Tag: যুক্তরাষ্ট্র

  • ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র

    ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র

    ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)। এটি এমন একটি তালিকা, যেখানে উল্লেখিত দেশগুলো প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা করে না বলে মনে করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

    এ তালিকায় ভারত ছাড়া রয়েছে ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া এবং ভেনেজুয়েলা। আইসিই জানিয়েছে, এই দেশগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে।

    প্রত্যর্পণের মুখে ১৮ হাজার ভারতীয়
    আইসিই’র তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার অভিবাসীই ভারতীয়।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এদের অধিকাংশই পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা।

    বৈধতার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা
    অনেক ভারতীয় অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবস্থান বৈধ করার চেষ্টা করলেও এই প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ। বৈধতার আবেদনে দু-তিন বছর সময় লাগতে পারে।

    অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যায় ভারত সবার ওপর নয়। ২ লাখ ৬১ হাজার অবৈধ অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে রয়েছে হন্ডুরাস, এরপর গুয়াতেমালার রয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার অবৈধ অভিবাসী। এশিয়ার মধ্যে চীন ৩৭ হাজার ৯০৮ জন অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে। ভারত রয়েছে ১৩তম স্থানে।

    কার্যকর হবে কঠোর অভিবাসন নীতি
    যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী এক মাসের মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন নীতি কঠোর করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া পরিচালনার পরিকল্পনা করেছেন। ফলে চূড়ান্ত আদেশপ্রাপ্ত হাজার হাজার ভারতীয় অভিবাসীকেও ফেরত পাঠানো হতে পারে।

    যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কেও চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

  • বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

    যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখতে চায় এবং যেকোনো হামলার জন্য যেন দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়।

    গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ওয়াশিংটনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন দেখতে চাই।

    মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় যে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যেকোনো হামলায় জড়িতদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের যেকোনো জায়গার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান একই রকম।

  • যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয়

    যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয়

    যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারি নির্বাচনী ফলাফল এবং স্থানীয় কমিউনিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরেরদিন বুধবার ফলাফল প্রকাশিত হয়।

    বিজয়ী বাংলাদেশিরা হলেন-জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্রাট প্রার্থী শেখ এম. রহমান, একই স্টেটের অপর ডিস্ট্রিক্ট থেকে সিনেটর নাবিলা ইসলাম, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান এবং নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান এবং নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী।

    নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী। তিনি ২০০৭ সাল থেকে টানা ১৪ বছর ধরে এ পদে আছেন। তার টাউনশিপে একজন মেয়র এবং ৫ জন কাউন্সিলম্যান রয়েছেন। তিনি কাউন্সিলম্যান হিসাবে কালচারাল এবং হেরিটেজ বিষয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল বি খান। এ নিয়ে ছয়বার আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।

    আবুল খান বলেন, ‘আমি খুবই আপ্লুত। মানুষ আমাকে ছয়বারের মতো সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করেছে। আমি রিপাবলিকান থেকে পাস করলেও এখন আমি সর্বস্তরের, সব দলের মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করব। আমাদের সরকার সব সময়ই কর না বাড়ানোর পক্ষে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতির পক্ষে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করব।

    এর বাইরে পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, নিউজার্সিসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান কাউন্টি ও অন্যঅন্য পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তদের ফলাফল এখনো জানা যায়নি।

  • সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা পিটার হাসের

    সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা পিটার হাসের

    বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

    বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠক শেষে পিটার হাস সাংবাদিকদের বলেন, আজ বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। আজ তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি, যাতে আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে পারি।

    বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে আমরা কীভাবে কাজ করবো, তা নিয়েও কথা হয়েছে। যেমন, জলবায়ু পরিবর্তন, ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও রোহিঙ্গা সংকট। আমাদের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।

  • বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন।

    পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।’

    নির্বাচনকালীন সময়ে এবং এর আগের মাসগুলোতে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সহিংসতার গ্রহণযোগ্য তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। সব দলের প্রতি সহিংসতাকে পরিহার করারও আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

    মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো–প্যাসিফিক) অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে নেতা নির্বাচন করুক

    যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে নেতা নির্বাচন করুক

    যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনের ফলাফলকেও প্রবাভিত করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে।

    ২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মিলার একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন এ কথা।

    মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। বাংলাদেশিরাও এটি চান। এ লক্ষ্যেই ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।

    বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যম- সবাই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রেরও এটিই চাওয়া বলে জানান মিলার।

    গত ২৪ মে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে বাংলাদেশের জন্য স্বতন্ত্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেদিন রাতে ওই ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিংকেন।

