খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উর্বর ভূমি : সুজন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উর্বর ভূমি : সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর এর অবস্থান ও বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্ত:দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে ওঠার শতভাগ সম্ভাবনার আশাবাদ ব্যক্ত করে চট্টগ্রামে শিল্প-বাণিজ্য-পর্যটন খাতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে চান।

তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে তাঁর অফিস কক্ষে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের সাথে সাক্ষাতকালে তাঁকে বলেন, চট্টগ্রাম ব্রিটিশ সু-সভ্যতার স্পর্শে ধন্য হয়ে যথেষ্ট আলোকিত। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সভ্যতার ছাপ সুস্পষ্ট। রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরসহ অনেকগুলো ভিক্টোরিয়াল স্থাপত্য রীতি তারই সাক্ষ্য বহন করে। একাধিক ব্রিটিশ কোম্পানী এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি সোপান তৈরী করে দিয়েছে। চা’য়ের বাগান ও এই শিল্পের বিকাশ ব্রিটিশদের হাত ধরেই অত্তন হয়েছে এবং চট্টগ্রামের বাগান থেকে উৎপাদিত চা বিশ্ব সেরা। এগুলো এখন বাঙালি মালিকানাধীন। সব মিলিয়ে ব্রিটিশের সাথে চট্টগ্রামের সুমধুর বন্ধনের স্মৃতি জ্বলজ্বল করে।

তিনি চট্টগ্রামের সাথে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যেও বন্ধনের কথা উল্লেখ করে বলেন, হাজার বছর ধরে চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক বন্দর সমুদ্র পথে প্রাচ্য, প্রতীচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রবেশ দ্বার। তাই চট্টগ্রাম এতদঞ্চলের অর্থনৈতিক হৃদপিণ্ড। পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে আসা বণিক ও পর্যটকরা এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছেন, কেউ কেউ থেকেও গেছেন। তারা আমাদের সমাজ-সভ্যতা-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে উর্বর করে গেছেন। ব্রিটিশদের অবদান এ ক্ষেত্রে আরো বেশি। তাঁরা দু’শ বছর এদেশ শাসন করেছে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ব্রিটিশ আইন ও রীতি-নীতি এখনও বহাল আছে।

চসিক প্রশাসক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, বে-টার্মিনাল ও মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হয়ে গেলে চট্টগ্রাম আন্ত: দেশিয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে এবং এর ভবিষ্যত সিঙ্গাপুরের চেয়েও উজ্জ্বল।

কক্সবাজার থেকে মিরসরাই পর্যন্ত সরকারের পরিকল্পিত উপকূলীয় মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হলে এ বিশাল বেল্টে শিল্প ও পর্যটনের বিশাল অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে। এ বিশাল সম্ভাবনার সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রশাসক ব্রিটিশ হাইকমিশনারের প্রতি আহবান জানান।

ব্রিটিশদেরই গড়ে তোলা ফয়’সলেক যথাযথ পরিচর্যায় হয়ে উঠতে পারে পর্যটকদের জন্য চমকপ্রদ চারণভূমি। এখান থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত ক্যাবল কার এর সংযোগ স্থাপন করে, একপাশে স্যাটেলাইট কটেজ নির্মাণ ও এংলিং (বড়শি দিয়ে মাছ ধরা) এর ব্যবস্থা করে হলে এটি উপমহাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম ভ্রমণ কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে। এছাড়া কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেলটি হয়ে গেলে নদীর দক্ষিণ তীরে একাধিক শিল্পজোন গড়ে ওঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের অর্থনেতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। চীন, কোরিয়া, জাপানসহ বিদেশি বিনিয়োগকারী সাড়া দিয়েছে। সবমিলিয়ে ১২টি দেশ থেকে এখানে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। তাই চট্টগ্রাম শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্ত:দেশীয় থেকে আন্ত:মহাদেশীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্র হতে খুব বেশি দেরী নেই। তাই এতে সামিল হতে ব্রিটিশ বিনোয়োগকে সাদরে আমন্ত্রণ জানান চসিক প্রশাসক। কারণ চট্টগ্রাম সকল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যে লাভ যোগ্য ও সম্ভাবনাময় একটি উর্বর ভূমি।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার বরার্ট চ্যাটারটন ডিকশন চসিক প্রশাসকের আহবানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ। এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি ও আর্থ-সামাজিক চিত্র সম্পর্কে আমাদের পূর্বসূরীদের ভালো অভিজ্ঞতা আছে। চট্টগ্রামে বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কেও আমাদের জানা আছে। তাই এখানে আমরা বিনিয়োগে আগ্রহী। এখানে চীন, কোরিয়া ও জাপানের বিনিয়োগকারীরা যে-ধরণের সুযোগ-সুবিধা ও নিশ্চয়তা নিরাপত্তা পান সেভাবে আমরা পেলে এবং পরিবেশ অনুকুল থাকলে আন্ত:দেশীয় ও আন্ত: মহাদেশীয় আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রযাত্রার স্বার্থে ব্রিটিশ বিনিয়োগের ঢল নামবে।

এ সময় ব্রিটিশ হাই কমিশনারের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম ও এল আই ইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ঘণ্টা/রিহাম

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।