সোমবার সংসদে উঠেছে। নতুন এই বিলে আনসারে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিলটি উত্থাপন করেন। তিনদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

    এর আগে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বিলটির ওপর আপত্তি জানান। ফখরুল ইমাম বলেন, পুলিশের সমান্তরাল ক্ষমতা আনসার বাহিনীকে দেওয়া হলে দুটি বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান হয়ে যেতে পারে। তিনি বিলটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

    জাপা সদস্যের আপত্তির জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন। এতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করতে হলে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদেরও মোতায়েন করতে হবে। পরে কণ্ঠভোটে ফখরুল ইমামের দাবি নাকচ হয়ে যায়।

    সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একাদশ সংসদের সর্বশেষ চলমান অধিবেশন আগামী ২ নভেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    এর আগে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

    প্রস্তাবিত বিলের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে আটক করে অবিলম্বে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি, কোনো স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি এবং মালামাল জব্দ করতে পারবে।’

    বিলের ২১ ধারায় বিদ্রোহ সংগঠন বা বিদ্রোহ সংগঠনের প্ররোচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে অপরাধ বিচারের জন্য সংক্ষিপ্ত আনসার আদালত এবং বিশেষ আনসার আদালত নামে দুটি আদালত গঠনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সরকারি বা ব্যাটালিয়ন সদস্যের সম্পত্তি চুরি করা, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে প্যারেডে অনুপস্থিত থাকা, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রদর্শন অপরাধ হিসেবে গণ্য করে চাকরি থেকে বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অপসারণের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

    বিলটি উত্থাপনে আপত্তি জানিয়ে জাপার সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, কথায় আছে- বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়। এখানে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি শক্ত হয়ে গেছে। পুলিশের কাজটা যদি বিভক্ত এবং সমান্তরাল করা হয় তাহলে কাজটা করা যাবে না। দেশে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর আলাদা আলাদা কাজ আছে। এলিট বাহিনীও করা হয়েছে।

    ফখরুল ইমাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তার জন্য আনসার বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এই বিলে সাত ও আট ধারা অনুযায়ী পুলিশ যা করে তা করতে পারবে আনসার বাহিনী। পুলিশের মতো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। বিলটা এভাবে পাস হলে পুলিশের সমান্তরাল ফোর্স হয়ে যাবে আনসার বাহিনী।

    পুলিশ ও আনসারকে মুখোমুখি না করে পাশাপাশি রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

    জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ আসলেই আনসার বাহিনীর সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। নির্বাচনের সময় যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রয়োজন পুলিশবাহিনীতে এত পরিমাণ নেই। এই পর্যন্ত ৬ লাখ আনসার নিয়োগ করতে হয়েছে। নির্বাচনের সময় সমপরিমাণ আনসার বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

    ২০১৩ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনকে ঘিরে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের’ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন দেশ অচল করে দেওয়ার সময় আনসার বাহিনী রাস্তাঘাট পরিষ্কার করেছেন। যানবাহন চলাচলের জন্য নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের সমান্তরাল বাহিনী হিসেবে আনসারকে তৈরির পরিকল্পনা সরকারের নেই। সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য পাহাড়ে আনসার রয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বাহিনী তৈরির ইচ্ছে নেই। আনসার বাহিনী অনেক কাজ করছে, তাদের একটা আইনের মাধ্যমে পরিচালনার জন্যই আইন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বিলে কোনো সাংঘর্ষিক বিধান থাকলে তা সংসদীয় কমিটিতে সংশোধন করা হবে।

  • জাতীয় প্রয়োজনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদস্যরা আত্মনিবেদিত : প্রধানমন্ত্রী

    জাতীয় প্রয়োজনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদস্যরা আত্মনিবেদিত : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ যে কোন প্রয়োজনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আত্মনিবেদিত ও সদা তৎপর।

    আগামীকাল ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের শুরুতেই মৃত্যু ঝুঁকি উপেক্ষা করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ, শ্রমিক সংকটকালে কৃষকের ফসল ঘরে তোলা, ত্রাণ বিতরণ এবং হাসপাতালে আগত রোগীদের সহায়তাকরণসহ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে নিবন্ধন কার্যক্রমে সহযোগিতা ও কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালে দায়িত্ব পালনে এ বাহিনীর সদস্যদের সাহসী উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।’

    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি এ বাহিনীর সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে আনসার সদস্যরা নিজেদের অস্ত্রাগারে রক্ষিত ৪০ হাজার থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ১২ জন বীর আনসার সদস্য মুজিবনগরের আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে এ বাহিনীকে করেছে গৌরবান্বিত।