    এর প্রায় ৪ মাস পর ২২ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, নির্বাচনকে বাধা দেওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু হয়েছে।

  • শাটডাউন এড়াল যুক্তরাষ্ট্র

    শাটডাউন এড়াল যুক্তরাষ্ট্র

    কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে শেষমেষ শাটডাউন তথা সরকারি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধের অবস্থা থেকে উত্তোরণ ঘটাতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে শেষ মুহূর্তে এসে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়ন বিল পাস হয় মার্কিন কংগ্রেস।

    বিলটি পাস না হলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পার্ক বন্ধের পাশাপাশি ৪০ লাখ কেন্দ্রীয় কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেত।

    নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও উচ্চকক্ষ সিনেট যে বিলটি পাস করেছে তাতে নভেম্বরের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত সরকারি সংস্থাগুলোর ব্যয়ভারের অনুমোদন রয়েছে। তবে এই বিলে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সহযোগিতা তহবিলের কথা বলা হয়নি।

    এবার শাটডাউন হলে তা হতো এক দশকের মধ্যে চতুর্থ শাটডাউন। মাত্র চার মাস আগে জাতীয় ঋণসীমা বৃদ্ধি নিয়ে দেশটির প্রধান দুই রাজনৈতিক দল যেভাবে পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে চলে গিয়েছিল, তখনও এমন শাটডাউনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এ যাত্রায় শাটডাউন এড়ানো গেলেও ক্ষুণ্ন হয়েছে দেশটির ভাবমূর্তি।

  • অক্টোবরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-পর্যালোচনা টিম: পিটার হাস

    অক্টোবরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-পর্যালোচনা টিম: পিটার হাস

    বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, আগামী অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-পর্যালোচনা (প্রি-অ্যাসেসমেন্ট) টিম বাংলাদেশে আসবে।

    মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সিইসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    আমরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমার প্রসঙ্গে আলোচনা করেছি জানিয়ে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অক্টোবরে প্রাক-পর্যালোচনা টিম আসবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে।

    তিনি বলেন, আমি সিইসিকে জানিয়েছি, অক্টোবরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রাক-পর্যালোচনা টিম পাঠাবে। বিশেষজ্ঞ ওই টিমে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিক ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। যাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে।

    এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর মি. অরটুরো হেইনস। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমও উপস্থিত ছিলেন।

    চলমান রাজনৈতিক ইস্যুতে গত ৮ জুন সিইসির সঙ্গে দেখা করেছিলেন পিটার হাস। ওই বৈঠক শেষে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন ইস্যুতে তার দেশের অবস্থান জানিয়েছিলেন পিটার হাস। ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।

    সেই নির্বাচনে কে বিজয়ী হবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই-এমনটা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি নির্বাচন চায় যেখানে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।

  • বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র

    যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ব‌লে‌ছেন, গণতন্ত্র সমুন্নত রাখাসহ মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    চার‌ দি‌নের বাংলা‌দেশ সফর নি‌য়ে শুক্রবার (১৪ জুলাই) আন্ডার সেক্রেটারিকে উদ্ধৃতি ক‌রে তার এমন বক্তব্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ঢাকার মা‌র্কিন দূতাবাস।

    উজরা ব‌লেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

    মা‌র্কিন দূতাবাসের বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’সহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা ও কক্সবাজারে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের সদস্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে আগামী ১১-১৪ জুলাই বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন।

    বাংলাদেশ সফরকালে আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    এছাড়া তিনি শ্রমিক আন্দোলন-কর্মী, নাগরিক সমাজের নেতাদেরসহ মানবাধিকার রক্ষাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে জেয়া বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি নাগরিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, মানবাধিকার রক্ষাকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রমিক আন্দোলন কর্মীদের নিরাপত্তার গুরুত্ব; মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা থাকা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

    তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন ও সেখানকার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় বার্মা এবং বাংলাদেশের উদ্যোগগুলোর সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও ৭৪০ কোটি টাকার বেশি (৭৪ মিলিয়ন ডলার) অনুদানের ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ৬১০ কোটি টাকা বার্মায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীসহ অন্যান্যদের সহায়তার জন্য দেওয়া হবে।

    এর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সাল থেকে এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীর জন্য আমেরিকার সহায়তার পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল।

    এছাড়াও আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া ফ্রিডম ফান্ড এবং এর অংশীদারদের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ১০ কোটি টাকারও বেশি (১ মিলিয়ন ডলার) অনুদান ঘোষণা করেন। এ টাকা মানব পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ৫০০-এরও বেশি শিশুকে সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।

