Tag: জেলা প্রশাসক

  • বদলিতে স্বচ্ছতার অনন্য নজির স্থাপন করলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

    বদলিতে স্বচ্ছতার অনন্য নজির স্থাপন করলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

    চট্টগ্রাম জেলায় রাজস্ব প্রশাসনে কর্মরত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তাদের পদায়ন লটারির মাধ্যমে করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এরকম একটি ব্যতিক্রমী ও স্বচ্ছ বদলির পদক্ষেপ নেন বর্তমান জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

    বর্তমান কর্মস্থলে কর্মকাল তিন বছর অতিক্রম করেছে এমন ২৫ জন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ৭৮ জন ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তাকে কে আজ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হয়েছে।

    উক্ত পদায়ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সহকারী কমিশনার ভূমি সহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তাগণ।

    পদায়ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি পদায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে। সকলের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে এই পদায়ন করা হলো। আমরা আশা করছি পদায়িত কর্মকর্তাগণ মানুষকে আন্তরিকতার সহিত সেবা প্রদান করবেন”।

  • আজকের শিশুরাই আগামী দিনের সম্পদ- ফরিদা খানম

    আজকের শিশুরাই আগামী দিনের সম্পদ- ফরিদা খানম

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থাপিত স্বপ্নযাত্রা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নস্থ ডলু সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ফিতা কেটে স্কুলটি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

    এ উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম । তিনি বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের সম্পদ। তাদের বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। স্বপ্নযাত্রা স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশের চালিকাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ছরোয়ার হোসেন স্বপন, বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্য মামুদুর রহমান।

    উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন ও উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ। পরে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।

    এর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। পরে তিনি চা–শ্রমিকদের মাঝে ঘর হস্তান্তর এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা প্রদান করেন। শেষে শফিকুন নুর মাওলা (বীর প্রতীক) মিলনায়তনে বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক।

  • ডিসি সম্মেলন শুরু ৩ মার্চ

    ডিসি সম্মেলন শুরু ৩ মার্চ

    আগামী ৩ মার্চ (রোববার) জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে। চার দিনের এ সম্মেলন শেষ হবে ৬ মার্চ (বুধবার)।

    মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুষ্ঠানের পরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

    এই সম্মেলনে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী ও সচিবেরা সরাসরি উপস্থিত থেকে ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

    এছাড়া এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা গ্রহণ করবেন।

    জানা গেছে, সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের জেলা প্রশাসকরা মতবিনিময় করবেন। এরপর তাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা, অনুশাসন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

    এছাড়া সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা, নীতি ও অনুশাসন মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে গেলে যে চ্যালেঞ্জের তারা সম্মুখীন হন, যে অভিজ্ঞতা তারা সঞ্চয় করেন বা মাঠ পর্যায়ে যে বাস্তবতার সম্মুখীন হন তারা, তার ভিত্তিতে ডিসিরা বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাব করবেন এই সম্মেলনে।

  • বিদেশ গমনেচ্ছুদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে সরকার কাজ করছে: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

    বিদেশ গমনেচ্ছুদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে সরকার কাজ করছে: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, সরকার প্রবাসীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপনের মাধ্যমে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। এ মূহুর্তে কোন কোন্ দেশ কর্মী নিতে আগ্রহী সে তথ্য বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) ও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর ওয়েব সাইটে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হয়। সাধারণ মানুষের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।

    আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস কর্তৃক প্রথমবারের মতো আয়োজিত জাতীয় প্রবাসী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘প্রবাসীদের কল্যাণ, মর্যাদা আমাদের অঙ্গীকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও অংশীদার’। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার পূর্বে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

    সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, অনেক বেশি কষ্ট লাগে যখন পত্রিকায় পড়ি বা টিভিতে ডকুমেন্টারি দেখি, কিছু মানুষ অবৈধভাবে বিদেশে যেতে ভূমধ্যসাগরে ও বঙ্গপোসাগরে নৌকাডুবিতে আকালে মারা যাচ্ছে। তারা মালয়েশিয়া কিংবা মধ্য আমেরিকার গহীন অরণ্যে পাচার চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। চট্টগ্রাম কিংবা কুমিল্লা জেলার তুলনায় ঢাকা জেলায় প্রবাসীর সংখ্যা অনেক কম। তা সত্তে¡ও চট্টগ্রাম কিংবা কুমিল্লার তুলনায় ঢাকা জেলার প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্সের পরিমান দ্বিগুণ। এর প্রধান কারন, ঢাকা জেলার বেশিরভাগ লোক নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করে বিদেশ যায়। সুতরাং ক’জন শ্রমিক বিদেশে যাচ্ছে এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ-কত জন শ্রমিককে দক্ষ কর্মী হিসেবে সে দেশে আমরা প্রেরণ করছি।

    চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রবাসী দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকরী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পান্না আকতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা ওয়েল ফেয়ার সেন্টার এর সহকারী পরিচালক মোঃ আজিজুল ইসলাম ভুইয়া। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধান ফেরদৌস খায়ের ও রাউজান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া।

    সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা বিদেশে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করি আবার একইভাবে জনশক্তিও রপ্তানি করি। পণ্য বিদেশে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে গুণগতমান নিশ্চিত করে রপ্তানি করার ফলে বহির্বিশ্বে দেশের পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইভাবে জনশক্তিকে আরো বেশি দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে প্রেরণ করলে, বিদেশে প্রাবাসীদের কল্যাণ ও মর্যাদা বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে। এসময় তিনি বিদেশ গমনেচ্ছুদের নিজেদের দক্ষতা নিশ্চিত করে অবৈধ পথ পরিহার করে বৈধ উপায়ে বিদেশ যেতে অনুরোধ জানান।

    আলোচনা সভা শেষে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আহরণকারী ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রবাসী পুরুষ কর্মী সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মোহাম্মদ রুবেল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মহিলা কর্মী তানিয়া আকতারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্ট ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

  • যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির অনুরোধ চট্টগ্রামের ডিসির

    যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির অনুরোধ চট্টগ্রামের ডিসির

    ১২০-১২৫ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম জেলার আমদানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।

    জেলা প্রশাসক বলেন, এখন থেকে চট্টগ্রামের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীতে যেসব গোডাউন রয়েছে সব গোডাউনের তথ্য নেওয়া হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবো।

    তালিকা ছাড়া কোনও গোডাউনে মালামাল পেলে সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে জব্দ করবো। শুধু পেঁয়াজের ক্ষেত্রে নয়, চিনির ক্ষেত্রেও আমরা সব তথ্য চাইবো।
    সব কাগজে কলমে থাকবে হবে। কাগজপত্রহীন কোনও কিছুই আমরা ছাড় দিবো না।

    তিনি আরও বলেন, গোডাউনে মালামাল যতই থাকুক না কেন, আমরা সেটির রশিদ চাইবো। রশিদ ছাড়া কোনও মালামাল পাওয়া গেলে সেগুলো আমরা নিলামে ন্যায্যমূল্যে জনসাধারণের মাঝে বিক্রি করে দিবো। বর্ডারে কারা এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিবো।

    চট্টগ্রামের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদেরকেও একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক সঙ্গে ১০ কেজি কিংবা ৫ কেজি কিনে নিয়ে যাবেন-এটি কাম্য নয়। অন্যজনকে সুযোগ করে দিন। তাহলে বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাকবে।

    চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ স্বপন বলেন, দুই-একজন ব্যবসায়ীর জন্য ব্যবসায়ী সমাজ কলঙ্কিত হবে না। তাদের অপকর্মের দায় আমরা নিব না।

    ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, পেঁয়াজের বাজার বর্ডারকেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণ হয়। সেখানে আমাদের হাত থাকে না৷ বর্ডার থেকে সে সিদ্ধান্ত আসে সে অনুযায়ী আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করি। বর্ডারে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী যাদের ভালো সম্পর্ক, তারাই এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। সরকার চাইলেই তাদের এ সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে।

  • দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ও গুদামজাতকরণ ঠেকাতে প্রয়োজনে সাঁড়াশি অভিযান: জেলা প্রশাসক

    দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ও গুদামজাতকরণ ঠেকাতে প্রয়োজনে সাঁড়াশি অভিযান: জেলা প্রশাসক

    হঠাৎ করে পেঁয়াজ ও আলুর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্ধ্বগতি রোধকল্পে মহানগর ও উপজেলাগুলোতে প্রয়োজনে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে মজুদ কিংবা এসব পণ্যের কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানার পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে পণ্য জব্দ, আড়ত ও দোকান সিলগালা করে দেয়া হবে।