    তিনি ভাষা শহীদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বারসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ৬৭০ জন বীর আনসারসহ সকল শহিদকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাফল্যের অন্যতম অংশীদার। জনসম্পৃক্ত সুশৃঙ্খল এ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবার পরিকল্পনা, জনস্বাস্থ্য, দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ, নারী ও শিশুপাচার রোধ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অনবদ্য অবদান রাখছে। নারীর ক্ষমতায়ন, জনকল্যাণ ও উন্নত জাতি গঠনে প্রায় ৬১ লাখ সদস্যের এ বাহিনীর বহুমুখী উন্নয়নমূলক কর্মতৎপরতা সত্যিই প্রশংসনীয়। এছাড়াও খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এ বাহিনীর সদস্যরা অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাহিনীর সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক প্রবর্তন, পারিবারিক রেশন প্রদান, সাধারণ আনসারের রেশন সামগ্রীর পরিমাণ বৃদ্ধি, সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন, কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন গ্রেডে নতুন পদ সৃজন, টিআইদের পদোন্নতি এবং কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন সদস্যদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও একটি বিশেষায়িত গার্ড ব্যাটালিয়নসহ নতুন আনসার ব্যাটালিয়ন গঠন, ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের স্থায়ীকরণের মেয়াদ হ্রাস এবং আনসার ব্যাটালিয়নের তিনটি পদবির বেতন গ্রেডের ধাপ উন্নীত করা হয়েছে। বাহিনীর অবকাঠামোসহ সর্বক্ষেত্রে আধুনিকায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে রেঞ্জ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবন নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বাহিনীর সুনাম, ঐতিহ্য ও মর্যাদা অক্ষুণœ রেখে দেশ ও জাতির শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে আরো অবদান রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

  • করোনার টিকা গ্রহণে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে আনসার বাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    করোনার টিকা গ্রহণে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে আনসার বাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে টিকা গ্রহণে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে এবং আনসার ভিডিপির প্রতিটি সদস্যকে অনুরোধ করবো প্রতিটি মানুষ যাতে এই টিকাটা নেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘অনেকে ভয় পায়, সুই ফোঁটাতেও ভয় পায়, কাজেই তারা যেন রোগাক্রান্ত না হয় সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপটা নিয়েছি এবং সেখানে আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

    আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আপনারাও গ্রামের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন যেন, এই মাহামারী, যেটা আজকে সমগ্র বিশ্বব্যাপী দেখা গেছে, তার হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষ যেন মুক্তি পেতে পারে।’

    প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪১ তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
    তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের সফিপুর আনসার ও ভিডিপি একাডেমির সঙ্গে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।

    শেখ হাসিনা বলেন, টিকাদানের জন্য তাঁর সরকার যেসব ডিজিটাল সেন্টার করেছে সেখানে গিয়েই সকলে নিবন্ধন করতে পারবেন। সেখানে গিয়ে নিজে এবং পরিবারের সকলে যেন টিকা নেয় তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত আনসার বাহিনীর মোট ১৯ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    তিনি বলেন, ‘আপনারা সুরক্ষিত থাকেন এবং টিকা নিয়ে নিজেদের আরো সুরক্ষিত করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেটাও আমরা চাই।’
    অনুষ্ঠান থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। আসনার ও ভিডিপি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম স্বাগত বক্তৃতা করেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ১৪০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে সাহসিকতা ও বিশেষ কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘সেবা’ ও ‘সাহসিকতা’ পদক প্রদান করা হয়।

    বাল্যবিবাহ রোধ কল্পে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে ভাষণে এটি অব্যাহত রাখার ও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, ‘একটি কাজ আপনারা করে যাচ্ছেন সেটা হচ্ছে বাল্য বিবাহ রোধ করা। যেটি আপনাদের করে যেতে হবে।’

    সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদে যেন আমাদের দেশের যুব সমাজ সম্পৃক্ত না হয় এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা আপনারা রেখে যাচ্ছেন এবং এটা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এর বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক তথ্য ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনসহ ব্যাপক কর্মসূচি আপনারাদের পালন করে যেতে হবে। ‘যাতে ছেলে-মেয়েরা বিপথে না যায়। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। মৌলিক প্রশিক্ষণ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ও পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের যুব সমাজের কর্মসংস্থান তৈরিতে এ বাহিনী সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
    বিশেষ করে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ এবং নারীর ক্ষমতায়নে এ বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। সুবিশাল এ বাহিনীর অর্ধেক সদস্যই নারী। সমঅধিকারের ভিত্তিতে তাদের বিনামূল্যে আয়-বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠিত ‘আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক’ দেশব্যাপী ২৫৯টি শাখার মাধ্যমে সদস্যদের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ঋণ প্রদান করে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক হতে স্বল্প সুদে তহবিল সংগ্রহপূর্বক বাহিনীর সদস্যদের মাঝে কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করার জন্য ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি টাকা এ ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে এবং তারা প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচও করেছেন।