    যুক্তরাষ্ট্র মানব পাচার মোকাবেলায় সরকার ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নিবেদিতভাবে কাজ করছে ব‌লেও বিজ্ঞ‌প্তি‌তে উল্লেখ ক‌রেন মা‌র্কিন দূতাবাস।

  • যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে প্রথম মুসলিম বিচারক বাংলাদেশের নুসরাত

    যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে প্রথম মুসলিম বিচারক বাংলাদেশের নুসরাত

    যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচার বিভাগের ডিস্ট্রিক আদালতে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নুসরাত জাহান চৌধুরী। ডিস্ট্রিক আদালতে ফেডারেল বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এরমাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশি ও মুসলিম হিসেবে মার্কিন আদালতের ফেডারেল বিচারক হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন নুসরাত।

    বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেট ভোটের মাধ্যমে নুসরাতের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি নিউইয়র্ক ইস্টার্ন ডিস্ট্রিকের ফেডারেল বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

    ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নুসরাতকে ফেডারেল বিচারক হিসেবে মনোনয়ন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্টের এ মনোনয়নকে সমর্থন জানায় কয়েকটি সামাজিক ন্যায়বিচার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং মুসলিম অধিকার সংস্থা।

    নুসরাতের নিয়োগটি যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক ব্যবস্থায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অনেকের মতে দেশটির বিচারিক ব্যবস্থায় মুসলিম সম্প্রদায় বৈষম্য ও নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হন।

    নুসরাতের ফেডারেল বিচারক হওয়ার মনোনয়নকে স্বাগত জানিয়ে গত বছর কয়েকটি সংস্থা সিনেটর ডিক ডারবিনের কাছে একটি চিঠি লিখেছিল। ওই চিঠিতে সংস্থাগুলো বলেছিল, ‘নুসরাত যে নিউইয়র্কে দায়িত্ব পালন করবেন সেখানে বাংলাদেশি আমেরিকান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ বসবাস করেন।’

    চিঠিতে আরও বলা হয়েছিল, ‘নুসরাতের মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে আদালতে ব্যক্তিগত এবং পেশাদারিত্বে বৈচিত্র আসবে। যা বিচারিক ব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এবং আদালতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য খুবই প্রয়োজন।’

    এদিকে নুসরাত ফেডারেল বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সব মুসলিম সংস্থা।

  • ভিসা নীতিকে স্বাগত জানানোয় খুশি যুক্তরাষ্ট্র

    ভিসা নীতিকে স্বাগত জানানোয় খুশি যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশ মার্কিন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানানোয় খুশি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা উভয় দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

    স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার একথা জানান।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো রাজনৈতিক দলের কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয়, সে বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না। তবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করে। আর এ কারণেই বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে।

    ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন সরকার ঘোষিত ভিসা নীতিকে বাংলাদেশ থেকে স্বাগত জানানোয় আমরা আনন্দিত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার অগ্রগতির জন্য সবচেয়ে স্থায়ী উপায় হচ্ছে গণতন্ত্র। এই কারণেই আমরা এই ঘোষণা দিয়েছি। আমরা উভয় দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।

    এর আগে, বুধবার বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আওতায় বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন ভিসা পাবে না বলে জানানো হয়।

  • নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সং‌শ্লিষ্টদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি

    নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সং‌শ্লিষ্টদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি

    যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং নির্বাচনের সঙ্গে সং‌শ্লিষ্টদের জন্য প্রযোজ্য বলে জা‌নিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মা‌র্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

    বৃহস্প‌তিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মে‌নের স‌ঙ্গে বৈঠ‌কের পর সাংবা‌দিক‌দের মু‌খোমু‌খি হ‌য়ে এসব কথা ব‌লেন রাষ্ট্রদূত।

    পিটার হাস বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানী‌তির ঘোষণা নি‌য়ে আমরা আলোচনা ক‌রে‌ছি। এটা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং যারা এই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য প্রযোজ্য।

    যুক্তরাষ্ট্র সবসময় গণতা‌ন্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া‌কে সমর্থন ক‌রে ব‌লেও এসময় উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত হাস।

    বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে বুধবার নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

    এর আগে দুপুরে গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রে‌ছেন।

    পরে মার্কিন দূতাবাসের ফেসবু‌ক পেজে দেওয়া এক পো‌স্টে জানা‌নো হয়, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এ নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বাধাগ্রস্ত করবে বা গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করবে, তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধ জারি করবে বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

    বুধবার দেওয়া এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানান তিনি। পরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়েও এ তথ্য নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

    বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৮ মিনিটে এক টুইটবার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি আজ ইমিগ্রেশন অ‌্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ) (৩) (সি) (৩সি) ধারার আওতায় নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।