খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের একমাত্র কাঁকড়া পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারি উৎপাদন শুরুর আগেই বন্ধ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:৫৭ অপরাহ্ণ
দেশের একমাত্র কাঁকড়া পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারি উৎপাদন শুরুর আগেই বন্ধ

কক্সবাজার শহরতলীর কলাতলী সাগর তীরে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র কাঁকড়া পোনা উৎপাদনকারী সরকারি হ্যাচারিটি উৎপাদন শুরুর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।

চলতি বছরের ১৪ জুন এটি উদ্বোধন হয়। এর পক্ষকাল পরই ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকেই গত প্রায় চার মাস ধরে কার্যত পরিত্যক্ত এ হ্যাচারিটি।

দেশে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষ সম্প্রসারণের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পের অধীনে কক্সবাজারে দেশের প্রথম ও একমাত্র কাঁকড়া পোনার হ্যাচারিটি নির্মাণ করা হয়।

গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি শহরতলীর কলাতলী সাগর তীরে অবস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের পিসিআর ল্যাব সংলগ্ন স্থানে হ্যাচারির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ।

চলতি বছরের ১৪ জুন হ্যাচারিটি উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইসউল আলম মন্ডল।

কিন্তু হ্যাচারিটি উদ্বোধনের আগেই গত মে মাসে প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক (পরামর্শক) ফিলিপাইনের নাগরিক মিজ এমিলি নিজ দেশে ফিরে যান। এরপর তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হলেও মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। ইতোমধ্যে এ হ্যাচারিতে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত বিদেশি পরামর্শকসহ অন্যদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ফলে উৎপাদন শুরুর আগেই বন্ধ হয়ে গেল কাঁকড়া পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারিটি।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম খালেকুজ্জামান বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পের অধীনে প্রকল্পের প্রায় শেষ পর্যায়ে কাঁকড়া পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারিটি উদ্বোধন হয়েছে। তবে ওই সময়টি আসলে পোনা উৎপাদন মৌসুম ছিল না। কাঁকড়া পোনা উৎপাদন করা যায় নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাস। এখন হ্যাচারিটি চালুর জন্য রাজস্ব খাত থেকে মৎস্য অধিদপ্তর যদি বরাদ্দ দেয় তাহলে ফের চালু করা যাবে।

প্রায় তিন কোটি বিশ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাঁকড়া পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারিতে প্রতি সাইকেলে বা ২৮ দিন অন্তর ৯০ হাজার করে পোনা উৎপাদন করার কথা ছিল। এ কাজে প্রতি মাসে প্রায় ৬ লাখ টাকা বেতনে ফিলিপাইনি পরামর্শক মিজ এমিলিকে আনা হয়েছিল। এ প্রকল্পে রাজস্ব খাত থেকে কোনো বরাদ্দ ছিল না বলে প্রেষণে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পটির মেয়াদ উত্তীর্ণের পর মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

ভাইরাসসহ নানা রোগব্যাধির কারণে বিপর্যস্ত দেশের চিংড়ি শিল্পের বিকল্প হিসাবে ভাবা হচ্ছিল নরম খোলসের কাঁকড়া চাষকে।

কক্সবাজারসহ দেশের উপকূলীয় জলাভূমি বা ঘেরে উৎপাদিত নরম খোলসের কাঁকড়া বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে ভিয়েতনাম, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে কক্সবাজারের কাঁকড়ার সুখ্যাতি। ফলে চিংড়ি চাষিরা ঝুঁকিমুক্ত এ চাষের দিকে ঝুঁকছে। এতে করে নতুন এ খাত থেকে বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি বেকারদের জন্যও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। বিদেশে কাঁকড়ার চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে এখন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা হচ্ছে কাঁকড়ার চাষ।

ফলে কাঁকড়ার উৎপাদন যেমন বাড়ছে, তেমনি চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন। উন্নতি পদ্ধতিতে কাঁকড়া উৎপাদনের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের কাঁকড়ার চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে কাঁকড়া চাষ ও রপ্তানি করে জাতীয় মৎস্য পুরস্কার-২০১৬-এ স্বর্ণপদক ও ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন কক্সবাজারের কাঁকড়া চাষি অংছিন।

তবে কাঁকড়ার চাষ জনপ্রিয় হলেও প্রাকৃতিক উৎস থেকে পর্যাপ্ত পোনা পাওয়া সম্ভব না হওয়ায় দেশে কাঁকড়া চাষের কাক্সিক্ষত বিস্তৃতি ঘটছে না বলে জানান অংছিন।

তিনি জানান, কৃত্রিম উপায়ে হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনে এখনো কাক্সিক্ষত সাফল্য আসেনি। একটি কাঁকড়া ৬০ লাখ থেকে ১ কোটি ডিম দিলেও এখনো শতকরা ১ ভাগও বাঁচিয়ে রাখা যাচ্ছে না।

হ্যাচারিতে কৃত্রিম উপায়ে প্রথম কাঁকড়া পোনা উৎপাদনে সক্ষম হন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। ২০১১ সালে কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের তৎকালীন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এনামুল হকের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক সাফল্য এলেও গত ৮ বছরেও এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসেনি।

এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের আরো নিবিড় ও ধারাবাহিক গবেষণার ওপর জোর দেন কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষ প্রকল্পের তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ড. বিনয় কুমার চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, বিদেশে রপ্তানির প্রেক্ষিতে সমুদ্র উপকূলীয় জেলাগুলোতে কাঁকড়া চাষ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কাঁকড়া পোনার চাহিদা মেটাতে অবশ্যই কৃত্রিম উপায়ে পোনা উৎপাদনে সাফল্য পেতে হবে।

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।