খুঁজুন
শনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যাদের হাতে ইতিহাস-ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারেনা : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ
যাদের হাতে ইতিহাস-ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারেনা : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যাদের হাতে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারেনা। সেই বিএনপি আবার দেশ পরিচালনা করার কথা স্বপ্ন দেখে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়াদের ছবি ভাংচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত ছিল মামলার প্রেক্ষিতে তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে যারা তাদের নেতা, যারা তরুণদেরকে এধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে, এবং এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা দায় এড়াতে পারে না। তাদেরকেও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

রোববার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান মোড়ে বিএনপি কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন উপস্থিত ছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের ছবি ভাঙ্গে, এখানে থাকা আমাদের মুক্তি আন্দোলনের পুরোধাদের ছবির প্রতি অবমাননা করে, সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করে ছবি ও ম্যুরাল ভাঙ্গে তারাতো দেশটাই ভেঙ্গে দেবে। তাদের হাতে তো কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারেনা। এরাই আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে।

তিনি বলেন, বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে এদিক দিয়ে যাবার সময় বঙ্গবন্ধুর সমস্ত ছবিগুলো এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যু্রালসহ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া অন্যান্যদের ছবিও ভাঙচুর করেছে। এই দায় দলটির নেতারা কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিত্র ভেঙ্গে দেয়ার পেছনে বিএনপি’র পাশাপাশি জামাত-শিবিরের সম্পৃক্ততা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামাততো ওদের সহোদর ভাই, ওড়াইতো বলে একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিএনপি আর জামাত। এটা ওনাদের বক্তব্য। এই তারুণ্যের সমাবেশেও ছদ্মবরণে জামাত শিবিরও ছিল। তবে মূল দায়টা বিএনপি নেতাদের।
ভেঙ্গে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত ছবিগুলো আবার তৈরি করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন আমাকে জানিয়েছেন তারা এগুলো আবার নতুনভাবে আগের মত দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করবেন। প্রয়োজনে আরো সুন্দর করে এগুলো পূনঃস্থাপন করা হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোথাও রাস্তার পাশে দেয়ালে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং আমাদের মুক্তি আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে এভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। চট্টগ্রামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ আমাদের সংস্কৃতি এবং মুক্তি আন্দোলনের পুরোধা যারা ছিল তাদের ছবিগুলো যেভাবে রাস্তার পাশে এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে সেগুলো দেশের কোথাও নাই।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।