Tag: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সহিংসতায় কখনও বলা হচ্ছে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসলে মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রসহ বিভিন্নভাবে এই তথ্য জানা গেছে।

    মৃতের সংখ্যা নির্ণয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।

    তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন- সেটি নির্ধারণের কার্যক্রমও চলছে।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন, সেটি তারা জানিয়েছিলেন। এ কারণে তাদের নিরাপত্তার জন্যই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়নি।

    তিনি বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত হওয়ার পরেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করা হবে।

  • আন্দোলনরত ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ বিএনপি-জামায়াতের হাতে

    আন্দোলনরত ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ বিএনপি-জামায়াতের হাতে

    কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ বিএনপি-জামায়াতের হাতে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

    তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ছাত্ররা সরকারের উদ্যোগ ও উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবেন, কিন্তু দুঃখজনকভাবে তারা সেটি করেননি। তাদের কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিদের হাতে। যারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এদের আক্রোশই ছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগের প্রতি। দুইজন সাংবাদিককে হত্যা ও একজন নারী সাংবাদিককে নাজেহাল করেছে তারা। এরা মানুষের শত্রু, জনগণের ও দেশের শত্রু।

    শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীদের নাশকতা-সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

    নারায়ণগঞ্জে নজিরবিহীন তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে একটি ভবনে আগুন দিয়ে তিন শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারা। শিমরাইলে মা হাসপাতালেও আগুন দেয় তারা। সেখান থেকে নবজাতক ও গর্ভবতী মায়েদের অনেক কষ্টে উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পিবিআই অফিস, পাসপোর্ট অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, ২ নম্বর রেলগেটে পুলিশ বক্স, সিটি কর্পোরেশন ভবন, যুব উন্নয়ন অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। মদনপুরে ছয় পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, থানায় হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, ওরা পদ্মা সেতুর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও প্ল্যান সেতু ভবনে হামলা করে পুড়িয়ে দিয়েছে৷ ত্রাণ ভবন বিনষ্ট করেছে তারা। যে বিটিভি বাংলাদেশের সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর্কাইভে সংরক্ষণ করে, সেই বিটিভি ভবনও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। আমাদের স্বপ্নের ও গর্বের মেট্রোরেলও ওদের অগ্নিসংযোগে এখন বন্ধ।

    শিক্ষার্থীদের দাবি প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ছাত্র আন্দোলনের নেতা‌রা নতুন ‌যে ৮ দফা দাবি দিয়েছিলেন সে প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এগুলোর মধ্যে যৌ‌ক্তিক দাবিগুলো ক্রমান্বয়ে মেনে নেবেন। কিন্তু সেই সুযোগ শিক্ষার্থীরা দেননি।

    এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারী তিনজ‌নকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা নিজেদের ওপরে হামলার শঙ্কা পরিবারকে জানিয়েছিলেন। কারা তাদের আক্রমণ করতে চায় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে।

    তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে যে পুলিশ, তাদের ওপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমাদের দেশপ্রেমিক বিজিবিদের ওপরও হামলা করা হয়েছে। আমাদের র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি যখন একত্রে পারছিল না তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছি। খুব শিগগিরই আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাব। আমি আগেই বলেছি, ছাত্রদের মিসগাইড করে যে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে, অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আমাদের ছাত্রলীগের অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছে। তিনজন পুলিশ মারা গেছেন। একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বর্তমানে এক‌টি মহল সোশ্যাল মি‌ডিয়ার মাধ‌্যমে গুজব ছ‌ড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রা‌ন্তি ছড়াচ্ছে। এইসব গুজব থেকে দেশকে রক্ষা করা সাংবাদিকদের দায়িত্ব।

