Tag: ভেন্টিলেটর

  • সালমান রুশদি ভেন্টিলেটরে

    সালমান রুশদি ভেন্টিলেটরে

    হামলার শিকার লেখক সালমান রুশদির বিষয়ে কোনো ভালো খবর নেই বলে জানিয়েছেন তার এজেন্ট। নিউইয়র্কে একটি ইভেন্টে তিনি ছুরি হামলার শিকার হন। সালমান রুশদির এজেন্ট বলেন, ‘খবর খুব একটা ভালো নয়।’

    এক বিবৃতিতে অ্যান্ড্রু ওইলি বলেন, মঞ্চে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তাকে এখন ভেন্টিলেটরে নেওয়া হয়েছে এবং তিনি কথা বলতে পারছেন না। হয়তো তিনি এক চোখ হারাতে পারেন।

    ১৯৮৮ সালে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রুশদি নানা হুমকি পেয়ে আসছিলেন।

    এদিকে হামলায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম হাদি মাতার। ২৪ বছর বয়সি এ যুবককে আটক করা হয়েছে নিউ জার্সির ফেয়ারভিউ থেকে।

    নিউ ইয়র্ক পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন ওই যুবক মঞ্চে রুশদির দিকে দৌড়ে যায় এবং হামলা করে। এ সময় চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনের একজন সাক্ষাৎকারগ্রহীতাও হামলার শিকার হয়।

    ওইলি বলেন, সালমানকে হয়তো এক চোখ হারাতে হতে পারে। তার লিভারে আঘাত করা হয়েছে এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

  • সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়ায় ভেন্টিলেটর ভেঙে ওয়ালটন শো-রুমে চুরি

    সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়ায় ভেন্টিলেটর ভেঙে ওয়ালটন শো-রুমে চুরি

    ২৪ ঘণ্টা সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া মাজার সংলগ্ন আনজুমান ইসলাম মার্কেটের আল-আমিন ইলেকট্রনিক্স (ওয়ালটন শোরুমে) মঙ্গলবার রাত ২টায় সময় চুরির ঘটনা ঘটেছে।

    চোরের দল দোকানে থাকা ওয়ালটন কোম্পানির ২০টি দামি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। ২০ টি মোবাইলের বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ৩/৪ জনের একটি চোরের দল দোকানের ভেন্টিলেটর ভেঙে প্রবেশ করে।

    এ ঘটনায় বুধবার ওয়ালটন শোরুমের এর মালিক মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, বার আউলিয়া বাজারে রাতে তিন নৈশ প্রহরী দায়িত্ব থাকা অবস্থায় চোরের দল দোকানের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে কিভাবে ২০টি দামি মোবাইল ও নগদ ৪০ হাজার নিয়ে যায়। এতে তিন নৈশ প্রহরী চুরির সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

    এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে চোরদের দেখা গেলেও মুখে মাক্স থাকা কারণে তাদেরকে চেহারা বুঝা যাচ্ছেনা।

    সীতাকুণ্ড থানার এসআই হারুন উল রশীদ বলেন দোকানে চুরির একটি অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাটি তদন্ত চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/কামরুল/রাজীব

  • চট্টগ্রামের ৫ হাসপাতাল পেল টিকে গ্রুপের ২০ ভেন্টিলেটর

    চট্টগ্রামের ৫ হাসপাতাল পেল টিকে গ্রুপের ২০ ভেন্টিলেটর

    বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংকট মোকাবিলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান টি. কে. গ্রুপ চট্টগ্রামের করোনা আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা সেবা প্রদানার্থে বিভিন্ন হাসপাতালে ২০ টি ভেন্টিলেটর হস্তান্তর করেছে।

    শুক্রবার (১৯ জুন) নগরীর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত ভেন্টিলেটর সমূহ হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

    টি.কে.গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং) মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।

    টি. কে. গ্রুপের এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করতে রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এহসানুল হায়দার চৌধুরী (বাবুল) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

    টি.কে. গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. কালাম এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশব্যাপী চিকিৎসকদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রি এবং ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীর জন্য এাণ বিতরণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন জনসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

    টিকে গ্রুপের দেওয়া ২০টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ১০টি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ৩টি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে, ৩টি চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে, ২টি সার্জিস্কোপ হাসপাতালে এবং ২টি পার্কভিউ হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলম।

