খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাইব্রেকার রোমাঞ্চে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরোর চ্যাম্পিয়ন ইতালি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ
টাইব্রেকার রোমাঞ্চে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরোর চ্যাম্পিয়ন ইতালি

ইতালির দীর্ঘ অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটল অবশেষে। ইউরোর ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ১-১ ড্রয়ের পর ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকারে ৩-২ হারিয়েছে আজ্জুরিরা। তাতে ১৯৬৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পেল কোচ রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা।

ইতিহাস কু গাইছিল। তিন বছর আগে ঠিক আজকের এই দিনেই যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল সাউথগেটের দল। তাছাড়া ইউরো-বিশ্বকাপের মঞ্চে দীর্ঘ ব্যর্থতা তো ছিলই।

তবে সে সব কিছুকে পেছনে ফেলার দারুণ ইঙ্গিতই দিচ্ছিল থ্রি লায়ন্সরা। এগিয়ে গিয়েছিল ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই। মাত্র ১১৭ সেকেন্ডে কিয়েরান ট্রিপিয়ারের ক্রস থেকে লুক শ’র ইতিহাস গড়া গোলে। ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে যে এর চেয়ে কম সময়ে গোল হয়নি আর কখনো!

তবে এখানেও যেন ঠিক তিন বছর আগে লুজনিকি স্টেডিয়ামের স্মৃতি আসছিল ফিরে ফিরে। সেদিন যে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে ইংলিশরা এগিয়ে গিয়েছিল খেলার শুরুতেই। কাকতাল আরও আছে। সেদিন গোলটা এসেছিল ট্রিপিয়েরের পা থেকে, এদিন গোল না করলেও যোগানটা যে এসেছিল তার পা থেকেই।

শুরুর গোলটা হজম করে যেন কিছুটা হকচকিয়েই গিয়েছিল আজ্জুরিরা। তাদের জন্য পরিস্থিতিটা কঠিন করে তুলেছিল ইংলিশ রক্ষণ। ফলে প্রতিপক্ষ গোলমুখে তাদের প্রথম শটটা এল ম্যাচের আধঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর। যদিও ফেদেরিকো কিয়েসার শটটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে একটুর জন্য। এরপর চিরো ইমোবিলের শট ঠেকান জন স্টোনস, ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।

শুরুর ধাক্কা সামলে ইতালি প্রথমার্ধে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছিল। সে ধারাটা অব্যাহত রইল বিরতির পরেও। তবে ইংল্যান্ডের জমাট রক্ষণ যেন ভাঙতে পারছিল না কোচ সাউথগেটের শিষ্যরা। অবশেষে প্রথম শটটা নেওয়া সম্ভব হলো ৬২ মিনিটে। কিয়েসার শটটা ঠেকাতে অবশ্য খুব বেগ পেতে হয়নি পিকফোর্ডকে।

তবে ইংলিশ দুর্গে ইতালিয়ানদের হানা পড়ল ৬৭ মিনিটে। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে মার্কো ভেরাত্তির হেডার ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড, কিন্তু ফিরতি চেষ্টায় লিওনার্দো বনুচ্চির চেষ্টা আর ফেরাতে পারেননি। সমতা ফেরে ম্যাচে। বনুচ্চি গড়ে ফেলেন ইতিহাস। ইউরোর ফাইনালে তার চেয়ে বেশি বয়সে (৩৪ বছর ৭১ দিন) গোল নেই যে আর কারো!

তবে কাজটা তখনো শেষ হয়নি। এরপর জয়সূচক গোলের লক্ষ্যে আক্রমণ শানিয়েছে দুই দলই, কিন্তু লক্ষ্য পূরণ হয়নি। নির্ধারিত সময়ে এ পরিস্থিতি না বদলালে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও সেই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। টাইব্রেকারে বাঁশি বাজে তাতে।

সেখানেও ইংলিশরা এগিয়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় পেনাল্টিতে আন্দ্রেয়া বেলোত্তির মিসে। তবে এর পরের পেনাল্টিতেই আবার দুই দল ফেরে সমতায়, মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের পেনাল্টি গিয়ে লাগে গোলপোস্টে। পরের দুই পেনাল্টিতেও ব্যর্থতাই পেল ইংলিশরা। আর নিজেদের দুটো পেনাল্টিতে গোল করে জয় নিশ্চিত করে ইতালিয়ানরা।
পেনাল্টিতে ৩-২ ব্যবধানে এই জয় ৫৩ বছরের ইউরো অপেক্ষা শেষ করে ইতালির। রবার্তো মানচিনির দল বনে যায় ইউরোপসেরা।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।