    আজ ১০ ডিসেম্বর রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি)ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

    গত ১২ নভেম্বর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠানের পর থেকে হরতাল-অবরোধ চলাকালীন সময় যানবাহনে আগুন দেয়া বা গাড়ী পোড়ানোর ঘটনা এ জেলায় ঘটেনি, জেলায় যানবাহন চলাচল স্বাভবিক ছিল-বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল মান্নানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক এ জন্য সকল পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন, র‌্যাব-পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ বিপিএম (সেবা), সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া), একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), তৌহিদুল হক চৌধুরী (আনোয়ারা), চৌধুরী মোঃ গালিব সাদলী (বাঁশখালী), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় ডিসি বলেন, পেঁয়াজ ও আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা রোধকল্পে তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে এসব পণ্যের পাইকারী বাজার চাকাতাই-খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলী বাজারে অভিযান পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া উপজেলাগুলোতে সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। সকল উপজেলাতে ইউএনও কর্তৃক সংগে সংগে সংশ্লিষ্ট বাজারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
    সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও চেম্বার অব্ কমার্সের প্রতিনিধিসহ সকলের মতামতের ভিত্তিতে সকল আমদানীকারকদের নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে একটিি সভা আহবান করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    সভায় মালিমিডিয়ার মাধ্যমে বিগত নভেম্বর/২৩ মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুনুর রহমান।

    জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা নিয়ে হঠাৎ পেয়াজ আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধকল্পে ব্যবসায়ীমহল কর্তৃক রক্ষিত স্ব-স্ব গুদাম বা গোডাউনের হালনাগাদ তথ্য প্রদানের জন্য একটি ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়। গণবিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর সুনির্দিষ্ট গোডাউন বা গুদাম ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় এসব পণ্যের গুদামজাত করার তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জেলসহ শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

    এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ভোক্তা সাধারণকে এসব পণ্য ১-২ কেজির অধিক ক্রয় করে সংকট সৃষ্টি না করার জন্যও অনুরোধ করেন।

    এ প্রসংগে ৮-বিজিবির কমান্ডিং অফিসার বলেন, ব্যবসায়ী মহল হতে গুদামের প্রাপ্ত তালিকার বাইরে অন্য কোন স্থানে গুদামজাত করছে কিনা সেটা তাদের গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে তদারকি করবেন মর্মে সভাকে জানিয়েছেন। ৮ বিজিবি কর্তৃক ইয়াবা তৈরির সরঞ্জাম সীতাকুন্ড উপজেলা থেকে উদ্ধার করায় কমান্ডিং অফিসারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিজিবি সদস্য, ইউএনও, সীতাকুন্ড এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

    সভায় জেলা পুলিশ সুপার চট্টগ্রাম বলেন, চেম্বার অব্ কমার্স কর্তৃক ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে সভা আহবানপূর্বক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করণের ব্যবস্থা করতে পারেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে, এছাড়া আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম চলমান থাকবে মর্মে সভাকে অবহিত করেন।

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনের রেখে অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসীরা প্রার্থীদের পক্ষে প্রভাব বিস্তারের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকা করেন, এ প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদেরকে সজাগ ও সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন এবং অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসমূহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

  • দুই ডিসিকে বদলির আদেশ

    দুই ডিসিকে বদলির আদেশ

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ডিসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে উপসচিব ও সুনামগঞ্জের ডিসি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীকে ময়মনসিংহের নতুন ডিসি করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সংযুক্ত উপসচিব মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীকে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক করা হয়েছে।

    শনিবার (২ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাদের বদলির আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

    এর আগে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ইসি।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।

     

  • মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রসমূহে প্রসব সেবার অগ্রগতি: ডিসি

    মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রসমূহে প্রসব সেবার অগ্রগতি: ডিসি

    পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক আগামী ২৫-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ‘নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশ ব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন করতে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে আজ ১৯ নভেম্বর রোববার বেলা ১২টায় সার্কিট হাউজ এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু ও মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন।

    রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলসহ বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, বিভিন্ন দপ্তরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও বেসরকারী সংস্থার সদস্যগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    আগামী ২৫ নভেম্বর শনিবার সকালে নগরীর কর্ণেলহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম।

