খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাষা আন্দোলন বর্তমান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু ভাষার মধ্যে দিয়ে সীমাবদ্ধ ছিল না: নোমান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
ভাষা আন্দোলন বর্তমান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু ভাষার মধ্যে দিয়ে সীমাবদ্ধ ছিল না: নোমান

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জনাব আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ভাষা আন্দোলন বর্তমান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু ভাষার মধ্যে দিয়ে সীমাবদ্ধ ছিল না। ৪৮ সাল থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। এরপর থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার জন্য আন্দোলন তীব্রতা কে তীব্র হয়।পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত আন্দোলনকে থামানোর জন্য তৎকালীন পাকিস্তানি পাক-হানাদার বাহিনী একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা সৈনিকদের উপর গুলিবর্ষণ করলে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ অনেকেই প্রাণ হারায়। আজ আমরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছি। এটা আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বিশ্বের কোন দেশ নেই যে ভাষা প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। একমাত্র বাঙালি জাতিকে ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে।

তিনি আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আন্তর্জা‌তিক মার্তৃভাষা দিবস উপল‌ক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির আ‌লোচনা সভা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হো‌সে‌নের সভাপতিত্বে সদস‌্য সচিব আবুল হা‌শেম বক্কর এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

আব্দুল্লাহ-আল নোমান আরো বলেন, বর্তমান একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাঝে এসে জনগণের যে রাষ্ট্র ৭১ সালের মুক্তির সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত এদেশ। বর্তমান সরকার জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নিয়েছে। জনগণের সকল অধিকার খর্ব করেছে। জনগণ সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিএনপি ১০ দফা দিয়েছে। ২৭ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই সরকারের নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না।বর্তমানে এদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন চাই। জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি রাজপথে থাকবো। এই সরকারের পতনের মাধ্যমে জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলন, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১/১১ মঈন-ফখরুদ্দিন সরকার বিরুদ্ধে যে আ‌ন্দোলন সর্বোপরি বর্তমান ফ‌্যা‌সিষ্ট আওয়ামী সরকা‌রের বিরু‌দ্ধে আ‌ন্দোলন, সব‌কিছুর মূলমন্ত্র জনগ‌ণের অ‌ধিকার আদা‌য়ের আ‌ন্দোলন। আমার অ‌ধিকার আমার দেশ, সে অ‌ধিকার আদা‌য়ের জন‌্য আমরা সংগ্রাম কর‌ছি। বায়ান্ন সা‌লে আমারা ভাষার জন‌্য সংগ্রাম ক‌রে‌ছি, একাত্তর সা‌লে আমারা মু‌ক্তি‌যোদ্ধ ক‌রে‌ছি মানু‌ষের সাম‌্য, ন‌্যায় বিচার ও গণতা‌ন্ত্রিক অ‌ধিকার প্রতিষ্ঠার জন‌্য। যে স্বপ্ন নি‌য়ে মু‌ক্তি‌যো‌দ্ধের মাধ‌্যা‌মে যে স্বাধীনতা অ‌র্জিত হ‌য়ে‌ছে স্বাধীনতা পরব‌র্তি সে কাংঙ্খিত সুফল জনগন এখনো পায়‌নি। আজ‌কে আমরা রাষ্ট্র মেরাম‌তের ২৭ টি প্রস্তাবনার কথ বল‌ছি, রেইন‌বো ন‌্যাশ‌ানের কথা বল‌ছি। এই‌টি বাংলা‌দেশী জাতীয়তাবা‌দের মর্ডান সংস্ককরন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিমুদ্দিন বলেন, এই সরকার নির্যাতন নিপীড়নের মাধ্যমে দেশ শাসন করছে। আন্দোলন ছাড়া এ সরকারের পতনের কোন বিকল্প নেই।সমস্ত রাজনৈতিক দল ও মতকে নিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দূর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা তাদের পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস‌্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ছেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের যে চেতনা, আওয়ামী লীগ সেই চেতনা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনই ছিল আমাদের জাতিসত্ত্বা নির্মাণের প্রথম ভিত্তি। সেই আন্দোলনের চেতনা ছিল-স্বাধীন, সুস্থ, গণতান্ত্রিক, মুক্তসমাজ নির্মাণ করা। তারই ধারাবাহিতায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজকে সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা, চেতনা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার পতন আন্দোলন বেগমন করতে হবে। এই সরকারের দুর্নীতি- দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এই দেশের মানুষ রাজপথে আছে।আওয়ামী লীগ সমস্ত মানুষের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে-চুরে শেষ করে দিয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. সিদ্দিক আহমেদ বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে এই দেশ মুক্তি কামি জনতা পাকহানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন করে প্রমাণ করেছে।আওয়ামী লীগ দে‌শে রাজ‌নৈ‌তিক, অর্থ‌নৈ‌তিক সহ নানামূ‌খি সংকট তৈ‌রি ক‌রে‌ছে।এ সংকট থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হলে আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম বদরুল আনোয়ার বলেন, যতদিন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে না ততদিন পর্যন্ত এই দেশের নির্বাচন সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পেশাজীবী নেতা প্রফেসর নজরুল কাদেরী বলেন,একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা দিবসকে সামনে রেখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।

মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আ‌লোচনা সভা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান,পেশাজীবী নেতা এডভোকেট এসএম বদরুল আনোয়ার, ড. সিদ্দিক আহমেদ, ডা. খুরশিদ জামিল, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি,

কচি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল,আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরজ উল্লাহ,মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, ম‌হিলা দ‌লের ফা‌তেমা বাদশা, ম‌নোয়ারা বেগম ম‌নি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর ছাত্রদ‌লের আহবায়ক মো. সাইফুল আলম, সদস‌্য স‌চিব শ‌রিফুল ইসলাম তু‌হিন প্রমূখ।

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর