হাতি লোকালয়ে নামার কারণ শনাক্তের চেষ্টা করছে বনবিভাগ : বোয়ালখালীতে কর্মশালা

২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বোয়ালখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, বিভিন্ন কারণে হাতি লোকালয়ে নেমে আসছে। সেইসব কারণ সমূহ শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে একটি কারণ হলো খাদ্য। একটি হাতি দৈনিক কমপক্ষে দেড়শ কেজি খাবার খায় এবং ৬০-৭০ কিলোমিটার হাঁটে।
পাহাড়ি বনাঞ্চলে খাদ্য ঘাটতি পূরণ ও বনাঞ্চল রক্ষায় দেশিয় প্রজাতি বা যে যে অঞ্চলে আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে যেসব গাছ ছিলো সেইরূপে বনাঞ্চল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের এ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে হাতির পাল নিয়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘সুফল’ প্রকল্পের অধীনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ কর্মশালায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ আরো বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেইসব স্থানে হাতি বারবার হানা দিচ্ছে সেসব স্থানে ইআরটি (ইলিফেন্ট রেসপঞ্জ টিম) গঠন করা হচ্ছে।
যারা হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে সম্পদের ক্ষতি হলে তা পাওয়া যাবে, প্রাণের যাতে ক্ষতি না হয় সেই ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
কর্মশালায় বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন জীব বৈচিত্র কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল আলম, সমাজ সেবক মো. রফিকুল ইসলাম খসরু, মো. মোজাম্মেল হক বকুল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ইউনুচ আজম খোকন, ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহীম, মো. আলী, জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবসায়ী এরশাদ সওদাগর ও নিমাই দে।
আপনার মতামত লিখুন