    সহিংসতায় প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। তিনজন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন। এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে মেরে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছিল ওরা। গাজীপুরের সাবেক জনপ্রিয় মেয়রের পিএসকেও ওরা হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এমনকি নরসিংদী জেলখানায় ওরা হামলা করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বের করে এনেছে, অস্ত্রও লুট করেছে। সেই অস্ত্র ওরা এখন পুলিশের বিপক্ষে ব্যবহার করতে চায়, জঙ্গিদের দ্বারা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা, আপনারা ওদের বীভৎসতা, নির্মমতা বেশি করে প্রচার করুন। আমাদের পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশপ্রেমিক। তারা এসবে ভয় পায় না।

    এদিন মন্ত্রী দুষ্কৃতকারীদের হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পিবিআই কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সিটি কর্পোরেশন ভবন, শিল্প পুলিশ কার্যালয়সহ আরও বেশ কিছু স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

    এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে বলেছেন তিনি।

    শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে নিজ বাসভবনে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আতে পারে বলেও জানান তিনি।

    এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এ সময় কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান।

    তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার জেরে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এ সময় গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

  • অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ বসে থাকবে না

    অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ বসে থাকবে না

    অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ বসে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অপারগ হয়ে যায় তখনই অ্যাকশনটা আসে। যখন অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংস করতে যায়, জানমালের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, এককথায় অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে পুলিশ বসে থাকবে না।

    বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

  • অনেক ধরনের কথা বলেছে, তাদের সুর আবার পাল্টেও যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    অনেক ধরনের কথা বলেছে, তাদের সুর আবার পাল্টেও যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    আগে অনেক ধরনের কথা বলছে, দু-চার দিন ধরে তাদের সুর পাল্টে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম দিন রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তবে কাদের উদ্দেশ্য করে এ বক্তব্য দিয়েছেন সেটি স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী বলেছেন দেশি-বিদেশি চাপ এখনো রয়েছে। ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। এ পরিস্থিতিতে সামনে আপনার কী চ্যালেঞ্জ- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক পরিবহন মন্ত্রী যেটা বলেছেন যথার্থই বলেছেন। অনেক বৈদেশিক চাপ আমরা পেয়েছি।’

    ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন অত্যন্ত দক্ষ, বিচক্ষণ, দূরদর্শী নেতা। তিনি মাথানত করে কারও সঙ্গে কথা বলেন না, তিনি মাথাউঁচু করে থাকেন এবং হৃদয় দিয়ে বাংলাদেশকে ভালোবাসেন বলেই এই সমস্ত চাপ তার কাছে কোনো চাপ নয়। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে তার দক্ষতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে এসব মোকাবিলা করে যাচ্ছেন।’

    তিনি বলেন, ‘দু-চারদিন ধরে আবার আমরা এটাও লক্ষ্য করছি। যারা অনেক ধরনের কথা বলেছে, তাদের সুর আবার পাল্টেও যাচ্ছে। একটু একটু করে তারা আবার ভিন্ন সুরেও কথা বলছে। এসবই হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা ও বিচক্ষণতা। তার যে দূরদর্শী সিদ্ধান্তগুলো এগুলো তার মূল কারণ।’

    আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রী মহোদয় যেটা বলেছেন সঠিকও বলেছেন এগুলো তো আছেই। যারা সবসময় একটা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাইতেন। ২০১৪-১৫ দুটি বছর তারা অগ্নিসন্ত্রাস যারা দেশকে একটা অকার্যকর দেশে পরিণত করতে চেয়েছিল।’

    ‘বৈদেশিক চাপ সবসময়ই থাকে। অনেক হিসাব-নিকাশ সেখানে থাকে। প্রধানমন্ত্রী সেগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা করে একটা সুন্দর নির্বাচন আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনারা এমন কোনো জায়গা পাননি, যেখানে একটা অনিয়ম হয়েছে। অনিয়ম যেখানে হয়েছে সেখানে আমাদের নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই আমরা মনে করি, একটা সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনকে বিদেশিরা সবাই স্বাগত জানিয়েছে, আমাদের সরকারকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এই চাপ কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড আগেও ছিল এখনো চলবে, এগুলো আমাদের জন্য কোনো ব্যাপার না।’

  • সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে নারী ফাইটাররা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে নারী ফাইটাররা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বিজিবি বলেন, পুলিশ বলেন, সব সেক্টরেই নিয়োগ পেয়ে নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এতদিন ফায়ার নারী অগ্নিসেনা সার্ভিসে ছিল না। দুই হাজার ৭০০ প্রার্থী থেকে আমরা সব যোগ্যতায় উত্তীর্ণ ১৫ নারীকে নিয়োগ দিয়েছি। যা ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে প্রথম।’

    বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১০ মিরপুরে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

    এর আগে প্রথমবারের মতো ফায়ার সার্ভিসে যোগদান করা নারী অগ্নিসেনা ব্যাচের সঙ্গে ফটোসেশনে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা প্রত্যেকটা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইতোমধ্যে স্থাপন করেছি। এরপরও আমরা যেখানে প্রয়োজন সেখানেই উপজেলার বাইরে ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন তৈরি করছি।’

    তিনি বলেন, ‘দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেভাবে চাহিদা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের সেরকম কর্মকর্তা কর্মচারী ফায়ার ফাইটার বা অগ্নিসেনা নিয়োগ, আধুনিকায়ন, প্রযুক্তিগত ব্যবহার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আমরা অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি দিয়েও ফায়ার সার্ভিসকে সমৃদ্ধ করেছি।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলেন। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টেই নারীদের অবস্থান রয়েছে। পুলিশে রয়েছে বিজিবিতেও রয়েছে। এমনকি কারাগারেও রয়েছে। তবে ছিল না শুধু ফায়ার সার্ভিসে।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রথম ফায়ার সার্ভিসেও নারীদের রিক্রুট করা হলো অগ্নিসেনা হিসেবে। মোট দুই হাজার ৭০০ জনের বেশি প্রার্থী ছিলেন। সেখান থেকে বাছাই করে ১৫ জনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা সব পরীক্ষায় সব যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।’

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের প্রথম নারী অগ্নিসেনা ব্যাচে নিযুক্ত ১৫ জন ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি আছেন। আমরা মনে করি পুলিশের সঙ্গে তারাও সাহসিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’

    এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সেবা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। শুধু চ্যালেঞ্জিং নয় সবসময় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হয়। হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড বা ভূমিকম্প হতে পারে। যেকোনো কিছু মোকাবিলার জন্যই তাদের প্রস্তুত থাকতে হয়। আগুন লাগলে অগ্নিসেনারাও দগ্ধ হতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ফায়ার ফাইটারদের অগ্নিদগ্ধ হতে দেখেছি, আহত হয়েছেন।’

    ফায়ার সার্ভিসের সেবা সম্প্রসারণে আমরা নারী ব্যাচ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা দেখেছি পুলিশ বা বিজিবি যেখানেই নারীদের নিয়োগ করা হয়েছে সেখানে সাহসিকতার সঙ্গে তারা ভালো কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পাওয়া নারী ব্যাচের সদস্যরা আরও ভালো করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’

    এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ও ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

  • সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে থানার ওসিদের রদবদল : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে থানার ওসিদের রদবদল : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব থানার ওসিদের রদবদলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওসি রদবদল করা হবে। কারণ তারা মনে করছে দীর্ঘদিন ধরে যারা আছে তারা (নির্বাচনে) প্রভাবিত হতে পারে।

    রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে মুজিব একটি জাতির রূপকার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত অবরোধ-হরতাল কর্মসূচির নামে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা করছে। তাদের ধরতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। নির্বাচবকে ভয় পায় বলেই বিএনপি নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করছে।

    ইলেকশনে বিএনপি আসতে পারবে না বলেই নাশকতা শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

  • তারেক রহমানকে মানতে না পারা বিএনপি নেতারা নির্বাচনে আসবেন

    তারেক রহমানকে মানতে না পারা বিএনপি নেতারা নির্বাচনে আসবেন

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নেতা হিসেবে মানতে না পারা দলটির নেতারা নির্বাচনে আসবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তারা (বিএনপি নেতা) নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন বলেও জানান তিনি।

    মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

    বিএনপি না এলে সংসদ নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমার কাছে তথ্য আছে, তারেক রহমানকে যারা নেতা হিসেবে মানতে পারছেন না, তার নেতৃত্ব মানতে যাদের কষ্ট হচ্ছে, তারা এরই মধ্যে নির্বাচনে আসবে বলে আমরা জানি। নির্বাচনে আসার জন্য তারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেছেন।

    তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, বিএনপির যে নেতৃত্ব, তা দলটির অনেকের পছন্দ না। যে কারণে তারা নতুন দল করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার বিএনপিরও অনেকেই প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জেনেছি।

    মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ যখন তাদের (বিএনপি) থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তারা নিশ্চিত যে নির্বাচনে আসতে পারবে না কোনোদিন। যে কারণে কুৎসা রটাচ্ছে, অবান্তর কথা বলে যাচ্ছে। এ কথাটা জোরের সঙ্গে বলতে পারি যে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে, সঠিক সময়ই নির্বাচন হবে।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে চলে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই নিজেদের প্রার্থীকে কীভাবে বিজয়ী করা যায়, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করছেন। কে নির্বাচনে এলো না, বা কে কী বললেন, তা নিয়ে মানুষের কোনো উদ্বেগ নেই।

    লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখবেন, সেটা আছে কি না। রাজনৈতিক দলগুলো তো প্রচার করবেই। সবাই প্রচারে নামবে। নিজেদের প্রার্থী নিয়ে তারা আনন্দ করবে, উৎসব করবে।

    বিএনপি নেতারা তো কারাগারে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের যতগুলো নেতা কারাগারে, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে। তারা ভাঙচুর করেছেন। বাস জ্বালিয়েছেন, মানুষ পুড়িয়েছেন। এসব ঘটনা আমরা শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি ও গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া তারা বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড করেছেন। বিনা কারণে কাউকে ধরা হয়নি।

    নির্বাচন ঘিরে কোনো নাশকতার শঙ্কা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো খবর পাইনি। আর নাশকতা কেবল বাংলাদেশের মানুষ না, বিশ্বের কোনো সভ্য দেশের মানুষ পছন্দ করে না। যতই নাশকতা করবে, ততই জনবিচ্ছিন্ন হবে। এতে জনসমর্থনের চেয়ে ধিক্কার জুটবে তাদের ভাগ্যে।

    বিএনপি এখন ‘কঠোর আন্দোলন’ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সেই কঠোর আন্দোলন কী আমি জানি না। আমরা তো দেখলাম, ট্রেনের লাইন কাটার জন্য তারা গিয়েছিল, জনগণ তাদের ধরিয়ে দিয়েছে। বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ ধরে পুলিশে দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে, দেশের মানুষ সহিংসতা পছন্দ করে না।

  • ‘বিএনপির অধিকাংশ নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন’

    ‘বিএনপির অধিকাংশ নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন’

    বিএনপির বেশিরভাগ নেতা দলের কমান্ড শুনছেন না। তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। ইতোমধ্যে অনেকে তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএফ থেকে নির্বাচনের অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়াও যারা বাইরে আছেন তাদের অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।

    বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।

    বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি, অধিকাংশ দলই ইলেকশনে চলে এসেছে। বিএনপি ইলেকশনে না এলেও যারা কমান্ড শুনছেন না, তারা কিন্তু ভাগ হয়ে কেউ তৃণমূল বিএনপি নামে কেউ বিএনএম নামে চলে এসেছেন।

    এ ছাড়াও ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন লুইস। কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি। তারা চাইলে তাদের জন্য আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে, যোগ করেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, তাদের (বিএনপি) অধিকাংশ নেতাই স্বতন্ত্র হিসেবে চলে আসবেন। আমরা দেখছি, তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি মানতে পারছেন না। তারা সবাই নির্বাচনমুখী হয়ে গেছেন, আমাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। আমরা সব সময়ই বলছি, আমরা একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেব। যেখানে আপনারা সবাই এসে নির্বাচন করতে পারবেন।

  • শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    দেশের তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির চলমান আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

    রোববার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার ৬০০ করা হয়েছে; আমি মনে করি এই বিষয়ে তাদের আপত্তি থাকলে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বসে একটা সমাধানে আসার অবস্থান রয়েছে। সেটি না করে তারা এগুলো করলে নিজেদের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি দেশেরও ক্ষতি হয়। অবশ্যই গার্মেন্টসকর্মীদের আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি কুষ্টিয়ার একজন বিএনপি নেতা কোনাবাড়ীতে আন্দোলনরত গার্মেন্টসকর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছিলো, ঐক্যবদ্ধ করছিলো— এ রকম বিভিন্ন ঘটনা আমাদের ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। তথ্য আছে তারা সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। এরাই নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে।

  • আবারও দেশকে অকার্যকর করতে চায় বিএনপি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    আবারও দেশকে অকার্যকর করতে চায় বিএনপি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মানুষের সম্পদ নষ্ট করে আবারও দেশকে অকার্যকর করতে চায় বিএনপি। তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করছে।

    বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগরভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ডিএনসিসির ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ বা ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং অ্যাপের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি বিরোধী দল নয়, বিরোধী দল এখন জাতীয় পার্টি। তবে তারা এখন স্বীকৃত জনবিচ্ছিন্ন দল। দেশ ও মানুষের সম্পদ নষ্ট করে আবারও দেশকে অকার্যকর করতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করছে তারা।

    তিনি আরও বলেন, তারা (বিএনপি) খুনি, তারা খ্রিষ্টান ধর্মের ধর্ম গুরুদের মারার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন সময়। বিদেশিদের মারে, মসজিদের ইমামদেরও হত্যা করেছে। সে কথা এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। দেশের মানুষ তাদের জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের কথা ভুলেনি।

    মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে আগে অনেক লোক অনেক কথা বলেছে। কিন্তু আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় আমরা শতভাগ না হলেও বলতে পারি ৮০ শতাংশ সফল। দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তার একটি কারণ হলো আমরা ডিজিটাল। আজকে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখেন সেটি বাস্তবায়নও করেন।

    অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামকে অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু গুলশান এলাকার জন্য এম স্মার্ট কাজ কইরেন না, আমাদের এলাকার দিকেও একটু দেইখেন। সন্ধ্যার পরে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে চলাচলের কোনো জায়গা থাকে না। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মানুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

  • সহিংসতার দায় এড়াতে পারে না বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সহিংসতার দায় এড়াতে পারে না বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘২৮ অক্টোবরের সহিংসতার দায় বিএনপি কখনও এড়াতে পারবে না। এর আগে তাদের যেভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেভাবেই (সভা-সমাবেশ) করেছে। কিন্তু গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশের শুরু থেকেই তাদের নেতাকর্মীরা বেপরোয়া আচরণ শুরু করে। বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ করলে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার এই দায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এড়াতে পারে না।’

    শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি একের পর এক সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ করে চলছে। তারা আমাদের পুলিশ হাসপাতালে আগুন দেয়, হাসপাতালের গাড়িঘোড়া পুড়িয়ে দেয়। এক পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। সমাবেশের নামে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যারা যাবে তাদেরকে মারধর করা।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু উন্নত প্রযুক্তির গোপন ক্যামেরা রাস্তায় সেট করেছিলাম। সেগুলোও তারা নষ্ট করে দিয়েছে, যাতে এসব সহিংসতার কোনো আলামত না থাকে। তারপরও আমাদের হাতে বেশকিছু আলামত আছে। আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো দেখে (সহিংসতাকারীদের) শনাক্ত করতে।’

    বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নেতারা ঘরে বসে যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছিল, কর্মীরা সেভাবে সহিংসতা করেছে, এজন্য নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

    জেলহত্যা দিবসে সকালে প্রথমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যরা। এরপর চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যরা। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় চার নেতার জাদুঘর পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ম্যাজিস্ট্রেটসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।