মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না:প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না। যুবসমাজের কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণদানসহ বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও বিভিন্ন শিল্প স্থাপনেও কাজ চলছে।’ সবার কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আত্মকর্মী ও যুব সংগঠকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দায়িত্ব যুবকদের নিতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে তরুণ ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ত্যাগ তিতীক্ষার বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল যেন সবাই পায়, যুব সমাজ যেন আত্মনির্ভশীল হতে পারে সে চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তরুণদের এগিয়ে নিতে বিনা জামানতে ঋণ দিচ্ছে সরকার। শুধু চাকরি নয়, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণরা যাতে এগিয়ে যেতে পারে সরকার তার ব্যবস্থা করছে।
তরুণদের চিন্তা ও মেধার বিকাশ ঘটাতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, মানসিক শক্তি বিকাশে ক্লাস সিক্স থেকে তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সারাদেশে ২ হাজার ৮০০ ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে, যাতে ফ্রিল্যান্সিক খাতে আমাদের সন্তানরা এগিয়ে যেতে পারে।
উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেধাবী। তারা চাইলে যেকোনো অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। চাকরি নেয়া নয়, দেয়ার মানসিকতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মুজিববর্ষের মধ্যেই কেউ যাতে বেকার না থেকে সে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
শুধু ছেলে নয়, মেয়েদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, সকল ডিজিটাল সেন্টারে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও কাজ করার সুযোগ আছে। যুব সমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে বেসরকারিভাবে প্রশিক্ষণের পাশপাশি সমাজ কল্যাণ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং যুব উন্নয়ন বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এগুলো কাজে লাগাতে পারলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
আপনার মতামত লিখুন