সীতাকুণ্ডে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে কয়েক গ্রামের কৃষক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কেদারখীল গ্রামের কৃষি জমিতে যাতায়াতের একটি পথের অর্ধেক গত ৪ বছর যাবত বন্ধ করে রেখেছে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। স্থানীয় চেয়ারম্যান একাধিকবার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পরিমাপ করে রাস্তার জায়গা চিহ্নিত করতে পারেনি।
আজ বৃহস্পতিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে উক্ত রাস্তায় দোকান ঘর খোলার চেষ্টা করলে থানায় অভিযোগ দায়ের করে এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই এলাকার কয়েক একর কৃষি জমিতে যাতায়াতের জন্য কৃষকদের কোন পথ ছিলনা। তখন জালাল আহমদ ভূইয়াঁ নামে স্থানীয় এক বিত্তশালী মোহাম্মদ হোসেন ও ইউনুছ মিয়া নামের দুই ভ্রাতার কাছ থেকে ১৯৪৩ সালে ৮ শতক জায়গা খরিদ করে কৃষকদের যাতায়াতের জন্য পথ করে দেয়। তখন থেকে এই পথে আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষকরা যাতায়াত করতে থাকে। যা পরবর্তীতে সরকার কতৃক প্রণীত বিএস মূল খতিয়ানেও পথ হিসাবে নথিভূক্ত হয়। এবং সরকার প্রণীত বিএস সিট নকশায় কেদারখীল মৌজার ৫৩০ নং দাগে পথ হিসাবে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে রাতের অন্ধকারে উক্ত পথের অগ্রভাগে দোকান ঘর তোলার চেষ্টা করে মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হান্নান। পরদিন এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী ও কৃষকেরা। অভিযোগের ভিত্তিতে দোকানের কাজ বন্ধ করে দেন চেয়ারম্যান। পরবর্তিতে উভয় পক্ষকে ডেকে পরিমাপের মাধ্যমে যাতায়াতের পথ উম্মুক্ত করে দেওয়ার আদেশ দেন চেয়ারম্যান। কিন্তু আজ অবধি কৃষকদের যাতায়াতের উক্ত পথের অর্ধেক বন্ধ করে রাখেন আব্দুল হান্নান। জালাল আহমদ ভূইঁয়ার ওয়ারিশদের সাথে নিয়ে এলাকার কৃষকেরা কয়েকবার চেষ্টা করলেও পথ উম্মুক্ত করতে রাজি হয়নি আব্দুল হান্নান।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন আব্দুল হান্নান। উল্টো সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহার করেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী বলেন,,“ পরিমাপ করবে বলে নানা অজুহাতে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করে আব্দুল হান্নান। আজ সে দোকান বাঁধতেছে শুনে থানায় অভিযোগ দিয়ে কাজ বন্ধ করার পরামর্শ দিই।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এসআই আজহারুল ইসলাম জানান,“ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইন শৃঙ্খলার অবণতি না হওয়ার উদ্দেশ্যে এই বিষয় মীমাংসা হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি আমি।”
২৪ ঘণ্টা/দুলু
আপনার মতামত লিখুন