খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ডে এসএসসি পরিক্ষা দিয়েই চিরকুট লিখে পালিয়েছে দুই বান্ধবী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:২২ পূর্বাহ্ণ
সীতাকুণ্ডে এসএসসি পরিক্ষা দিয়েই চিরকুট লিখে পালিয়েছে দুই বান্ধবী

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের কুমিরা মছজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে তামান্না আকতার(১৭) ও অর্পা মল্লিক(১৬) নামে দুই ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। দুইজন লতিফা সিদ্দিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

তাদের সন্ধান চেয়ে তামান্না আকতার এর মা ছকিনা বেগম ও অর্পা মল্লিক এর মা অঞ্জনা মল্লিক সীতাকুণ্ড থানায় পৃথক দুটি জিডি করেন। একইভাবে তামান্নার মা ছকিনা বেগম র‌্যাব কার্যালয়েও অভিযোগ করেছেন।

জিডি মূলে জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর সকালে উপজেলার দক্ষিণ মছজিদ্দা মাস্টার পাড়ার ফুরক মিস্ত্রীর বাড়ির মৃত মাসুদ মিয়ার মেয়ে তামান্না আকতার এবং ছোট কুমিরা ৩নং ওয়ার্ড মছজিদ্দা এলাকার স্বপন মল্লিকের মেয়ে অর্পা মল্লিক এসএসসি পরীক্ষা দিতে ছোট কুমিরা মছজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। তারপর থেকে তারা দুইজন আর ফিরে আসেনি।

নিখোঁজ তামান্না আকতারের মা ছকিনা বেগম বলেন, আমরা গরিব অসহায়। খুব দু:খ কষ্ট করে সংসার চালায়। স্বামী নেই অনেক আগে মারা গেছেন। আমার মেয়ে কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। কোন ছেলের সাথে সম্পর্কও নেই। অর্পা তার যাবতীয় টাকা পয়সা ও কাপড় চোপড় নিয়ে গেছে কিন্তু আমার মেয়ে স্কুলে পোশাক ছাড়া আর কিছুই নেয়নি।

অর্পা মল্লিকের মায়ের অভিযোগে জানা যায়, অর্পা পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে তার বালিশের নিচে একটি চিটি লিখে রেখে গেছে। সেটিতে বলা হয়েছে আমি চলে যাচ্ছি আর আসব না। সে আরো লিখেছে, আমি একজনকে ভালোবাসি তাকে নিয়েই চলে যাচ্ছি। আমাকে মাফ করে দিও।

অর্পার মা অঞ্জনা মল্লিক বলেন, তামান্না আর অর্পা বান্ধবী, সে সুবাদে প্রতিদিনই তামান্না আমাদের ঘরে আসতো। তাদের দুইজনের মধ্যে আমি কিছুটা ঘনিষ্টভাবে মেলামেশা করতে দেখতাম, যেহেতু দুইজনই মেয়ে তাই প্রথম প্রথম কিছু মনে করতাম না। পরে তাদের আচরণ দেখে আমি তাদেরকে বকাও দিয়েছি কয়েকবার।

এদিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এমরান বলেন, তামান্না ও অর্পা নামে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী বান্ধবী একই সাথে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারী নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থীর ঘটনাটি দেখছি। দুই পরিবারের সাথে কথা বলে এবং অর্পার একটি ডায়েরি দেখে ধারণা করা হচ্ছে দুই বান্ধবী সমকামী। এছাড়া তাদের যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে একে অপরকে লিখা দেখেও তা অনুমান করা হচ্ছে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার (ওসি) আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ। আমরা সব জায়গায় তাদের খুঁজছি।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।