খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপে অঘটনের শিকার চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ
বিশ্বকাপে অঘটনের শিকার চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথম বড় কোনো অঘটনের জন্ম দিলো আফগানিস্তান। আগের দুই ম্যাচে গো-হারা আফগানিস্তান আজ দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে হারিয়ে দিয়েছে গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে।

টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত যে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের জন্য কতবড় ভুল ছিল, তা ম্যাচ শেষে এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।

জবাব দিতে নেমে আফগান স্পিনের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। মুজিব-উর রহমান, রশিদ খান এবং মোহাম্মদ নবির মায়াবি ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে ৪০.৩ ওভারে ২১৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যার ফলে আফগানিস্তানের জয় এলো ৬৯ রানে।

এ নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেললো আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড। দুই দলই দুটি করে ম্যাচ হেরেছে এবং জিতেছে একটি করে ম্যাচ। ইংল্যান্ড হেরেছে নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের কাছে। আর আফগানিস্তান হারলো বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে।

২৮৫ রানের পুঁজি নিয়েই লড়াই করতে নামে আফগান বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই আফগানিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বা হাতি পেস বোলার ফজল হক ফারুকি। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা জনি বেয়ারস্টোকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই পেসার।

বেয়ারস্টো সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিলেও বাংলাদেশ আম্পায়ার সৈকতের বিচক্ষণ সঠিক সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে যেন বিপদেই পড়ে ইংলিশরা।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ডেভিড মালান ও জো রুট কিছুটা বিপর্যয় সামাল দেন ৩০ রানের জুটি গড়ে। কিন্তু ৭ম ওভারেই সেই জুটি ভাঙেন স্পিনার মুজিব। তার অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতক করা জো রুট।

প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৫২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ডরা। আফগান স্পিনে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। ১৩তম ওভারে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ারন ডেভিড মালানকে আউট করে আবারো ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ফেলেন অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবী। ১৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামা এই বোলার বলে মালান শর্ট এক্সট্রা কাভারে ইব্রাহিম জারদানের হাতে ধরা পড়েন।

৯০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক জস বাটলারকেও হারায় তারা। নাভিন উল হকের অসাধারণ এক ইন সুইং ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হন জস বাটলার। মাত্র ১৮ বলে ৯ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বাটলারের আউটের দুই ওভার পরেই রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিভিংস্টোন।

১১৭ রানে ৫ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের এক পাশে যখন ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল চলছিল ঠিক অন্যপাশে আফগান বোলারদের উপর চড়াও হচ্ছিলেন হ্যারি ব্রুক। তুলে নিনে অর্ধশতকও।

২৮তম ওভারে আবারো ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার নবী। এবার তার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্যাম কারান। ক্রিস ওকসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩তম ওভারে তাকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান মুজিব।

মুজিবের বোলিংয়ের কারিশমা তখনও শেষ হয়নি। এরপরের ওভার করতে এসেই ইংলিশদের এই ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান ৬১ বলে ৬৬ রান ব্রুককে আউট করলে কার্যত ইংলিশদের জয়ের আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। এরপর শেষের দিকে আদিল রশিদ ২০, ক্রিস উড ১৮ ও রিস টপলি ১৫ রান করলেও তা ম্যাচ জয়ের মত যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৪০.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা ২১৫ রানেই থামে।

আফগানিস্তানের হয়ে মুজিব ৩টি, নবী ও রশিদ খান ২টি, ফজলহক ফারুকী ও নাভিন উল হক ১টি করে উইকেট পান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামতে হয় আফগানিস্তানকে। রহমানুল্লাহ গুরবাজের টর্নেডো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে অসাধারণ সূচনা করেছিলো আফগানরা। তবে ১১৪ থেকে ১২২ রানের মধ্যে ৩ উইকেটের পতনে থমকে যায় তাদের ইনিংস। ইকরাম আলিখিল ৫৮ রান করার ফলে শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে ২৮৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
প্রথম ১৫টি ওভার যেন স্বপ্নের মত কেটেছিলো আফগানিস্তানের। কোনো উইকেট হারাতে হয়নি। রান তুলে ফেলেছে ১১০-এর বেশি। ইংল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে এমন স্বপ্নের শুরু কবে করতে পেরেছিলো আফগানরা!

কিন্তু এই সুখস্মৃতি খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। একে একে তিনটি উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়েই পড়ে যায় আফগানরা। তিন নম্বর ব্যাটার হিসেবে রানআউট হন দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা রহমানুল্লাহ গুরবাজ।

১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে হাশমতউল্লাহ শহিদি ব্যাট করছিলেন। আদিল রশিদকে ঠেলে দিয়েই দ্রুত একটি রান তুলতে যান তিনি। মিড উইকেটে ফিল্ডার ছিলেন ডেভিড উইলি। তিনি বল থ্রো করেন ব্যাটিংপ্রান্তে। বল ধরেই উইকেট ভেঙ্গে দেন জস বাটলার। সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায় ৫৭ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস।

পরপর দুই বলে দুটি উইকেট হারিয়েই ব্যাকফুটে চলে যায় আফগানিস্তান। লড়াইয়ে নিজেদেরকে চালকের আসনে নিয়ে আসে ইংল্যান্ড।

আগে টস হেরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নামার পর আফগানদের ঠিক ‘আফগানিস্তানে’র মতো মনে হচ্ছিল না। এই মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে বোলারদের পিটিয়েছিলো, ঠিক তেমনটাই মনে হচ্ছিলো রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরানের ব্যাটিংয়ে।

শেষ পর্যন্ত এই দু’জনের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে সক্ষম হন ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। ১১৪ রানের বিশাল জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হলেন গুরবাজ এবং ইবরাহিম। আদিল রশিদকে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মেরে বাউন্ডারি আদায় করতে চেয়েছিলেন ইবরাহিম। কিন্তু শর্ট মিডউইকেটে সরাসরি জো রুটের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৪৮ বলে ২৮ রান করে আউট হলেন ইবরাহিম।

এরপর রহমত শাহ মাঠে নেমে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। হাশমতউল্লাহ শহিদির ভুলে তো রান আউট হলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৫৭ বলে ৮০ রানের ইনিংসে গুরবাজ ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৪টি।

হাশমতউল্লাহও বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। ৩৬ বল খেলে মাত্র ১৪ রানে আউট হন তিনি। ২৪ বলে ১৯ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৬৬ বলে ৫৮ রান করেন ইকরাম আলিখিল। মোহাম্মদ নবি আউট হন ৯ রান করে। ২২ বলে ২৩ রান করেন রশিদ খান। তবে শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলেছিলেন মুজিব-উর রহমান। ১৬ বলে ২৮ রান করেন তিনি। নাভিন-উল হক রানআউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় আফগানদের ইনিংস। তখনও একটি বল বাকি ছিল তাদের।

ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নেন আদিল রশিদ। ২ উইকেট নেন মার্ক উড। ১টি করে উইকেট নেন রিসি টপলি, লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জো রুট।

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।