    এ্যাডভোকেসি সভার শুরুতে পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ উপলক্ষে জেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের মাধ্যমে সেবা সপ্তাহের বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন।

    তিনি বলেন, সেবা সপ্তাহে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতির সেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটে উঠান বৈঠক, প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মা সমাবেশ, গ্রহীতা সমাবেশ, যুব বয়সের সদস্যদের নিয়ে প্রাকক বৈবাহিক সম্মেলনসহ নানবিধ কার্যক্রম সম্পাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা-শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনা তৈরী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার শূণ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনবল স্বল্পতার মধ্যেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রসমুহে স্বাভাবিক প্রসব সেবার অগ্রগতির প্রশংসা করেন তিনি।

    তিনি বলেন, পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবাসহ পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ইউপি চেয়ারম্যানগণেকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

  • দূর পাল্লার বাস কাউন্টার পরিদর্শনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

    দূর পাল্লার বাস কাউন্টার পরিদর্শনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

    অবরোধে দূর পাল্লার বাস ও আন্তঃজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখাসহ যাত্রী সাধারণের সকল ধরনের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ ১ নভেম্বর বুধবার বিকেলে নগরীর ও.আর নিজাম রোডস্থ গরীরউল্লাহ শাহ’র মাজার সংলগ্ন দামপাড়া ও এ.কে খান এলাকার বাস কাউন্টার পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    বাস কাউন্টার পরিদর্শনকালে তিনি বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সকলের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের প্রত্যয় পূনঃব্যক্ত করেন।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) তানভীর-আল-নাসীফ, সিএমপি’র ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার তারেক আহম্মেদ, ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীন, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল মান্নান, বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম, আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ডিজিএফআই, এনএসআই, বিআরটিএ’র কর্মকর্তাবৃন্দ, পরিবহণ ও বাস মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • আউটার স্টেডিয়ামে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার আয়োজন রাখতে চাই: ডিসি

    আউটার স্টেডিয়ামে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার আয়োজন রাখতে চাই: ডিসি

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, আমরা আউটার স্টেডিয়ামকে ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এখানে যাতে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার প্র্যাকটিস হয় সে সব আয়োজন রাখতে চাই। একইসঙ্গে ওয়াকওয়ে হবে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আমরা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে চাই। এজন্য শিগগিরই মাটি ভরাট ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হবে। আউটার স্টেডিয়ামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

    আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আউটার স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আউটার স্টেডিয়াম থেকে আকরাম, নান্নু, আশিষ ভদ্র, তামিম, আফতাবদের মতো অনেকেই উঠে এসেছে। খেলোয়ার ও অ্যাথলেটস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মেলার পরিবর্তে খেলাধূলা চলমান রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য মাঠগুলো খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার কাজ চলমান রয়েছে। জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে পৃথক পৃথক খেলার মাঠ তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মহিলাদেরকে খেলাধূলা ও অনুশীলনে পারদর্শী করতে এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠকে তৈরী করা হচ্ছে।

    ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারেরা আউটার স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য ম্লান করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান দায়িত্ব নিয়েই সেসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন। কথা দেন, এ স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলবেন। তিনি কথা রাখলেন, স্থাপন করলেন উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর। ইতিমধ্যে মাঠের চারপাশে ফেন্সিং দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সিজেকেএস সহ-সভাপতি রাকিব হাসান, সিজেকেএস সহ-সভাপতি লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী, সিজেকেএস সহ-সভাপতি ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, কাউন্সিলর ও নির্বাহী সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, সৈয়দ আবুল বশর, গোলাম মইিউদ্দিন হাসান, নাসির মিয়া, হারুন-আল রশিদ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ আসলাম হোসেন খান প্রমুখ।

    চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামকে সাজানো হচ্ছে নতুন রূপে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে শুরু হচ্ছে কাজ। জেলা প্রশাসন মেলাসহ নানান অনুষ্ঠান বন্ধ করে আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুরো মাঠ নতুনভাবে সাজাতে চায় সংশ্লিষ্টরা।

    জানা গেছে, আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। এর মধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে নেট প্র্যাকটিস ব্লক। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য গ্যালারি এবং সার্কিট হাউজ প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া বাকি জায়গায় টয়লেট সুবিধা, ড্রেসিং রুম এবং বসার জায়গা থাকবে।

  • নতুন ২৮ জেলা প্রশাসকের ব্রিফিং আজ

    নতুন ২৮ জেলা প্রশাসকের ব্রিফিং আজ

    গেল এক সপ্তাহে নিয়োগ পেয়েছেন ২৮ জেলা প্রশাসক (ডিসি)। নতুন নিযুক্ত ডিসিদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে নতুন ডিসিদের ব্রিফিং সেশন। এতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মাহবুব হোসেন।

    জানা গেছে, বিফিংয়ে মাঠ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৪ জন সচিব ও জ্যেষ্ঠ সচিব নতুন ডিসিদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ব্রিফিংয়ের পর খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হবে। এ সময় আগামী জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, বন্যাসহ দুর্যোগকালীন সময়ের প্রস্তুতিসহ মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নতুন ডিসিদের ব্রিফ করা হবে।

    এরপর চলতি মাসের শেষের দিকে নতুন ডিসিরা নিজ নিজ জেলায় যোগদান করবেন। চলতি সপ্তাহে ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের ২৮ জন কর্মকর্তা ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

    আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই তিন ব্যাচের কর্মকর্তারাই মাঠে থাকবেন। এর মধ্যে ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০০৫ সালের ২ জুলাই চাকরিতে যোগদান করেন। বিসিএস ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগদান করেন ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট এবং ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগদান করেন ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর।

  • স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রত্যেক কাজে নারীদের অংশগ্রহণ জরুরী: ডিসি

    স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রত্যেক কাজে নারীদের অংশগ্রহণ জরুরী: ডিসি

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারী-বেসরকারী চাকুরিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫’শ ডলারে উন্নীত হয়েছে, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। এখন থেকে কেউ আর ঘরে বসে থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্ন উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রত্যেক কাজে নারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরী।

    আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে নগরীর আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘জেন্ডার সমতাই শক্তি : নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’।

    আলোচনা সভার পূর্বে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এর পর বেলুন উড়িয়ে ও র‌্যালির মাধ্যমে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

    অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী ও অন্যান্য সেবার বিশেষ অবদানের জন্য ১০ ক্যাটাগরিতে ১০ জনকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীকৃত ৩ কন্যা শিশুর হাতে উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ তুলে দেন জেলা প্রশাসক।

    জেলা প্রশাসক বলেন, নারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে আন্তরিক হতে হবে। সাফ ফুটবলে নারীরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ছেলেরা যা-ই কিছু করতে পারবে মেয়েরাও তা-ই করতে পারবে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে আরও আগ্রহী করে তুলতে চট্টগ্রাম জিমনেসিয়ামের পাশে মেয়েদের জন্য এই প্রথম একটি খেলার মাঠ করতে যাচ্ছি, বাকলিয়ায়ও মেয়েদের জন্য একটি খেলার মাঠ হবে।

    তিনি বলেন, নারীরা বাচ্চা নিয়ে যখন কর্মক্ষেত্রে যায় সেখানে ব্রেস্টফিডিং কর্ণার ও ডে কেয়ার সেন্টার থাকেনা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শীঘ্রই একটি ব্রেস্টফিডিং কর্ণার করতে যাচ্ছি। প্রত্যেক দপ্তওে ব্রেস্টফিডিং কর্ণার করা জরুরী। আমরা জেলার ১৫ উপজেলা সদরে এবং পরবর্তীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রেস্টফিডিং ও ডে-কেয়ার সেন্টার করতে চাই। তাহলে নারীরা তাদের বাচ্চা রেখে কর্মস্থলে যেতে পারবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

    পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নসহ লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও রাউজান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিক্সন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী ও রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. ছেহেলী নার্গিস। মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলায় পরিবার পরিকল্পনার সার্বিক কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান। বক্তব্য রাখেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা’র উপ-পরিচালক স্বপ্না তালুকদার ও রাউজানের গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহাবুদ্দিন আরিফ।

    আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশে এখন একটি আধুনিক ও স্মার্ট জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সকলের পারফরমেন্স বাড়াতে হবে। নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকট সত্তে¡ও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর হার বৃদ্ধি করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে নিরাপদ সেবা দেয়ার জন্য কিভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি সে ব্যাপারে পলিসি নিতে হবে। মানসম্মত পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা গেলে সফলতা অবশ্যই আসবে।