খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে ইভ্যালি, বেতন-ভাতা স্থগিত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১, ৩:২৩ অপরাহ্ণ
কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে ইভ্যালি, বেতন-ভাতা স্থগিত

রাসেল তার কর্মীদের বলেছেন, ‘টি-১০ ক্যাম্পেইন’ থেকে প্রাপ্ত তহবিল ছাড়া কোম্পানির কাছে আর কোনো অর্থ নেই

গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর ইভালি এখন তার কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করেছে। বেতন ভাতা দিতে না পারায় তাদের অন্যত্র চাকরি খুঁজতে বলেছে।

সোমবার (২৩ আগস্ট) একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে ইভালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল তার কর্মীদের বলেছেন, “টি-১০ ক্যাম্পেইন” থেকে প্রাপ্ত তহবিল ছাড়া কোম্পানির কাছে আর কোনো অর্থ নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তিনি কর্মীদের বলেছেন, “অক্টোবর-নভেম্বরের আগে কোনো বেতন আশা করবেন না।”

এ নির্দেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ইভ্যালির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আরিফ আর হোসেন বলেন, “তারা শুধু কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে কিন্তু এটা জোরপূর্বক নয়। কেউ যদি চলে যেতে চায় তারা যেতে পারে। আমরা সময়মতো বেতন দিতে পারছি না।”

প্রতিষ্ঠানটির একজন প্রাক্তন কর্মচারী বলেন, “মনে হচ্ছে আমরা চোরাচালান বা অন্য কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম। আমাদের ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন চাকরির বাজারে আমাদের সামর্থ্য প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কারণ প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময়ে ইভ্যালির কাছ থেকে কিছু কিনেছে।”

কাস্টমার সার্ভিস শাখার বেশ কয়েকজন কর্মচারী অভিযোগ করে জানান, তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলতে এবং তথ্য গোপন করতে বলা হয়েছিল।

আরেকজন সাবেক কর্মচারী বলেন, “আমাদের এমন কোনো তথ্য দেওয়া হতো না যা গ্রাহকদের জানতে সাহায্য করবে। আমাদেরকে শুধুমাত্র গ্রাহকদের কাছে ক্রমাগত পুনরাবৃত্তি করতে বলা হয়েছিল যে, তারা তাদের ডেলিভারি বা অর্থ ফেরত পাবেন। এমনকি এটি আসলেই পাবে কিনা তা না জেনেও। এমনকি অনেককে দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে।”

কর্মচারীরা বলছেন, তারা অনলাইন এ প্ল্যাটফর্মের ভোক্তা এবং বিক্রেতাদের কাছ থেকে হয়রানি এবং হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।

অনেক কর্মচারীর মতে, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা পদগুলোর বেশিরভাগই ইভালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমার পরিবারের সদস্যরা দখল করে আছেন। যাদের অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে অক্ষম ছিলেন এবং এ সম্পর্কিত কোনো জ্ঞান তাদের ছিল না।

তারপরেও কোম্পানি প্রাথমিকভাবে তাদের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি কেবল ব্র্যান্ডিং এবং কর্মীদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রেই বিশাল ক্ষতি করেছে।

ইভ্যালির বিরেুদ্ধে আরও অভিযোগ করে তারা বলেন, বিলাসবহুল ভ্রমণ এবং উপহারের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করেছিল তারা। কিন্তু এতে শেষ পর্যন্ত কোম্পানিকে এত বেশি ক্ষতির সম্মুখীন করেছিল যে এটি আর গ্রাহকদের অর্থ ফেরত কিংবা কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানানোর জন্য সিইও পর্যন্ত পৌঁছানো যায়নি বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

ইভ্যালির অনেক সাবেক কর্মচারী ইতোমধ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ইভ্যালির কারণে অন্য প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাৎকারের সময় চরম অসুবিধা এবং আক্রমণাত্মক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।

সাবেক কর্মচারীরা যেসব অসুবিধাগুলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন সে বিষয়ে ইভ্যালির বেশ কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান তাদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌখিক আশ্বাস দিয়ছিলেন।

ইভালির সামাজিক যোগাযোগ প্রধান মৃধা মো. সাইফুল ইসলাম লিঙ্কডইন পোস্টে লিখেছেন, “আপনি যদি আপনার কোম্পানির জন্য ভালো প্রশিক্ষিত এবং বিশেষজ্ঞ নির্বাহী অথবা ম্যানেজার খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমার কিছু বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য লোক রয়েছে যাদের কথা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলা যেতে পারে।”

ইভ্যালির প্রধান কারিগরী কর্মকর্তা ওসমান গনি নাহিদ একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আমরা একটি কোম্পানি হিসেবে সংগ্রাম করছি, কঠিন সময় পার করছি। যেহেতু আমরা সময়মতো বেতন দিতে পারিনি, দলের সদস্যরা তাদের পরিবার এবং আর্থিক চাহিদা পূরণের জন্য আর্থিকভাবে সংগ্রাম করছে, তাই কিছু সদস্যের পক্ষে আমাদের পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। ইঞ্জিনিয়ারিং দলের কিছু কর্মচারী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যাওয়ার জন্য চাকরি খুঁজছেন। যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ কিছু ভালো এবং অত্যন্ত দক্ষ কাউকে খুঁজে থাকে দয়া করে আমাকে জানান। আমি বিভিন্ন পদের জন্য কিছু ভালো এবং দক্ষ ব্যক্তিকে সুপারিশ করতে পারি। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে তারা সত্যিই ভালো। অগ্রিম ধন্যবাদ।”

এদিকে, ইভালিতে যমুনা গ্রুপের বিনিয়োগ এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। কারণ যমুনা গ্রুপ এখনও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের আর্থিক বিবৃতিগুলো নিরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে।

রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমার বিরুদ্ধে ইতোধ্যেই প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোক্তাদের মধ্যে যারা অর্থ ফেরত পাননি তাদেরকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) কাছে মামলা করতে বলেছিল।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ইভ্যালি দীর্ঘদিন কাজ করার অনুমতি দিলেও তার দায় পরিশোধ করতে পারবে কি-না সন্দেহ আছে। ধরুন ইভ্যালির দায় ৯০ টাকা এবং তাদের কাছে আছে ১০ টাকা। এখন তাদের বর্তমানে যা আছে তা দিয়েই কি এত বিশাল ব্যবধান কমানো সম্ভব?”

এন-কে

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।