    তিনি বলেন, এখান থেকে ৫ শতাংশ সুদে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত তাঁরা ঋণ নিতে পারেন।
    আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যরা বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় উল্লেখ করে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার অগ্নিসন্ত্রাসের সময়ও তাঁদের বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় সারাদেশে জান-মাল ও রেল রক্ষায় আনসার বাহিনীকে সম্পৃক্ত করেছিলেন এবং তাঁরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অগ্নি সন্ত্রাস মোকাবেলা করেছেন, সেজন্য তিনি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    তাঁর সরকারের মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শ্লোগান-‘মুজিববর্ষের উদ্দীপন, আনসার ও ভিডিপি আছে সারাক্ষণ’ সময়োপযোগী হয়েছে। বাহিনীর সদর দপ্তর, একাডেমি, রেঞ্জ, ব্যাটালিয়ন ও জেলা কার্যালয়সহ প্রতিটি কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করা হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে চলমান মাস্টার্স কোর্সসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণসূচিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম শীর্ষক পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নামে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    ‘সেবা’ ও ‘সাহসিকতা’ পদক প্রাপ্তদের অনুষ্ঠানে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও দৃষ্টান্তমূলক দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর ‘সেবা’ ও ‘সাহসিকতা’ পদক আওয়ামী লীগ সরকারই প্রবর্তন করেছে। বাহিনীর কর্মকর্তাদের নতুন সিরিমনিয়াল ড্রেস এবং কমব্যাট পোশাক প্রদান করা হয়েছে।

    আনসার বাহিনীর উন্নয়নে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনসার ও ভিডিপি’র স্থাপনাসমূহের ভৌত সুবিধাদি সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের ২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৪টি কেন্দ্রের কাজ সম্পন্ন এবং ১১৪টি ভবন ও স্থাপনা সংস্কার করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিন্তু সরকারি দায়িত্ব পালনে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী বিবেচনায় দেশের প্রতিটি রেঞ্জে একজন করে ভিডিপি সদস্যের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে একই বিবেচনায় প্রতি জেলায় ভিডিপি সদস্যকে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

    এ সময় মুজিববর্ষে দেশের প্রত্যেক গৃহহীন-ভূমিহীনকে ঘর করে দেওয়ার তাঁর সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সকল ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাতেও তাঁর সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুজিববর্ষে দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীনের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। সবাই বিদ্যুৎ পাবে। প্রতিটি গ্রামে আমরা শহরের নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

    সকলের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্য, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে উন্নত-সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করবো, ইনশাআল্লাহ।

    প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই ভাষা আন্দোলনের এই মাসে মহান ভাষা আন্দোলনের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, ভাষা শহীদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বার এবং মুক্তিযুদ্ধে আনসারের ৬৭০ জন বীর শহীদ সহ মুক্তিযুদ্ধের আত্মাহুতিদানকারী ৩০ লাখ শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা- বোনকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

  • দুস্থ ও অস্বচ্ছলদের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ

    দুস্থ ও অস্বচ্ছলদের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় ১৫০ জন দুস্থ ও অস্বচ্ছল আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যার মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

    আনসার ভিডিপির বান্দরবানের জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ সাহাদাত হোসেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে উক্ত ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামসুল আলম, ১৯ আনসার ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক মোঃ হাছান আলী, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ইমন দাশ গুপ্ত, উপজেলা প্রশিক্ষক সমীর বড়ুয়া ও ইউনিয়ন দলনেতা-দলনেত্রীবৃন্দ।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিশ্চিতে কাজ করতে আনসার বাহিনীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিশ্চিতে কাজ করতে আনসার বাহিনীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনসার বাহিনীকে দেশের সর্ববৃহৎ বাহিনী অভিহিত করে তাঁদের সততা, আন্তরিকতা এবং সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগণের সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আপনারা (আনসার বাহিনী) দেশের সর্ববৃহৎ বাহিনী হিসেবে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা, আন্তরিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে পালন করে জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে সমর্থ হবেন।’

    তিনি আজ সকালে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি, সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র ৪০ তম জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আনসার বাহিনীর সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান। কেননা, তাঁর সরকার এক্ষেত্রে অবদান রাখতে সকলের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

    ‘দেশের সর্ববৃহৎ বাহিনী হিসেবে আপনাদের (আনসার) উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা ।

    দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখা এবং এ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে আনসার সদস্যরাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একযোগে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ অচিরেই বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারব-এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

    এরআগে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

    প্রধানমন্ত্রীকে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ থেকে অভিবাদন জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী একটি সুসজ্জিত খোলা জীপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।

