খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা, লড়াই হবে আ.লীগ-স্বতন্ত্রে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা, লড়াই হবে আ.লীগ-স্বতন্ত্রে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৬ জন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক, ৪ জন কেটলি প্রতীক, ৩ জন ট্রাক প্রতীক, ২ জন ফুলকপি এবং এক জন করে পেয়েছেন তরমুজ ও বেঞ্জ প্রতীক।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রামে বিভাগীয় কমিশন ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম–১ (মীরসরাই) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।

এ আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন তরমুজ প্রতীক এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।

এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আবু তৈয়বের।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। এ আসনে ৮ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাজফুজুর রহমানে সঙ্গে জামাল উদ্দিনের।

চট্টগ্রাম-৩ (সীতাকুণ্ড): এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় দলীয় প্রতীকই প্রার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। হাটহাজারীর এ আসনটিতে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামকে। শেষ মুহুর্তে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি হওয়ায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হয় তাকে। এ আসনে ৭ জন প্রার্থী থাকলেও জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বিপরীতে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে আভাস মিলছে।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। এ আসনে ৫ জন প্রার্থী হলেও পর পর তিন বার নির্বাচিত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিপরীতে শক্ত প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে নেই কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে আছেন মোট ৬ জন প্রার্থী। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। বিভিন্ন দলের ১০ জন প্রার্থী রয়েছে আসনটিতে। জাতীয় পার্টির সোলাইমান আলম শেঠের সমর্থনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করেছেন। কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ না থাকায় অনেকটা খালি মাঠেই গোল দিতে পারেন বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ পেয়েছে কেটলি প্রতীক। এছাড়া এ আসনে সাবেক মেয়র মঞ্জুর আলম পেয়েছেন ফুলকপি প্রতীক। আসনটিতে ৯ জন প্রার্থী থাকলেও সাবেক মেয়র মঞ্জুর আলমের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) এ আসনের সাত জন প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। আসনটিতে আওয়ামী প্রার্থী রয়েছে এম এ লতিফ। অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। পর পর তিন বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে হুইপের দায়িত্বে থাকার পরও দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। এ আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নৌকার মনোনয়ন পান। এ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে ৭ প্রার্থী দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে নির্বাচন করছেন বর্তমান ভূমিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জাব্বার পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। এ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও আব্দুল জাব্বারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে এলডিপির দূর্গ হিসেবে খ্যাত আসনটিতে।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। সাতকানিয়া এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। এ আসনে নদভীর মূল প্রতিপক্ষ মোতালেব। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু আগেই দুই পক্ষের সমর্থকদের উত্তেজনায় হাড্ডাহাড্ডি লাড়াইয়ের আভাস মিলছে।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে তিন জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুজিবুল হক সিআইপি। এ আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত হওয়ায় অনেকটাই কোণঠাসা। নির্বাচনের মাঠে মুজিব-মোস্তাফিজের ভোটের লাড়াই দেখার অপেক্ষায় বাঁশখালীর ভোটরা।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে মোট ১৪৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ৩২ জনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। ১১৬ জনের মনোননয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাছাইয়ে বাদ পড়াদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পান ১২ জন। আরেকজন উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পান। সবমিলে ১৬ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২৯ জন। তাদের মধ্যে থেকে গতকাল ৯ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন ভোটের মাঠে আছেন ১২০ প্রার্থী।

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।