খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়, ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩, ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়, ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে: প্রধানমন্ত্রী

রাজনীতিতে বাধা নয়, তবে আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘মানুষের কোনো ক্ষতি করলে ছাড় দেয়া হবে না, ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি ডাবল লাইন ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সালের দুঃশাসন ও অপকর্মের কারণে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ। বিএনপি আসলে সন্ত্রাসী দল। তাদের কাজই হচ্ছে ধ্বংস করা, আগুন নিয়ে পুড়িয়ে মারা। মানুষের কোনো ক্ষতি করলে ছাড় দেওয়া হবে না, ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। কারণ, তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধীরা, যুদ্ধাপরাধীরা। জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল এবং তাদের বিচারের পথ বন্ধ করা হয়েছিল। কাজেই বাংলাদেশের যাত্রা উল্টো দিকে শুরু হয়।’

‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা ক্ষমতায় এসেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিই। দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এমনকি সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি, নতুন রেললাইন স্থাপন থেকে শুরু করে আমরা অনেক কাজ শুরু করি।’

সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি রেল ব্যবহার করে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, একইসঙ্গে অল্প খরচে অনেক বেশি পণ্য পরিবহন করা যায়। আর যাত্রীও পরিবহন করা যায়।’

‘আমাদের দুর্ভাগ্য হলো, বিএনপি ক্ষমতায় এসে রেললাইন বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। তারা রেল বন্ধ করবে কেন? রেল লাভজনক না, রেল লোকসান। কাজেই ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পরামর্শে তারা রেল বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেয়।’

‘রেলের কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় দেয় কিন্তু তাদের পাওনা টাকাও সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দেইনি। আর বিভিন্ন এলাকায় রেললাইন বন্ধ করে দেয়। একদম বিধ্বস্ত অবস্থায় কোনো মতে কয়েক জায়গা চালু করা হয়। সবই তারা বন্ধ করা শুরু করেছিল।’

এমন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পুনরায় রেলের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকারে আসার পর আমি সিদ্ধান্ত নিই রেলের আলাদা মন্ত্রণালয় না করে দিলে বাজেটে তাদের জন্য টাকা থাকবে না। রেল উন্নত করতে পারবো না। কারণ, যে যত পরামর্শই দিক দেশটা আমাদের। দেশের মাটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আমাদেরকেই করতে হবে।’

‘সেই চিন্তা-চেতনা থেকে আমি দেশ চালাই। কবে কে কি পরামর্শ দিলো আর সেটি শুনে আমাদের চলতে হবে সেটা না। দেশের মানুষের কল্যাণে কি হবে সেটাই বিবেচ্য বিষয় আমাদের কাছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৮ সালে যখন যমুনা নদীর ওপরে সেতু নির্মাণ করি এই সেতুর মূল ডিজাইনে রেললাইন ছিল না। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এর সঙ্গে রেললাইন থাকতে হবে। সেখানেও কিন্তু এই ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাধা দিয়েছিল।’

‘আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় করে রেলের উন্নতি শুরু করলাম। অনেক কিছু আমরা কিনতে শুরু করলাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য হলো ২০১৪ সালে নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচন হতে দেবে না। তার কারণ হচ্ছে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল।’

‘কারণ, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের যে দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, মানিলন্ডারিং এবং এই সমস্ত অপকর্মের ফলে মানুষ তাদের ভোট দেয়নি। তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।’

উদ্বোধন হওয়া ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের সুফল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধনের পর এই লাইনে ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এই লাইনে রেলের গতি এনে দিয়েছি।’

‘চালকদের সতর্ক থাকতে হবে যেন একটু সাবধানে চালায়। কোন জায়গায় কতটুকু দ্রুত গতিতে চলবে সেটা ভাবতে হবে। এটি আধুনিক ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন। এর মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম সবটুকু লাইনই ডাবল লাইনে উন্নীত হলো।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এতে করে যাত্রীরা আরাম আয়েশে চলতে পারবে। পরিবহন কষ্টও কমে যাবে। আগের চেয়ে এক ঘণ্টা সময় কম লাগবে। কক্সবাজার পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষের দিকে। ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারবে।’

বিএনপি-জামায়াত যেন রেললাইন ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে দেশের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই এই কাজগুলো করা সম্ভব হয়েছে। এটা জাতীয় সম্পদ, এটা জনগণকে রক্ষা করতে হবে।’

কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রান্তে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন উপস্থিত ছিলেন।

আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন চালুর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নতুন যুগের সূচনা হবে। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আর কোনো ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না। কমে আসবে ট্রেনযাত্রার সময়।

আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ হওয়ায় ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পুরো অংশ ডাবল লাইনে উন্নীত হলো।

এখন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আর কোনো ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না আশা করা হচ্ছে। ডুয়েল গেজ হওয়ায় এ পথে এখন মিটার গেজ ও ব্রড গেজ এ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে।

লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন করতে ২০১৪ সালে ছয় হাজার ৫০৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয় একনেকে।

প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দিয়েছে চার হাজার ১১৮ কোটি টাকা ঋণ। এক হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক। আর এক হাজার ২৬ কোটি টাকার বেশি অর্থায়ন করেছে সরকার।

২০১৬ সালের ১ নভেম্বর শুরু হয় নির্মাণ কাজ। ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশ ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর