খুঁজুন
সোমবার, ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঝিদের বৈঠা বর্জন ও মানববন্ধন : কর্ণফুলীর মাঝিদের বিতাড়ির করার চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৪৮ অপরাহ্ণ
মাঝিদের বৈঠা বর্জন ও মানববন্ধন : কর্ণফুলীর মাঝিদের বিতাড়ির করার চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে

২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বৈঠা যার ঘাট তার সরকার প্রবর্তিত আইন। এই আইন অমান্য করে কর্ণফুলী নদীর তিন হাজার সাম্পান মাঝিকে কর্মহীন করার প্রতিবাদে মানব বন্ধন বৈঠা বর্জন করেছে ১০টি সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতির সদস্যরা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কর্ণফুলীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে ১৫ নম্বর পর্যন্ত সকল ঘাটে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে মাঝিরা দুই ঘন্টা ধরে বৈঠা বর্জন ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।

নগরীর সদরঘাটে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, মাঝিদের ঘাট বংশানুক্রমে ইজারা দেয়ার বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও সরকার বিরোধি চক্র কর্ণফুলী থেকে সাম্পান মাঝিদের বিতাড়ির করার চেষ্টা করছে। মাঝিদের বৈঠা বর্জন ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন বক্তারা

মেয়র সাহেব অনুমতি দেয়ার পরও চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ঘাট ইজারা দেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কিভাবে। আসন্ন চসিক নির্বাচনে মেয়রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সুনির্দিষ্ট চক্রান্ত যে কোন মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে। মাঝিদের ঘাট তাদের ইজারা না দিলে আরো বড় কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, ২০০৩ সালের হস্তান্তরি ফেরিঘাট ইজারা ও ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ভূদ আয় বন্টন সম্পর্কে নীতিমালায়’ ষ্পষ্ট করে বলা হয়েছে বংশ পরম্পরায় একজন ঘাট মাঝি জীবিত থাকলেও তার অনুকূলে ঘাট ইজারা দিতে হবে।

সিটি কর্পোরেশন এই আদেশ অমান্য করে ঘাট ইজারা দেয়ায় এডভোকেট মনজিল মোর্শেদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন (৩৪৬৫/২০১৫) সালে দায়ের করেন। হাইকোর্টের বিচারক ওবায়দুল হাসান ও বিচারক কৃষ্ণ দেবনাথ প্রদত্ত আদেশে বলা হয়েছে পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে দশ শতাংশ বৃদ্ধি করে পাটনীজীবী সাম্পান মাঝিদের ঘাট ইজারা দিতে হবে।

চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এই আদেশ অমান্য করে সর্বসাধারনের জন্য ঘাট ইজারা দেয়ার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কোন সাহসে। বৈঠা বর্জন ও মানববন্ধন

কর্ণফুলী গবেষক অধ্যাপক ড. ইদ্রিচ আলী বলেন, কর্ণফুলীর পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা করেই হাজার বছর ধরে সাম্পান মাঝিরা কর্ণফুলীর অলংকার হিসাবে জীবনযাপন করে আসছে। তাদের বিতাড়ন করার এই চক্রান্ত চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্যে আঘাত করা। যা প্রতিরোধ করতে হবে।

চরপাথরঘাটা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ বলেন, চসিক রাজস্ব কর্মকর্তা পুরো টেন্ডার বিজ্ঞাপনে কোথাও সাম্পান বা নৌকা শব্দ উচ্চারন করেননি। তিনি সাম্পানের পরিবর্তে লাইফবোট দিয়ে যাত্রী পারাপারের জন্য টেন্ডার আহবান করেছেন।

সরকারের ভাবমূর্তি চট্টগ্রামের জনগনের কাছে ক্ষুন্ন করার জন্য তিনি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এই কাজ করেছেন। যা কিছুতেই মেনে নেয়া হবেনা।

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমির আহমদ আমু, চরপাথরঘাটা ব্রীজঘাট সাম্পান মাঝি সমিতির সভাপতি জাফর আহমদ, সহ সভাপতি জিন্নাত আলী, ইছানগর বাংলাবাজার সাম্পান চালক সমিতির সভাপতি মো: লোকমান দয়াল, সাধারণ সম্পাদ মোহাম্মদ ইউসুফ, অর্থ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মাঝি সমিতির সাধারণ সম্পাদ মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদ ফরিদ আহম্মদ, পতেঙ্গা তেলের টেংকার কর্মচারী পারাপার সাম্পান মাঝি পাটনি শ্রমিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সোহেল, ১১ নম্বর মাতব্বর ঘাট ও জুলধা লাইফ বোট সাম্পান টেম্পু মাঝি মালিক (পাটনি) সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুস শুক্কর, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন হাসনাত, সদরঘাট সাম্পান চালক সমিতির সভাপতি আবসার উদ্দিন বাপ্পি সাধারন সম্পাদক এয়ার মোহাম্মদ, ১২ নম্বর তিনটিংগা ঘাট যাত্রী পারাপার সাম্পান মাঝি ও শ্রমিক সমবায় লিমিটেড এর জাফর আহম্মদ, ১৪ নম্বর গুচ্ছগ্রাম ঘাট নৌকা পারাপার ও লাইটার টেংকার শ্রমজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ফরিদুল আলম সাধারন সম্পাদক সোলেমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।