করোনা মহামারি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ভারতে এবার ঢুকে পড়েছে পঙ্গপালের দল!

২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা মহামারীর মধ্যেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে লণ্ডভন্ড করে গেছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। ঘুর্ণিঝড়টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ক্ষত না শুকাতেই এবার ভারতের সামনে এখন নতুন বিপদ। প্রবেশ করেছে পঙ্গপালের দল!
উত্তরাঞ্চলে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পঙ্গপালের ঝাঁক ঢুকে পড়ার পর নড়েচড়ে বসেছে সেখানকার প্রশাসন। মধ্যপ্রদেশে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে এই পতঙ্গের দল।
গত ২৭ বছরের মধ্যে সেই রাজ্যের বৃহত্তম পঙ্গপালের আক্রমণ হতে চলেছে এটি এবং বর্ষা না আসা পর্যন্ত এই সংকট বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কয়েক হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্টের মুখে! শস্য ও শাক-সবজি মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংস করে দিতে পারে এই পঙ্গপাল। সম্প্রতি ঝাঁসি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট অন্দ্র ভামসি পঙ্গপালের ঝাঁক ধেয়ে আসা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাসায়নিক স্প্রে নিয়ে দমকল বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে তিনি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে পঙ্গপালের দল বিশ্রামের জন্য যে কোনও জায়গায় থামতে পারে। কৃষকদের সতর্ক থাকতে এবং পতঙ্গদের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন কর্মকর্তারা।
জেলাশাসক অন্দ্র ভামসি বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষকে বলা হয়েছে পঙ্গপালের গতিবিধি সম্পর্কে কন্ট্রোল রুমে খবর দিতে। যেখানে সবুজ ঘাস ও সবুজ ফসলের আধিক্য, পঙ্গপাল সেখানেই যায়। তাদের গতিবিধি সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেই তা জানিয়ে দেয়া হবে।
দেশটির কৃষি বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর কমল কাটিয়ার জানিয়েছেন, ছোট আকারের পঙ্গপালের ঝাঁক এগিয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, দেশে ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৫ থেকে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ পঙ্গপালের ঝাঁক প্রবেশ করেছে।
কমল কাটিয়ার আরও জানান, রাজস্থানের কোটা থেকে একটি দল আসছে পঙ্গপাল মোকাবিলায় সহায়তা করতে। এই মুহূর্তে পঙ্গপালের ঝাঁক অবস্থান করছে ঝাঁসির বাঙ্গরা মগরপুরে। রাতেই পঙ্গপালগুলির উপরে কীটনাশক স্প্রে করা হবে।
ঢোলের মাধ্যমে জোরালো শব্দ ব্যবহার করে, থালা-বাটি বাজিয়ে এবং চিৎকার চেঁচামেচি করে কীটপতঙ্গগুলিকে দূরে রাখতে বলা হয়েছে।এনডিটিভি।
আপনার মতামত লিখুন