খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার সরকারের ওপর সন্তুষ্ট : আরআই

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার সরকারের ওপর সন্তুষ্ট : আরআই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনায় দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ সন্তষ্ট বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল (আরআই)।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রথম এক বছরের কার্যক্রমের ওপর পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মতামত প্রদানকারীদের মধ্যে ৮০ ভাগ উত্তরদাতা জানায়, বর্তমান মেয়াদের প্রথম এক বছর আগের তুলনায় ভালো।

জরিপে অংশ নেয়া শতকরা ৩ ভাগ উত্তরদাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলেও জানায় আরআই।

আজ সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রথম এক বছরের কার্যক্রম’ সম্পর্কে পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল।

এ সময় রিসার্চ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গবেষক অধ্যাপক আবুল হাসনাত মিল্টন, প্রধান সমন্বয়কারী কর্মকর্তা কাজী আহমদ পারভেজ ও সমন্বয়কারী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

জরিপের ফলাফল প্রকাশকালে অধ্যাপক আবুল হাসনাত মিল্টন বলেন, গত ৭ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভাষণে দেশবাসীকে তাঁর ওপরে আস্থা রাখতে বলার প্রেক্ষিতে শতকরা ৮৬ ভাগ উত্তরদাতা জানান, তারা তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) ওপর আস্থা রাখেন, মাত্র ৩ ভাগ আস্থাহীনতার কথা জানান এবং ১১ ভাগ মতামত প্রকাশ করেননি।

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সফলতার বিষয়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফলে বলা হয়, সবচেয়ে কার্যকরি মন্ত্রণালয় হিসেবে শতকরা ৩০ ভাগ উত্তরদাতা শিক্ষা, ২৮ ভাগ উত্তরদাতা সড়ক পরিবহন সেতু, ৯ ভাগ উত্তরদাতা তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি এবং বাকীরা অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে বেছে নেন।

দক্ষতা ও সাফল্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন যথাক্রমে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (৩৬ ভাগ) এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি (২৯ ভাগ)।

এতে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ উত্তরদাতা বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে কোন আলোচনা করতেই চাননি এবং ২৫ ভাগ উত্তরদাতা বিএনপির কার্যক্রম নিয়ে অসন্তষ্ট, মাত্র ৬ ভাগ উত্তরদাতা বিএনপির কার্যক্রমে সন্তষ্ট। এর মধ্য দিয়ে জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থাটির মনে হয়েছে, রাজনীতিতে বিএনপি গুরুত্ব হারাচ্ছে। জাতীয় পার্টির ব্যাপারেও উত্তরদাতাদের মধ্যে আগ্রহ কম পরিলক্ষিত হয়েছে বলেও জানানো হয়।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৪৮ ভাগ উত্তরদাতা দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধীদল থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, ৩২ ভাগ মনে করেন দরকার নেই এবং ২০ ভাগ মতামত প্রদান করেন নি।

আরআই জানায়, দেশব্যাপী দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ৮ হাজার ৩৯ জন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে পরিচালিত টেলিফোন জরিপে ৫ হাজার ৪শ’২৯ জন ফোন গ্রহণ করেন এবং তাদের মধ্যে ২ হাজার ২শ’ ৬৬ জন অর্থাৎ শতকরা ৪১ দশমিক ৭ ভাগ অংশগ্রহণকারী তাদের মতামত প্রদান করেন।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।