    প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, দেশের এই সংকটময় মূহুর্তে বিশেষ করে চট্টগ্রামের করোনক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালসমূহ সেবা নিশ্চিতে এই ভেন্টিলেটর কার্যকর ভূমিকা রাখবে। টিকে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এই উদ্যোগ অন্যান্য শিল্প উদ্যোক্তাদের এই সংকটে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তুলবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মেরিন একাডেমিতে ভেন্টিলেটরের পর এবার ‘ইউভি ডিসইনফেক্ট্যান্ট ওভেন’

    মেরিন একাডেমিতে ভেন্টিলেটরের পর এবার ‘ইউভি ডিসইনফেক্ট্যান্ট ওভেন’

    নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে এবার তৈরি হলো “আল্ট্রাভায়োলেট ডিসইফেক্ট্যান্ট ওভেন” যা, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহৃত সার্জিক্যাল মাস্ক এবং নিত্যব্যবহার্য্য মোবাইল, চশমা, ঘড়ি, মানিব্যাগ, চাবির রিং ইত্যাদি মাত্র ২ মিনিটেই জীবানুমুক্ত করে পূনঃব্যবহার উপযোগী করবে।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি একাডেমিতে কোভিড-১৯ রোগীদের শ্বাস-কষ্ট প্রশমনে একাডেমির কন্ট্রোল ল্যাবে উদ্ভাবিত হয়েছে “নিউমেটিক কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত ভেন্টিলেটর” যা বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়।

    আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং সুইডেনের ওয়ার্ড মেরিটাইম ইউনিভর্সিটির পার্টনার রিলেশনে উন্নীত এই একাডেমি, সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্বমানের সুদক্ষ মেরিটাইম প্রফেশনাল তৈরি করছে। পেশাগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ক্যাডেটদের উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ও বিজ্ঞান-চর্চার আদর্শ পরিবেশ রয়েছে এই একাডেমিতে।

    এবার “আল্ট্রাভায়োলেট ডিসইনফেক্ট্যান্ট ওভেন” তৈরি হয়েছে একাডেমির ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ল্যাবে।

    যন্ত্রটির ডিজাইনার একাডেমির ল্যাব প্রশিক্ষক জনাব মুঃ খালেদ সালাউদ্দিন বলেন যে, একাডেমির আধুনিক প্রযুক্তিগত পরিবেশ এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান কমান্ড্যান্ট ড. নৌপ্রকৌ. সাজিদ হোসেনের উৎসাহ ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা তাকে এ ধরণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়নে সফলতা দিয়েছে।

    তিনি জানান, মাস্ক হচ্ছে কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধের প্রধান হাতিয়ার কিন্তু সম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে এই মাস্কেই করোনা ভাইরাস ৭ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে তাই মাস্ককে প্রতিনিয়ত জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। তার তৈরী এই ইউভি ওভেনে মাত্র ২ মিনিটে মাস্ক-সহ নিত্য-ব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করা এবং তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। এই যন্ত্রে স্বীকৃত আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ব্যবহারের ফলে জীবাণুনাশক কেমিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব হতে পরিবেশ ও মানবদেহ রক্ষা পাবে এবং বারবার কেমিক্যাল কেনার অর্থ সাশ্রয় হবে।

    ইউভি রশ্মি ব্যবহারের পাশাপাশি যন্ত্রটিতে কনভেনশনাল ওভেনের টার্ন টেবিল, টাইমার অফ সুইচ ও ওপেন হ্যাচ কিল সুইচ ফিচার সংযোজন করার কারণে কার্যকারিতা বহুগুনেবৃদ্ধি ও নিরাপদ হয়েছে।

    যন্ত্রটি বাসাবাড়ি এবং অফিসে ব্যবহার করা হলে পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    একাডেমির এই বিশেষ ওভেন উদ্ভাবনের বিষয়ে একাডেমির কমান্ড্যান্ট ড. নৌপ্রকৌ. সাজিদ হোসেন বলেন, ইতিপূর্বে উদ্ভাবিত ভেন্টিলেটর এবং বর্তমানের এই ইউভি ওভেন একাডেমির আধুনিক কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার উৎকর্ষের সমৃদ্ধি প্রমান করে। আমাদের নিয়ন্ত্রনকারী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একাডেমির আধুনিকায়নে সদা সচেষ্ট এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি নৌপ্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়তে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে চলেছে।

    দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের শুরু থেকেই একাডেমি অনলাইন ভিত্তিক ডিসট্যান্স এডুকেশন কার্যক্রম চালু করেছে। এছাড়া ক্যাডেটগনের উদ্ভাবনী সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যে একাডেমিতে একটি ‘ইনোভেশন ল্যাব’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

    তিনি আরো উল্লেখ করেন, একাডেমিতে উদ্ভাবিত এই ইউভি ওভেনটি আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে কিছু সংখ্যায় তৈরি করে প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে ও সরকারি অফিসে বিনামূল্যে প্রদান করার চিন্তা করছি যেন করোনা-মুক্ত নিরাপদ পরিবেশে স্বাভাবিক কাজকর্ম অব্যাহত রাখা যায়।

    করোনা মহামারিতে গোটা দেশ যখন মহাদুর্যোগের সম্মুখীন, ঠিক সেসময়ে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির পরপর দুটি গুরুত্বপূর্র্ণ উদ্ভাবন নিঃসন্দেহে ‘করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে “নিউমেটিক কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত ভেন্টিলেটর” উদ্ভাবন

    বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে “নিউমেটিক কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত ভেন্টিলেটর” উদ্ভাবন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। প্রযুক্তি ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবা আজ গ্রাস করেছে সারা বিশ্বকে, স্তব্ধ করে দিয়েছে প্রায় প্রতিটি জনপদ। বাংলাদেশ ও এই রোগের সংক্রমন বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।

    এখনো পর্যন্ত প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ রোগের কোন কার্যকরি ওষুধ আবিষ্কৃত না হওয়ায়, গুরুতর অসুস্থ রোগীর শ্বাসকষ্ট প্রশমনে ভেন্টিলেটরই একমাত্র ভরসা। এ রোগের আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও এখন ভেন্টিলেটর সংকটে ভুগছে, বাংলাদেশেও আমদানী নির্ভর এই যন্ত্রের যথেষ্ট অপ্রতুলতা রয়েছে।বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি

    এঅবস্থায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে সহজে ও কম খরচে ভেন্টিলেটর প্রস্তুতের জন্য, ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে চেষ্টা করছেন এবং সফলতাও পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখজনকভাবে।

    তবে এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিও, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই প্রতিষ্ঠানের নিউমেটিক-কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়েছে সহজে ব্যবহারযোগ্য “নন-ইনভার্সিভ ভেন্টিলেটর”।

    প্রসঙ্গত বলা যায়, প্রায় ৬ দশকের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান অর্জন করেছে দেশী বিদেশী অনেক স্বীকৃতি ও সহযোগীতা। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও দক্ষ মেরিটাইম প্রফেশনাল তৈরির জন্য এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত ওয়ার্কশপ ও ল্যাবরেটরি সহ যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা।

    মেরিন একাডেমির প্রধান, কমান্ড্যান্ট ড. নৌপ্রকৌ. সাজিদ হোসেন এর পৃষ্ঠপোষকতায় ল্যাব-অফিসার মুঃ খালেদ সালাউদ্দিন একাডেমির কন্ট্রোল ল্যাবের নিউমেটিক কন্ট্রোল টেকনোলজি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এই ভেন্টিলেটর তৈরি করেন।বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি

    এ সম্পর্কে মুঃ খালেদ সালাউদ্দিন জানান, নিউমেটিক কন্ট্রোল টেকনোলজি ব্যবহার করে বাংলাদেশে এই প্রথম নন-ইনভার্সিভ ভেন্টিলেটর তৈরি করা সম্ভব হলো। এই প্রযুক্তির বড় সুবিধা হচ্ছে এর একটি কন্ট্রোল ইউনিট দিয়ে প্রায় ৫ থেকে ৮ টি অক্সিজেন প্রেশার ইউনিট চালানো এবং সম সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব।