    দৃষ্টান্তমূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ৮টি ক্যাটাগরিতে ১৪৩ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যের মধ্যে ‘সেবা’ ও ‘সাহসিকতা’ পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে মরহুম আনসার সদস্য গোলাম মোস্তফার সহধর্মিনীর হাতে তাঁর (গোলাম মোস্তফা) মরণোত্তর পদক তুলে দেন।

    পরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পরিবেশনায় পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অন্ষ্ঠুান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং আসনার সদস্যদের দরবারেও যোগ দেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম তুলে ধরা নাটিকা, গীতিনাট্য এবং গম্ভীরা পরিবেশিত হয়।

    প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষ্যে আনসার একাডেমি প্রঙ্গনে একটি গাছের চারা রোপন করেন এবং কেক কাটেন।

    দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে এই বাহিনীকে সম্পৃক্ত করতে তাঁর সরকারের পরিকল্পনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আনসার ও ভিডিপি বাহিনীকে উন্নয়ন কাজে আরও সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাবেন, আমি সে আশাই করছি।’

    আনসার ও ভিডিপি’র প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাহসিকতা ও কর্মদক্ষতা বর্তমানে সর্বজন স্বীকৃত।’

    তিনি বলেন,‘জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনসহ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ ও মৌলবাদ নির্মূলে আনসার বাহিনী বিশেষ ভুমিকা রেখে যাচ্ছে।’

    বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ ও জনসম্পৃক্ত একটি বৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,এ বাহিনীর কার্যক্রম তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬১ লাখ।

    তিনি বলেন,দেশের প্রতিটি গ্রামে বা মহল্লায় এ বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। কাজেই সরকারের যে কোন সচেতনতামূলক কার্যক্রম আনসার-ভিডিপি’র সদস্যদের মাধ্যমে খুব সহজেই তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধান করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে।’

    তিনি বলেন, ‘বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় এ বাহিনীর সদস্যরা ‘এভসেক’ (এভিয়েশন সিকিউরিটি) এর অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। দেশ ও জনপদকে নিরাপদ রাখতে ২টি মহিলা ব্যাটালিয়নসহ এ বাহিনীতে ৪২টি আনসার ব্যাটালিয়ন রয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় এ বাহিনীর ১৬টি ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অপারেশনাল ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া নব গঠিত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কূটনৈতিক এলাকা, কূটনৈতিক ব্যক্তি এবং দেশের বিশিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

    খেলাধুলায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের সফলতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এ বাহিনীর সদস্যগণ খেলাধুলা ও দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম বৃদ্ধি করেছে। সদ্য সমাপ্ত এসএ গেমস্- এ বাংলাদেশের অর্জিত ১৪২টি পদকের মধ্যে ৬৮টি পদক অর্জন করেছে এ বাহিনীর খেলোয়াড়গণ।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আনসার বাহিনীকে ১৯৯৮ সালে সর্বোচ্চ সম্মান জাতীয় পতাকা প্রদান ছাড়াও ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়েছে।’

    ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন’ প্রণয়ন করার কার্যক্রম সরকার হাতে নিয়েছে এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ও আআম্রকানন এর নিরাপত্তার জন্য ২টি আনসার ব্যাটালিয়ন গঠনের কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    ১টি গার্ড ব্যাটালিয়নসহ ৪টি আনসার ব্যাটালিয়ন গঠন, ব্যাটালিয়নের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করে জনবল বৃদ্ধি, আনসার ও ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধিসহ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের ও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পাশাপাশি বিগত বছরে বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদবীর ৯৬৬ জন আনসার সদস্য পদোন্নতি পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।

    দেশের জনগণের উন্নয়নের সরকারের নেয়া বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে সরকার প্রধান বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আমরা প্রবেশ করেছি। সম্প্রতি বিশ্বের ৪১তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এসবই গত এগার বছরে আমাদের সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে সম্ভব হয়েছে। ’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাথাপিছু আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ও শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দারিদ্র্যের হার আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।’

    দেশের ৯৬ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুিবধার আওতায় এসেছে এবং ‘মুজিববর্ষে’ দেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাই সরকারের লক্ষ্য বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফুলী টানেল স্থাপন – এ সবই আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার বহি:প্রকাশ। এছাড়া নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন,‘এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আমাদের ধরে রেখে আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী ভাষণের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন সহ মুক্তিযুদ্ধে শহিদ আসনার বাহিনীর ৬৭০ জন শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

    তিনি বলেন, ‘এ বাহিনীর গর্বিত সদস্য ভাষা শহিদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বার ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য জীবন বিসর্জন দেন।’

    ‘এ বাহিনীর ১২২৯ বীর সদস্য ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার প্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন,’বলেও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০-২০২১ সালকে তাঁর সরকার ঘোষিত ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে উদযাপনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানান।

    একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে এ দিনের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য ও এই বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান।