Tag: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • খুব দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে, আশা মির্জা ফখরুলের

    খুব দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে, আশা মির্জা ফখরুলের

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আশা করছি খুব দ্রুত জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে।

    শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশকে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, আধুনিক রাষ্ট্র, একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

    এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরও ও দক্ষিণের আহ্বায়কসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, সংস্কার নিয়ে রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে যে একজন উপদেষ্টা গতকাল বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিরাজনীতিকরণের একটি প্রয়াস। পৃথিবীতে যত সংস্কার হয়েছে তা রাজনীতিবিদরা করেছেন।

    এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ‘আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি’

    ‘আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি’

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি। গণ্যমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে আসেনি। আমরা বলেছি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল, নির্বাচন করবে কি করবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কারা রাজনীতি করবে কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছু না।

    ফেনীতে বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মাঝে শিক্ষা উপকরণ এবং ঢেউটিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফুলগাজী উপজেলা শাখার আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দস্যুরা পালিয়েছে। দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নতুন সরকার জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করে একটা নির্বাচন দেবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে। নতুন সরকার কাজ শুরু করেছে রাতারাতি সব সম্ভব নয়। আমরা বলেছি নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।

    বুধবার দুপুরে খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি ফুলগাজীর শ্রীপুরে ইস্কান্দার মজুমদার বাড়ি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।

    সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ফেনী-১ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। সদস্য সচিব মোহাম্মদ রবিনসহ এতে জাতীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ জনের মাঝে ঢেউটিন ও ২০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন অতিথিরা।

  • বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত : মির্জা ফখরুল

    বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত : মির্জা ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিবাদের মূল হোতা ভারতে অবস্থান করছেন। আর ভারত আমাদের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে বলে আমি মনে করি।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আমি ফেসবুক দেখি না। সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি ইলিটারেটর। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে যে ফেসবুক দিয়ে ভালো কাজও সম্ভব, ভয়ংকর কাজও সম্ভব। বর্তমানে সেখানে গুজব ছড়ানোর প্রবণতা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের যে অর্জন সেই অর্জনকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কিছু ব্যক্তি চেষ্টা করছেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার জাতিটাকে বিভক্ত করে ফেলেছে। সেই বিভক্তিটা দূর করে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। মতাদর্শ ভিন্ন থাকতে পারে, সেটি ভিন্ন কথা। দেশের মানুষের এ বিষয়ে খেয়াল থাকতে হবে। সেই ঐক্যটা আমরা রাখতে চেষ্টা করেছি এবং সফল হয়েছি। জাতি হিসেবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না। ১৭ বছরে যে ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে সেটা সরাতে একটু সময় লাগবে। এ জন্য একটু সময় দিতে হবে। বর্তমান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে তাদের প্রত্যেকটা সেক্টরে হাত দেওয়ার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি না। নির্বাচিত সরকার এলে তারা এই সংস্কার করবে।

    তিনি আরও বলেন, এত বড় একটি অভ্যুত্থানের পরে আমরা যদি ধৈর্য না ধরি তাহলে তো চলবে না। জনগণ এখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো করা দরকার বলে আমরা মনে করি। আমি বাসায় এসেই খোঁজখবর নিয়েছি যে এখানে আলুর দাম কত, সবজির দাম কত, চালের দাম কত। সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বাসায় একজন দিদি আছেন যিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করেন। তিনি আমাকে বললেন, আগে চালের দাম ছিল ৬০ টাকা, এখন হয়েছে ৭০ টাকা। এটা আমাদের সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। আমার মনে হয় সরকারের এই দিকটাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য সরকারের যা যা করণীয় সেটা করবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে এখন সব থেকে যে জিনিসটা জরুরি প্রয়োজন সেটা হচ্ছে অবাধ সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। তার আগে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য উপযোগী একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

    এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা যুবদল সভাপতি চৌধুরী মহেবুল্লাহ আবু নুর, সদর থানার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ অন্যান্য নেতারা।

  • এ সরকারকে সময় দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

    এ সরকারকে সময় দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার এসেছে একটি সংকটময় মুহূর্তে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এজন্য সরকারকে সময় দিতে হবে আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে তাদের সহযোগিতা করতে হবে।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের বড়বাড়ি কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর নেতিবাচক আলোচনার কারণে ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে মাথা উঁচু করছে। জাতির সামনে যে সংকট আছে তা সমাধানের একমাত্র পন্থা হচ্ছে ধৈর্য। প্রয়োজন হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন করা এবং একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা। বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় ষড়যন্ত্র করেছে, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে। এই আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রায় ৭০০ মানুষকে গুম করেছে। তারা হাজার হাজার মানুষকে গুম করে ও খুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।

    তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না যার কারণে সরকার বিতর্কিত হয়। কারণ এ সরকারের প্রধানের দায়িত্বে আছেন বিশ্ববরেণ্য একজন মানুষ। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আজ যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যেন জাতি হাতছাড়া না করে। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। আমি এই বিষয়টির ওপর জোর দিতে চাই।

    মির্জা ফখরুল বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। তবে নির্বাচিত সরকার এলে বিদ্যমান সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এজন্য দরকার নির্বাচন ও সংস্কার।

    ফখরুল ইসলাম বলেন, আল্লাহর রহমতে ২০২৪ সালে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়, ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করা হয়। আজ আমরা শপথ নিয়েছি, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব। এর জন্য প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলব। আমরা বারবার নির্বাচন নিয়ে কথা বলছি কারণ, আমরা বিশ্বাস করি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার উদ্যোগ সফল হতে পারে না। এ ধরনের অংশগ্রহণ কেবল নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই সম্ভব।

