খুঁজুন
শনিবার, ৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবু সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করুন:শাহাদাত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:২২ অপরাহ্ণ
আবু সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করুন:শাহাদাত

আসন্ন চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেছেন, নির্বাচনের মাঠে ধানের শীষের জোয়ার দেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং সমর্থকদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বুঝে গেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে পাঁচ শতাংশ মানুষের সমর্থনও পাবেন না। সেজন্য বিএনপির ত্যাগী ও পরীক্ষীত নেতাদের টার্গেট করে হয়রানির নীলনকশা এঁকেছেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তাক আহমদ খান ও বোয়ালখালীর পৌর মেয়র আবুল কালাম আবুর মত পরিচছন্ন দু’জন নেতার বিরুদ্ধে নৌকা পুড়িয়ে দেবার অভিযোগ হাস্যকর। অথচ আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতিদিন আচরণ বিধি লঙ্গন করে চলেছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে নেমে হালে পানি পাচ্ছেন না আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সস্তা সহানুভূতি পেতে বিএনপি নেতাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে থাকার কৌশল নিয়েছেন তিনি। কিন্তু বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের জনগণ তাদের ভাওতাবাজি বুঝে গেছে। তারা জানে, বিএনপি নেতাদের নৌকা পুড়িয়ে দেবার দরকার নেই, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ নৌকা নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে দেবে।

তিনি আজ ৫ জানুয়ারী রবিবার চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে মোহরা ওয়ার্ডের হামিদচর শাহজীর মাজার জেয়ারত করে গণসংযোগ শুরু করে বিসিক শিল্প এলাকা, চররাঙ্গামাটিয়া, কামালবাজার, মৌলভী বাজার, ওয়াসা রোড, উত্তর মোহরা, পূর্ব মোহরা হয়ে কালনের দোকান এলাকায় এক পথসভায় এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে আবু সুফিয়ান আরও বলেন, এই নির্বাচনে বোয়ালখালী-চান্দগাঁওয়ের জনগণ ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকে অনেক জবাব খুঁজছে। ১১ বছরে কেন কালুরঘাট সেতু হল না জনগণ জানতে চায়। বোয়ালখালীর রাস্তাঘাট দেখলে মনে হয় যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত জনপদ। অথচ এটাই শহরের উপকন্ঠ। এই অবহেলার জবাব দেওয়ার জন্য জনগণ অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপ্রিয় গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি কারও গণতান্ত্রিক অধিকারে কখনও হস্তক্ষেপ করে না। নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ যে সুবিধা পাচ্ছে, সমান সুবিধা চায় বিএনপিও। কিন্তু নির্বাচন কমিশনকে বারবার অভিযোগ দিলেও তারা সঠিক কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এজন্য বিএনপিসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টা হলে জনগণ সমুচিৎ জবাব দেবে।

পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মানুষের মাঝে এখনও শঙ্কা আছে আদৌ তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন কি-না। গত নির্বাচনে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। মানুষকে তার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তাই এবার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার প্রতীক্ষায় আছেন ভোটাররা। নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছি, ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষ জিতবে।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে সরকারের দায়িত্বশীল লোকজন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন বলে অভিযোগ তুলে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা দুইবার হামলা করেছে। এছাড়া ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি এবং পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়ার পরও তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তিনি ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এটি উপ-নির্বাচন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান রেখে। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দু’বছর ধরে জেলখানায়। তাকে মুক্তির আন্দোলনের জন্যও এই নির্বাচনে যাওয়া।

বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই উল্লেখ করে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম হুহু করে বাড়ছে। মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। সমাজে দুর্নীতি সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। এসবের কারণে মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে। সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলী, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হামিদ হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মো. শহীদ, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর মো. আজম, মহানগর বিএনপির সহ সম্পাদক এ কে এম পেয়ারু, মোঃ ইদ্রিস আলী, আলমগীর নূর, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন শাহেদা বেগম, আফরোজা বেগম জলি, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান, বিএনপি নেতা দিদারুল আলম হিরামন, নুরুল আলম লিটন, শহিদুল আলম বাদশা, মো. ইব্রাহিম, অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ম. হামিদ, শহিদুল আলম শহীদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন মানিক, এস এম ফারুক, আকতার হোসেন, মো. জাবেদ, জয়নাল আবেদীন, আবদুল আজিজ, মনসুর আলম, শহিদুল আলম ছোটন, মো. সরওয়ার, ছাবের আহমদ প্রমূখ।

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর