খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদ-জামাত অনুষ্ঠিত হবে:চসিক মেয়র

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদ-জামাত অনুষ্ঠিত হবে:চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে নগরবাসীর প্রতি অগ্রীম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মুসলিম উম্মাহ, দেশবাসী ও বিশ্বমানবতার কল্যাণ শান্তি,সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি এবং মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রাণ-প্রকৃতির সুরক্ষা কামনা করেছেন।

তিনি এক বার্তায় বলেছেন, বিশ্বব্যাপী এক অজানা, অচেনা ও অদৃশ্য প্রাণঘাতি অনুজীব তথা করোনা সংক্রমণের অপ্রতিরোধ্য বিস্তারের অশুভ থাবার মধ্য দিয়ে মাহে রমজান শেষে ঈদ-উল-ফিতরে খুশী-আনন্দ-মহামিলন উৎসবের ঐতিহ্যগত প্রাণ-মুখরিত আবেগ-অনুভূতির ঐশ্বর্য ও গরীমা হারিয়ে গেছে। কারণ পৃথিবী আজ গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন, মানুষ ও প্রাণ প্রকৃতির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার উাপর যুক্ত হয়েছে সুপার সাইক্লোন আম্পানের ভয়াবহ ছোবল। এতে যথেষ্ট ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে এবং করোনা থাবার সাথে আরেকটি প্রাকৃতিক অপঘাতের যন্ত্রণায় মানুষ কাতর। তারপরও আশার আলো অবশ্যই দেখতে হবে। তবে স্রষ্টার ইচ্ছায় জীবন প্রবহমান এবং এই জীবন রক্ষা-ই আমাদের আরাধ্য। জীবন রক্ষায় জীবিকা হলো অক্সিজেন। আজকের এই অদ্ভুত আধার একদিন কেটে যাবেই। কারণ স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। তিনি আমাদের রক্ষা করবেন। তাঁর প্রতি ভরসা,আস্থা ও নিখাদ আনুগত্যই মুক্তির বার্তা বয়ে আনতে পারে। আমরা আবার আলো ঝলমল পৃথিবীতে ফিরে যাবো এবং করোনা-পূর্ব অর্থনৈতিক সক্ষমতার আলোকিত অধ্যায়ে আবার ফিরে যাবো-এই হোক পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রত্যাশা।

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন তাঁর বার্তায় উল্লেখ করেন যে, সরকারি নির্দেশনানুযায়ী এবার করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে এবার নগরীতে কোন খোলা জায়গায় ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। তবে মসজিদগুলোতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যক্ষ তদারকিতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, মসজিদ কর্তৃপক্ষকে ঈদ জামাতের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের জন্য মসজিদ পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

তিনি সম্মানিত মুসল্লীগণকে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় সম্ভব হলে নিজ নিজ জায়নামায হাতে নিয়ে মসজিদে প্রবেশের অনুরোধ জানান। মসজিদ পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে মসজিদের ফ্লোর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করারএবং মুসল্লীদের জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও স্যানিটাইজার রাখার অনুরোধ জানান।

একই সাথে সামাজিক দূরত্ব মানার স্বার্থে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি সমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বিভিন্ন সংগঠনের মাঝে ভোগপন্য বিতরন
সামর্থবানদের সুযোগ রয়েছে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার -মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ. জ . ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, মানুষের বিপদের সময় পাশে থেকে সহযোগিতা করাই মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত। একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে যদি একটি প্রাণ বাঁচে; একজন মানুষ বাঁচার স্বপ্ন দেখে তাতেই হয়তো জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। তখন আমাদের সমাজের কিছু মানুষ বিপদ সঙ্কুল পরিবেশে পতিত হয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। ঠিক তখনি প্রয়োজন তাদের সহযোগিতার। বর্তমানে সারা দেশে মহামারি ও দূর্যোগের কারনে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা দূরহ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ নিম্নজীবীর লোকজন। এ অবস্থায় সরকার নানাভাবে দুর্গতদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে। এই কঠিন সময়ে আপামরদের পাশে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এগিয়ে আসা অতীব জরুরী এবং মানবিক।

তিনি বলেন, একজন মানুষ, মানুষের জন্যই। বিপদে-আপদে, সমস্যা-সংকটে ছুটে এসে সাহায্য করবে এমন প্রত্যাশা আমাদের। মানব জীবনের সম্পূর্ণতা আর তৃপ্তির জন্য সমাজের অসহায়-পীড়িতদের জন্য কিছু করা দরকার। সমাজের সামর্থবানদের সুযোগ রয়েছে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার।

আজ সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সংগঠনের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রীসহ সাবান, মাক্স তুলে দেয়ার সময় মেয়র এসব কথা বলেন।

অটো রিক্সা ড্রাইভার এসোসিয়েশন: নগরীর আমবাগানস্থ শহীদ শাহজাহান মাঠে স্কুলে অটো রিক্সা ড্রাইভার এসোসিয়েশন এর ২শ অস্বচ্ছল শ্রমিক পরিবারের মাঝে সিটি মেয়র ভোগ্যপন্য উপহার তুলে দেয়ার সময় সংঠনের সভাপতি নুরুল আমিন, মো. রহমান. মো. নুরুল হক, মো. নুরুন্নবী, মোহাম্মদ লেদু, মোহাম্মদ বাবুল উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ হালকা মোটরজান চালক শ্রমিক ইউনিয়ন : নগরীর পাহাড়তলী কলেজে বালাদেশ হালকা মোটরজান চালক শ্রমিক ইউনিয়ন ৫শ শ্রমিকদের মাঝে ভোগ্যপন্য বিতরণকালে মোহাম্মদ কাজল, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের কে এম শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সেলিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
কিন্ডার গার্টেন স্কুল কর্মচারী : নগরীর টাইগারপাসস্থ বিন্নঘাস চত্বরে কিন্ডারগার্টেন স্কুল কর্মচারাীর ৩শ পরিবারের মাঝে ভোগ্যপন্য বিতরণকালে মিজানুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, শুকলাল বড়ুয়া, শাহাজান ইসলাম, মোকতার হোসেন, লুবনা হুমায়ুন উপস্থিত ছিলেন।
রৌফাবাদ বাংলাদেশ হাউজিং সোসাইটি : জাতীয় বাংলাদেশ শ্রমিকলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সফর আলী,জাবেদুল ইসলাম স্বপন, হাবিবুর রহমান, মোহাম্ম ফজলু, মোহাম্মদ সালেহ উপস্থিত ছিলেন।
চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স দোকান কর্মচারী : চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স দোকান কর্মচারী পরিবারের মাঝে ৫শ ভোগ্যপন্য উপহার সামগ্রী বিতরণকালে সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ, আবুল কাশেম ও মোর্শেদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।