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে পুরো পরিবর্তন করে দেন। তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে নিয়ে এসেছেন। রুদ্ধ-বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে পরিণত করেন। সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশে একটা নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেন এবং তারই প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করতে দীর্ঘকাল সংগ্রাম করছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। এখনো বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে। রাজনীতিবিদরা শুধু ক্ষমতায় ফেরার আকাঙ্ক্ষাই করেন না, তারা বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কবল থেকে মুক্ত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন, নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

    তিনি বলেন, আমি আবারও বলতে চাই, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করুন। আপনাদের সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং আমরা আপনাদের সহযোগিতা করছি। এখন আপনাদের উচিত আমাদের সহযোগিতা করা। আমরা ক্ষমতায় ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি বলে দাবি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।

    বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপ-মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।

  • হাসিনা পালালেও দোসররা ঘাঁপটি মেরে আছে: ফখরুল

    হাসিনা পালালেও দোসররা ঘাঁপটি মেরে আছে: ফখরুল

    শেখ হাসিনা পালালেও তার দোসররা ঘাঁপটি মেরে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সুযোগ পেলে তারা আবার হামলা করবে জানিয়ে ফখরুল সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।

    শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা তার সহকর্মীদের নিয়ে লুটপাট করেছেন। এই ১৭ বছরে অনেক মানুষ জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ কারাবরণ করেছেন। বিএনপির ৬০ হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

    ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালালেও তার দোসররা এখনো ঘাঁপটি মেরে আছে। তারা সুযোগ পেলে হামলা করবে। আমরা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেব।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ব্যাপারে আপসহীন থাকবেন। আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলি, এখানে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না। আবার ফ্যাসিবাদ এলে এ দেশের মানুষ প্রতিহত করবে।

    র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান। পরে বর্ণাঢ্য একটি র‌্যালি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়। এটি মানিক মিয়া এভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। র‌্যালিতে সারাদেশ থেকে আসা লাখো নেতাকর্মী অংশ নেন।

  • ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল

    ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জমিন না মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    এদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম রাফেল।

    এ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য গত সোমবারের (৪ ডিসেম্বর) কার্যতালিকায় ছিল। পরে বিষয়টি উপস্থাপন করে শুনানির জন্য আর্জি জানালে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেন।

    গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মির্জা ফখরুল হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন গত ৩ ডিসেম্বর। বিএনপির আইনজীবীরা তার পক্ষে এ আবেদন জমা দেন। তার আগে গত ২২ নভেম্বর এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

  • ফখরুল-আব্বাসসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    ফখরুল-আব্বাসসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়।

    রোববার রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

    এর আগে শনিবার (২৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে একপর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

    সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

  • মির্জা ফখরুল আটক

    মির্জা ফখরুল আটক

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বাসা থেকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে তার গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে মির্জা ফখরুলকে আটক করতে সকাল থেকে তার বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয় বলে জানায় বিএনপি।

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিতে মহাসচিবের গুলশানের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন।

    এদিকে রাত থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।

    শামসুদ্দিন দিদার বলেন, পুলিশ বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। যে কোনো সময় ভেতরে ঢুকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যেতে পারে।

  • কারাগারে ডিভিশন চেয়ে মির্জা ফখরুল-আব্বাসের রিট

    কারাগারে ডিভিশন চেয়ে মির্জা ফখরুল-আব্বাসের রিট

    কারাগারে ডিভিশন চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন।

    মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এ রিট দায়ের করেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে আজই রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। আদালতে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তাদের পক্ষে শুনানি করবেন।

    গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২২৪ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

    রোববার (১১ ডিসেম্বর) আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিশেষ জামিন আবেদন করেন।

    ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
    এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

  • জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ফখরুল-আব্বাস

    জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ফখরুল-আব্বাস

    পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হলে আদালত এ আদেশ দেন।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    এর আগে বিএনপির এই দুই নেতাকে আদালতে আনার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

    গত ৮ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে এ দুই নেতাকে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি পুলিশ।

    এদিকে, ১০ ডিসেম্বরের নয়াপল্টনের পরিবর্তে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তার

    মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তার

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

    পল্টন থানার মামলায় তাদের আদালতে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ডিবিপ্রধান। গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ওপর হামলা-পরিকল্পনা-উসকানির অভিযোগে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৮ তারিখের ঘটনায় তাদের নির্দেশদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করেছি।’

    গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান জানান, রাত ৩টার পরে মির্জা ফখরুলকে তার উত্তরার বাসা থেকে এবং ৩টা ২০ মিনিটে মির্জা আব্বাসকে তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।

  • মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটকের অভিযোগ

    মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটকের অভিযোগ

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটকের অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজ নিজ বাসা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

    বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান অভিযোগ করেন, শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে। ডিবির কর্মকর্তারা ‘উপরের নির্দেশ’ আছে বলে তাকে নিয়ে যায়।

    প্রায় কাছাকাছি সময়ে মির্জা আব্বাসকেও তার বাসভবন থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এমন অভিযোগ করেছেন।

    শামসুদ্দিন দিদার অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় যায় পুলিশ। রাত সোয়া ৩টার দিকে তাকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।

    বিএনপি’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এসএমএস দিলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের (গোয়েন্দা) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    রাত ৪টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বশীল সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে।’