চট্টগ্রামের উন্নয়নে আর তেমন কোন কাজ নেই। প্রধানমন্ত্রীর ম্যাজিক লিডারশিপে শুধু চট্টগ্রামই নয় পার্বত্য চট্টগ্রামেরও পরিবর্তন হয়েছে। স্থানীয় অনেক নেতার টানেল নিমার্ণের দাবী ছিল তাও পূরণ হয়েছে। মানানীয় প্রধানমন্ত্রীর মায়াবী টান অনুভব করেন চট্টগ্রামের ব্যাপারে। আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ভাচুর্য়ালী অংশগ্রহণ করেন। এসময় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মনজুর হোসেন। টানেলের শুরুতে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার পরে চট্টগ্রামেও মেট্রোরেলের পরিকল্পনা চলছে। একনেকে এর অনুমোদন নেয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চারলেনের পাশাপাশি আরো দুটি সার্ভিস লেন করার পরিকল্পনা রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ককে আরো প্রশস্ত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ। এখন আমাদের লক্ষ্য আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ বানানো। চট্টগ্রাম বিমান বন্দরকে সম্পূর্ণ আন্তজার্তিকমানে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
ভাচুর্য়ালী এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রথমে চীন টানেল নিমার্ণে আমাদেরকে সহায়তা করার জন্য রাজি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী চীন সফরকালে যখন আলোচনায় বসেছিলাম তথন চীন রাইজ হয়নি।
পরে রাতের খাবারের সময় প্রধানমন্ত্রীর ডিপ্লোমেটিক দক্ষতায় চীন সরকারকে রাজি করাতে সক্ষম হন। আবার লেট নাইটে একটি ডিনারের আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ টানেলের চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় চীনের সঙ্গে।
পূর্ত কাজের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, এতো বড় একটি প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে চীনের নাম। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, সিটি মেয়র রেজাউল করিম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ।
২৪ ঘণ্টা /জেআর
Leave a Reply