    তিনি আরো বলেন, পুরো যন্ত্রটির কন্ট্রোল অংশে সলেনয়েড কন্ট্রোল ভালভ, ম্যাগনেটিক সেন্সর ও টাইম-রিলে এবং প্রেশার অংশে নিউমেটিক পিস্টন-সিলিন্ডার, অক্সিজেন রিসারভার ও একটি ব্যাগ-ভালব-মাস্ক ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যাবহারের সময়ে, যন্ত্রটিতে অক্সিজেনের প্রেশার, ভলিউম ও রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের রেট নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা রয়েছে।বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি

    একাডেমির আর্বান ডিসপেন্সারীর মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম, বিসিএস (স্বাস্থ্য) একাডেমি উদ্ভাবিত ভেন্টিলেটরটি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং যে কোন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাজনিত রোগীর ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে বলে মতামত দিয়েছেন।

    দেশে করোনা রোগী ছাড়াও যেসব হাসপাতালে আইসিইউ/রেস্পিরেটরি সাপোর্ট নেই সেখানে কনভেনশনাল ভেন্টিলেটরের যায়গায় বিকল্প ভেন্টিলেটর হিসাবে কার্যকর হয়ে উঠতে পারে যন্ত্রটি।

    কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন জানান আপাতত এই যন্ত্রটি একাডেমির আর্বান ডিসপেন্সারীতে সম্প্রতি স্থাপিত আইসোলেশন সেন্টারে স্থাপন করা হবে।

    বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিশ্ববাজারে দক্ষ মেরিটাইম প্রফেশনাল যোগানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দেশের এই দুর্যোগকালীন সময়ে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর তৈরি সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • আফগান কিশোরীরা ভেন্টিলেটর বানাচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ দিয়ে

    আফগান কিশোরীরা ভেন্টিলেটর বানাচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ দিয়ে

    করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) পুরো বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পরেছে। জীবন বাঁচানোর যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, তার অপ্রতুলতা সব দেশেই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। করোনা ভাইরাসে খারাপ অবস্থায় চলে গেলে রোগীর ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয়। আফগানিস্তানে মেয়েদের একটি দল গাড়ির যন্ত্রাংশ দিয়ে কম খরচে সেই ভেন্টিলেটর তৈরির চেষ্টা করছেন। তাদের এ আবিষ্কার করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশটির লড়াইকে আরও গতিশীল করবে বলে আশা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের।

    রোববার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত আফগানিস্তানে প্রায় এক হাজার জনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩০ জন। যদিও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির প্রকৃত অবস্থা এর থেকে কয়েকগুণ বেশি খারাপ৷ পর্যাপ্ত ‘টেস্টিং কিট’ না থাকায় সেখানে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা যথাযথভাবে করা যাচ্ছে না।

    পাঁচ সদস্যের ‘আফগান অল গার্লস রোবট টিম’-এর এ মেয়েদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। যদি তারা যন্ত্রটি সফলভাবে তৈরি করতে পারে এবং সরকারের অনুমোদন পায় তবে মাত্র তিনশ মার্কিন ডলারে সেটি বাজারে ছাড়তে পারবে বলে আশা এ কিশোরীদের। বাজারে একটি ভেন্টিলেটরের দাম প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

    ভেন্টিলেটর তৈরিতে তারা ‘টয়োটা করোলা’ মডেলের গাড়ির ইঞ্জিন ও ব্যাটারি ব্যবহার করছে। আফগানিস্তানে প্রথম হেরাত প্রদেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করতে হেরাতের গভর্নর সরকারের কাছে আরও বেশি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। ওই আহ্বানে সাড়া দিয়েই এ কিশোরীরা ভেন্টিলেটর তৈরির প্রজেক্ট শুরু করে।

    আফগানিস্তানের একটি প্রযুক্তি কোম্পানি ওই কিশোরীদের ভেন্টিলেটর তৈরিতে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। কোম্পানিটির পরিচালক রোয়া মাহবুব বলে, দলটি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক দল বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একটি নকশার ভিত্তিতে প্রাথমিক যন্ত্র তৈরির কাজ করছে৷

    অবশ্য কিশোরীদের এ দলটির খবরের শিরোনাম হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে তারা ওয়াশিংটনে একটি রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ‍তাদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। হইচই ‍শুরু হলে খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে তারা যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিল।