খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম থেকে সংসদে যাচ্ছেন যারা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রাম থেকে সংসদে যাচ্ছেন যারা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১৩টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটি আসনের মধ্যের দুটিতে স্বতন্ত্র এবং একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন-

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে এক লাখ ৩৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জামাল উদ্দিন পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭০ ভোট।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে এক লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আল মামুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল কবির পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৮০ ভোট।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়েছেন বিজয়ী হয়েছেন নাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দুই লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৯ ভোট।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাছান পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে ৩৩ হাজার ৫৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী চসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় কুমার চৌধুরী পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৭০ ভোট।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে এক লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি প্রার্থী সানজিদ রশীদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী চসিকের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এক লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে এক লাখ ৮৭ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী আবুল হোসাইন পেয়েছেন ৫ হাজার ১৪১ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ৭১ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৮৪ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনে ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতকানিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিল্পপতি মুজিবুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট।

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।